ফেরেশতাদের মাধ্যমে দুরূদ পেশ করা হয়
❏ হাদিস ২৫:
ইবনে রাহওয়াইয়া (رحمة الله) হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
ليس احد من أمة محمد صلى الله عليه وسلم يصلي او يسلم عليه الأبلغه يصلى عليك فلان وسلم عليك فلان
অর্থাৎ- রাসূল (ﷺ) যেকোন উম্মত তাঁকে দরূদ কিংবা সালাম পেশ করে তা তাঁর কাছে এই বলে পাঠানাে হয় যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি আপনার উপর দুরূদ পাঠ করেছে, অমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিয়েছে।
[ইমাম সুয়ূতী, জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (رحمة الله) (৯১১হি.), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড:২য় পৃ:৪৯০]
❏ হাদিস ২৬:
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
ْﻦَﻋ ﻲِﺑَﺃ ٍﺮْﻜَﺑ ِﻖْﻳِّﺪِّﺼﻟﺍ ﻲِﺿَﺭ ُﻪﻠﻟﺍ ُﻪْﻨَﻋ
:َﻝﺎَﻗ َﻝﺎﻗ َﻝﻮُﺳَﺭ ِﻪﻠﻟﺍ ﻲﻠﺻ ﻪﻠﻟﺍ ﻪﻴﻠﻋ
ﻢﻠﺳﻭ : ﺍْﻭُﺮِﺜْﻛَﺃ َﺓَﻼَّﺼﻟﺍ َّﻲَﻠَﻋ َّﻥِﺈَﻓ َﻪﻠﻟﺍ
َﻞَّﻛَﻭ ﻲِﺑ ًﺎﻜَﻠَﻣ َﺪْﻨِﻋ ﻱِﺮْﺒَﻗ ﺍَﺫِﺈَﻓ ﻲَّﻠَﺻ َّﻲَﻠَﻋ
ٌﻞُﺟَﺭ ْﻦِﻣ ﻲِﺘَّﻣُﺃ َﻝﺎَﻗ ﻲِﻟ ﻚِﻟَﺫ :ُﻚَﻠَﻤْﻟﺍ ﺎَﻳ
َﺪَّﻤَﺤُﻣ َّﻥِﺇ َﻥَﻼُﻓ َﻦْﺑﺍ ٍﻥَﻼُﻓ ﻲَّﻠَﺻ َﻚْﻴَﻠَﻋ
َﺔَﻋﺎَّﺴﻟﺍ . ( ﻦﺴﺣ ، ﻩﺍﻭﺭ ﻲﻤﻠﻳﺪﻟﺍ ،
ﺔﻠﺴﻠﺳ ﺚﻳﺩﺎﺣﻷﺍ ﺔﺤﻴﺤﺼﻟﺍ ﻰﻧﺎﺒﻟﻸﻟ ،
ﺀﺰﺠﻟﺍ ﻝﻭﻷﺍ
নবীজী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আঁমার উপর বেশী বেশী দরূদ পড়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আঁমার রওজার কাছে একজন মালাক (ফেরেশতা) নির্ধারণ করে রেখেছেন। যখন আঁমার উম্মতের কোনো ব্যক্তি আঁমার উপর দরূদ পাঠ করে তখন সে মালাক আঁমাকে বলে,হে মুহাম্মদ (ﷺ)! অমুকের ছেলে অমুক এই মুহুর্তে আঁপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে। [দায়লামী, হাদিস:১২১৫ (মানঃ হাসান)]
❏ হাদিস ২৭:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেছেন,
"প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের যেকোন মুসলমান আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে আমি ও আমার রবের ফেরেশতারা তার (প্রেরিত) সালামের জবাব দিই।"
তথ্যসূত্রঃ
১. আবু নাঈম: হিলইয়াতুল আওলিয়া ওয়া তাবাতুল আসফিয়া, ৬:৩৪৯।
২. মাকরীযী : ইমতা'উল আসমা', ১১:৫৯।
৩. ইবনে কাইয়ুম: জালাউল আফহাম ফিস সালাতি ওয়াস সালামি আলা খায়রিল আনাম (ﷺ), ১৯, হাদীস নং ২০।
৪. সাখাবী: আল কাওলুল বদী' ফিস সালাতি আলাল হাবিবিশ শফি (ﷺ),১৫৬।
❏ হাদিস ২৮:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,
“হুযুর (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল- আপনার কাছে দূরে অবস্থানকারী ও আপনার ওফাতের পরে আগমনকারীদের দরুদের অবস্থা কি? তখন তিনি ফরমালেন, আমি মুহাব্বত সম্পন্ন লােকদের দরূদ নিজেই স্বয়ং শুনি এবং তাদেরকে চিনি। এবং মুহাব্বতহীনদের দরূদও আমার নিকট (ফিরেশতাদের মাধ্যমে) পেশ করা হয়।”
তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান, ৩/১৪০ পৃ. হা/১৪৮১,
২.ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়া
৩.ইমাম বায়হাকী দুটি সনদে - শুআবুল-ইমানে (২: ২১৮ # ১৫৮৩),
৪.ইমাম বায়হাকী: আল-উকায়লি থেকে আল-দু'য়াফা (৪: ১৩৭)
৫.তারিখ আল বাগদাদেঃ আল-খতিব আল-বাগদাদি (৩: ২৯২)
৬.ইমাম মুত্তাকী আল-হিন্দীঃ কাঞ্জুল উম্মাল: হাদীস ২১৬৫, ২১৯৭, ২১৯৮, ৪১৫১২
৭.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯৫ পৃ. হা/৯৩
৮.ইবনে হাজার আল-আসকালানি সনদটিকে "জায়েদ" (নির্ভরযোগ্য) হিসাবে অবিহিত করেছেন: ফাতহুল-বারী শরহে বুখারী (১৯৮৯ সম্পাদনা ৬: ৩৭৯ = ১৯৫৯ সংস্করণ ৬: ৪৮৮)
৯.ইমাম আসকালানির ছাত্র ইমাম সাখাভীঃআল-কওলুল বদিতে ', পৃষ্ঠা ২২২, আল্লামা সাখাবী (رحمة الله) وسنده جيِّد -এর সনদ মজবুত লিখেছেন। (আল কওলুল বদী-১১৬)
১০.মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) তাঁর কিতাব الدرة ِالمضٔية في ِالزيارة المصطفوية তে লিখেন।
১১.আল-লা'আলিতেঃ ইমাম-সুয়ুতি, [সনদটিকে "জায়েদ]" হিসাবে বিবেচনা করে (১৯৯ তম সংস্করণ। ১: ২৫৯ = ১: ২৮২-২৮৩)
১২.তাফসীরে ইবনে কাসীর পৃ ৪৬৬,
১৩.ইমাম আলুসিঃ আয়াত আল-বাইয়াইনাত, পৃষ্ঠা ৮০
১৪.জাওয়াইদ তরীখ বাগদাদে (৩:৬৯)
১৫.তানজিহ আল-শরীয়ায় ইবনে আরাক (১: ৩৩৫) ইবনে হাজারের রায়কে নিশ্চিত করেছেন এবং আল-লা'আলিতে আস-সুয়ূতীর 'অন্যান্য বর্ণনার মধ্যে আবু শায়খের সনদের সত্যতা দিয়েছেন।
১৬.রাফ আল-মিনারাতে শায়খ মাহমুদ মামদুহ (পৃষ্ঠা ৩৫১)
১৭.ফয়যুল কাদিরে- আল-মুনাভি।
১৮.ইবনে আবদুল আল-হাদী আল-সরিম আল-মুনকি (পৃষ্ঠা ২০৬)
১৯.ইবনে তাইমিয়াহ: মাজমু‘আত আল-ফাতাওয়া, ২৭ / ২৪১-২৪২
২০.ইবনে তাইমিয়াহও এটিকে জিলা'আল ইফহামে সহীহ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন।
২১.ইবনে কাইয়্যুমঃ আস সালাতু সালাম
২২.আহমদ আল-ঘুমারী আল-মুদাবী লি ‘ইলাল আল-মুনাভি, ৬/২৭৭ এ ইবনে হাজারের গ্রেডিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
২৩.ইমাম নাবহানী, শাওয়াহিদ আল-হক্ক (পৃষ্ঠা ২৮৩-২৮৫)।
২৪.আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৪৪ পৃ:,
২৫.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।
২৬. ইমাম আবু আব্দুল্লাহ জাজুলী : দালায়েলুল খায়রাত- পৃষ্ঠা নং- ৫৯,
২৭. ইমাম ইবনে মাহদী আল ফার্সী : মাতালিউল মুসাাত ফি শরহে দালায়েলুল খায়রাত ,১৫৬পৃ.,
২৮. শাইখ আব্দুল্লাহ সিরাজ আল-দ্বীন [নির্ভরযোগ্য সনদে] -সালাতুন নবী (পৃষ্ঠা ২১৪)
২৯. ইমাম সাভী : তাফসীরে সাভী : সূরা আহযাব ৫৬,
৩০. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী : জা'আল হক-১/২৬৫ পৃ. বাংলা সংস্করণ,
৩১. আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামিল-পৃষ্টা: ৯১,
৩২. প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানাের “স্বরূপ উন্মােচন” ১৬৪।