মু’মীনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর

<div>মু’মীনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর<br></div><div>الْقَلْبُ بَيْتُ الرَّبِّ </div><div>-“মু’মিনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর।”</div><div>(আল্লামা ঈমাম ঈসমাইল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৩য় খন্ড, ১৬১ পৃ:; তাফছিরে বাহরুল মাদিদ, ৭ম খন্ড, ২৮০ পৃ:; গাউছে পাক: সেররুল আছরার; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ৬০ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ১৭০ পৃ:; আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৯১ পৃ:; ক্বারী: মওজুয়াতুল কবীর, ৮৭ পৃ:;) </div><div><br></div><div>এই হাদিসটি ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رضي الله عنه) الْقَلْبُ بَيْتُ الرَّبِّ </div><div>-“ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর।” হাদিসটি উল্লেখ করে বলেছেন ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম যারকাশী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইবনে তাইমিয়া বলেছেন: ইহার কোন (সনদগত) ভিত্তি নেই। তবে ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, </div><div>والقلب بيت الإيمان ومعرفته ومحبته -“ক্বাল্ব হল ঈমান, আল্লাহর প্রতি মহব্বত ও তাঁর মারেফত হাছিলের ঘর।”</div><div>(ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৭৭৬;)  </div><div><br></div><div>অনুরূপ বলেছেন ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে,</div><div>ليس له أصل في المرفوع، والقلب بيت الإيمان بالله ومعرفته ومحبته إلى غير ذلك </div><div>-“মারফূরূপে ইহার কোন ভিত্তি নেই। ক্বাল্ব হল আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘর, তাঁর মারেফত, তাঁর প্রতি মহব্বত অনুরূপ অন্যান্য কিছুর ঘরও ক্বাল্ব।”</div><div>(ইমাম আজলুনী, কাশফুল খাফা, হাদিস নং ১৮৮৫;)  </div><div><br></div><div>ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এই হাদিস সম্পর্কে বলেছেন,</div><div>أَقُولُ لَكِنَّ لَهُ مَعْنًى صَحِيحٌ -“আমি বলি এই হাদিসের অর্থ ছহীহ্।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কবীর, ৮৭ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৯১ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: মওজুয়াতুল কোবরা, ১৭০ পৃ:;)  </div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরো বলেছেন,</div><div>قلت رواه ابن ماجه عن أبي عنبسة بلفظ إن لله آنية من أهل الأرض، وآنية ربكم قلوب عباده الصالحين،</div><div>-“আমি (আজলুনী) বলি: ইমাম ইবনু মাজাহ এই শব্দে ইহা বর্ণনা করেছেন যে, জমীনবাসীর জন্য পাত্র রয়েছে, তোমার প্রভ‚র (মহব্বত ধারণের) পাত্র হল নেক বান্দাগণের ক্বাল্ব বা অন্তর। আমাকে (মহব্বতের দৃষ্টিতে) ধারণ করেছে আমার প্রিয় পূন্যবান বান্দাদের ক্বাল্ব বা অন্তর।”(মাম আজলুনী, কাশফুল খাফা, হাদিস নং ১৮৮৪;)  </div><div><br></div><div>হাদিসটি ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div>حَدَّثَنَا جَعْفَرُ الْفِرْيَابِيُّ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ، ثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عِنَبَةَ الْخَوْلَانِيِّ، يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ لِلَّهِ آنِيَةً مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ وَآنِيَةُ رَبِّكُمْ قُلُوبُ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ </div><div>-“আবী ইনাবাহ খাওলানী (رضي الله عنه) প্রিয় নবীজির প্রতি মারফ‚ সূত্রে বর্ণনা করেনে, প্রিয় রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: জমীনবাসীর জন্য পাত্র রয়েছে, তোমার প্রভ‚র (মহব্বত ধারণের) পাত্র হল নেক বান্দাগণের ক্বাল্ব বা অন্তর। আমাকে (মহব্বতের দৃষ্টিতে) ধারণ করেছে আমার প্রিয় পূন্যবান বান্দাদের ক্বাল্ব বা অন্তর।”(ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ৮৪০;)  </div><div><br></div><div>এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত ইমাম আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে জাফর খারাইতি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৩২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে সনদসহ এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div>حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارُ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: وَإِنَّ آنِيَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْأَرْضِ قُلُوبُ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ</div><div>-“ছাওর ইবনে ইয়াজিদ বলেন: নিশ্চয় জমীনে আল্লাহ তা’আলার (মহব্বত ধারণের) পাত্র হল নেক বান্দাগণের ক্বাল্ব সমূহ।”(ইমাম খারাইতি: এ’তেলাউল কুলুব, হাদিস নং ৯;)  </div><div><br></div><div>এমনকি পবিত্র কোরআনে একটি আয়াতের সাথে এই হাদিসের অর্থটি মিল পাওয়া যায়। যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,</div><div>إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَة على السَّمَاوَات وَالأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَنْ يَحْمِلْنَهَا وأشفقن مِنْهَا وَحملهَا الْإِنْسَان</div><div>-“আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, অত:পর তারা ইহাকে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ করল।”(সূরা আহযাব: ৭২ নং আয়াত;) </div><div><br></div><div>অর্থাৎ মানুষের মধ্যে মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর আমানত, তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও মহব্বত ধারণ করল। এই অর্থে ইহাকে হাদিস হিসেবে বয়ান করা যাবে। ইহার সমর্থনে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা যায়,</div><div>وعن ابن عباس رضى الله عنهما (ص) جبل بمكة كان عليه عرش الرحمن حين لا ليل ولا نهار أشار بالجبل الى جسد محمد صلى الله عليه وسلم. وبعرش الرحمن الى قلبه    </div><div>-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) হল মক্কার পাঁহাড় যাতে রয়েছে রহমানের আরশ, যেখানে কোন রাত-দিন নেই। পাঁহাড় দ্বারা নবীজি নিজের দেহকে ঈশারা করেছেন। আর ‘আরশে রহমান’ দ্বারা ঈশারা করেছেন তাঁর ক্বাল্বের প্রতি।” (তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৩য় খন্ড, ১৬১ পৃ:; ইহার সনদ সম্পর্কেও আমি অবগত নই।) </div><div>এই হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত হয়, মানব দেহে আল্লাহ পাকের আরশ রয়েছে, আর তা হল ক্বাল্ব। সুতরাং যে হাদিসের মায়ানা ছহীহ্ সে হাদিসকে হাদিস বলে বর্ণনা মোটেই দূষের কিছু নয়। আর এ ব্যাপারে চার মাজহাবের ইমামগণ ও ফকিহ্গণ সকলেই একমত।</div><div>--------------------------------</div>

মু’মীনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর

মু’মীনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর الْقَلْبُ بَيْتُ الرَّبِّ  -“মু’মিনের ক্বাল্ব আল্লাহর ঘর।” (আল্লামা ঈমাম ঈসমাইল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৩য় খ...

Read more »

প্রিয় নবীজি আল্লাহর নূর থেকে, সকল কিছু নবীর নূর থেকে

<div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবীজি আল্লাহর নূর থেকে, সকল কিছু নবীর নূর থেকে</div><div style="text-align: justify;">قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا مِنْ نُورِ اللَّهِ وَالمُؤْمِنُونَ مِنْ نوري</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমি আল্লাহর নূর থেকে আর মু’মীনগণ আমার নূর থেকে।” </div><div style="text-align: justify;">(আল্লামা ঈসমাইল হাক্বী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩৭১, ৪২৯ পৃ:; ৪র্থ খন্ড, ২৪১ পৃ:; মতায়েলুল মুর্সারাত র্শহে দালায়েলুল খায়রাত; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ৪৯ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মুওজুয়াতুল কবীর, ৪০ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: মাওজুয়াতুল কোবরা, ৭২ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ১ম খন্ড, ১৮৫ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৯৮ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাদিসটি উল্লেখ করে হাফিজুল হাদিস, ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ السَّخَاوِيُّ هُوَ عِنْدَ الدَّيْلَمِيِّ بِلَا إِسْنَادٍ عَنْ عَبْدِ بْنِ جَرَادٍ مَرْفُوعًا أَنَا مِنَ اللَّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ مِنِّي </div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: এই হাদিস ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে সনদবিহীন এভাবে উল্লেখ করেছেন: ‘আমি আল্লাহ (নূর) হতে আর সকল কিছু আমার (নূর) হতে।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ১ম খন্ড, ১৮৬ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ৭২ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৯৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাফিজুল হাদিস, ইমাম শামছুদ্দিন ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম মুহাম্মদ ইবনু আব্দিল্লাহ যারকাশি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও হাফিজ ইবনু তাইমিয়া وَالْمُؤْمِنُونَ مِنِّي কথাটি প্রমাণ করার জন্য কয়েকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করে বলেছেন। যেমন ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قال شيخنا إنه كذب مختلق وقال بعض الحفاظ لا يعرف هذا اللفظ مرفوعا لكن ثبت في الكتاب والسنة أن المؤمنين بعضهم من بعض وفي السنة قوله لحي الأشعريين هم مني وأنا منهم وقوله لعلي أنت مني وأنا منك وللحسين هذا مني وأنا منه وكله صحيح </div><div style="text-align: justify;">-“আমাদের শায়েখ বলেছেন: নিশ্চয় ইহা মিথ্যা ও কল্পিত। কোন কোন হাফিজ বলেছেন, ইহা মারফুভাবে এই শব্দ গুলোকে চিনিনা, তবে ইহা কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাহ দ্বারা ইহা প্রমাণিত। নিশ্চয় মু’মীনগণ একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। সুন্নাহ’র মধ্যে রয়েছে, আশআরী সম্পর্কীয় সেই বাণী, তোমরা আমার থেকে আমি তোমাদের থেকে। হযরত আলী (رضي الله عنه) সম্পর্কীয় বাণী, তুমি আমার থেকে, আমি তোমার থেকে। হুসাইন (رضي الله عنه) সম্পর্কীয় বাণী, সে আমার থেকে আমি তাঁর থেকে। প্রত্যেকটিই ছহীহ্।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ১৯০ এর ব্যাখ্যায়; ইমাম যারকাশী: আল লাআলীল মানছুরাহ ফি আহাদিছিল মাশহুরাহ, ১ম খন্ড, ১৮৯ পৃ:; ইবনে তাইমিয়া: আহাদিছুল কাছাছ, ১ম খন্ড, ৭০ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) অন্যান্য হাদিস থেকে দায়লামীর হাদিসটির মাআনা ছহীহ্ প্রমাণ করেছেন। এছাড়াও ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) প্রতি আস্থা রেখে হাদিসটি গ্রহণ করা যায়, কেননা বুখারী শরীফেও এরূপ অনেক সনদবিহীন “তা’লিক হাদিস” রয়েছে যে গুলোকে মুছান্নিফের উপর নির্ভর করে গ্রহণ করা হয়। ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎)সহ অন্যান্য ইমামগণ ইমাম দায়লামীর উপর নির্ভর করেই অন্যান্য হাদিসের সাথে সাদৃশ্য বিধায় হাদিসটির মাআনা গ্রহণ করেছেন ও বয়ান করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">--------------------------------</div>

প্রিয় নবীজি আল্লাহর নূর থেকে, সকল কিছু নবীর নূর থেকে

প্রিয় নবীজি আল্লাহর নূর থেকে, সকল কিছু নবীর নূর থেকে قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا مِنْ نُورِ اللَّهِ وَالمُ...

