গোলাম আযাদ, হজ্জ্ব ও জিহাদের সমপরিমাণ সাওয়াব


❏ হাদিস ৬৮: 


হযরত আলী মুরতজা (رضي الله عنه) হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, 

"নবীজী (ﷺ)-এর ওপর দুরূদ শরীফ পাঠের ফলে গুনাহ এমনিভাবে মুছে যায়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। গােলাম আযাদ করা থেকে নবীজী (ﷺ)-এর ওপর দুরূদ শরীফ প্রেরণ করা উত্তম। আর আল্লাহর পথে তরবারি উত্তোলন করা থেকে তাঁর ভালােবাসা উত্তম।" 


তথ্যসূত্রঃ

(১) আবুল কাসিম আল-আস্পাহানী (رحمة الله) এ রিওয়ায়তটি বর্ণনা করেছেন। 

(২) হাফিয আবু নুআইম (رحمة الله) তার হিলয়াতুল আউলিয়া নামক কিতাবে এ রিওয়াতটি বর্ণনা করেছেন।

(৩) আস-সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পু, ১২৬ 

৩৫৭ 

(৪) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৫৭, গাজী প্রকাশনী।


❏ হাদিস ৬৯: 


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, 

যে আমার উপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করে সে ১০ জন গোলাম আজাদ ও ২০টি ইসলামী যুদ্ধে অংশগ্রহণের মতো সওয়াব দেয়া হয়।

[ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ হৃদয়ের টানে মদিনার পানে, ৩৪৯, জযবুল কুলুব ও ফায়জানে সুন্নাত]


❏ হাদিস ৭০: 


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “ফরয হজ্ব আদায় করো, নিশ্চয় এটির সাওয়াব বিশটি যুদ্ধে (গাযওয়া) অংশগ্রহণ করার চেয়েও বেশি, আর আমার উপর এক বার দুরূদ শরীফ পাঠ করা, এটার সমপরিমাণ সাওয়াব।” [ফিরদৌসুল আখবার, বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৪৮৪]



❏ হাদিস ৭১: ৪০০ জিহাদের সওয়াব আর প্রত্যেক জিহাদ ৪০০ হজ্জের বরাবর


হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, একদিন নবীজী (ﷺ) ইরশাদ করলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম নির্দেশিত হজ্জ করার পর একটি ইসলামী জিহাদ করে, তবে তা ৪০০ হজ্জের বরাবর হবে। তার এ বাণী শ্রবণের পর যাদের হজ্জ করা এবং জিহাদ করার সামর্থ ছিল না তাদের অন্তর ভেঙে পরে, আল্লাহ তা'আলা তাদের সম্পর্কে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট অহী প্রেরণ করেন, যে ব্যক্তি আপনার ওপর দুরূদ পাঠ করবে, তিনি ৪০০ জিহাদের সওয়াব পাবেন। আর প্রত্যেক জিহাদ ৪০০ হজ্জের বরাবর হবে।' 


তথ্যসূত্রঃ

(১) আবু হাফস ইবনে আবদুল মজীদ আল মাইয়ানিশী (رحمة الله), আল-মজালিসুল মক্কীয়া নামক কিতাবে রিওয়ায়তটি বর্ণনা করেছেন। 

(২) আস-সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃষ্ঠা ১৩২।

(৩) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৫৮, গাজী প্রকাশনী।

(৪) জযবুল কুলুব উর্দূ- ২৬৭ পৃ:।

Top