একবিংশ অধ্যায়
বিতর নামাজ
১। যে ব্যক্তি তিন রাকা‘আত সালা আদায় করবে তার ফাতিহার পরে প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কা-ফিরুন, তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পাঠ করা উচিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَزْرَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، فَإِذَا فَرَغَ قَالَ: «سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ» ثَلَاثًا
সাঈদ আব্দুর রহমান ইব্ন আবযা رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের সালাত আদায় করতেন। আর যখন (সালাত থেকে) অবসর হয়ে যেতেন তখন তিনবার (......আরবী.....) পড়তেন।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৭৪০)
২। সালাম ফিরানোর পর তিনবার বলবেঃ
سُبحَانَ المَلِكِ القُدُّوس
উচ্চারণঃ- সুবহাানাল মালিকিল ক্বুদ্দুস।
অর্থঃ ‘যিনি মালিক তিন যাবতীয় অসম্পূর্নতা থেকে পবিত্র।’
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ يُوتِرُ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، فَإِذَا فَرَغَ قَالَ: «سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ» ثَلَاثًا وَيَمُدُّ فِي الثَّالِثَةِ
আব্দুর রহমান ইব্ন আবযা رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা”, “কূল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” এবং “কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ” দ্বারা বিত্রের সালাত আদায় করতেন। যখন সালাত থেকে অবসর হয়ে যেতেন তিনবার (......আরবী.....) পড়তেন এবং তৃতীয়বারে দীর্ঘ করতেন।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৭৪১)
ইমাম দারাকুতনী কর্তৃক অন্য বর্ণনায়ঃ
তৃতীয়বার সুবহানাল মালিকিল ক্বুদ্দু-স বলার পর উচু স্বরে বলবে-
رَبَّ المَلائِكَة وَالرٌّوْح
উচ্চারণঃ- রাব্বুল মালাায়িকাতি ওয়ার রুহ।
অর্থঃ যিনি ফিরিশতাদের এবং রুহ এর রাব্ব।
যা ক্বিয়ামুল লাইলে জেগে উঠতে সাহায্য করে-
‣ দো’আ করা।
‣ বেশী রাত জেগে না থাকা।
‣ দিনের বেলা ক্বায়লুলা করা।
‣ সকল প্রকার অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা।
‣ একজনের কামনা-বাসনার বিরুদ্ধে চেষ্টা সাধনা করা।