Read more »

আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া

<div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া</div><div style="text-align: justify;">قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: تَخَلَّقُوا بِأَخْلَاقِ اللَّهِ</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”</div><div><div style="text-align: justify;">(আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৪৪৮ পৃ: ও ৫৪৪ পৃ:; আল্লামা মাহমুদ আলুছী বাগদাদী: তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ৩০ তম খন্ড, ৫০২ পৃ:; ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী: তাফছিরে কবির শরিফ, ৭ম খন্ড, ৬৬ পৃ:; ৯ম খন্ড, ৫৫ পৃ:; ২৪ তম খন্ড, ১৭৩ পৃ:; ১১তম খন্ড, ৫১ পৃ:; আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, যার সাথে যার সাদৃশ্য তার তাথেই সে মিলিত হবে</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে জাতির সাথে সাদৃশ্য থাকবে সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।”  ৩০৩০,  সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৪০৩১; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩৩০১৬; ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৮৩২৭ হুজাইফা রা: এর সূত্রে; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ২৯৬৬; ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১৮৬২; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, হাদিস নং ২৩১৫;</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইবনে তাইমিয়া এর অভিমত, </div><div style="text-align: justify;">قال ابن تيمية: سنده جيد وقال ابن حجر في الفتح: سنده حسن. </div><div style="text-align: justify;">-“ইবনে তাইমিয়া বলেন: এর সনদ অতিউত্তম। হাফিজ ইবনু হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেন: এর সনদ হাছান।”  ৩১৩১,  আল্লামা ছানআনী: আত তানভীর ফি শরহে জামেইছ ছাগীর, হাদিস নং ৮৫৭৪; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১০৪ পৃ:;</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: </div><div style="text-align: justify;">قُلْتُ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ بِسَنَدٍ حَسَنٍ -“আমি বলি ইমাম আবু দাউদ হাছান সনদে বর্ণনা করেছেন।”  ৩২৩২,  ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ১০ম খন্ড, ২৭১ পৃ:;</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">قال العراقي: رواه أبو داود من حديث ابن عمر بسند صحيح </div><div style="text-align: justify;">-“হাফিজ ইরাকী বলেন: ইমাম আবু দাউদ ইহা বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর হাদিস ছহীহ্।”৩৩৩৩,  তাখরিজু আহাদিসু এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, হাদিস নং ৭৫৭;</div><div style="text-align: justify;">  </div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম বুয়ূছিরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَسَكَتَ عَلَيْهِ فَهُوَ عِنْدَهُ حَدِيثٌ صَالِحٌ لِلْعَمَلِ به والاحتجاج بِهِ. </div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম আবু দাউদ এই হাদিসের ব্যাপারে চুপ থেকেছেন কেননা তার কাছে ইহা গ্রহণযোগ্য এবং আমলের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য।”  ৩৪৩৪,  ইত্তেহাফুল খাইরাতুল মিহরাত, হাদিস নং ৩৯৮১;</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">وَصَححهُ ابْن حبَان. -“ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এই হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন।”  ৩৫৩৫,  আসানিল মাতালিক ফি আহাদিছি মুখতালিফিল মারাতিব, হাদিস নং ১৩৭৭;</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">---------------------------- খন্ড, ৩৯ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ১ম খন্ড, ৪০৪ পৃ:; তাফছিরে মারাগী, ১৮তম খন্ড, ৮৬ পৃ:; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ১২৩ পৃ:;) </div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">ইহা মূলত কোন সনদ দ্বারা প্রমাণিত নয় বরং পূর্বসূরী আইম্মায়ে কেরাম ইহাকে হাদিসে রাসূল হিসেবে স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেছেন। অনেকে ইহার মাআনাকে ছহীহ্ বলেছেন। তবে হাফিজ ইবনু তাইমিয়া ইহার অর্থকে ব্যাখ্যা সাপেক্ষে ছহীহ্ বলেছেন। যেমন লক্ষ্য করুন,</div><div style="text-align: justify;">تخلقوا بأخلاق الله وهذا اللفظ لا يعرف عن النبي صلى الله عليه وسلم في شيء من كتب الحديث ولا هو معروف عن أحد من أهل العلم بل هو من باب الموضوعات عندهم وإن كان قد يفسر بمعنى صحيح يوافق الكتاب والسنة</div><div style="text-align: justify;">-“তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও’ এই শব্দে আমি ইহাকে রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) থেকে হাদিসের গ্রন্থ সমূহে কিছুই জানিনা এবং আহলে ইলিমদের কাছ থেকেও ইহা প্রসিদ্ধ নয়। বরং ইমামদের কাছে ইহা মওজু একটি বিষয়। যদি ইহা ব্যাখ্যা করা হয় তাহলে ইহার অর্থ ছহীহ্ হবে এবং কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাহ’র অনুগামী হবে।” (ইবনে তাইমিয়া: বয়ানু তালবিছিল জাহমিয়্যা, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫১৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাফিজ ইবনে তাইমিয়া তার কিতাবেও বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وقال صلى الله عليه وسلم تخلقوا بأخلاق الله </div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(হাফিজ ইবনে তাইমিয়া: বায়ানু তালবিছুল জাহমিয়া, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৬৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">তিনি আরেক জায়গায় বলেন, <br /></div><div style="text-align: justify;">وقد استدل أبو حامد بحديث ذكره مرفوعا إلى النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: تخلَّقوا بأخلاق الله </div><div style="text-align: justify;">-“আবু হামিদ এই হাদিস দ্বারা দলিল পেশ করেন, তিনি নবী করিম ( ﷺ‎‎) এর প্রতি মারফূ রেওয়াতের কথা উল্লেখ করেন যে, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(হাফিজ ইবনে তাইমিয়া: জামেউল মাসাঈল, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১২৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">قوله عليه الصلاة والسلام تخلقوا بأخلاق الله تعالى -“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর বাণী হল, তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: শরহে শিফা, ২য় খন্ড, ৫৩ পৃ:;) . </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">শারিহে বুখারী ইমাম শিহাবুদ্দিন কাস্তালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন, قال عليه السلام: تخلقوا بأخلاق الله -“রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুছ ছারী শরহে বুখারী, ৫ম খন্ড, ৩৪১ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ বদরুদ্দিন জারকাশী শাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৭৯৪ হিজরী উল্লেখ করেন, فقد روي: تخلقوا بأخلاق الله </div><div style="text-align: justify;">-“অবশ্যই বর্ণিত আছে যে, তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।” (তাশনিফুল মাসামে’ বি’জামেইল জাওয়ামে, ৪র্থ খন্ড, ৯২৭ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইবনুল হাজ্জ মালেকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ تَخَلَّقُوا بِأَخْلَاقِ اللَّهِ -“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর বাণী হচ্ছে, তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(আল্লামা ইবনুল হাজ্জ: মাদখাল, ১ম খন্ড, ২০০ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ আউদ জাযিরী উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">لأن النبي صلى الله عليه وسلم قال: تخلقوا بأخلاق الله -“কেননা আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।” (ফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবা, ১ম খন্ড, ১৫৯ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা মাহমুদ ইবনে ইসমাঈল খায়রাবাতী (ওফাত ৮৪৩ হি.) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">كَمَا قَالَ عَلَيْهِ السَّلَام: تخلقوا بأخلاق الله -</div><div style="text-align: justify;">“যেমনটি আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(র্দুরাতু গারাঈ ফি নাছিহাতি ছালাতিন, ১ম খন্ড, ১৫২ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে হাজার মক্কী হায়তামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">هَذَا الحَدِيث الصَّحِيح عَن عَائِشَة رَضِي الله تَعَالَى عَنْهَا كَانَ صلى الله عليه وسلم خلقه الْقُرْآن وَحَدِيث تخلقوا بأخلاق الله تَعَالَى</div><div style="text-align: justify;">-“এই হাদিস ছহীহ্ যে, হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর চরিত্র হল কোরআন। আর হাদিস হচ্ছে, তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।”(হাফিজ ইবনে হাজা হায়তামী: ফাতওয়ায়ে হাদিছিয়া, ১ম খন্ড, ২০৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">-------------------------------</div>

আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া

আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: تَخَلَّقُوا بِأَخْلَاقِ اللَّهِ -“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: তোমরা আল্লাহর চরিত্রে ...

Read more »

আল্লাহ গুপ্ত ভান্ডার ছিল

<div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ গুপ্ত ভান্ডার ছিল (হাদিসে কুদছী)</div><div style="text-align: justify;">كَمَا رَوَى فِي الْحَدِيثِ الْقُدْسِيِّ: كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُعْرَفَ، فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لِأُعْرَفَ</div><div style="text-align: justify;">-“যেমনটি হাদিসে কুদসীতে আছে:- ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমি গুপ্ত ধণভান্ডার ছিলাম অত:পর আমার ভিতর পরিচিত হইবার প্রেম জাগল অত:পর সৃষ্টিকে সৃষ্টি করার মাধ্যমে পরিচিত হইলাম।” (মেরকাত)(ক্বাজী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মোস্তফা হানাফী: তাফছিরে আবু ছাউদ, ২য় খন্ড, ২০৫ পৃ:; ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী: তাফছিরে কবীর, ২৮তম খন্ড, ২১৫ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ১ম খন্ড, ২৬৯ পৃ: ও ২য় খন্ড, ১৪৬ পৃ:; তাফছিরে মাজহারী, ১০ খন্ড, ৩০৩ পৃ:; তাফছিরে মারাগী, ২০তম খন্ড, ১৪৫ পৃ:; আল্লামা মাহমুদ আলুছী বাগদাদী আল হানাফী: তাফছিরে রুহুল মাআনী, ২৭তম খন্ড, ৩০ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ১৯৮ পৃ: এবং ৫৮৩৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ৫৪ পৃ:; আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ১২৯ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: মউজুয়াতুল কবীর, ৯৩ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">ইহা মূলত সরাসরি সনদ দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে হিজরী ১১শ শতাব্দির মুজাদ্দেদ, আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এবং আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে খলিল ইবনে ইব্রাহিম আবুল মুহাছিন কাওয়াকিজী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটি উল্লেখ করে বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;"> لَكِنَّ مَعْنَاهُ صَحِيحٌ-“কিন্তু এর মাআনা বা অর্থ ছহীহ্।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কবীর, ৯৩ পৃ:; আল লু’উ লু’উ মারছু, হাদিস নং ৪১৬;)  </div><div style="text-align: justify;">পাশাপাশি “কাশফুল খফা, ২য় খন্ড” কিতাবেও আল্লামা ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটি উল্লেখ করে লিখেছেন, </div><div style="text-align: justify;"> لَكِنَّ مَعْنَاهُ صَحِيحٌ-“ইহার মাআনা ছহীহ্।” এরপর ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">قَوْلِهِ تَعَالَى {وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْس إِلَّا ليعبدون} أَيْ لِيَعْرِفُونِ كَمَا فَسَّرَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহ তা’আলার বানী: ‘আমি জিন ও মানুষ জাতিকে আমার ইবাদতের তথা আমার পরিচয় লাভের জন্য সৃষ্টি করেছি’ অর্থাৎ আমার পরিচয় লাভের জন্য যেমন তাফছিরে করেছেন হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১২২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কবীর, ৯৩ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, হাদিস নং ২০১৬; আল লু’উ লু’উ মারছু, হাদিস নং ৪১৬;)  </div><div style="text-align: justify;">সুতরাং এই হাদিসের ‘মাআনা’ বা অর্থ হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর তাফছিরের সাথে মিল রয়েছে। ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর বর্ণনা মোতাবেক ইহার মাআনা ছহীহ্। তথাপিও বিশ্বনন্দিত ইমাম ও মোফাচ্ছেরগণ যারা আহ্লে ক্বাশ্ফের আলিম ছিলেন তাঁদের কিতাবে ইহাকে হাদিস বলে উল্লেখ করেছেন। আর ওলীগণের কাশ্ফ পবিত্র কোরআন দ্বারা ঈশারাতান প্রমাণিত। এজন্যই এই হাদিসের ব্যাপারে ‘তাফছিরে রুহুল মাআনীতে’ আল্লামা মাহমুদ আলুছী বাগদাদী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">إنه ثابت كشفا، وقد نص على ذلك الشيخ الأكبر قدس سره في الباب المذكور،</div><div style="text-align: justify;">-“নিশ্চয় ইহা ক্বাশফের দ্বারা প্রমাণিত। সর্বজন স্বীকৃত, শায়খুল আক্বার ইমাম মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (কু: ছে:) এ ব্যাপারে نص ‘নছ’ তৈরী করেছেন।”(আল্লামা মাহমুদ আলুছী: তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ২৭ তম খন্ড, ৩০ পৃ:; আল মাসনু, ১৪২ পৃ: হাশিয়া;)  </div><div style="text-align: justify;">যখন ‘ক্বাশফের দ্বারা’ ইহা প্রমাণিত হয়ে গেছে এবং ইমামগণ ইহা গ্রহণ করেছেন তখন এর উপর ‘হাদিস নয়’ এরকম কটুক্তি করা যুগের ইমামগণের কটুক্তির নামান্তর, আর হাদিস শরিফে রয়েছে: </div><div style="text-align: justify;">فَمَنْ أَهَانَ الْعَالِمَ فقد أَهَانَ اللَّهَ أَهَانَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ -“যারা আলিমগণকে তিরস্কার করে তারা যেন আল্লাহ তা’আলাকে তিরস্কার করল, আল্লাহ তাদেরকে কিয়ামতের দিন তিরস্কৃত করবেন।”(তাফছিরে কবির, ২য় খন্ড, ১৮৯ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">--------------------------------</div>

আল্লাহ গুপ্ত ভান্ডার ছিল

আল্লাহ গুপ্ত ভান্ডার ছিল (হাদিসে কুদছী) كَمَا رَوَى فِي الْحَدِيثِ الْقُدْسِيِّ: كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُعْرَفَ، فَخَ...

