‘
‘হুজুরী ক্বাল্ব ছাড়া নামাজ হবেনা’ প্রসঙ্গে
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَلَاةَ إِلَّا بحضور القلب
-“রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: হুজুরী দেল ব্যতীত নামাজ হবে না।”(আল্লামা ইমাম ইউছূফ ইবনে মূছা ইবনে মুহাম্মদ জামালুদ্দিন হানাফী (রঃ) ওফাত ৮০৩ হিজরী: আল মু’তাছার মিনাল মুখতাছার মিন মুশকিলিল আছার, المعتصر من المختصر من مشكل الآثار হযরত আম্মার ইবনে ইয়াছার রাঃ থেকে, ১ম খন্ড, ৪২ পৃষ্ঠা; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ১১৯ পৃ:; মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী: জায়াল হক্ব, তৃতীয়াংশে; হাজী এমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী: যিয়াউল কুলুব, ৮৬ পৃ:;)
ইহা মূলত সনদবিহীন হাদিস। যাকে ‘রেওয়ায়েত বিল মাআনা’ বলা হয়। অন্য একাধিক মারফূ, মাওকুফ, মুরছাল রেওয়ায়েত ও আছার দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত আছে। যেমন এই হাদিসের সমর্থনে আরো গ্রহণযোগ্য হাদিস রয়েছে। যেমন,
عن أبى سعيد قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَلَاة لمن لَا يتخشع فِي صلَاته
-“হযরত আবু ছাইদ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তির নামাজে খুশু তথা হুজুরী ক্বাল্ব নেই তার নামাজ হবেনা।”(ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিছ, ৮ম খন্ড, ২৯১ পৃ: হাদিস নং ১৭১৫৩; দায়লামী শরীফ, হাদিস নং ৭৯৩৫; ইমাম হিন্দী: কান্জুল ঊম্মাল, ৭ম খন্ড, ২১৩ পৃ: হাদিস নং ২০০৮৮;)
দায়লামীর এই হাদিসটি সম্পর্কে নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন,
أخرجه الديلمي في"مسنده" من طريق النضر بن سلمة: حدثنا ابن أبي أويس عن طلحة بن محمد بن سعيد بن المسيب عن أبيه عن جده مرفوعاً.
-“ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে ‘নদ্বর ইবনে সালামা’ এর সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন। সূত্রটি হল: হাদিস বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী আইয়ুছ, তিনি ত্বলহা ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সা’দ ইবনে মুছাইব হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মরফূ সূত্র বর্ণনা করেছেন।” (আলবানী: সিলসিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৬৯৪২;)
সার্বিক বিচারে হাদিসটি দ্বায়িফ হবে যা ফজিলত বর্ণনার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ। সর্বোপরি আলবানীর বক্তব্য দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় ইহার সনদ বিদ্যমান। অতএব, নামাজে খুশু তথা হুজুরী ক্বাল্ব না থাকলে নামাজ কবুল হবেনা, এই কথাকেই বলা হয়
لا صلاة إلا بحضور القلب-“হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা।” এ সম্পর্কে অপর হাদিসে উল্লেখ আছে,
عَن أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يُقْبَلُ مِمَّنْ عَمِلَ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ قَلْبُهُ مَعَ بَدَنِهِ
-“হযরত উবাই ইবনে কাব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা ঐ নামাজের দিকে নজর করেন না যে ব্যক্তির নামাজে দেহের সাথে ক্বাল্ব হাজির থাকেনা।” (মুসনাদে ফেরদৌছ, হাদিস নং ৭৯৩৫; হাফিজ যায়নুদ্দিন ইরাকী: শরহু তাছরীব ফি শরহে তাকরীব, ২য় খন্ড, ৩৭২ পৃ:; মুহাম্মদ ইবনে নছর তাঁর কিতাবুছ ছালাতে, হাদিস নং ১৫৭; এহইয়াই উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ২০১ পৃ:;)
ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে নাছার ইবনে হাজ্জার মারওয়াজী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ২৯৪ হিজরী, সনদ সহ উল্লেখ করেন:-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي دَهْرَشٍ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ قَالَ:ৃৃ هَكَذَا خَرَجَتْ عَظَمَةُ اللَّهِ مِنْ قُلُوبِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَشَهِدَتْ أَبْدَانُهُمْ وَغَابَتْ قُلُوبُهُمْ، وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْ عَبْدٍ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ بِقَلْبِهِ مَعَ بَدَنِهِ
