জুময়ার দিন পাগড়ী পড়ার ফজিলত
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ، ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْعُتْبِيُّ، ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ ثنا أَيُّوبُ بْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلِّونَ عَلَى أَصْحَابِ الْعَمَائِمِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
-“হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ ও ফেরেস্তারা জুময়ার দিন পাগড়ীধারীদের উপর রহমত বর্ষন করেন।” 91৯১, ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ৩৪৮৭; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৫ম খন্ড, ১৭৯ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৩৪৮৯; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২১১৬৬;
এই হাদিসের রাবী أَيُّوبُ بْنُ مُدْرِكِ بْنِ الْعَلاءِ ‘আইয়ূব ইবনে মুদরিক ইবনে আলা’ সম্পর্কে ইমাম ইবনে মাঈন বলেছেন: সে কিছু নয়। ইমাম আবু হাতিম ও ইমাম নাসাঈ তাকে মাতরুক বলেছেন। ৯২৯২, ইমাম যাহাবী: মিযানুল এতেদাল, রাবী নং ১১০১;
ইমাম আবু যুরাআ তাকে ضعيف দ্বায়িফ বলেছেন। ৯৩৯৩, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২৪;
ইমাম দারে কুতনী ও এক জামাত তাকে مَتْرُوك মাতরুক বলেছেন। ৯৪৯৪, ইমাম যাহাবী: আল মুগনি ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ৮৩১;
ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান, ছালেহ ইবনে মুহাম্মদ ও ইবনে আদী ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে ضعيف দ্বায়িফ বলেছেন। ৯৫৯৫, ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, রাবী নং ১৫০৫;
ইমাম ইবনে মাঈন ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে ৩টি মত পাওয়া যায়, ১. সে ছিক্বাহ নয়, ২. সে কিছু নয় ও ৩. সে মিথ্যাবাদী। এছাড়া অন্যান্য ইমামগণ কেউ তাকে মিথ্যাদী বলেননি বরং দ্বায়িফ বা মাতরুক বলেছেন। এমনকি ইমাম ইবনে মাঈন থেকেও মাতরুক হওয়ার কথাই প্রাধান্য পায়। অতএব, সামগ্রীক বিচারে এই হাদিসের সর্বনিম্ন স্তর দ্বায়িফ বলে বিবেচিত হবে। তকে কোন অবস্থায় জাল হবেনা। হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه) এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে বলেন: وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ.
-“ইহার সনদ দ্বায়িফ ।” ৯৬৯৬, ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবীর, ৬৬২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;