Read more »

মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর গুঞ্জায়েশ হয়

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর গুঞ্জায়েশ হয়</div><div style="text-align: justify;">مَا وَسِعَنِي أَرْضِي وَلَا سَمَائِي وَلَكِنْ وَسِعَنِي قَلْبُ عَبْدِي الْمُؤْمِنِ</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহ তা’আলা বলেন: আসমান ও জমীনে আমার সংকুলান হয়না মু’মিন বান্দারদের ব্যতীত।”</div><div style="text-align: justify;">(আল্লামা ঈসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ৪৪৬ পৃ:; ২য় খন্ড, ৩১৬ পৃ:; ৪র্থ খন্ড, ৫২০ পৃ:; হুজুর গাউছে: ছেররুল আছরার, ১১৪ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৯১ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ২০৬ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৩ পৃ:; আল মাসনূ, হাদিস নং ২৯৩;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সস্পর্কে ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হাফিজ ইরাকী ও হাফিজ ইবনে তাইমিয়া, বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وَلَيْسَ لَهُ إِسْنَادٌ مَعْرُوفٌ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ -“এর কোন মারুফ বা পরিচিত সনদ রাসূল ( ﷺ‎‎) থেকে নেই। অত:পর তাঁরা আরো বলেছেন: قَالَ وَمَعْنَاهُ وَسِعَ قَلْبُهُ الْإِيمَانَ بِي وَبِمَحَبَّتِي </div><div style="text-align: justify;">-“এই হাদিসের অর্থ হল: মুমীনের ক্বাল্ব হল আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান ও আমার প্রতি মুহাব্বতের এবং আমার মারেফাতের স্থান।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৩ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৭৫ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ২০৬ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই এই হাদিসের মাআনা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য গ্রহণযোগ্য, উড়িয়ে দেওয়ার কোন রাস্তা নেই যেহেতু ইবনে তাইমিয়া এর মত লোক ও সর্বজনমান্য ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্যে এর মাআনা বা অর্থ গ্রহণ করেছেন। এই হাদিসসের মাআনাকে ‘হাদিস’ বলে সম্বোধন করেছেন হিজরী ১১শ শতাব্দির মুজাদ্দেদ, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رضي الله عنه), অন্য একটি হাদিসের আলোচনা করতে গিয়ে ইহাকে হাদিস বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন তিনি বলেন:</div><div style="text-align: justify;">أَقُولُ لَكِنَّ لَهُ مَعْنًى صَحِيحٌ كَمَا سَيَأْتِي فِي الحَدِيث مَا وسعتي أَرْضِي</div><div style="text-align: justify;">-“আমি বলছি এই হাদিসের মাআনা বা অর্থ ছহীহ্ যেমনিভাবে হাদিসে এসেছে “মা ওয়াছয়ানী আরদ্বী.....”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মাওজুয়াতুল কবীর, ৮৭ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইহাকে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ‘হাদিস’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর মাআনাকে তথা অর্থকে ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তাই ইহাকে ‘হাদিস বলে’ ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্য গ্রহণ করা যেতেই পারে। যেমন এর সমর্থনে একটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أبِي، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ وَهْبَ بْنَ مُنَبِّهٍ يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَتَحَ السَّماَوَاتِ لِحِزْقِيلَ حَتَّى نَظَرَ إِلَى الْعَرْشِ أَوْ كَمَا قَالَ فَقَالَ حِزْقِيلُ: سُبْحَانَكَ، مَا أَعْظَمَكَ، يَا رَبِّ، فَقَالَ اللَّهُ: إِنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَمْ تُطِقْ أَنْ تَحْمِلَنِي، وَضِقْنَ مِنْ أَنْ تَسَعَنِي، وَسِعَنِي قَلْبُ الْمُؤْمِنِ الْوَارِعِ اللَّيِّنِ</div><div style="text-align: justify;">-“ওহাব ইবনে মুনাব্বাহ (رضي الله عنه) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা হিযকীল ফেরেস্থার জন্য আসমান সমূহের দরজা খুলে দিলেন। তিনি আরশ পর্যন্ত দেখতে পেলেন এবং বললেন আল্লাহ তুমি পাক ও পবিত্র, তোমার শান কত মহান। অত:পর আল্লাহ তা’আলা বললেন: নিশ্চয় আসমান সমূহ ও আরশ দুর্বলতা প্রকাশ করেছে আমাকে স্থান দিতে কিন্তু মু’মীনের দিল বা অন্তর নম্রতা প্রকাশ করে আমাকে গ্রহণ করেছে।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম আহমদ : আয যুহুদ, হাদিস নং ৪২৩; ইমাম ছিয়তী : আদ দুরারুল মুনতাশিরা ফি আহাদিছিল মুশতাহিরা, ৩৬৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম ছাখাবী : মাকাছিদুল হাছানাহ, ৯৯০ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসের সনদে কোন বিতর্কীত রাবী নেই। সুতরাং বিষয়টি রেওয়াতের দ্বারা সমর্থিত হল। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়। ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনা করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا جَعْفَرُ الْفِرْيَابِيُّ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ، ثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي عِنَبَةَ الْخَوْلَانِيِّ، يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ لِلَّهِ آنِيَةً مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ وَآنِيَةُ رَبِّكُمْ قُلُوبُ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ </div><div style="text-align: justify;">-“আবী ইনাবাহ খাওলানী (رضي الله عنه) প্রিয় নবীজির প্রতি মারফ‚ সূত্রে বর্ণনা করেনে, প্রিয় রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: জমীনবাসীর জন্য পাত্র রয়েছে, তোমার প্রভ‚র (মহব্বত ধারণের) পাত্র হল নেক বান্দাগণের ক্বাল্ব বা অন্তর। আমাকে (মহব্বতের দৃষ্টিতে) ধারণ করেছে আমার প্রিয় পূন্যবান বান্দাদের ক্বাল্ব বা অন্তর।”(ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ৮৪০;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত ইমাম আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে জাফর খারাইতি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৩২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে সনদসহ এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارُ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: وَإِنَّ آنِيَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْأَرْضِ قُلُوبُ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ</div><div style="text-align: justify;">-“ছাওর ইবনে ইয়াজিদ বলেন: নিশ্চয় জমীনে আল্লাহ তা’আলার (মহব্বত ধারণের) পাত্র হল নেক বান্দাগণের ক্বাল্ব সমূহ।”(ইমাম খারাইতি: এ’তেলাউল কুলুব, হাদিস নং ৯;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এমনকি পবিত্র কোরআনে একটি আয়াতের সাথে এই হাদিসের অর্থটি মিল পাওয়া যায়। যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,</div><div style="text-align: justify;">إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَة على السَّمَاوَات وَالأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَنْ يَحْمِلْنَهَا وأشفقن مِنْهَا وَحملهَا الْإِنْسَان</div><div style="text-align: justify;">-“আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, অত:পর তারা ইহাকে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ করল।”(সূরা আহযাব: ৭২ নং আয়াত;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ মানুষের মধ্যে মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর আমানত, তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও মহব্বত ধারণ করল। সুতরাং মু’মীন বান্দার ক্বাল্ব ইহা আল্লাহর মহব্বত হাছিলের জন্য অথবা আল্লাহর মারেফত লাভের উপযুক্ত পাত্র বা স্থান।</div><div style="text-align: justify;">------------------------------</div>

মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর গুঞ্জায়েশ হয়

মু’মীনের ক্বাল্বে আল্লাহর গুঞ্জায়েশ হয় مَا وَسِعَنِي أَرْضِي وَلَا سَمَائِي وَلَكِنْ وَسِعَنِي قَلْبُ عَبْدِي الْمُؤْمِنِ -“আল্লাহ তা’আলা বল...

Read more »