-“হযরত উসমান ইবনে আবী দাহরাশ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: আমার কাছে হাদিস পৌছেছে যে, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) উচ্চ আওয়াজে কেরাতে সালাত পড়ছিলেন। যখন তিনি নামাজ থেকে বের হলেন,..... এমনিভাবে বনী ইসরাইলের অন্তর থেকে আল্লাহর বড়ত্বের কথা বের করে দিয়েছেন, কেননা (নামাজে) তাদের দেহ উপস্থিত থাকে কিন্তু অন্তর উপস্থিত থাকেনা। আর আল্লাহ পাক তার বান্দার আমলের মধ্যে ঐ আমলসমূহ কবুল করেন না যে আমলে তার দেহের সাথে ক্বাল্ব হাজির থাকেনা।” (তাজিমে কাদরিস সালাত, تَعْظِيمِ قَدْرِ الصَّلَاةِ ১ম খন্ড, ১৯৮ পৃ: হাদিস নং ১৫৭;)
এই হাদিসের আরেকটি সনদ বিদ্যমান,
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي دَهْرَشٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَৃ
-“ছাদাক্বা ইবনে ফুদ্বাইল হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি ইবনে উয়াইনা থেকে, তিনি উছমান ইবনে আবী দাহরিশ (رضي الله عنه) হতে, তিনি হাকিম ইবনে আবীল আস এর পরিবারের একজন থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: পূর্বের হাদিসের অনুরূপ।” (তাজিমে কাদরিস সালাত, ১ম খন্ড, ১৯৮ পৃ: হাদিস নং ১৫৮;)
হাফিজুল হাদিস, ইমাম মুনজিরী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
وَعَن عُثْمَان بن أبي دَهْرَشٍ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يُقْبَلُ مِمَّنْ عَمِلَ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ قَلْبُهُ مَعَ بَدَنِهِ
رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ الْمَرْوَزِيِّ فِي كِتَابِ تَعْظِيمِ قَدْرِ الصَّلَاةِ هَكَذَا مُرْسلا وَوَصله أَبُو مَنْصُور الديلمي فِي مُسْند الفردوس بِأبي بن كَعْب والمرسل أصح
-“হযরত উছমান ইবনে আবী দাহরিশ (رضي الله عنه) নবী করিম ( ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির আমলকে কবুল করেন না যতক্ষন না তার দেহের সাথে ক্বালব হাজির না থাকে।”
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে নাছর মারওয়াজী তাঁর ‘কিতাবু তাজিমু কাদরিস সালাত’ গ্রন্থে মুরছাল রূপে বর্ণনা করেছেন, আবু মানছুর দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর ‘মুসনাদে ফেরদৌস’ গ্রন্থে উবাই ইবনে কা’ব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। মুরছাল রেওয়ায়েতটি অধিক ছহীহ্।” (ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৭৬৯;)
ইমাম গাজ্জালী ( رَحْمَةُ الله عليه) বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন এভাবে,
وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم لا ينظر الله إلى صلاة لا يحضر الرجل فيها قلبه مع بدنه
-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ ঐ নামাজের দিকে দৃষ্টি দেননা যে ব্যক্তির নামাজে দেহের সাথে ক্বাল্ব বা অন্তর হাজির থাকেনা।” (ইমাম গাজ্জালী: এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ১৫০ পৃ:;)
হাফিজুল হাদিস, ইমাম যায়নুদ্দিন ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
وَرَوَى مُحَمَّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة من رِوَايَة عُثْمَان بن دهرش مُرْسلا لَا يقبل الله من عبد عملا حَتَّى يشْهد قلبه مَعَ بدنه وَرَوَاهُ أَبُو مَنْصُور الديلمي فِي مُسْند الفردوس من حَدِيث أبي بن كَعْب وَإِسْنَاده ضَعِيف.
-“মুহাম্মদ ইবনে নাছর ( رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর ‘কিতাবুস সালাত’-এ হযরত উসমান ইবনে দাহরিশ (رضي الله عنه) এর মুরছাল রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন: আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির আমলকে কবুল করেন না যতক্ষন না তার দেহের সাথে ক্বালব হাজির না থাকে। আবু মানছুর দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর ‘মুসনাদে ফেরদৌস’ গ্রন্থে উবাই ইবনে কা’ব (رضي الله عنه) থেকে হাদিসটি বর্ণিত আছে আর ইহার সনদ দ্বায়িফ ।”(হাফিজ যায়নুদ্দিন ইরাকী: তাখরিজু আহাদিসুল এহ্ইয়া, হাদিস নং ৭;)
আল্লামা আহমদ ইবনে আব্দুর রাহিম ইবনে হুছাইন আবু যুরাআ ইবনে ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ৮২৬ হিজরী বলেন,
رَوَاهُ مُحَمَّد بن نصر فِي تَعْظِيم قدر الصَّلَاة وَهُوَ مُرْسل لِأَن عُثْمَان هَذَا ذكره ابْن حبَان فِي الثِّقَات فِي أَتبَاع التَّابِعين
