৭ম অধ্যায়: হায়াতুল আম্বিয়া। উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ ও আমলসমূহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট পৌঁছায়।
❏ হাদিস ১-২৮:
❏ ইমামগণের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ পেশ।
❏ হাদিসের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ পেশ।
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট আমাদের আমলসমূহ পৌঁছায়।
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুরূদ পাঠকারীকে চিনেন এবং জবাব প্রদান করেন।
৭ম অধ্যায়: হায়াতুল আম্বিয়া। উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ ও আমলসমূহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট পৌঁছায়।
ইমামগণের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ পেশ করা হয়ঃ
❏ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (রহঃ) (১২৭২-১৩৪০হিজরী) কত সুন্দর বলেছেন,
"কাছে দূরের শব্দ শ্রবণকারী কান মুবারকের কারামতের প্রতি লাখো সালাম।"
[আহমদ রেযা খান, হাদায়েকে বখশিশ, ২:২০৬; ১৩৭]
❏ আল্লামা তকিউদ্দীন সুবকী (রহঃ) এই রেওয়াতগুলাে সম্পর্কে বলেছেন, (দুরূদ পেশ সংক্রান্ত) হাদিসটি দ্বারা বুঝা যায়, হুজুর-পাক (ﷺ) এর রূহ মােবারক তারই দেহ মােবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আর নিঃসন্দেহে তিনি উম্মতিদের সালামও শােনেন এবং জবাবও দেন।
(সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৩)
❏ হযরত ইবরাহীম বিন শায়বান (রহঃ) বলছেন, হজ্ব শেষ করে আমি মদীনা-শরীফ চলে এলাম। রওজায়ে আতহারের নিকটে গিয়ে সালাম আরজ করলাম। সাথে সাথে হুজরা শরীফের ভেতর থেকে শুনতে পেলাম- (তােমার উপরও শাস্তি হােক)।
তথ্যসূত্রঃ
১. সাখাবী, আল কওসুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৬০।
২. মুকরিযী, ইমতাউল আসমা । ১৪: ৬১৬।
৩. সুবকী শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম (পৃ: ৩৮) কিতাবে উক্তিটি ইবরাহীম বিন বিশারের বলে উল্লেখ করেছেন।
❏ সােলায়মান বিন তামীম বলছেন, নবী-পাক (ﷺ) কে আমি স্বপ্নে দেখি। আমি তাঁকে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্(ﷺ)! এরা সবাই তাে আপনার দরবারে এসে আপনাকে সালাম জানায়। আপনি কি তাদের সালামের কথা বুঝতে পারেন? হুজুর-পাক (ﷺ) বললেন, হাঁ, (বুঝতে পারি) এবং আমি (তাদের সালামের) জাবাবও দিয়ে থাকি।
তথ্যসূত্রঃ
১.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ৩: ৪৯১, হাদিস : ৪১৬৫।
২.সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারতি আইরিল আনাম ৩৮।
৩.মুকরীযী, ইমতাউল আসমা, ১০: ৩০৮।
৪.সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী, ১৬০।
হাদিসের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরূদ পেশ করা হয়ঃ
❏ হাদিস ১:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) এরশাদ করেছেন,
"আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের পক্ষ থেকে প্রেরিত দরূদ আমার পর্যন্ত পৌঁছে থাকে, তােমরা যেখানে থাক না কেন।
তথ্যসূত্রঃ
১. আবু দাউদ: আস সুনান, কিতাবু মানাসিক, ২:১৭৬, হাদীস নং ২০৪২।
২. আমহদ বিন হাম্বল: আল মুসনাদ, ২:৩৬৭।
৩. ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:৮২,৮৩, হাদীস নং ৭৫৪২।