হুজুরী ক্বাল্ব ছাড়া নামাজ হবেনা’ প্রসঙ্গে

<div style="text-align: justify;">‘</div><div style="text-align: justify;">‘হুজুরী ক্বাল্ব ছাড়া নামাজ হবেনা’ প্রসঙ্গে</div><div style="text-align: justify;">قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَلَاةَ إِلَّا بحضور القلب</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: হুজুরী দেল ব্যতীত নামাজ হবে না।”(আল্লামা ইমাম ইউছূফ ইবনে মূছা ইবনে মুহাম্মদ জামালুদ্দিন হানাফী (রঃ) ওফাত ৮০৩ হিজরী: আল মু’তাছার মিনাল মুখতাছার মিন মুশকিলিল আছার, المعتصر من المختصر من مشكل الآثار হযরত আম্মার ইবনে ইয়াছার রাঃ থেকে, ১ম খন্ড, ৪২ পৃষ্ঠা; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ১১৯ পৃ:; মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী: জায়াল হক্ব, তৃতীয়াংশে; হাজী এমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী: যিয়াউল কুলুব, ৮৬ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইহা মূলত সনদবিহীন হাদিস। যাকে ‘রেওয়ায়েত বিল মাআনা’ বলা হয়। অন্য একাধিক মারফূ, মাওকুফ, মুরছাল রেওয়ায়েত ও আছার দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত আছে। যেমন এই হাদিসের সমর্থনে আরো গ্রহণযোগ্য হাদিস রয়েছে। যেমন,</div><div style="text-align: justify;">عن أبى سعيد قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَلَاة لمن لَا يتخشع فِي صلَاته</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত আবু ছাইদ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে ব্যক্তির নামাজে খুশু তথা হুজুরী ক্বাল্ব নেই তার নামাজ হবেনা।”(ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিছ, ৮ম খন্ড, ২৯১ পৃ: হাদিস নং ১৭১৫৩; দায়লামী শরীফ, হাদিস নং ৭৯৩৫; ইমাম হিন্দী: কান্জুল ঊম্মাল, ৭ম খন্ড, ২১৩ পৃ: হাদিস নং ২০০৮৮;) </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">দায়লামীর এই হাদিসটি সম্পর্কে নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন,</div><div style="text-align: justify;">أخرجه الديلمي في"مسنده" من طريق النضر بن سلمة: حدثنا ابن أبي أويس عن طلحة بن محمد بن سعيد بن المسيب عن أبيه عن جده مرفوعاً.</div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে ‘নদ্বর ইবনে সালামা’ এর সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন। সূত্রটি হল: হাদিস বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী আইয়ুছ, তিনি ত্বলহা ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সা’দ ইবনে মুছাইব হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মরফূ সূত্র বর্ণনা করেছেন।”  (আলবানী: সিলসিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৬৯৪২;)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সার্বিক বিচারে হাদিসটি দ্বায়িফ হবে যা ফজিলত বর্ণনার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ। সর্বোপরি আলবানীর বক্তব্য দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় ইহার সনদ বিদ্যমান। অতএব, নামাজে খুশু তথা হুজুরী ক্বাল্ব না থাকলে নামাজ কবুল হবেনা, এই কথাকেই বলা হয় </div><div style="text-align: justify;"> لا صلاة إلا بحضور القلب-“হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা।” এ সম্পর্কে অপর হাদিসে উল্লেখ আছে,</div><div style="text-align: justify;">عَن أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يُقْبَلُ مِمَّنْ عَمِلَ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ قَلْبُهُ مَعَ بَدَنِهِ </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত উবাই ইবনে কাব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা ঐ নামাজের দিকে নজর করেন না যে ব্যক্তির নামাজে দেহের সাথে ক্বাল্ব হাজির থাকেনা।” (মুসনাদে ফেরদৌছ, হাদিস নং ৭৯৩৫; হাফিজ যায়নুদ্দিন ইরাকী: শরহু তাছরীব ফি শরহে তাকরীব, ২য় খন্ড, ৩৭২ পৃ:; মুহাম্মদ ইবনে নছর তাঁর কিতাবুছ ছালাতে, হাদিস নং ১৫৭; এহইয়াই উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ২০১ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে নাছার ইবনে হাজ্জার মারওয়াজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ২৯৪ হিজরী, সনদ সহ উল্লেখ করেন:-</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي دَهْرَشٍ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ قَالَ:ৃৃ هَكَذَا خَرَجَتْ عَظَمَةُ اللَّهِ مِنْ قُلُوبِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَشَهِدَتْ أَبْدَانُهُمْ وَغَابَتْ قُلُوبُهُمْ، وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْ عَبْدٍ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ بِقَلْبِهِ مَعَ بَدَنِهِ</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত উসমান ইবনে আবী দাহরাশ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: আমার কাছে হাদিস পৌছেছে যে, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) উচ্চ আওয়াজে কেরাতে সালাত পড়ছিলেন। যখন তিনি নামাজ থেকে বের হলেন,..... এমনিভাবে বনী ইসরাইলের অন্তর থেকে আল্লাহর বড়ত্বের কথা বের করে দিয়েছেন, কেননা (নামাজে) তাদের দেহ উপস্থিত থাকে কিন্তু অন্তর উপস্থিত থাকেনা। আর আল্লাহ পাক তার বান্দার আমলের মধ্যে ঐ আমলসমূহ কবুল করেন না যে আমলে তার দেহের সাথে ক্বাল্ব হাজির থাকেনা।” (তাজিমে কাদরিস সালাত, تَعْظِيمِ قَدْرِ الصَّلَاةِ ১ম খন্ড, ১৯৮ পৃ: হাদিস নং ১৫৭;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসের আরেকটি সনদ বিদ্যমান,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي دَهْرَشٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَৃ</div><div style="text-align: justify;">-“ছাদাক্বা ইবনে ফুদ্বাইল হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি ইবনে উয়াইনা থেকে, তিনি উছমান ইবনে আবী দাহরিশ (رضي الله عنه) হতে, তিনি হাকিম ইবনে আবীল আস এর পরিবারের একজন থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: পূর্বের হাদিসের অনুরূপ।” (তাজিমে কাদরিস সালাত, ১ম খন্ড, ১৯৮ পৃ: হাদিস নং ১৫৮;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাফিজুল হাদিস, ইমাম মুনজিরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَعَن عُثْمَان بن أبي دَهْرَشٍ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يُقْبَلُ مِمَّنْ عَمِلَ عَمَلًا حَتَّى يَشْهَدَ قَلْبُهُ مَعَ بَدَنِهِ </div><div style="text-align: justify;">رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ الْمَرْوَزِيِّ فِي كِتَابِ تَعْظِيمِ قَدْرِ الصَّلَاةِ هَكَذَا مُرْسلا وَوَصله أَبُو مَنْصُور الديلمي فِي مُسْند الفردوس بِأبي بن كَعْب والمرسل أصح</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত উছমান ইবনে আবী দাহরিশ (رضي الله عنه) নবী করিম ( ﷺ‎‎) হতে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির আমলকে কবুল করেন না যতক্ষন না তার দেহের সাথে ক্বালব হাজির না থাকে।” </div><div style="text-align: justify;">ইমাম মুহাম্মদ ইবনে নাছর মারওয়াজী তাঁর ‘কিতাবু তাজিমু কাদরিস সালাত’ গ্রন্থে মুরছাল রূপে বর্ণনা করেছেন, আবু মানছুর দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘মুসনাদে ফেরদৌস’ গ্রন্থে উবাই ইবনে কা’ব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। মুরছাল রেওয়ায়েতটি অধিক ছহীহ্।”  (ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৭৬৯;)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম গাজ্জালী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন এভাবে,</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم لا ينظر الله إلى صلاة لا يحضر الرجل فيها قلبه مع بدنه</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আল্লাহ ঐ নামাজের দিকে দৃষ্টি দেননা যে ব্যক্তির নামাজে দেহের সাথে ক্বাল্ব বা অন্তর হাজির থাকেনা।”  (ইমাম গাজ্জালী: এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ১৫০ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;">হাফিজুল হাদিস, ইমাম যায়নুদ্দিন ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَرَوَى مُحَمَّد بن نصر فِي كتاب الصَّلَاة من رِوَايَة عُثْمَان بن دهرش مُرْسلا لَا يقبل الله من عبد عملا حَتَّى يشْهد قلبه مَعَ بدنه وَرَوَاهُ أَبُو مَنْصُور الديلمي فِي مُسْند الفردوس من حَدِيث أبي بن كَعْب وَإِسْنَاده ضَعِيف.</div><div style="text-align: justify;">-“মুহাম্মদ ইবনে নাছর ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘কিতাবুস সালাত’-এ হযরত উসমান ইবনে দাহরিশ (رضي الله عنه) এর মুরছাল রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন: আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির আমলকে কবুল করেন না যতক্ষন না তার দেহের সাথে ক্বালব হাজির না থাকে। আবু মানছুর দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘মুসনাদে ফেরদৌস’ গ্রন্থে উবাই ইবনে কা’ব (رضي الله عنه) থেকে হাদিসটি বর্ণিত আছে আর ইহার সনদ দ্বায়িফ ।”(হাফিজ যায়নুদ্দিন ইরাকী: তাখরিজু আহাদিসুল এহ্ইয়া, হাদিস নং ৭;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আহমদ ইবনে আব্দুর রাহিম ইবনে হুছাইন আবু যুরাআ ইবনে ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮২৬ হিজরী বলেন,</div><div style="text-align: justify;">رَوَاهُ مُحَمَّد بن نصر فِي تَعْظِيم قدر الصَّلَاة وَهُوَ مُرْسل لِأَن عُثْمَان هَذَا ذكره ابْن حبَان فِي الثِّقَات فِي أَتبَاع التَّابِعين</div><div style="text-align: justify;">-“মুহাম্মদ ইবনে নাছর তাঁর ‘তাজিমে কাদরিস সালাত’ গ্রন্থে ইহা বর্ণনা করেছেন আর ইহা মুরছাল। কেননা উসমান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর কিতাবুস ছিক্বাত-এ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তাবেঈ।”  (তুহফাতু তাহছিল ফি জিকরী রেওয়াতিল মারাছিল, ১ম খন্ড, ২২৩ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিসটি দুইটি সূত্রে বর্ণিত আছে যা পূর্বেই উল্লেখ করেছি তাই ইহা আরো শক্তিশালী হবে। সুতরাং নিজেকে ক্বাল্বে হাজির রেখে নামাজ পড়াকেই বলা হয় ‘হুজুরী ক্বাল্ব’। একেই বলা হল </div><div style="text-align: justify;"> لا صلاة إلا بحضور القلب-“হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা।” এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) বলেন: </div><div style="text-align: justify;">أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ هِلَالٍ الْحِمْصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: ঐ আমল আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না, যা তাঁর জন্য খালেছ ভাবে না করা হয়।”(ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৪৩৩৩; নাসাঈ শরীফ, কিতাবুয জিহাদ, হাদিস নং ৩১৪০; তাফছিরে মাজহারী, ৪র্থ খন্ড, ২৯৯ পৃ:; তাফছিরে রুহুল মাআনী, ১৬তম জি: ৫২৪ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ১ম জি: ১১৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর জন্য খালেছ ভাবে আমলের আরেক নাম হল ‘হুজুরী ক্বাল্বের’ নামাজ। অপর হাদিসে উল্লেখ আছে: </div><div style="text-align: justify;">أَن تعبد الله كَأَنَّك ترَاهُ فَإِن لم تكن ترَاهُ فَإِنَّهُ يراك -“এমন ভাবে আল্লাহর বন্দেগী কর যেন আল্লাহকে দেখতে পাও, যদি তাঁকে না দেখ তাহলে বিশ্বাস রাখ তিনি তোমাকে দেখতেছেন।”  (ছহীহ্ বূখারী শরীফ, ১ম খন্ড, ১২ পৃ: হাদিস নং ৫০;)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহকে দেখতে পাওয়ার চেষ্টা করে নামাজ পড়াই হল হুজুরী ক্বাল্বের নামাজ। এরই প্রেক্ষিতে ‘আছারে’ আরো উল্লেখ আছে:</div><div style="text-align: justify;">عَنْ أَبِي طَالِبٍ الْمَكِّيِّ عَنْ بِشْرٍ الْحَافِي أَنَّهُ قَالَ: مَنْ لَمْ يَخْشَعْ فَسَدَتْ صَلَاتُهُ.</div><div style="text-align: justify;">-“আবী তালেব মক্কী হযরত বিশর হাফি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণনা করেন (তিনি ইমাম আহমদ র: এর পীর ও ইমাম বুখারীর দাদা উস্তাদ এবং একজন সু-প্রসিদ্ধ তাবেঈ) বলেন: যার খুশু তথা হুজুরী দেল নেই তার নামাজ ফাছেদ বা বাতিল।”</div><div style="text-align: justify;">(তাফছিরে কবির শরিফ, ২৩ তম খন্ড, ৭৪ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ১ম খন্ড, ৪৮৫ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ৫ম খন্ড, ১০৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,</div><div style="text-align: justify;">وروى عن سفيان الثوري أنه قال: من لم يخشع فسدت صلاته. </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত সুফিয়ান ছাওরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: যার খুশু তথা হুজুরী দেল নেই তার নামাজ ফাছেদ বা বাতিল।” </div><div style="text-align: justify;">(মেরআত শরহে মেসকাত, ২য় খন্ড, ২৭৬ পৃ:; তাবকাতুল কুবরা লিশ শারানী, ১ম খন্ড, ৩০ পৃ:; এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ৩১২ পৃ:; কুওয়াতুল কুলুব লি’আবী তালেব মক্কী, ২য় খন্ড, ১২ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে আরেকটি আছার রয়েছে,</div><div style="text-align: justify;">وَعَنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللَّه: كُلُّ صَلَاةٍ لَا يَحْضُرُ فِيهَا الْقَلْبُ فَهِيَ إِلَى الْعُقُوبَةِ أَسْرَعُ.</div><div style="text-align: justify;">-“বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত হাছান বছরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হতে বর্ণিত, প্রত্যেক ঐ নামাজ যার মধ্যে হুজুরী ক্বাল্ব নেই তা যেন পন্ডশ্রমের মধ্যেই নিক্ষিপ্ত।”</div><div style="text-align: justify;">(তাফছিরে কবির শরিফ, ২৩ তম খন্ড, ৭৪ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ১ম খন্ড, ৪৮৫ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ৫ম খন্ড, ১০৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং তাবেঈ বিশর হাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), হাছান বছরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও সুফিয়ান ছাওরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কউল তথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় খুশু বা হুজুরী ক্বাল্ব ব্যতীত নামাজ হবেনা। একেই বলা হয়, </div><div style="text-align: justify;">لا صلاة إلا بحضور القلب “লা ছালাতা ইল্লা বে’হুজুরীল ক্বাল্ব” তথা হুজুরী দেল ব্যতীত নামাজ (কবুল) হবেনা। </div><div style="text-align: justify;">--------------------------------</div>

হুজুরী ক্বাল্ব ছাড়া নামাজ হবেনা’ প্রসঙ্গে

‘ ‘হুজুরী ক্বাল্ব ছাড়া নামাজ হবেনা’ প্রসঙ্গে قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا صَلَاةَ إِلَّا بحضور القلب -“রাসূলে ...