-“মুহাম্মদ ইবনে নাছর তাঁর ‘তাজিমে কাদরিস সালাত’ গ্রন্থে ইহা বর্ণনা করেছেন আর ইহা মুরছাল। কেননা উসমান ( رَحْمَةُ الله عليه) কে ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর কিতাবুস ছিক্বাত-এ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তাবেঈ।” (তুহফাতু তাহছিল ফি জিকরী রেওয়াতিল মারাছিল, ১ম খন্ড, ২২৩ পৃ:;)
হাদিসটি দুইটি সূত্রে বর্ণিত আছে যা পূর্বেই উল্লেখ করেছি তাই ইহা আরো শক্তিশালী হবে। সুতরাং নিজেকে ক্বাল্বে হাজির রেখে নামাজ পড়াকেই বলা হয় ‘হুজুরী ক্বাল্ব’। একেই বলা হল
لا صلاة إلا بحضور القلب-“হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা।” এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহর নবী ( ﷺ) বলেন:
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ هِلَالٍ الْحِمْصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا
-“হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: ঐ আমল আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না, যা তাঁর জন্য খালেছ ভাবে না করা হয়।”(ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৪৩৩৩; নাসাঈ শরীফ, কিতাবুয জিহাদ, হাদিস নং ৩১৪০; তাফছিরে মাজহারী, ৪র্থ খন্ড, ২৯৯ পৃ:; তাফছিরে রুহুল মাআনী, ১৬তম জি: ৫২৪ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ১ম জি: ১১৪ পৃ:;)
আল্লাহর জন্য খালেছ ভাবে আমলের আরেক নাম হল ‘হুজুরী ক্বাল্বের’ নামাজ। অপর হাদিসে উল্লেখ আছে:
أَن تعبد الله كَأَنَّك ترَاهُ فَإِن لم تكن ترَاهُ فَإِنَّهُ يراك -“এমন ভাবে আল্লাহর বন্দেগী কর যেন আল্লাহকে দেখতে পাও, যদি তাঁকে না দেখ তাহলে বিশ্বাস রাখ তিনি তোমাকে দেখতেছেন।” (ছহীহ্ বূখারী শরীফ, ১ম খন্ড, ১২ পৃ: হাদিস নং ৫০;)
আল্লাহকে দেখতে পাওয়ার চেষ্টা করে নামাজ পড়াই হল হুজুরী ক্বাল্বের নামাজ। এরই প্রেক্ষিতে ‘আছারে’ আরো উল্লেখ আছে:
عَنْ أَبِي طَالِبٍ الْمَكِّيِّ عَنْ بِشْرٍ الْحَافِي أَنَّهُ قَالَ: مَنْ لَمْ يَخْشَعْ فَسَدَتْ صَلَاتُهُ.
-“আবী তালেব মক্কী হযরত বিশর হাফি ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বর্ণনা করেন (তিনি ইমাম আহমদ র: এর পীর ও ইমাম বুখারীর দাদা উস্তাদ এবং একজন সু-প্রসিদ্ধ তাবেঈ) বলেন: যার খুশু তথা হুজুরী দেল নেই তার নামাজ ফাছেদ বা বাতিল।”
(তাফছিরে কবির শরিফ, ২৩ তম খন্ড, ৭৪ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ১ম খন্ড, ৪৮৫ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ৫ম খন্ড, ১০৮ পৃ:;)
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
وروى عن سفيان الثوري أنه قال: من لم يخشع فسدت صلاته.
-“হযরত সুফিয়ান ছাওরী ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: যার খুশু তথা হুজুরী দেল নেই তার নামাজ ফাছেদ বা বাতিল।”
(মেরআত শরহে মেসকাত, ২য় খন্ড, ২৭৬ পৃ:; তাবকাতুল কুবরা লিশ শারানী, ১ম খন্ড, ৩০ পৃ:; এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ৩১২ পৃ:; কুওয়াতুল কুলুব লি’আবী তালেব মক্কী, ২য় খন্ড, ১২ পৃ:;)
এ বিষয়ে আরেকটি আছার রয়েছে,
وَعَنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللَّه: كُلُّ صَلَاةٍ لَا يَحْضُرُ فِيهَا الْقَلْبُ فَهِيَ إِلَى الْعُقُوبَةِ أَسْرَعُ.
-“বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত হাছান বছরী ( رَحْمَةُ الله عليه) হতে বর্ণিত, প্রত্যেক ঐ নামাজ যার মধ্যে হুজুরী ক্বাল্ব নেই তা যেন পন্ডশ্রমের মধ্যেই নিক্ষিপ্ত।”
(তাফছিরে কবির শরিফ, ২৩ তম খন্ড, ৭৪ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ১ম খন্ড, ৪৮৫ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ৫ম খন্ড, ১০৮ পৃ:;)
সুতরাং তাবেঈ বিশর হাফী ( رَحْمَةُ الله عليه), হাছান বছরী ( رَحْمَةُ الله عليه) ও সুফিয়ান ছাওরী ( رَحْمَةُ الله عليه) এর কউল তথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় খুশু বা হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা। একেই বলা হয়,
لا صلاة إلا بحضور القلب “লা ছালাতা ইল্লা বে’হুজুরীল ক্বাল্ব” তথা হুজুরী দেল ব্যতীত নামাজ (কবুল) হবেনা।
--------------------------------