৪. তাবরানী: আল মু'জামুল আওসাত, ৮:৪৯১, হাদীস নং ৪১৬২। অথবা ৮: ৮২, ৮৩, হাদিস নম্বর: ৮০৩০।
৫. বায়হাকী: শুআবুল ঈমান, ৩:৪৯১, হাদীস নং ৪১৬২।
৬. মাকরিযী: এমতা'উল আসমা, ১১:৫৯,৭১।
৭. ইবনে কাইয়্যুম: জালাউল আযহাম ফিস সালাতি ওয়া সালামি ‘আলা খায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬১।
৮. ইবনে কাসীর তাফসিরুল কুরআনিল আযিম, ৩:৫১৪।
৯. আসকালানী: ফাতহুল বারী, ৬:৪৮৮।
❏ হাদিস ২:
হযরত আলী বিন হুসাইন (رضي الله عنه) স্বীয় সম্মানিত দাদা হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন,
وصلوا علي وسلموا كيثام، قتلغي صلاتكم ولامكم
-“আর তােমরা যেখানে থাকনা কেন আমার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাক, (কারণ) তােমাদের দরূদ ও সালাম আমার কাছে পৌছে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইবনে ইসহাক আযদী: ফদলুস সালাতি আলান নবী (ﷺ), ৩৫, হাদীস নং ২০।
(২) ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:১৫০, হাদীস নং ২:১৫০, হাদীস নং ৭৫৪২।।
(৩) ইবনে কাসীর: তাফসিরুল কুরআনিল আযিম', ৩:৫১৫।
(৪) আসকালানী: নিসানুল মিযান, ২:১০৬।
(৫) হিন্দী : কানযুল উম্মাল ফী সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফয়াল (১:৪৯৮, হাদীস নং ২১৯৯।),
উল্লেখ করেন, হাদিসটি হাকীম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
(৬) ইমাম হাকিমঃ মুস্তাদরাক আল হাকিম।
(৭) আহমদ বিন হাম্বল: আল মুসনাদ, ২:৩৬৭, হাদীস নং ৮৭৯০।
❏ হাদিস ৩:
হযরত হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযুর (ﷺ) বলেন, "আমার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ-সালাম আমার পর্যন্ত পৌঁছে থাকে, তােমরা যেখানে হওনা কেন।"
তথ্যসূত্রঃ
[অত্র হাদীসটি ইমাম আহমদ ও তাবরানী (رحمة الله) ইসনাদে হাসান এর সাথে বর্ণনা করেন। বর্ণিত হাদীসের শব্দ ইমাম তাবরানী (رحمة الله)-এর]
(১) আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, ২:৩৬৭, নং: ৮৭৯০।
(২) তাবরানী, মু'জামুল কবীর, ৩: ৮২, নং: ২৭২৯।
(৩) তাবরানী, মু'জামুল আওসাত, ১: ১৭, নং: ৩৬৫।
(৪) দাইলামী, মুসনাদুল ফিরদাউস, ৫: ১১৫, নং: ৮৩।
(৫) নাসাঈ, মিশকাত,
(৬) সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০।
(৭) আবু ইয়ালা: আল মুসনাদ, ১:৩৬১, হাদীস নং ৪৬৯। ১২:১৩১, হাদীস নং ৬৭৬১।
(৮) মুকাদ্দসী: আল আহাদিসুল মুখতারা, ২:৪৯, হাদীস নং ৪২৮।
(৯) হায়সমী: মাজমাউয জাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, ৪:৩।
(১০) আসকালানী: লিসানুল মিযান, ২:১০৬। ১৩২,
(১১) ইবনে কায়ুম: জলাউল আযহাম ফিস সালাতি ওয়াস সালাম আলা হায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬০।
❏ হাদিস ৪:
হযরত হাসান বিন হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) নিজ পিতা থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর (ﷺ) এরশাদ করেছেন, "তােমরা যেখানে হওনা কেন আমার প্রতি দরূদ পৌঁছাতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ আমার বরাবর পৌঁছে থাকে।"
তথ্যসূত্রঃ
১. তাবরানী: আল মু'জামুল কবীর, ৩:৮২, হাদীস নং ৬৭৬৯।
২. তাবরানী: আল মু'জামুল আওসত, (১:২৩৮, হাদীস নং ৩৬৭) এ রাবীর নাম হুসাইন বিন হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) লেখা হয়েছে।
৩.আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ, (২:৩৬৭) এ বচনে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন।