Read more »

উম্মতে মুহাম্মদীর মর্যাদা বনী ঈসরাইলের নবীর সমতুল্য

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উম্মতে মুহাম্মদীর মর্যাদা বনী ঈসরাইলের নবীর সমতুল্য</div><div style="text-align: justify;">قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে করিম ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত (সম্মানীয়)।”(ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৬০৮৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; শরহে বুখারী লিস সাফারী, ২য় খন্ড, ২৭৫ পৃ:; ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী: তাফছিরে কবীর, ২৭তম খন্ড, ১১১ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ১ম খন্ড, ৩৩০ পৃ:; তাফছিরে সিরাজুম মুনীর, ৩য় খন্ড, ২৫৩ পৃ:; আল্লামা ঈমাম ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ১৮৪ পৃ:; ৪র্থ খন্ড, ৭৬ পৃ:; আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, ১৮তম খন্ড, ৩৮২ পৃ:; বাহরুল মাদিদ ফি তাফছিরে কুরআনিল মাজিদ, ২য় খন্ড, ৩৫ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৬০ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ২৮৬ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রখ্যাত মুফাচ্ছির, ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৬০৬ হিজরী} তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">أَجْمَعْتِ الْأُمَّةُ عَلَى أَنَّ بَعْضَ الْأَنْبِيَاءِ أَفْضَلُ مِنْ بَعْضٍ، وَعَلَى أَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلُ مِنَ الْكُلِّ،</div><div style="text-align: justify;">-“উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, কতক নবীগণ কতেক নবীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আর নিশ্চয় মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) তাঁদের সকলের চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ।”(তাফছিরে কবীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫২১ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ সম্পর্কে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ১২৫২ হি.} বলেন,</div><div style="text-align: justify;">أَجْمَعَتْ الْأُمَّةُ عَلَى أَنَّ الْأَنْبِيَاءَ أَفْضَلُ الْخَلِيقَةِ وَأَنَّ نَبِيَّنَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَفْضَلُهُمْ وَأَنَّ أَفْضَلَ الْخَلَائِقِ بَعْدَ الْأَنْبِيَاءِ الْمَلَائِكَةُ الْأَرْبَعَةُ وَحَمَلَةُ الْعَرْشِ وَالرُّوحَانِيُّونَ وَرَضْوَانُ وَمَالِكٌ؛ وَأَنَّ الصَّحَابَةَ وَالتَّابِعِينَ وَالشُّهَدَاءَ وَالصَّالِحِينَ أَفْضَلُ مِنْ سَائِرِ الْمَلَائِكَةِ.</div><div style="text-align: justify;">-“উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠ হল নবীগণ, আর আমাদের নবী ( ﷺ‎‎) হলে তাঁদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। নবীগণের পরে শ্রেষ্ঠ হল আরশ বহনকারী ৪ ফেরেস্থা ও রুহানিউন, রেদ্বওয়ান ও মালেক ফেরেস্থা। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈগণ, শোহাদায়ে কেরাম ও ছালেহীনগণ সাধারণ ফেরেস্থাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।”(ফাতওয়ায়ে শামী, ১ম খন্ড, ৫২৭ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই সমগ্র সৃষ্টি জগতে যা কিছু রয়েছে রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) এই সব কিছুর চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ, এমনকি কোন নবী-রাসূল ও আরশ বহনকারী ফেরেস্থারাও রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) এর সমতুল্য নয়। সৃষ্টি জগতে তিনি বেমেছাল বা তুলনাহীন এবং তিনার পরেও কোন নবী  রাসূল নেই। এই আকিদাকে সামনে রেখেই নিম্ন উল্লেখিত হাদিসখানার আলোচনা করা হল। প্রথমেই লক্ষ্য করুন কোন কোন ইমামগণ ও মুহাদ্দিছগণ ইহাকে হাদিস বলে আখ্যায়িত করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেমন হিজরী ১১শ শতাব্দির অন্যতম মুজাদ্দিদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১০১৪ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وَأَمَّا حَدِيثُ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ -“আর হাদিস শরীফে আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৬০৮৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৬০৬ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন, </div><div style="text-align: justify;">قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ  </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(তাফছিরে কবীর, ১৭তম খন্ড, ২৬৭ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আবুল হাফছ সিরাজুদ্দিন উমর হাম্বলী দামেস্কী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৭৭৫ হিজরী বলেন, </div><div style="text-align: justify;">الإشارة إليه بقوله عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام ُ: عُلَمَاءُ أمَّتِي كأنْبِيَاءِ بَنِي إسْرائِيْلَ</div><div style="text-align: justify;">-“আর এদিকেই রাসূল ( ﷺ‎‎) এর বানী ঈশারা করেছেন যে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।” (আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, ১৮তম খন্ড, ৩৮২ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা নাজিমুদ্দিন হুছাইন ইবনে মুহাম্মদ নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮৫০ হিজরী বলেন, </div><div style="text-align: justify;">قال صلى الله عليه وسلم علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।” (তাফছিরে নিছাপুরী, ১ম খন্ড, ৩৩০ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইব্রাহিম ইবনে উমর ইবনে হুছাইন বাক্বাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮৮৫ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন, </div><div style="text-align: justify;">كما روي في بعض الآثار علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل </div><div style="text-align: justify;">-“যেমনটি কোন কোন আছারে বর্ণিত আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(নাজমুদ দুরার, ১৫তম খন্ড, ৩৬৬ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা শামছুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ শাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৯৭৭ হিজরী বলেন, </div><div style="text-align: justify;">كما روي في بعض الآثار: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل </div><div style="text-align: justify;">-“যেমনটি কোন কোন আছারে বর্ণিত আছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”  (তাফছিরে সিরাজুম মুনীর, ৩য় খন্ড, ২৫৩ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী বরুছয়ী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১১২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে বলেন, </div><div style="text-align: justify;">كما قال عليه السلام علماء أمتي كانبياء بنى إسرائيل -“যেমনটি আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৩য় খন্ড, ২৫৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মাহদী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১২২৪ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قال عليه السّلام: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل -“আল্লাহর রাসূল (ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(বাহরুল মুদিদ ফি তাফছিরে কুরআনিল মাজিদ, ৫ম খন্ড, ৩৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা তক্বীউদ্দিন মুকরিজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮৪৫ হিজরী এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وقد جاء في الحديث: علماء أمتي كأنبياء بني إسرائيل. -“হাদিস শরীফে এসেছে, আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত।”(ইমতাউল আসমা, ৪র্থ খন্ড, ২০৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসটি সম্পর্কে ইমাম আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, ইহার কোন (সনদগত) ভিত্তি নেই। কিন্তু এই হাদিসটি ‘রেওয়ায়েত বিল মাআনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা সাপেক্ষ গ্রহণযোগ্য হাদিস। যেমন আল্লামা ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মদ আজলুনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১১৬২ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">الأخذ بمعناه التفتازاني، وفتح الدين الشهيد، وأبو بكر الموصلي، والسيوطي في الخصائص، وله شواهد</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লামা তাফতাজানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ফাতহুদ্দিন শহীদ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আবু বকর মুছেলী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম ছিয়তী (رضي الله عنه) তাঁর ‘খাছায়েছে’ এই হাদিসের মাআনা গ্রহণ করেছেন এবং হাদিসের ‘মাআনার’ শাওয়াহিদ উল্লেখ করেছেন।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ৬০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">লা-মাজহাবী মুহাম্মদ ইবনে ছালেহ ইবনে মুহাম্মদ উছাইমিন মৃত্যু ১৪২১ হিজরী তদীয় গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ولهذا جاء في حديث لكنه ضعيف: عُلَمَاءُ أُمَّتِيْ كَأَنْبِيَاءِ بَنِيْ إِسْرَائِيْل معناه صحيح</div><div style="text-align: justify;">-“এ কারণেই হাদিসে এসেছে কিন্তু ইহা দুর্বল: আমার উম্মতের আলিমগণ বনী ঈসরাইলের নবীদের মত (সম্মানীয়), এর মাআনা বা অর্থ বিশুদ্ধ।”(শরহে আরবাইনা নববিয়া, ১ম খন্ড, ৪৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই এই হাদিস ‘রেওয়ায়েত বিল মাআনা’ হিসবে হাদিস। কারণ আইম্মায়ে কেরাম ইহার মাআনাকে হাদিস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হল, হাশরের দিন আখেরী নবীর উম্মতের মর্যাদার আসন দেখে অন্য নবীগণ ও শহিদগণ ঈর্ষা করবে, যার এবারত এরূপ,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَا: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ، وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى....  </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে এমন লোক রয়েছে যারা নবী কিংবা শহীদ নয়, কিন্তু মাকাম দেখে নবীগণ ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।”</div><div style="text-align: justify;">(সুনানে আবী দাউদ শরিফ, ইবনে উমর (রাঃ) হতে, হাদিস নং ৩৫২৭; তাফছিরে মাজহারী, ৪র্থ খন্ড, ৩৪৭ পৃ: সূরা ঈউনূসের ৬২ নং আয়াতের তাফছির; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৯৯০ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ১ম খন্ড, ৫ পৃ:; তাফছিরে দূর্রে মানছুর;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সকল ইমামের দৃষ্টিতে ছহীহ্। বলুন এই হাদিস দ্বারা কি আখেরী নবী ( ﷺ‎‎) এর উম্মতের মর্যাদা ঐরূপ প্রমাণিত হয়না? </div><div style="text-align: justify;">আপনারা সকলেই জানেন, অন্য নবীগণ আমাদের নবীর উম্মত হওয়ার জন্য আকাঙ্খা করতেন। এর মাঝে হযরত ঈসা (عليه السلام)-ই শেষ যুগে আমাদের নবীর উম্মত হবেন। তাহলে বলুন! আমাদের নবীর উম্মত বনী ঈসরাইলের মত হবে কিনা? যদিও তাঁরা নবী নয়। এই নবীর উম্মতের মর্যাদা মহান আল্লাহ নবীদের সমান দিবেন তার আরো প্রমাণিত হয় এই হাদিস দ্বারা, যেমন:-</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ كَانَ نَبِيٌّ بَعْدِي لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ. </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত উকবা ইবনে আমের (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমার পরে যদি কেউ নবী হতেন তাহলে খাত্তাবের পুত্র উমর (رضي الله عنه)’ই হইতেন।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল: ফাদ্বাইলুস সাহাবা, হাদিস নং ৫১৯; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৪০৫; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৬৮৬; ইমাম তাবারানী: মু’জামুল কবীর, হাদিস নং ৪৭৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৪৪৯৫; ইমাম বায়হাক্বী: মাদখাল, হাদিস নং ৬৫; মেসকাত শরীফ, ৫৫৮ পৃ: হাদিস নং ৬০৪৭; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১১তম খন্ড;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম হাকেম নিছাপুরী ও ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটিকে ছহীহ্ বলেছেন এবং ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও আলবানী হাদিসটিকে হাছান বলেছেন। হযরত উমর (رضي الله عنه) যদিও নবী নয় এবং আর কোন নবী হবেও না, কিন্তু তরিকতের ভাষায় ‘কামালতে নবুয়ত’ তাঁর মাঝে রয়েছে। সুতরাং এই নবীর অনেক উম্মতের মর্যাদা বনী ঈসরাইলের নবীদের মত। তাফছিরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছে: নবী করিম ( ﷺ‎‎)</div><div style="text-align: justify;"> عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِي إسْرَائِيلَ-এই হাদিসের সত্যতা প্রমাণের জন্য মেরাজের রাতে ইমাম গাজ্জালী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে হযরত মুসা (عليه السلام) এর সামনে হাজির করালেন। মুসা (عليه السلام) বললেন: আপনার নাম কি?  উত্তরে ইমাম গাজ্জালী নিজের নাম, পিতার নাম, দাদার নাম, পৈর দাদার নাম এমনিভাবে ছয় পুরুষের নাম বললেন। আমি শুধু আপনার নাম জিজ্ঞাসা করেছি আপনি এত নামের তালিকা পেশ করলেন কেন? ইমাম গাজ্জালী আদবের সাথে জবাব দিলেন, আড়াই হাজার বছর পূর্বে আপনিও তো আল্লাহ তা’আলার ছোট্ট একটি প্রশ্নের জবাবে দীর্ঘ উত্তর দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আপনার হাঁতে কি? উত্তরে আপনি বলেছিলেন, আমার হাঁতে লাঠি, ইহা দ্বারা গরু রাখি, গাছের পাতা পারি, এই সেই ইত্যাদি। হুজুর এত কথা বলার দরকার ছিল কি? </div><div style="text-align: justify;">হযরত মুসা (عليه السلام) এই নবীর উম্মতের এলেম ও প্রজ্ঞা দেখে আশ্চয্য হয়ে এই নবীর উম্মতের মর্যাদা মেনে নিলেন।</div><div style="text-align: justify;">(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ২৮৪ পৃ: সূরা বাকারার ১৪৩ নং আয়াতের তাফছিরে; প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল জলীল সাহেব র: এর ‘নূর নবী দ:’, ৯৬ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই ঘটনার মূল সূত্র সম্পর্কে আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন:-</div><div style="text-align: justify;">وذكر الراغب الاصفهانى في المحاضرات انه قال الامام الشاذلى صاحب حزب البحر اضطجعت فى المسجد الأقصى فرأيت في المنام</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লামা রাগিব ইস্পাহানী তার ‘মুহাদারাব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হিজবুল বাহারের অধিকারী ইমাম শাজালী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) মসজিদে আকছায় ঘুমিয়ে সপ্নে দেখেছেন।”(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ২৮৪ পৃ: সূরা বাকারার ১৪৩ নং আয়াতের তাফছিরে;)  </div><div style="text-align: justify;">---------------------------------</div>

উম্মতে মুহাম্মদীর মর্যাদা বনী ঈসরাইলের নবীর সমতুল্য

উম্মতে মুহাম্মদীর মর্যাদা বনী ঈসরাইলের নবীর সমতুল্য قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عُلَمَاءُ أُمَّتِي كَأَنْبِيَاءِ بَنِ...

