প্রিয় নবীজি ( ﷺ) এর লজ্জাস্থান কেউ দেখেনি
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْفَرَجِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ كَرَامَتِي عَلَى رَبِّي أَنِّي وُلِدْتُ مَخْتُونًا، وَلَمْ يَرَ أَحَدٌ سَوْأَتِي
-“হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ আমাকে একটি বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে, আমি খত্না করা অবস্থায় জন্ম হয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান পৃথিবীর কেউ দেখেনি।” ৩২৩২, ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, ৪র্থ খন্ড, ৩৩২ পৃ: হাদিস নং ৬১৪৮; ইমাম তাবারানী: মুজামুছ ছাগীর, ২য় জি: ৩৩৬ পৃ: হাদিস নং ৯৩৬; তারিখে বাগদাদ, ১৮৭ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১২ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড ২৪ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাছানেদেউ ওয়াছ ছুনান, ২১তম জি: ৫৯৫৫ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ১ম খন্ড, ২৭২ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: খাছায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড; মাদারেজুন নবুয়্যাত, ২য় খন্ড; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩১৯২৪; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৩৮৫২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ২৪৩০২; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৩৪৭ পৃ:;
এই হাদিসের রাবী سُفْيَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ الْمِصِّيصِيُّ (সুফিয়ান ইবনে মুহাম্মদ ফাযারী মিচ্ছিছি) হাদিস বর্ণনায় বাতিল নয় বরং দ্বায়িফ । যেমন ইমামগণের অভিমত লক্ষ্য করুন,
قال الدارقطني: لا شيء. وقال أبو حاتم: كتبتُ عَنْهُ، وهو ضعيف
-“ইমাম আবু হাতিম ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, আমি তার থেকে হাদিস লিখি, আর সে দ্বায়িফ । ইমাম দারে কুতনী বলেন: সে কিছু নয়।” ৩৩৩৩, ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২০৯;
وقال صالح جزرة: ليس بشيء، وقال الدارقطني: كان ضعيفا سيئ الحال في الحديث.
-“সালেহ জাযারা বলেন: সে কিছু নয়। ইমাম দারে কুতনী বলেন: তার দুর্বল অবস্থার জন্য সে দ্বায়িফ ।” ৩৪৩৪, তারাজিম রিজালু দারে কুতনী, রাবী নং ৫৮৮;
سُفْيَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ ‘সুফিয়ান ইবনে মুহাম্মদ’ ছাড়াও অন্য আরেকটি সূত্রে হাদিসটি উল্লেখ আছে। যেমন লক্ষ্য করুন:-
أخْبرهُم إجَازَة أبنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ الْحَافِظُ الْوَاسِطِيُّ ثَنَا نُوحُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأُبُلِّيُّ ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ ثَنَا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مِنْ كَرَامَتِي عَلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنِّي ولدت مختونا وَلم ير أحد سوأتي
-“হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ আমাকে একটি বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে, আমি খত্না করা অবস্থায় জন্ম হয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান পৃথিবীর কেউ দেখেনি।” ৩৫৩৫, ইমাম যিয়াউদ্দিন মাকদেছী: আহাদিসুল মুখতারাহ, হাদিস নং ১৮৬৪; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২১৩৪; ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১৪ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম: দালায়েলুন্নবুয়াত, হাদিস নং ৯২; ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৩য় খন্ড, ২৪ পৃ:;
এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه) ও ইমাম যিয়াউদ্দিন মাকদেছী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
ذكره الحافظ في اللسان، وقال: رجاله كلهم ثقات، إلا نوحا فلم أر من وثقه، وقد روى هذا الحديث الحافظ ضياء الدين في المختارة من هذا الوجه، ومقتضاه على طريقته أنه حديث حسن.