৪. আবদুর রাযযাক : আল মুসান্নাফ,(৩:৫৭৭, হাদীস নং ৬৭২৬) এ কিছু শব্দের পার্থক্য সহকারে বর্ণনা করেছেন।
৫. দাওলাভী : আল যুররিয়াতুত তাহিরা, ৭৩, হাদীস নং ১৯৯।
৬. আত তারগীব ওয়াত তারহীব (২: ৩৬১) গ্রন্থে মুনযিরী বলেছেন, তাবারানী হাদিসটিকে আল মুজামুল কবীরে হাসান ইসনাদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
৭. হায়সমী: আল মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, ১০:১৬২।
৮. ইবনু কাইয়িম: জালাউল আযহাম ফিস সালাত ওয়াস সালাম আলা হায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬১।
৯. আসকালানী, লিসানুল মীযান, ২: ১০৬।
১০. মুনাদী, ফয়যুল কদীর, ২: ৪০০।
❏ হাদিস ৫:
হযরত হাসান বিন হুসায়ন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযূর (ﷺ) এরশাদ করেছেন, "আর আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ (সরাসরি) আমার নিকট পৌঁছাতে থাকে, তােমরা যেখানে থাক না
কেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ইবনে ইসহাক আযদী: ফাদলুস সালতি আলান নবী (ﷺ), ৪৫, হাদীস নং ৩০।
২. ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:১৫০, হাদীস নং ৭৫৪৩।
৩. আবদুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ, (৩:১৭, হাদীস নং ৪৮৩৯)।
❏ হাদিস ৬:
হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
رقم الحديث : ১৪ حديث مرفوع وفي هذا المعنى الحَدِيث الذي أخبَرَنَا أَبُو عَلى الحسين بن مُحتَ الرُوأَبَارِي أنبأبو بكر بن داسة ثنا أَبُو داد ثنا أحمَتُبُن صالح قال : قَرَأتُ عَلَى عبْد الله بن نافع ، قال : أَخَبَرَنِينِ أبي ذئب سعيد المقبري و أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " لا تجعَلُوا بُيُوتَكُمْ فَتُورًا ولا تجعلوا قبري عيدًا ، وصلوا علي فإن صلاتكم تبَلغني حيْتُ كُنْتُمْ " ( ১৪ ) "
"তোমরা তোমাদের ঘরকে কবরে পরিণত করো না এবং আমার কবর শরীফকে ঈদে রূপান্তর করো না। বরং তোমরা আমার প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ করো, কেননা তোমরা যেখানে হওনা কেন তোমাদের সালাত-সালাম আমার প্রতি প্রেরণ করা হয়।"
তথ্যসূত্রঃ
১. আবু দাউদ, হাদিস নং-২০৪২, ফিল মানাসিক, বাবু যিয়ারাতিল ক্বুবুর,
২. মসনদে আহমদ,২য় খন্ড, পৃ-৩৬৭
৩. ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়াঃ ১৪ নং হাদিস।
৪. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ:) বলেন, এর সনদ সহীহ।
[ফাতহুল বারী ৬/৬০৬, মজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৬/১৪৭]
১৪ - ( أخرجه أحمد في " مسنده " ( ۳۶۷ / ۲ ) ، وأبو داود في " السنن " ( ۲۰۶۲ ) - ومن طريقه البيهقي في " شعب الايمان " ( ৪১৬ ) ، وفي " حياة الأنبياء بعد وفاتهم " ( ص ৯৫ ) - ، وابن فيل البالسي في " جزئه " ( ۱۱۳ ) ، والطبراني في " المعجم الأوسط " ( ۸۰۳۰ . ( أخرجه أبو نعيم في " حلية الأولياء "
( ۲۸۳ / ৬ : )
. “তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিওনা” মানে কবরে যেভাবে নামাজ পড়া হয় না সেভাবে তোমাদের ঘরকেও কবরের মত নামাযবিহীন করোনা, বরং তোমরা মসজিদের পাশাপাশি তোমাদের ঘরেও কিছু নফল নামায পড়।