Read more »

নাফ্ছকে চিনলে রবকে চিনা যায়

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নাফ্ছকে চিনলে রবকে চিনা যায়</div><div style="text-align: justify;">قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল।”</div><div style="text-align: justify;">*আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ২৭১ পৃ: ও ৩০৮ পৃ:, ৫ম খন্ড, ২২৭ পৃ:, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৯৩ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী: তাফছিরে কবীর শরীফ, ৩০তম খন্ড, ২০১ পৃ: সূরা কিয়ামা’র শুরুতে, ৯ম খন্ড, ১১৭ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে ছা’লাবী, ১ম খন্ড, ২৭৯ পৃ:; তাফছিরে ওয়াছিত লিল ওয়াহেদী, ১ম খন্ড, ২১৪ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে রাগেব ইস্পাহানী, ১ম খন্ড, ৫৫ পৃ:; তাফছিরে বাগবী, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে খাজেন, ১ম খন্ড, ৮৩ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, ২য় খন্ড, ৪৯৮ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে নিছাপুরী, ২য় খন্ড, ১৭৫ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে সিরাজুম মুনীর, ১ম খন্ড, ৯৪ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে আবু সাউদ, ৯ম খন্ড, ১৭৫ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে মাজহারী, ১ম খন্ড, ১৩২ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*ইমাম গাজ্জালী: এহইয়াউল উলুমুদ্দিন, ৩য় খন্ড, ২২৪ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ৫৯ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*হাজী এমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী: যিয়াউল কুলুব, ৭১ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মউজুয়াতুল কবীর, ১২২ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ২৩৪ পৃ:; </div><div style="text-align: justify;">*তাফছিরে বায়দ্বাবী, ২য় খন্ড, ২৮০ পৃ:;</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লক্ষ্যনীয় যে, এই হাদিসটি দুই রকমে উল্লেখ আছে, প্রথমত: </div><div style="text-align: justify;"> قال امير المؤمنين على بن ابى طالب رضى الله عنه مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে, যা তাফছিরে রুহুল বয়ানে, ৬ষ্ঠ খন্ডে ৩৯৩ পৃ: উল্লেখ আছে। </div><div style="text-align: justify;">দ্বিতীয়ত:  قال عليه السلام مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُঅর্থাৎ, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) হতে, যা তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ডে ও ৫ম, ৬ষ্ঠ খন্ডে উল্লেখ আছে।     </div><div style="text-align: justify;">ইহার সমর্থনে আরেকটি রেওয়ায়েত ইমাম আবুল হাছান আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাবিব বাছরী বাগদাদী মাওয়ারদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৫০ হিজরী তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন, </div><div style="text-align: justify;">وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَتَى يَعْرِفُ الْإِنْسَانُ رَبَّهُ؟ قَالَ: إذَا عَرَفَ نَفْسَهُ</div><div style="text-align: justify;">-“অবশ্যই হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষ কখন রব তা’আলাকে চিনতে পারে? রাসূল ( ﷺ‎‎) বললেন: যখন সে নিজেকে চিনতে পারে।”(আদাবুদ দুনিয়া ওয়াদ দ্বীন, ১ম খন্ড, ৭৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম ছা’লাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪২৭ হিজরী হাদিসটি এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">كما جاء في الخبر: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ</div><div style="text-align: justify;">-“যেমন খবরে (হাদিসে) এসেছে ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।” (তাফছিরে ছা’লাবী, ১ম খন্ড, ২৭৯ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শারিহে বুখারী ইমাম শামছুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ সাফারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৯৫৬ হিজরী বলেন, </div><div style="text-align: justify;">وأما حديث: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ -“আর হাদিস হচ্ছে, ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(শরহে বুখারী লিছ সাফারী, ১ম খন্ড, ৪৫৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১০১৪ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">وَفِي الْحَدِيثِ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ -“আর হাদিস শরীফে আছে, ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।” (ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৮২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা জয়নুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে মাদউ বি’আব্দির রউফ আল মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১০৩১ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেন, ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।” (আল্লামা মানাভী: আত তাইছির বি’শরহে জামেইছ ছাগীর, ১ম খন্ড, ৪৯৩ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৫০৫ হিজরী বলেন:</div><div style="text-align: justify;">وقال النبي صلى الله عليه وسلم: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেন, ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(ইমাম গাজ্জালী: কিমিয়ায়ে সাদাৎ, ১ম খন্ড, ১২৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস, ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">ولذلك رَبَطَ النَّبِيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسَلَّمَ معرفةَ الحقِّ بمعرفة النّفس، فَقَالَ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ عَرَفَ رَبَّهُ</div><div style="text-align: justify;">-“এ কারণেই আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) স্বীয় স্বত্বার পরিচিতির মাধ্যমে হক্বকে চিনেছেন এবং সার্বক্ষনিক চক্ষুষ্মান ধ্যানে থাকতেন। আর তিনি বলেছেন: যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, ৪৬তম খন্ড, ৩৭৮ পৃ: ৫৪৯ নং রাবীর ব্যাখ্যায়;)</div><div style="text-align: justify;">  </div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আবুল হাছান আলী ইবনে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী ওয়াহেদী নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৬৮ হিজরী বলেন: </div><div style="text-align: justify;">ما روي فِي الحديث: من عرف نفسه عرف ربه -“হাদিস শরীফে যা রয়েছে: যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(তাফছিরে ওয়াছিত লিল ওয়াহেদী, ১ম খন্ড, ২১৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইমাম রাগেব ইস্পাহানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৫০২ হিজরী তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">وَفِي أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ، وقال عليه السلام:  أعلمكم بنفسه أعلمكم بربه، وقيل فيما أنزل الله في السفر الأول: من عرف نفسه فقد عرف ربه وإلى نحو ذلك أشار بقوله عز وجل: {وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ نَسُوا اللَّهَ فَأَنْسَاهُمْ} تنبيهاً أنهم لو تفكروا في أنفسهم لما خفي معرفته عليهم.</div><div style="text-align: justify;">-“তোমাদের মধ্যেই আমার নিদর্শন রয়েছে তোমরা কেন দেখনা? তোমরা নিজেদেরকে জানতে পারলে রব তা’আলাকে জানতে পারবে। কেউ কেউ বলেন, সফরের প্রথমে যা নাজিল হয়েছে। যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’। অনুরূপ ঈশারা রয়েছে আল্লাহ তা’আলার এই বাণীর মধ্যে, যারা তাদের রবকে ও নিজেদেরকেও ভুলে গেছে তোমরা তাদের অন্তর্ভূক্ত হইওনা।”(তাফছিরে রাগেব ইস্পাহানী, ১ম খন্ড, ৫৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৬০৬ হিজরী বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَقَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ عَرَفَ رَبَّهُ مَعْنَاهُ مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْحُدُوثِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالْقِدَمِ، وَمَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْإِمْكَانِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالْوُجُوبِ، وَمَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْحَاجَةِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالِاسْتِغْنَاءِ،</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর কউল হল, যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’ এর অর্থ হল: যারা নশ্বরের মধ্যে নিজেকে চিনবে সে অবিনশ্বর সত্ত¡াকে চিনবে। যে তার নিজেকে স্থান সমূহে চিনবে সে তার রবকে চিরস্থায়ীভাবে চিনবে। যে তার হাজতের মাধ্যমে আল্লাতে চিনবে সে সাহায্য পাওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলাকে চিনবে।”(ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী: তাফছিরে কবীর, ৯ম খন্ড, ৪৬০ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা আলাউদ্দিন আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম ইবনে উমর আল মারুফ খাজেন ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৭৪১ হিজরী বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وقد جاء من عرف نفسه فقد عرف ربه ومعناه: أن يعرف نفسه بالذل والعجز والضعف والفناء، ويعرف ربه بالعز والقدرة والقوة والبقاء</div><div style="text-align: justify;">-“অবশ্যই (হাদিসে) এসেছে, যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’। এর অর্থ হল: নিশ্চয় যে ব্যক্তি তার নিজের অচল অবস্থা, দুর্বলতা ও ক্ষণস্থায়িত্বতাকে চিনবে সে কুদরত, শক্তি ও চিরস্থায়ী রব তা’আলাকে চিনবে।”(তাফছিরে খাজেন, ১ম খন্ড, ৮৩ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা নিজামুদ্দিন হাছান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হুছাইন নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৮৫০ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন:  </div><div style="text-align: justify;">قال صلى الله عليه وسلم مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(তাফছিরে নিছাপুরী, ২য় খন্ড, ১৭৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লামা শামছুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল খতিব শাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৯৭৭ হিজরী বলেন, روي: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ </div><div style="text-align: justify;">-“বর্ণিত আছে, যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’।”(তাফছিরে সিরাজুম মুনীর, ৩য় খন্ড, ২০৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম ইবনে আলী ইবনে আছেম ইস্পাহানী মাশহুর ইবনে মুকরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৩৮১ হিজরী একটি সনদসহ আছার উল্লেখ করেন:</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَحْمَدُ قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيَّ قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: قَالَتِ الْعُلَمَاءُ: لَا يَضُرُّ الْمَدْحُ مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ</div><div style="text-align: justify;">-“ইব্রাহিম ইবনে সাঈদ আল জাওহারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, আমি সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে বলতে শুনেছি, উলামায়ে কেরাম বলেন: যে তার নিজকে চিনল সে আনন্দকে প্রত্যাহার করবেনা।”(মু’জামে ইবনে মুকরী, হাদিস নং ৪০৬; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৭ম খন্ড, ৩০২ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৩০ হিজরী উল্লেখ করেন, </div><div style="text-align: justify;">وَسُئِلَ سَهْلٌ عَنْ قَوْلِهِ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ، قَالَ: مَنْ عَرَّفَ نَفْسَهُ لِرَبِّهِ عَرَّفَ رَبَّهُ لِنَفْسِهِ</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত সাহল (رضي الله عنه) কে এই হাদিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল যে ‘যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’ তিনি বলেন: যে তার রবের জন্য নিজকে চিনবে সে তার নিজের জন্য রব তা’আলাকে চিনবে।”(ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ১০ম খন্ড, ২০৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পূর্বসূরী আইম্মায়ে কেরামের অনেকেই ইহাকে হাদিসে রাসূল হিসেবে স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেছেন। একদিকে ইহা রেওয়ায়েত বিল মায়ানা হিসেবে ‘হাদিসে রাসূল’ ও অন্যদিকে ইহা হযরত আলী (رضي الله عنه) এর কউল হিসেবে ‘হাদিস’।</div><div style="text-align: justify;">অপরদিকে হযরত সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কউল, যা রেওয়ায়েত আকারে প্রমাণিত। কেউ কেউ এই হাদিসটুকুকে ইমাম নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর ‘কউল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।(আল্লামা ফুলতলী ছাহেব: আনওয়ারুছ ছালিকীন, ১৭ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে হিজরী ১১শ শতাব্দির মোজাদ্দেদ, হানাফী মাজহাবের উজ্জল নক্ষত্র, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে লিখেন:</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ النَّوَوِيُّ إِنَّهُ لَيْسَ بِثَابِتٍ يَعْنِي عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَإِلَّا فَمَعْنَاهُ ثَابِتٌ</div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম নববী (رضي الله عنه) বলেন: এই হাদিসের ‘মাআনা’ বা ভাবার্থ ছাবিত রয়েছে।” (ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মউজুয়াতুল কবীর, ১২২ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: আসরারুল মারফুয়া, ২৩৮ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে হিজরী ৯ম শতাব্দির মুজাদ্দেদ, হাফিজুল হাদিস, ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (رضي الله عنه) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وللحافظ السيوطي فيه تأليف لطيف سماه القول الأشبه في حديث  </div><div style="text-align: justify;">-“হাফিজ জালালুদ্দিন ছিয়তী (رضي الله عنه) এই হাদিস সম্পর্কে সূক্ষ বিশ্লেষণ করে ইহার নাম রেখেছেন হাদিসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ‘কউল’।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ২৩৪ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: আল হাবী লিল ফাতওয়া, ২য় খন্ড, ২৮৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইমাম ইসমাঈল আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে লিখেছেন,</div><div style="text-align: justify;">أن الشيخ محي الدين قال هذا الحديث وإن لم يصح من طريق الرواية فقد صح عندنا من طريق الكشف. </div><div style="text-align: justify;">-“নিশ্চয় শায়খ মহিউদ্দিন ইবুল আরাবী (رضي الله عنه) বলেন: ইহা হাদিস, তবে ইহা সনদের রেওয়ায়েত দ্বারা ছহীহ্ প্রমাণিত নয় কিন্তু কাশফের ত্বরিকা দ্বারা বিশুদ্ধ প্রমাণিত।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ২৩৪ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হাফিজ ইবনে তাইমিয়া সনদান ইহাকেموضوع  বললেও অন্য কিতাবে তিনি ইহাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:</div><div style="text-align: justify;">مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْعُبُودِيَّةِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالرُّبُوبِيَّةِ وَمَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْفَقْرِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالْغِنَى وَمَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْعَجْزِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالْقُدْرَةِ وَمَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ بِالْجَهْلِ عَرَفَ رَبَّهُ بِالْعِلْمِ </div><div style="text-align: justify;">-“যে ব্যক্তি তার নিজেকে ইবাদতের দ্বারা চিনবে সে রবের রবুবিয়্যাতের মাধ্যমে রবকে চিনবে। যে তার নিজেকে দরিদ্রতার দ্বারা চিনবে সে রবকে ধনী হিসেবে চিনবে। যে তার নিজেকে অসহায়ত্ব দ্বারা চিনবে সে তার রবকে কুদরত দ্বারা চিনবে। যে তার নিজেকে অজ্ঞতা দ্বারা চিনবে সে তার রবকে জ্ঞানী হিসেবে চিনবে।”(হাফিজ ইবনে তাইমিয়া: মাজমুয়ায়ে ফাতওয়া, ৯ম খন্ড, ২৯৭ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাফিজ ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র হাফিজ ইবনে কাইউম জাওযিয়া তদীয় কিতাবে বলেন:</div><div style="text-align: justify;">مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ عَرَفَ رَبَّهُ وَلَيْسَ هَذَا حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّمَا هُوَ أَثَرٌ</div><div style="text-align: justify;">-“যে নিজকে নিজে চিনল সে রবকে চিনিল’ ইহা রাসূল ( ﷺ‎‎) থেকে কোন হাদিস নয়, নিশ্চয়  ইহা ‘আছার’।”(মাদারেজুস সালেকীন, ১ম খন্ড, ৪২৬ পৃ)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং ইহা স্পষ্ট হল যে, ইহা “রেওয়ায়েত বিল মাআনা” হিসেবে হাদিস। এ ব্যাপারে ইমাম নববী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম মহিউদ্দিন ইবনুল আরবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইবনে কাইউম জাওযী সহ সকলেই একমত। তাই যা আইম্মায়ে কেরাম “রেওয়ায়েত বিল মাআনা” হিসেবে গ্রহণ করেছেন তা নিয়ে কটাক্য করা চরম মূর্খতা বৈ কিছু নয়।</div><div style="text-align: justify;">সর্বোপরি এই হাদিসের মাআনাটি পবিত্র কোরআন দ্বারাও প্রমাণিত। যেমন মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,</div><div style="text-align: justify;">سَنُرِيهِمْ آياتِنا فِي الْآفاقِ وَفِي أَنْفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ</div><div style="text-align: justify;">-“আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করব পৃথিবীর দিঘন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ঠ নয়? (সূরা হামীম সেজদা, আয়াত নং ৫৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, সৃষ্টিজগতের যেকোন বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করলে তা আল্লাহ তা’আলার অস্তিত্ব, কুদরত ও তাঁর একত্যবাদের সাক্ষী দেয়। অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,</div><div style="text-align: justify;">وَفِي أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُونَ -“তোমাদের নিজেদের মধ্যেই আল্লাহর নিদর্শন রয়েছে, তোমরা কি দেখনা (অনুধাবন করবেনা)? (সূরা জারিয়াত: আয়াত নং ২১)</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, তোমরা নিজেকে নিয়ে চিন্তা করলেই আল্লাহ তা’আলার নির্দশন পাবে তথা আল্লাহ তা’আলার সন্ধান পাবে।</div><div style="text-align: justify;">-------------------------------</div>