-“হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী তার ‘লিছান’ গ্রন্থে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন ও বলেছেন: এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত, তবে ‘নুহ্’ ব্যতীত। তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন এমন কাউকে দেখিনি। হাফিজ যিয়াউদ্দিন মাকদেছী ( رَحْمَةُ الله عليه) তার ‘মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই সূত্রটি বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রটির উপর গভীর চিন্তা করে বলেছেন নিশ্চয় ইহা حسن হাছান হাদিস।” ৩৬৩৬, ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, রাবী নং ৬১৪; এরশাদুল কাছি ওয়াদ দারানী ইলা তারাজিুম শুয়ূখু তাবারানী, ১ম খন্ড, ৬৬৩ পৃ: রাবী নং ১০৯৩;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
أخبرناه أبو سعد عبد الله بن إسماعيل بن أحمد بن محمد بن حيان النسوي أنبأنا أبو الفضل محمد بن عبيد الله بن محمد الصرام أنبأنا القاضي أبو عمر محمد بن الحسين البسطامي أنبأنا أبو بكر محمد بن عبد الرحمن بن الجارود الرقي أنبأنا الحسن بن عرفة أنبأنا هشيم بن بشير عن الحسن عن أنس قال قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم) من كرامتي على ربي تبارك وتعالى أني ولدت مختونا لم ير سوأتي أحد
-“হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ আমাকে একটি বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে, আমি খত্না করা অবস্থায় জন্ম হয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান পৃথিবীর কেউ দেখেনি।” ৩৭৩৭, ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১৪ পৃ:;
এই সনদে ‘আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে জারুদ রাকী’ নামক ত্রæটিপূর্ণ রাবী রয়েছে, তাই হাদিসটি দ্বায়িফ ।
أَبُو الفَضْلِ مُحَمَّدُ بنُ عُبَيْدِ اللهِ بنِ مُحَمَّدٍ الصَّرَّامُ
‘আবুল ফজল মুহাম্মদ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ র্ছারাম’ রয়েছে, তার ব্যাপারে ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه) এর অভিমত লক্ষ্য করুন,
الشَّيْخُ، القُدْوَةُ، العَابِدُ، المُسْنِدُ، -“তিনি শায়েখ, ওলী, এবাদতকারী, মুসনাদ প্রনেতা।” ৩৮৩৮, ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আলামী নুবালা, রাবী নং ২৪৭;
অতএব, রেওয়ায়েতটি দ্বায়িফ পর্যায়ের, তবে বাতিল নয়। অন্যান্য রেওয়াতের দ্বারা ইহা শক্তিশালী হবে। যেমন এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
أخبرناه أبو النضر عبد الرحمن بن عبد الجبار بن عثمان الفامي المعدل وأبو عبد الله محمد بن علي بن محمد الطبيب حفيد العميري بهراة قالا أنبأنا أبو عبد الله محمد بن علي بن محمد العمير ي أنبأنا أبو منصور محمد بن جبريل بن ماج الفقيه أنبأنا أبو بكر أحمد بن محمد الأنماطي إملاء من حفظه أنبأنا أبو الفضل محمد بن عبد الله المرجاني ونوح بن محمد بن نوح قالا أنبأنا الحسن بن عرفة العبدي أنبأنا هشيم عن يونس عن الحسن عن أنس قال قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم) من كرامتي على ربي تبارك وتعالى أني ولدت مختونا لم ير أحد سوأتي
-“হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ আমাকে একটি বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে, আমি খত্না করা অবস্থায় জন্ম হয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান পৃথিবীর কেউ দেখেনি।” ৩৯৩৯, ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১৩-৪১৪ পৃ:;
এই হাদিসের সনদে ‘আবু ফদ্বল মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ মারজানী’ এবং ‘নুহ্ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে নুহ্’ নামক দুইজন দুর্বল রাবী রয়েছে, তাই এই সনদটি দ্বায়িফ, তবে বাতিল নয়। অন্যান্য রেওয়াতের দ্বারা ইহা শক্তিশালী হবে। তবে এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
أخبرنا أبو القاسم علي بن إبراهيم الحسيني وأبو الحسن علي بن أحمد بن منصور قالوا أخبرنا أبو منصور محمد بن عبد الملك بن الحسن بن خيرون أنبأنا أبو بكر الخطيب أنبأنا أبو سعيد الحسن بن محمد بن عبد الله حسنويه الكاتب بأصبهان أنبأنا القاضي أبو بكر محمد بن عمر بن سالم الحافظ حدثني أبو بكر محمد بن أحمد بن الفرج البغدادي بالأبلة أنبأنا سفيان بن محمد المصيصي أنبأنا هشيم عن يونس بن عبيد عن الحسن عن أنس بن مالك قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم)
(ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১২-১৩ পৃ:)