আর “আমার কবরকে ঈদে পরিণত কর না” মানে যেভাবে বৎসরে মাত্র দু’বার সমবেত হয়, তোমরা আমার কবর শরীফকে তেমন করোনা। বরং বৎসরের সব সময় আমার রওযা শরীফ যেয়ারতে আস। আর যাদের পক্ষে সম্ভব না হয়, আর যখন তোমরা অনুপস্থিত থাক, তাহলে তোমরা বিশ্বের যে প্রান্তেই — থাকনা কেন তোমরা আমার প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাকো। কারণ তোমাদের সালাত-সালাম পৌঁছানো হয়।
[ইমাম বায়হাকীকৃত হায়াতুল আম্বিয়াঃ ১৪ নং হাদিসের ব্যাখ্যা]
❏ হাদিস ৭:
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সায়িব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত নবী আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার কিছু ফেরেশতা রয়েছেন যারা যমিনে পরিভ্রমণ করেন এবং আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেন।”
তথ্যসূত্রঃ
(১) সুনানে নাসাঈ, কিতাবুস সাহু, বাবুস সালামে আলান্নাবী , ৩:৪৩, নং: ১২৮২।
(২) নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ১: ৩৮০, নং: ১২০৫।
(৩) সুনানে নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, ১:৬৭, নং: ৬৬।
(৪) সুনানে দারিমী, ২: ৪০৯, নং: ২৭৭৪।
(৫) সহিহ ইবনে হিব্বান, ৩: ১৯৫, নং: ৯১৪।
(৬) আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফ, ২: ২১৫, নং: ২০১৮।
(৭) ইবনু আবি শাইবাহ, মুসান্নাফ, ২:২৫৩, নং: ৭৮০৫, ৩১৭২১।
(৮) বাযযার, মুসনাদ, ৫:৩০৭, নং-৪২১০,৪৩২০।
(৯) আবু ইয়ালা, মুসনাদ, ৯:১৩৭, নং-৫২১৩।
(১০) তাবরানী, মুজামুল কবীর, ১০:২১৯, নং-৫২১৩।
(১১) হাকীম, মুস্তাদরাক, ২:৪৫৭, নং-৩৫৭৬।
(১২) বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, ২:২১৭, নং-১৫৮২।
❏ হাদিস ৮:
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী-পাক (ﷺ) এরশাদ করেন,
"আল্লাহ্ তা'আলার এমন অনেক ফেরেশতা বিদ্যমান রয়েছেন, যারা পৃথিবীময় বিচরণ করেন। তারা আমার উম্মতদের সালামগুলাে আমার কাছে নিয়ে আসেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. নাসাঈ, আস সুনান, ৩: ৩১, কিতাবুস সাহু, হাদিস নম্বর: ১২৮২।
২. নাসায়ী: আমালুল ইয়াওমি ওয়ার লায়লা,১৬৭৬৬।
৩. নাসায়ীঃ আস-সুনানুল কোবরা, ২/৭০ পূ, হা/১২০৬,
৪. দারিমী: আস সুনান, ২:৪০৯, হাদীস নং ২৭৭৪।
৫. ইবনে হিব্বান: আস সহীহ, ৩:১৯৫, হাদীস নং ৯১৪।
৬. বাযযার: আল বাহরুয যাহার, (আল মুসনাদ), ৫:৩০৭, ৩০৭, হাদীস নং ১৯২৪, ১৯২৫
৭. আবু ইয়ালা: আল মুসনাদ, ৯:১৩৭, হাদীস নং ৫২১৩।
৮. ইমাম আবদুর রাযযাক: আল মুসনাদ, ২:২১৫, হাদীস নং ৩১১৬।
৯. মুসনাদে আহমদ, ৬/১৮৩ পৃ. হা/৩৬৬৬ এবং ৭/২৬০ পৃ. হা/৪২১০ এবং হা/৯৮১১, হাদিসটি সহীহ।
১০. মুফতি আমজাদ আলী আযমী (রহ.), বাহারে শরিয়ত (তৃতীয় খণ্ড),পৃ ১৭৮।
১১. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ। ২: ২৫৩। হাদিস নম্বর: ৮৭০৫।
১২. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ।৬: ৩১৬। হাদিস নম্বর: ৩১৭২১।
১৩. শাশী, আল মুসনাদ। ২: ২৫২। হাদিস নম্বর: ৮২৫।
১৪. হাকেম, আল মুসতাদরিক। ২: ৪২১। হাদিস নম্বর: ৩৫৭৬।
১৪. তাবারানী, আল মুজামুল কবীর।১০: ২১৯, ২২০। হাদিস নম্বর: ১০৫২৮-১০৫৩০।
১৫. বায়হাকী, শুআবুল ঈমান। ২: ২১৫। হাদিস নম্বর: ১৫৮২।
১৬. বাগাবী, শরহুস সুন্নাহ্, ৩: ১৯৭, হাদিস নম্বর: ৯৮৭।
১৭. আবু বকর বাগদাদী, আল ফছলু লিল ওয়াছলিল মাদরাজ। ২: ৭৬৮, ৭৬৯।
১৮. খতীবে তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ, ১: ১৭৯ । কিতাবুস সালাত, হাদিস নম্বর: ৯২৪।