নাফ্ছকে চিনলে রবকে চিনা যায়

নাফ্ছকে চিনলে রবকে চিনা যায় قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ عَرَفَ نَفْسَهُ فَقَدْ عَرَفَ رَبَّهُ -“রাসূলে পাক (...

Read more »

নবীজিকে না বানাইলে কোন কিছুই বানাইতেন না।

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজিকে না বানাইলে কোন কিছুই বানাইতেন না।</div><div style="text-align: justify;">لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْأَفْلَاكَ</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহ তা’আলা বলেন: হে নবী! আপনাকে না বানাইলে কোন কিছুই বানাইতাম না।”</div><div style="text-align: justify;">(আল্লামা ইমাম ইসমাইল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩২৯ পৃ:; ও ৪৩০ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মাওজুয়াতুল কবীর, ১০১ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৪৮ পৃ:; মুজাদ্দেদ আলফেছানী: মাকতুবাত ৯ম খন্ড, ১৫৫ পৃ:; মাকতুবাত নং ১২২-এ উল্লেখ করেছেন; হুজুর গাউছে: ছেররুল আছরার, ১০২ পৃ:; মাওলানা হুছাইন আহমদ মাদানী: আশ শিহাবুছ ছাকিব, ৫০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ছাগানী ইহাকে মওজু বলেছেন। তবে হিজরী ১১শ শতাব্দির মুজাদ্দেদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটি উল্লেখ করেই বলেছেন لَكِنَّ مَعْنَاهُ صَحِيحٌ -“আমি বলছি: কিন্তু ইহার মাআনা ছহীহ্।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মাওজুয়াতুল কবীর, ১০১ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ১৪৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অনুরূপ ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وأقول لكن معناه صحيح وإن لم يكن حديثا. -“আমি (আজলুনী) বলি: কিন্তু ইহার অর্থ ছহীহ্, যদিও ইহা (সনদগত) হাদিস নয়।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, হাদস নং ২১২৩;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যেমন একটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,</div><div style="text-align: justify;">عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَرْفُوعًا أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ النَّارَ </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে মারফূ সূত্রে বর্ণিত আছে যে, জিব্রাইল (عليه السلام) এসে বললেন: হে মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া ছাল্লাম) আল্লাহ তা’আলা আপনাকে না বানাইলে জান্নাত ও জাহান্নাম বানাইতেন না।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ৩৩৮; দায়লামী শরিফ, হাদিস নং ৮০৩১; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, ১১তম খন্ড, ৪৩১ পৃ: হাদিস নং ৩২০২৫; সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৭৫ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কবীর, ১০১ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, হাদিস নং ৫১; আব্দুল হাই লাখনভী: ‘আছারুল মারফূয়া, ১ম জি: ৪৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এজন্যই হয়ত মহান আল্লাহ হযরত আদম (عليه السلام) কে বলেছেন:-</div><div style="text-align: justify;">وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ -“হে আদম! আমি মুহাম্মদ কে না বানাইলে তোমাকেও বানাইতাম না।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম বায়হাক্বী: দালাইলুন্নবুয়াত, ৫ম খন্ড, ৪৮৮ পৃ:; আল্লামা ছামহুদী: অফাউল অফা, ২য় জি: ২২২ পৃ:; মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ: ছহীহ্ সনদে;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনায় আছে,</div><div style="text-align: justify;">عَن عَليّ بن أبي طَالب، رَضِي الله تَعَالَى عَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّهُ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ أَرْضِي، وَلَا سَمَائِي</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত আলী (رضي الله عنه) হযরত রাসূল ( ﷺ‎‎) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) মহান আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন: ওহে মুহাম্মদ! আমার ইজ্জত ও জালালের কসম! আপনাকে না বানাইলে আসমান জমীন কিছুই বানাইতাম না।”</div><div style="text-align: justify;">(ইবনে সাবা র: এর ‘শিফাউছ ছুদুর’ গ্রন্থে; নজহাতুল মাজালিস, ২য় খন্ড, ১১৯ পৃ:; ইনসানুল উয়ূন, ১ম খন্ড, ৩১৭ পৃ:; সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৭৫ পৃ:; হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২০২৫;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে অন্য হাদিসে আছে,</div><div style="text-align: justify;">أخبرنا أبو يعقوب يوسف بن أيوب بن يوسف بن الحسين بن وهرة الهمذاني بمرو نا السيد أبو المعالي محمد بن محمد بن زيد الحسيني إملاء بأصبهان وأخبرنا أبو محمد بن طاووس أنا أبو القاسم بن أبي العلاء قالا أنا أبو القاسم عبد الرحمن بن عبيد الله بن عبد الله السمسار أنا حمزة بن محمد الدهقان نا محمد بن عيسى بن حبان المدائني نا محمد بن الصباح أنا علي بن الحسين الكوفي عن إبراهيم بن اليسع عن أبي العباس الضرير عن الخليل بن مرة عن يحيى عن زاذان عَنْ سَلْمَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عن الله تعالى لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الدُّنْيَا</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত ছালমান ফারছী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) আল্লাহ তা’আলা হতে বলেছেন: হে নবী! আপনাকে না বানাইলে দুনিয়া বানাইতাম না।”</div><div style="text-align: justify;">(তারিখে ইবনে আসাকির, ৩য় খন্ড, ৫১৭ পৃ:, হাদিস নং ৮০১; ইমাম ছিয়তী: খাছাইছুল কুবরা, ২য় খন্ড, ৩৩০ পৃ:; কাজী আয়্যায: শিফা শরীফ, ২য় খন্ড, ১০৫ পৃ:; শরফুল মুস্তফা, ৪র্থ খন্ড, ৩৩১ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৫৫ পৃ:; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৭৫ পৃ:; ইমাম যুরকানী: শরহে মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, ১৮২ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কবির, ১০১ পৃ: মারফূ সনদে; সনদ ওয়াহী।)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে আরেক রেওয়ায়েতে আছে,</div><div style="text-align: justify;">هذا نور نبى من ذريتك اسمه فى السماء أحمد، وفى الأرض محمد، لولاه ما خلقتك</div><div style="text-align: justify;">-“আদম (عليه السلام) কে আল্লাহ বললেন ইহা নূরে মুহাম্মদী যে তোমার বংশধরদের মধ্যে একজন। আসমানে তাঁর নাম আহমাদ, জমীনে তাঁর নাম মুহাম্মদ। যদি তিনি না হতেন আমি আসমান-জমীন এমনকি তোমাকেও বানাইতাম না।”(ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৭০ পৃ:;)  এ সম্পর্কে আরেক হাদিসে আছে,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَمْشَاذَ الْعَدْلُ، إِمْلَاءً، ثنا هَارُونُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْهَاشِمِيُّ، ثنا جَنْدَلُ بْنُ وَالِقٍ، ثنا عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عِيسَى آمِنْ بِمُحَمَّدٍ وَأْمُرْ مَنْ أَدْرَكَهُ مِنْ أُمَّتِكَ أَنْ يُؤْمِنُوا بِهِ فَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ آدَمَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَا النَّارَ وَلَقَدْ خَلَقْتُ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ فَاضْطَرَبَ فَكَتَبْتُ عَلَيْهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولٌ اللَّهِ فَسَكَنَ </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহ তা’আলা ঈসা (عليه السلام) এর প্রতি ওহী করলেন। হে ঈসা! তুমি মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) এর প্রতি ঈমান আন ও তোমার উম্মতদেরকে আদেশ দাও তারা যেন আমার নবীকে দেখা মাত্র ঈমান আনে। কেননা যদি মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) কে না বানাইতাম তাহলে আদম (عليه السلام) কেও বানাইতাম না। আমি যদি মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) কে না বানাইতাম তাহলে জান্নাত ও জাহান্নাম বানাইতাম না। আর অবশ্যই পানির উপরে আমার আরশ সৃষ্টি করেছিলাম ফলে ইহা নড়াচড়া করছিল, অত:পর ইহার উপর লিখে দিলাম “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” ফলে আরশ থেমে গেল।”</div><div style="text-align: justify;">(ইমাম হাকেম আল-মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: খাছায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড, ২৯ পৃ:; আবু বকর ইবনে খিলাল তাঁর ‘আস সুন্নাহ’ গ্রন্থে, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ:, হাদিস নং ৩১৬; শিফাউছ ছিকাম; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ৪র্থ খন্ড, ৩০৭ পৃ:; ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, ৫ম খন্ড, ৩৪৩ পৃ:; আলবানী: সিলসিলায়ে আহাদিছুদ দ্বায়িফা, ১ম খন্ড, ৪৪৮ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস উল্লেখ করে ইমাম হাকেম নিছাপুরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: </div><div style="text-align: justify;">هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ -“এই হাদিসের সনদ ছহীহ্।”(মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (رضي الله عنه) ও আল্লামা নূরুদ্দিন আলী ইবনে আহমদ ছামহুদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে হাদিসটি ছহীহ্ হওয়ার কথা এভাবে লিখেছেন: وَأخرج الْحَاكِم وَصَححهُ -“হাকেম হাদিসখানা বের করেছেন ও ইহাকে ছহীহ্ বলেছেন।” </div><div style="text-align: justify;">(ইমাম ছিয়তী: খাছায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড, ২৯ পৃ:; আল্লামা ছামহুদী: অফাউল অফা, ৪র্থ জি: ২২৪ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, জান্নাত-জাহান্নাম সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎)কে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি হযরত আদম (عليه السلام) কে বানাইবার পূর্বেই আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) কে সৃষ্টি করেছেন। এরূপ অনেক হাদিস রয়েছে। সর্বোপরি প্রমাণিত হল যে, রাসূল ( ﷺ‎‎) এর উছিলায় আল্লাহ সব কিছু তৈরী করেছেন। অর্থাৎ, রাসূল ( ﷺ‎‎) কে না বানাইলে আল্লাহ আসমান জমীন, জান্নাত জাহান্নাম, দুনিয়া এক কথায় কোন কিছুই বানাইতেন না। আর এই কথাটাকেই বলা হয়: لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْأَفْلَاكَ  -“আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না।”</div><div style="text-align: justify;">---------------------------</div>