এই সনদে ‘সুফিয়ান ইবনে মুহাম্মদ’ নামক একজন রাবী রয়েছে, যাকে ইমাম আবু হাতিম ও দারে কুতনী ( رَحْمَةُ الله عليه) দ্বায়িফ বলেছেন। হাদিসটি ‘সুফিয়ান ইবনে মুহাম্মদ’ থেকে অন্য আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
أخبرنا أبو الحسن علي بن الحسن بن الحسين الموازيني أنبأنا أبو الحسين بن أبي نصر أنبانا محمد بن يوسف بن يعقوب الكوفي الرقي أنبأنا الحسين بن عبد الله العوفي بالبصرة أنبأنا محمد بن أحمد الكرخي أنبأنا سفيان بن محمد المصيصي أنبأنا هشام عن يونس عن الحسن عن أنس بن مالك قال قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم)
(ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৩য় খন্ড, ৪১২ পৃ:)
সিদ্ধান্ত: উল্লেখিত সনদ গুলো পর্যালোচনা করে বলা যায় যে, হাদিসটি হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। উসূলে হাদিসের আইন হল, কোন হাদিস একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ইহা ক্বাবী বা শক্তিশালী হয়ে যায়। তাই এই হাদিসখানা হাছান, যেমনটি ইমাম যিয়াউদ্দিন মাকদেছী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন। একাধিক সূত্র একত্রিত হয়ে হাদিসটি ক্বাবী হওয়ার দলিল গুলো লক্ষ্য করুন:-
সকল মুহাদ্দিছগণ একমত যে দ্বায়িফ সনদের হাদিস যখন একাধিক সনদে বর্ণিত হয় তখন তাকে তা ‘হাছান লিগাইরিহি’ নামে নামকরণ করা হয়। সে অনুপাতে এ হাদিসটি নি:সন্দেহে হাদিসে ‘হাছান’ পর্যায়ের। যেমন এ বিষয়ে আইম্মায়ে কেরামের অভিমত নিচে লক্ষ্য করুন,
হিজরী নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رضي الله عنه) {ওফাত.৯১১হি.} বলেন-
المتروك او المنكر اذا تعددت طرقه ارتقى الى درجة الضعيف لغريب بل ربما ارتقى الى الحسن-
-“মাতরুক ও মুনকার হাদিস বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে দ্বায়িফ হাদিসের মর্যাদায় উপনীত হয়। আবার কখনো হাদিসে “হাসানের” মর্যাদায় উপনীত হয়ে থাকে।” ৪০৪০ .আল্লামা জালালুদ্দীন ছিয়তী: তা‘আকিবাত আলা মওজুআত: ৭৫ পৃ. কিতাবুল মানাকিব:
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ يُبْلِغُ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ، -“দ্বায়িফ হাদিসও একাধিক সনদে বর্ণিত হলে “হাছান” হাদিস এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।” ৪১৪১ .আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত: ৩/৭৭, হাদিস: ১০০৮
তিনি তার আরেক কিতাবে বলেন:
وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ وَلَوْ ضَعُفَتْ يُرَقِّي الْحَدِيثَ إِلَى الْحسن -“একাধিক সনদে যদিও দ্বায়িফ হাদিস বর্ণিত হয় তবে বর্ণিত ঐ হাদিস “হাছান” বলে গণ্য হবে বা উপনীত হবে।”৪২৪২ .মোল্লা আলী ক্বারী: আসারুল মারফ‚‘আ, পৃ-৪৮১
আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনে হুমাম ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
وَلَوْ تَمَّ تَضْعِيفُ كُلِّهَا كَانَتْ حَسَنَةً لِتَعَدُّدِ الطُّرُقِ وَكَثْرَتِهَا.-
-“হাদীসের সমস্ত রাবী দুর্বল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা ‘হাসানে’ পরিণত হয়ে যায়।” ৪৩৪৩ .ইমাম ইবনে হুমাম: ফতহুল কাদির: ১/৩০৬ পৃ.
ইমাম কামালুদ্দীন ইবনে হুমাম ( رَحْمَةُ الله عليه) তার কিতাবের অন্য স্থানে বলেছেন,
جَازَ فِي الْحَسَنِ أَنْ يَرْتَفِعَ إلَى الصِّحَّةِ إذَا كَثُرَتْ طُرُقُهُ، وَالضَّعِيفُ يَصِيرُ حُجَّةً بِذَلِكَ لِأَنَّ تَعَدُّدَهُ قَرِينَةٌ عَلَى ثُبُوتِهِ فِي نَفْسِ الْأَمْر
-“যখন হাছান হাদিস অনেক সনদ দ্বারা বর্ণিত হয়, তখন তা ছহীহ্ পর্যন্ত উন্নীত করা যায়েজ আছে, এবং দুর্বল সনদের হাদিস এই পদ্ধতিতে (একাধিক তরিকায় বর্ণনায়) দলীল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। যখন বিভিন্ন সনদে হাদিস বর্ণিত হয়, তা দৃঢ় দলীল হওয়ার ও আদেশ প্রয়োগের যোগ্যতা রাখে।” ৪৪৪৪ .ইমাম ইবনে হুমাম: ফতহুল কাদির, ১/৪৪৬পৃষ্ঠা
আল্লামা ইমাম শা’রানী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
قد احتج جمهور المحدثين بالحديث الضعيف اذا كثرت طرقه واحقوه بالصحيح تارة وبالحسن اخرى وهذا النوع من الضعيف يوجد كثيرا فى كتاب السنن الكبرى للبيهقى التى الفها بقصد الاحتجاج لاقوال الائمة واقوال صحابهم
-“নি:সন্দেহে জমহুর মুহাদ্দিছীনগণ দুর্বল হাদিসকে অধিক সনদে বর্ণিত হওয়ার কারণে দলীল হওয়ার যোগ্যতা রূপে মেনে নিয়েছেন এবং সেটিকে কোন সময় ছহীহ্ আবার কোন সময় ‘হাছান’র সহিত মিলিয়েছেন। এই প্রকারের দুর্বল হাদিস সমূহ ইমাম বায়হাকীর ‘সুনানে কোবরা’ মধ্যে অধিক পাওয়া যায়, যাকে ইমাম মুজতাহিদীন এবং আসহাবে আইম্মা দলীল হিসেবে গ্রহণের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন।” ৪৫৪৫ .ইমাম শারানী, মিযানুল কোবরা, ১/৬৮ পৃ.
-----------------------------