১৯. হাইছমী, মাওয়ারিদুয যামআন ৫৯৪, হাদিস নম্বর: ২৩৯২।
২০. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা ১০: ৩০৬, ৩০৭।
২১. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা ১১: ৬০।
২২. ইবনু কাইয়্যিম, জালাউল আযহাম ২৩ হাদিস নম্বর: ৩৬।
২৩. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন ৩: ৫১৫।
২৪. ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বিশর ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার ১০৮।
২৫. নাবহানী, সালাওয়াতুস সানা আলা সাইয়িদিল আম্বিয়া ২৩।
হাদিসের সনদ ও মান
▶ইবনে-হাব্বান কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটির সনদসমূহ ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্ এবং রেজালগণ (রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য।
▶হাদিসটিকে হাকেম সহীহ্ বলে ঘােষণা দিয়েছেন।
▶ইমাম যাহাবীও একই কথা ব্যক্ত করেছেন।
▶ইবনে-কাইয়িম হাদিসটির সনদকে সহীহ্ বলেছেন।
❏ হাদিস ৯:
হযরত এজীদ রাক্কাশী (رضي الله عنه) বলছেন,
"প্রত্যেক জুমাবারে একটি ফেরেশতাকে নিয়ােজিত করা হয়। যেই ব্যক্তি নবী-পাকের উপর সালাত ও সালাম পেশ করে, তিনি তা তাঁর দরবারে নিয়ে যান। আর বলেন, আপনার অমুক উম্মত আপনার উপর সালাত ও সালাম পাঠ করেছেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ইবনু ইসহাক এজদী, ফদ্বলুস সালাতি আলান নবী (ﷺ), ৪২। হাদিস নম্বর: ২৭।
২. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ। ২: ২৫৩। হাদিস নম্বর: ৮৬৯৯।
৩. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ । ৬: ৩২৬। হাদিস নম্বর: ৩১৭৯২।
৪. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৭০, ৭১।
৫. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৬৪। হাদিস নম্বর: ১১০।
❏ হাদিস ১০:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার কবরে এক ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ সমূহ শুনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাক পড়ে, তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নাম পেশ করে থাকে। সে বলে: অমুকের ছেলে অমুক আপনার উপর এই মুহুর্তে দরূদ শরীফ পাঠ করেছে।”
তথ্যসূত্রঃ
১. মুসনাদে বাজ্জার, ৪র্থ খন্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪২৫,
২. মুত্তাকী হিন্দিঃ কানজুল উম্মাল,
৩. হায়সামীঃ মাজমায়ে যাওয়ায়েদ।
❏ হাদিস ১১:
হযরত আম্মার ইবনু ইয়াসির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত যে,
عن عمار بن یاسر ، يقول : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن الله وكل بقبري ملكا أعطاه أسماع الخلائق ، فلا يصلي على أحد إلى يوم القيامة إلا ابلغني باسمه واسم ابيه، هذا فلان ابن فلان قد صلى عليك -
رواه البزار والبخاري في الكبير ، وقال الهيثمي : فيه ان الجميري لا أعرفه وبقية رجاله رجال الصحيح
وروى أبو الشيخ ابن حبان ولفظه : قال رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم : إن الله تبارك وتعالي ملگا أعطاه أسماع الخلائق كلهم ، فهو قائم على قبري ، إذا مت الى يوم القيامة ، فليس أحد من صلى على صلاة إلا سماه باسمه واسم آبیه ، فقال : يا محمد ، صلي عليك فلان، فيصلي الرب تبارك وتعالى علي ذالك الرجل بكل واحد عشرا.
হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার কবরের উপর একজন ফেরেশতা নিয়ােগ করেছেন, যাকে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত সৃষ্টিকুলের শব্দ শ্রবণের (এবং বুঝার) শক্তি দান করেছেন, তখন কেয়ামত দিবস পর্যন্ত যে-কেউ আমার উপর দরূদ পাঠ করবে সে ফেরেশতা ঐ দরূদ পাঠকের নাম এবং তার পিতার নাম আমার নিকট পৌঁছাবেন এবং আবেদন করবেন, এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! অমুকের পুত্র অমুক আপনার উপর দরূদ প্রেরণ করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ
▶ এ হাদিসকে ইমাম বাজ্জার আল মুসনাদে।
▶ ইমাম বুখারী আত্তারিখুল কবীরে এবং
▶ ইমাম মুনজেরী ও বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম হায়সামী বলেন, ইহার সনদে ইবনু হুমায়রী বর্ণনাকারীকে আমি চিনি না। তিনি ছাড়া সকল বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদিসের বর্ণনাকারী।
❏ হাদিস ১২:
আবূ শায়খ ইবনু হাইয়্যান এর বর্ণনার শব্দসমূহ এরূপ যে, হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার এক ফেরেশতা আছে, যাকে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত সৃষ্টিকুলের শব্দ শােনার (এবং বুঝার) শক্তি দান করেছেন, তখন সে ফেরেশতা আমার ওফাতের পর কেয়ামত পর্যন্ত আমার কবরের উপর দণ্ডয়মান থাকবে, অতঃপর আমার উম্মতের মধ্য থেকে যে-কেউ আমার উপর দরূদ প্রেরণ করবে সে ফেরেশতা তার নাম এবং তার পিতার নাম নেবেন এবং বলবেন, হে মুহাম্মদ! (আমার মনিব) অমুক ব্যাক্তি আপনার খেদমতে দরূদ প্রেরণ করেছেন। তখন আল্লাহ তা'আলা সে ব্যাক্তির উপর প্রতি দরূদের বিনিময়ে দশটি রহমত অবতীর্ণ করবেন।
তথ্যসূত্রঃ
১. বাযযার : আল মুসনাদ, ৪/২৫৫, হাদিস : ১৪২৫, ১৪২৬।
২. বুখারী : তারিখুল কবীর, ৬/৪১৬, হাদিস : ২৮৩১।
৩. ইবনে হাইয়ান: আল আযমা, ২/৭৬২, হাদিস : ১।
৪. হায়ছুমী : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ১০/১৬২।
৫.ড: তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।
৬.কানযুল উম্মাল খঃ১ পৃঃ৪৪৮-৪৫০।
❏ হাদিস ১৩:
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলছেন, যখন তোমরা আমার প্রতি দরুদ পড় তখন তা ভালো অবস্থায় পড়ো। কারণ তোমরা হয়ত এটা জানোনা যে তোমাদের প্রতিটি পড়া দরুদ আমার উপর পেশ করা হয়। (ইমাম দাইলামীর মুসনাদুল ফিরদাউস)
❏ হাদিস ১৪:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে হাওযে কাওসারের উপর আমি এমন এমন দল পাবো যাদের কে আমি বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে চিনব। (কাশফুল গুম্মাহ)
❏ হাদিস ১৫:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় তোমাদের নাম পরিচয় সহ আমার কাছে পেশ করা হয়, এজন্য আমার উপর সুন্দর (অর্থাৎ- সর্বোত্তম শব্দাবলীর মাধ্যমে) দরূদ পাক পাঠ কর। (মুসান্নিফ আবদুল রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১১৬)
❏ হাদিস ১৬:
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত - রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যখন বৃহম্পতিবার আসে আল্লাহ্ তাআলা ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করেন। তাদের নিকট রূপার কাগজ ও সোনার কলম থাকে, তারা লিপিবদ্ধ করে- কে বৃহস্পতিবার ও জুমার রাতে আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করে।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ১৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৮৮, কানজুল উম্মাল)
❏ হাদিস ১৭:
হযরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
