মেসওয়াক করে নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব বেশী
نا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، نا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعِيدٍ، نا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: فَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَضْلُ الصَّلَاةِ الَّتِي يُسْتَاكُ لَهَا عَلَى الصَّلَاةِ الَّتِي لَا يُسْتَاكُ لَهَا سَبْعِينَ ضِعْفًا قَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا اسْتَثْنَيْتُ صِحَّةَ هَذَا الْخَبَرِ لِأَنِّي خَائِفٌ أَنْ يَكُونَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ وَإِنَّمَا دَلَّسَهُ عَنْهُ
-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকহীন নামাজ ও মেসওয়াকসহ নামাজের মর্তবার ব্যবধান হচ্ছে ৭০ গুন সওয়াব।” 69৬৯, ছহীহ্ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং ১৩৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, ১ম খন্ড, ২১৬ পৃ: হাদিস নং ৫১৫; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২৫১৯; ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১৫৯; ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে ছাগীর, হাদিস নং ৮০; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৪৭৩৮; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ১৫৬৭; আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বদরুল মুনীর, ২য় খন্ড, ১৪ পৃ:; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৮২ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস সারী শরহে বুখারী, ২য় খন্ড, ১৬৪ পৃ:; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৬৭৯৬; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, হাদিস নং ৩৮৯; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস নং ৫৮৫৭; সুবুলুস সালাম, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃ:;
সুবহানাল্লাহ! মেসওয়াক করে নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম হাকেম ( رَحْمَةُ الله عليه) ও ইমাম শামছুদ্দীন যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، -“ইমাম মুসলীম ( رَحْمَةُ الله عليه) এর মতে এই হাদিস ছহীহ্।”70৭০, হাকেম, ১ম খন্ড, ২১৬ পৃ:;
এর আরেকটি সনদ রয়েছে,
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ:..
-“আবু হিশাম রিফাই ইসহাক্ব থেকে হাদিস বর্ণনা করেন, তিনি মুয়াবিয়া থেকে, তিনি যুহুরী থেকে, তিনি উরওয়া থেকে, তিনি হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে..।” 71৭১, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৪৭৩৮; মাকছাদুল আলী ফি জাওয়াইদে আবী ইয়ালা মুছেলী, হাদিস নং ১৬৩০;
এই সনদটি দ্বায়িফ কারণ এর সনদে আপত্তিকর রাবী معاوية بن يحيى الصدفي ‘মুয়াবিয়া’ রয়েছে। এই রাবী সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত হল,
وقَالَ النسائي: ليس بثقة. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِشَيْءٍ. وَقَالَ أَبُو داود: ضعيف. وقَالَ الدارقطني: ضعيف،
-“ইমাম নাসাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, সে বিশ্বস্ত নয়। ইমাম ইবনে মাঈন ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, সে কিছুই নয়। ইমাম আবু দাউদ ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: সে দুর্বল রাবী, ইমাম দারে কুতনী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: সে দুর্বল।” 72৭২, ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৪০২;
ইমাম আবু বকর আহমদ ইবনে আলী বাগদাদী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ৪৬৩ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
أخبرنا علي بن محمد بن عبد الله المعدل أخبرنا أبو الحسن علي بن محمد بن أحمد المقرئ حدثنا روح بن الفرج حدثنا سعيد بن عفير بن ... عن أبي الأسود عن عروة عن عائشة رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه وعلى آله وسلم قال صلاة على أثر سواك أفضل من سبعين صلاة بغير سواك.
-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকের চিহ্ণ নিয়ে নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব।” 73৭৩, মুত্তাফাক ওয়াল মুফতারাক, ২য় খন্ড, ৯৪৯ পৃ: ৫৭৬ নং হাদিস;
এর আরেকটি সনদ রয়েছে,
وَرَوَى عَنِ الأَوْزَاعِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ رَكْعَتَانِ بِسِوَاكٍ أَفْضَلُ مِنْ سَبْعِينَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سِوَاكٍ
-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব।” 74৭৪, ইমাম ইবনে হিব্বান: মাজরুহিন, ৩য় খন্ড, ৩৩ পৃ:;
ইমাম আসলাম ইবনে সাহল ইবনে আসলাম ওয়াছেতী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ২৯২ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,
حدثنا أسلم، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ رَاشِدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ رَاشِدٍ، قَالَ: ثنا أَبِي رَاشِدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، قَالَ: ثنا نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَلاةٌ بِسِوَاكٍ أفضل من سبعين صلاة بغير سواك
-“ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর গোলাম নাফে ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব।”75৭৫, তারিখে আওছাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃ:;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত রয়েছে,
رَكْعَتانِ بِسِواكٍ أَفْضَلُ مِنْ سَبْعِينَ رَكْعَةً بِغَيْرٍ سِوَاكٍ (ابْن النجار في تاريخ بغداد) عن أبي هريرة.
-“মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব। ইবনে নাজ্জার তার তারিখে বাগদাদে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন।” 76৭৬, ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৮৭২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১২৭৭২;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত রয়েছে,
حَدَّثَنَا أبو قصي، حَدَّثَنا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبد الرَّحْمَنِ أبو أيوب الدمشقي، حَدَّثَنا مسلمة، حَدَّثَنا سَعِيد بْنُ سِنَانٍ، عَن أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ حُدَيْرِ بْنِ كُرَيْبٍ، عَن أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيه وسَلَّم قَال: صَلاةٌ فِي أَثَرِ السِّوَاكِ أَفْضَلُ مِنْ خَمْسٍ وَسِبْعِينَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سواك
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) নবী করিম ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকের চিহ্ণসহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭৫ গুণ বেশী সওয়াব।” 77৭৭, ইমাম ইবনে আদী: আল কামিল ফিদ দোয়াফাই রিজাল, ৮ম খন্ড, ১৭ পৃ:;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত রয়েছে,
عن أم الدرداء رَكْعَتانِ بِسِوَاكٍ خَيرٌ مِنْ سَبْعِينَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سواك (الدارقطني في الأفراد).
