জিকির ও কুরআন তেলাওয়াতের পর দুরূদ
❏ হাদিস ৪৭:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে (ব্যক্তি) কুরআন পড়ল এবং আপন প্রতিপালকের প্রশংসা করলো, অতঃপর আমার উপর দুরূদে পাক পড়ল, তারপর নিজ প্রতিপালক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করল, তবে সে মঙ্গলকে সেটার জায়াগা থেকে তালাশ করে নিলো।”
(শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২০৮৪,
ইমাম সাখাবীঃ আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবিবিশ শফী (ﷺ))
দুরূদ পাঠ উম্মতের জন্য পবিত্রতা
❏ হাদিস ৪৮:
হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণীত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন
صلو على فان الصلواة على عفارة لكم وزكاة
অর্থাৎ, তোমরা আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। কেননা, আমার উপর দুরূদ পাঠ করলে তোমাদের জন্য গুণাহের কাফফারা এবং (অভ্যন্তরীন) পবিত্রতা অর্জন হবে।
[ইমাম সাখাবীঃ আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবিবিশ শফী (ﷺ)-১০৩, ইবনে আসাকির, ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দীঃ কানজুল উম্মাল]
❏ হাদিস ৪৯:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেন, আমার উপর দুরূদ পড়াে, নিশ্চয় আমার উপর তােমাদের দুরূদ তােমাদের শারীরিক ও আত্মিক পবিত্রতার একটি উপকরণ।
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইবনু আবি শাইবা, মুসান্নাফ, ২:২৫৩, নং-৮৭০।
(২) আবু ইয়ালা, মুসনাদ, ১১:২৯৮, নং-৬৪১৪।
(৩) হারিস, মুসনাদ (যাওয়ায়িদুল হাইছামী) , ২:৯৬২, নং-১০৬২।
❏ হাদিস ৫০:
হুজুর (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের জন্য পবিত্রতা ও গোসল রয়েছে, আর ঈমানদারদের অন্তর গুলোর মরিচার পবিত্রতা হচ্ছে আমার উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করা। (ইমাম সাখাবীঃ আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবিবিশ শফী (ﷺ), ফায়জানে সুন্নাত)
অভাব ও বিপদাপদ দূরীভূত হয়
❏ হাদিস ৫১: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
وقال صلى عليه وسلم من عسرت عليه حاجة فليكثر با الصلوة على قانها تكشف الهموم والغموم والكروب وتكثر الارزاق وتقضى الحوأئج –
অথাৎ, যে ব্যাক্তি বিপদগ্রস্থ হয়ে কঠিন সমস্যায় উপনীত হবে। সে যেন আমার প্রতি অধিক পরিমাণ দুরূদ শরীফ পাঠ করতে থাকে। কেননা দুরূদ শরীফ সকল প্রকার দুঃখ বেদনার বিষন্নতা এবং কঠিন বিপদাপদ দূরীভূত করে এবং রিযিক বৃদ্ধি করে। এমনকি সকল প্রকার অভাব অনটন মিটিয়ে দেয়।
[ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন সোলাইমান যাযুলী (رحمة الله) দালায়েলুল খাইরাত]
❏ হাদিস ৫২:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যহ ৫০০ বার আমার উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করবে সে কখনও অভাবী হবে না।
[তোহফাতুল আখিয়ার, ফায়জানে সুন্নাত]