رقم الحديث : ۱۳ حديث مرفوع ( وَأَخَبَرَنَابو الحسن علي بن مُحَمَدَ بْنِ عَلِيّ السقاء الإسفَرَانِيني ، قال : حَدّتَنِي وَالِدِي أَبُو عَلِيّ ثنا أَبُو رافع أسامة بَن علي بن سعيد الرّازي ، بمصر , ثنفَحمَدَ بن إسماعيل بن سَالِم الصعَلَيْهِ حَدَتُناحكمة بنت عثمَان بْنِ دِينَار أخي مالك بْنِ دِينَار ، قالت : حَدَثني أبعَثمان بن دِينار
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, ক্বিয়ামতের দিনের সকল স্থানে তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক নিকটতম স্থানে থাকবে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আমার প্রতি সর্বাধিক সালাত-সালাম প্রেরণকারী ছিল। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি প্রত্যেক জুমার দিনে ও জুমার রাতে ১০০ বার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ওই ব্যক্তির একশ’টি চাহিদা পূরণ করবেন- ৭০টি আখিরাতের প্রয়োজন ও চাহিদা এবং ৩০টি দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা ওই সালাত- সালাম সংরক্ষণ ও পৌঁছানোর জন্য এক ফেরেশতা নিয়োজিত করবেন, যিনি তা আমার কবর শরীফে ওইভাবে প্রবেশ করাবে, যেভাবে তোমাদের কারও নিকট হাদিয়া উপঢোকনসমূহ প্রবেশ করানো হয়। আর ওই ফেরেশতা আমাকে সংবাদ দেবেন যে ব্যক্তি আমার প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ করেছে তার নাম, তার পিতা, বংশ, গোত্র, অঞ্চলসহ সমুদয় বিষয়ে। অত:পর তা আমি আমার নিকট রক্ষিত শ্বেত বালামে লিপিবদ্ধ করে রাখি।
তথ্যসূত্রঃ
১. ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়াঃ হাদীস নং ১৩
২. ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ১১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩০৩৫,
৩. তারিখে দামেশক লি ইবনে আসাকির, ৫৪তম খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর বৈরুত।
৪. ফিরােযাবাদী: আস সালাতু ওয়াল বাশর ফি সালাতি আলা খায়রিল বাশার (ﷺ), ৭৭।
৫. সুয়ুতী: আদ্ দুররুল মানসুর ফি তাফসীরি বি মা'সূর: ৫:২১৯।
৬. যুরকানী: শরহু মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়া, ৭:৩৭২।
৭. সাখাবী : আল কাওলুল বদী' ফিস সালাতি আলা হাবিবিশ শফী (ﷺ), ১৫২।
৮.শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৫।
❏ হাদিস ১৮:
হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেন,
“যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিনে ও রাতে ১০০বার দুরূদ পাঠ করবে এর বিনিময়ে তার ১০০’টি চাহিদা পূরণ করা হবে- ৭০টি তার আখিরাতের চাহিদা ও প্রয়োজন এবং ৩০টি তার দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য একজন ফেরেশতা নিয়োগ করবেন, যে আমার নিকট দুরূদসমূহ ওইভাবে পেশ করবে, যেভাবে দুনিয়াতে তোমাদের নিকট উপহার-উপঢৌকন পেশ করা হয়। নিশ্চয় আমার জ্ঞান আমার ইন্তিকালের পরও ওইরূপ সচল বিদ্যমান ও অক্ষুন্ন থাকবে যেভাবে আমার যাহেরী হায়াতে আছে।"
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله) হায়াতুল আন্বিয়া’,
(২) আল-বায়হাকী (رحمة الله) শুআবুল ঈমান, গ. ১, পৃ. ৪৯৯, হাদীস: ২৭৬;
(৩) ইমাম সুয়ূতীঃ নবীগণ (عليه السلام) স্বশরীরে জিবীত।
(৪) ইমাম সুয়ূতী, জালাল উদ্দিন সুয়ূতী (رحمة الله) (৯১১হি.), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড:২য় পৃ:৪৯০।
(৫) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ১৬২;
(৬) আন নুমায়রী, আল-ই'লামু বি-ফযলিস সালাতি আলান্নাবিয়ি (ﷺ), পৃ. ১৫৯, হাদীস: ১৬০;
(৭) ইমাম ইস্পাহানী (رحمة الله) ‘আত্ তারগীব’ কিতাবে।
(৮) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৫।