-“হযরত উম্মে দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, মেসওয়াক সহ নামাজ পড়া মেসওয়াকহীন নামাজের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব। দারে কুতনী তার ইফরাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।” 78৭৮, ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৮৭৩; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১৭২৭৩;
এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইমাম মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, وَإِسْنَاده حسن
-“এর সনদ হাছান।”79৭৯, আল্লামা মানাবী: আত তাইছির বি’শরহে জামেইস ছাগীর, ২য় খন্ড, ৩৫ পৃ:;
এ সম্পর্কে ইমাম মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه) আরো বলেন,
قال الهيثمي: ورجاله موثوقون. ورواه الحميدي وأبو نعيم عن جابر. قال المنذري: وإسناده حسن قال السمهودي: كل رجاله ثقات
-“ইমাম হায়ছামী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। ইমাম হুমাইদী ও আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه) জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুনজেরী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: এর সনদ হাছান। ইমাম ছামহুদী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: এর সকল রাবীগণ বিশ্বস্ত।” 80৮০, আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস নং ৪৪৬৬;
এই রেওয়ায়েত সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ছিলাহ ছানআনী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ১১৮২ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,
قال الهيثمي: ورجاله موثوقون -“ইমাম হায়ছামী বলেন: এর বর্ণনাকারী সকলেই বিশ্বস্ত।” 81৮১, আত তানভীর শরহে জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৪৪৫০ এর ব্যাখ্যায়;
হাফিজুল হাদিস, ইমাম মুনজেরী ( رَحْمَةُ الله عليه) এভাবে রেওয়ায়েতটি উল্লেখ করেছেন,
وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لِأَن أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بسواك أحب إِلَيّ من أَن أُصَلِّي سبعين رَكْعَة بِغَيْر سواك رَوَاهُ أَبُو نعيم فِي كتاب السِّوَاك بِإِسْنَاد جيد
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকসহ দুই রাকাত নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ রাকাত নামাজের চেয়ে আরো উত্তম। ইমাম আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه) তার ‘কিতাবুস ছাওয়াক’ গ্রন্থে অতিউত্তম সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন।” 82৮২, ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৩৩৫;
এ বিষয়ে আরেকটি সনদসহ রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، ثنا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَكْعَتَانِ بِسِوَاكٍ فِيهِمَا أَفْضَلُ مِنْ سَبْعِينَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سِوَاكٍ،
-“হাছ্ছান ইবনে আত্বিয়া (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ) বলেছেন: মেসওয়াকসহ দুই রাকাত নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ রাকাত নামাজের চেয়ে আরো উত্তম।” 83৮৩, ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ফি ফাদ্বাইলিল আমাল ওয়াছ ছাওয়াব, হাদিস নং ৫১০;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত রয়েছে,
عن عائشة صَلاَةُ بِسِوَاكٍ أَفْضَلُ مِنْ سَبْعِينَ صَلاَةً بِغَيْرِ سواك (ابن زنجويه ابْن زَنْجوَيْه فِي كتاب التَّرْغِيب).
-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, মেসওয়াকসহ নামাজ মেসওয়াকহীন ৭০ রাকাত নামাজের চেয়ে আরো উত্তম।” 84৮৪, ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৭৯৫৮;
এ হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
وَلِلْحَدِيثِ شَاهِدٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ أَخْرَجَهُمَا أَبُو نُعَيْمٍ بِإِسْنَادَيْنِ جَيِّدَيْنِ حَسَنَيْنِ.
-“এই হাদিসের সাক্ষ্য রয়েছে হযরত ইবনে আব্বাস ও জাবের (رضي الله عنه) এর বর্ণিত হাদিসের সাথে। ইমাম আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه) এই দুইটি হাদিস অতিউত্তম হাছান সনদে বর্ণনা করেছেন।” 85৮৫, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৮৯ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;
হাদিসটি জুহুরী ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ الزُّهْرِيِن
-“এই হাদিস আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه) যুহুরী ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে ইবনে উয়াইনা, মানছুর ও যুহুরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন।” 86৮৬, ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবির, ১ম খন্ড, ২৪১ পৃ:;
হাফিজুল হাদিস, ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه) আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه) এর সনদ সম্পর্কে বলেন,
ورواه أبو نُعيم من حديث الحميدي عن سفيان عن منصور عن الزهري، ورجاله ثقات،
-“আবু নুয়াইম হুমাইদী, সুফিয়ান, মানছুর ও যুহুরী সূত্রে ইহা বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।” 87৮৭, ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ১ম খন্ড, ৬২৬ পৃ: ৬২৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;
এ বিষয়ে হাফিজুল হাদিস, ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه) ও ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه) আরো বক্তব্য লক্ষ্য করুন,
وسنده جيد، وعن أنس وجابر وابن عمر. وكذا عن أم الدرداء وجبير بن نفير مرسلا،
-“এর সনদ অতি-উত্তম, হযরত আনাস (رضي الله عنه), জাবের (رضي الله عنه), ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকেও ইহা বর্ণিত আছে। অনুরূপ উম্মে দারদা (رضي الله عنه) ও যুবাইর ইবনে নাফির ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মুরছাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।” 88৮৮, ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ১ম খন্ড, ৬২৬ পৃ: ৬২৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ২৯ পৃ:;
-----------------------------------------