নবীজিকে না বানাইলে কোন কিছুই বানাইতেন না।

নবীজিকে না বানাইলে কোন কিছুই বানাইতেন না। لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْأَفْلَاكَ -“আল্লাহ তা’আলা বলেন: হে নবী! আপনাকে না বানাইলে কোন কিছুই বা...

Read more »

ইসমে আযম কি?

<div class="flex-1 overflow-hidden"><div class="h-full"><div class="react-scroll-to-bottom--css-nmzce-79elbk h-full"><div class="react-scroll-to-bottom--css-nmzce-1n7m0yu"><div class="flex flex-col text-sm md:pb-9"><article class="w-full text-token-text-primary focus-visible:outline-2 focus-visible:outline-offset-[-4px]" data-scroll-anchor="true" data-testid="conversation-turn-9" dir="auto"><div class="m-auto text-base py-[18px] px-3 md:px-4 w-full md:px-5 lg:px-4 xl:px-5"><div class="mx-auto flex flex-1 gap-4 text-base md:gap-5 lg:gap-6 md:max-w-3xl lg:max-w-[40rem] xl:max-w-[48rem]"><div class="group/conversation-turn relative flex w-full min-w-0 flex-col agent-turn"><div class="flex-col gap-1 md:gap-3"><div class="flex max-w-full flex-col flex-grow"><div class="min-h-8 text-message flex w-full flex-col items-end gap-2 whitespace-normal break-words [.text-message+&]:mt-5" data-message-author-role="assistant" data-message-id="9fc0821f-0576-4edb-a21e-6264b47ffaeb" data-message-model-slug="gpt-4o" dir="auto"><div class="flex w-full flex-col gap-1 empty:hidden first:pt-[3px]"><div class="markdown prose w-full break-words dark:prose-invert dark"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><p style="text-align: justify;">ইসমে আযম বলতে বোঝায় আল্লাহর সেই বিশেষ নাম, যার মাধ্যমে দোয়া করলে তা কবুল হয়। বিভিন্ন হাদিস ও ইসলামি গ্রন্থে ইসমে আযম নিয়ে কিছু বর্ণনা রয়েছে, যদিও নির্দিষ্টভাবে কোন নামটি ইসমে আযম সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। তবে আলেমদের মতে, কিছু দোয়া ও জিকির আছে যেগুলোতে আল্লাহর ইসমে আযম রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।</p><h3 style="text-align: justify;">কিছু ইসমে আযমের জিকির</h3><p style="text-align: justify;">১. <strong>اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللهُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، الأَحَدُ، الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ</strong></p><ul><li style="text-align: justify;">বাংলা অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এই কারণে যে, তুমি একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, তুমি একক, সব কিছুর উপর নির্ভরশীল, তুমি জন্ম দাও না এবং তোমার জন্মও হয়নি, এবং তোমার সমকক্ষ কেউ নেই।"</li><li style="text-align: justify;"><strong>সহিহ বুখারি</strong> ও <strong>সহিহ মুসলিম</strong>-এ হাদিস আছে, যা থেকে বোঝা যায়, এই জিকিরে ইসমে আযম রয়েছে।</li></ul><p style="text-align: justify;">২. <strong>يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ</strong></p><ul><li style="text-align: justify;">বাংলা অর্থ: "হে চিরঞ্জীব, হে সৃষ্টির ধারক ও পালনকর্তা! তোমার করুণার আশ্রয়ে আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি।"</li><li style="text-align: justify;">হাদিস অনুযায়ী, এটি ইসমে আযম হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।</li></ul><p style="text-align: justify;">৩. <strong>اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَسْمَائِكَ الْحُسْنَى كُلِّهَا</strong></p><ul><li style="text-align: justify;">বাংলা অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমার সমস্ত সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে তোমার কাছে প্রার্থনা করছি।"</li><li style="text-align: justify;">এটি আল্লাহর সমস্ত গুণবাচক নামের মাধ্যমেই প্রার্থনা করা, যা ইসমে আযমের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়।</li></ul><h3 style="text-align: justify;">ইসমে আযমের জিকিরের ফজিলত</h3><p style="text-align: justify;">ইসমে আযমের মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন বলে হাদিসে এসেছে। রাসূল (সা.) বলেছেন:</p><blockquote style="text-align: justify;"><p>"যে ব্যক্তি ইসমে আযমের মাধ্যমে দোয়া করে, তার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়।"</p></blockquote><ul><li style="text-align: justify;">(তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০৫)</li></ul></div></div></div></div></div></div></div></div></article></div></div></div></div></div>

ইসমে আযম কি?

ইসমে আযম বলতে বোঝায় আল্লাহর সেই বিশেষ নাম, যার মাধ্যমে দোয়া করলে তা কবুল হয়। বিভিন্ন হাদিস ও ইসলামি গ্রন্থে ইসমে আযম নিয়ে কিছু বর্ণনা রয়েছে,...

Read more »

নেক বান্দাগণের আলোচনা কালে রহমত নাজিল হয়

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নেক বান্দাগণের আলোচনা কালে রহমত নাজিল হয়</div><div style="text-align: justify;">قوله صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذِكْرِ الصَّالِحِينَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: নেক বান্দাহগণের আলোচনার সময় রহমত নাজিল হয়।”(ইমাম গাজ্জালী: এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ২য় খন্ড, ২৩১ পৃ:; আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুস সালাম সাফুরী রঃ ওফাত ৮৯৪ হিজরী: নজহাতুল মাজালিছ ওয়া মুন্তাখাবুন নাফাইছ, ১ম খন্ড, ৩ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ২৯২ পৃ:; আবু আলী ছদরুদ্দিন বুকরা দামেস্কী (রঃ) ওফাত ৬৫৬ হি.: কিতাবু আরবাইনা হাদিসান, ১ম খন্ড, ৫২ পৃ:; ইমাম আহমদ: আল ওয়ারাআ, হাদিস নং ২৬৭; হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বা: জামেউল বায়ানু ওয়া ফাদ্বলিহী, ৩য় খন্ড, ৪১৫ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৬৭৮ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: শরহে শিফা, ১ম খন্ড, ৬০ পৃ:; জামেউল অয়াইল ফি শরহে শামাইল, ১ম খন্ড, ৫ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ১৬১ পৃ:; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ২য় খন্ড, ৩৯৭ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৬৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">ইমাম আসকালানী ও হাফিজ ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: </div><div style="text-align: justify;">لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ فِي الْمَرْفُوعِ -“ইহা মারফূভাবে কোন ভিত্তি নেই।” ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ الْعِرَاقِيُّ فِي تَخْرِيجِ الْإِحْيَاءِ لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ فِي الْمَرْفُوعِ وَإِنَّمَا هُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ</div><div style="text-align: justify;">-“হাফিজ ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার ‘তাখরিজে এহইয়া’ গ্রন্থে বলেন, মারফূ রূপে এর কোন ভিত্তি নেই, নিশ্চয় ইহা সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (رضي الله عنه) এর কউল।”(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুয়া, হাদিস নং ৩০৬;)  যেটা সনদসহ ইমাম ইবনু আব্দিল র্বা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قَرَأْتُ عَلَى أَبِي عُثْمَانَ سَعِيدِ بْنِ نَصْرٍ أَنَّ قَاسِمَ بْنَ أَصْبَغَ حَدَّثَهُمْ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَضَّاحٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي إِسْرَائِيلَ يَقُولُ سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ عِنْدَ ذِكْرِ الصَّالِحِينَ تَتَنَزَّلُ الرَّحْمَةُ</div><div style="text-align: justify;">-“ইবনু আঈ ইসরাঈল বলেন আমি সুফিয়ান ইবনু উয়াইনাহ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: নেক বান্দাহগণের আলোচনা কালে রহমত নাজিল হয়।”  (ইমাম ইবনু আব্দিল র্বা: আত তামহীদ, ১৭তম খন্ড, ৪২৯ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;">সনদসহ সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কউলটি ইমাম আহমদ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেছেন, </div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ حَدَّثَنِي أََبِي قَالَ قَالَ سُفْيَانُ: كَانَ يُقَالُ عِنْدَ ذِكْرِ الصَّالِحِينَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ قِيلَ: مَنْ ذَكَرَهُ؟ قَالَ: بَعْضُ الْعُلَمَاءِ</div><div style="text-align: justify;"> -“আহমদ বলেন আমার কাছে আমার পিতা বর্ণনা করেন, তিলিন, হযরত সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: নেক বান্দাগণের আলোচনার সময় রহমত নাজিল হয়। বলা হল, ইহা কে উল্লেখ করেছেন? তিনি বললেন: কোন কোন উলামাগণ।”(ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল: আয যুহদ, ১ম খন্ড, ২৬৪ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">ইহা আরেকটি সূত্রে মুহাম্মদ ইবনে নাদ্বর আল হারেসী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকেও বর্ণিত আছে,</div><div style="text-align: justify;">أخبرنا عبيد الله بن محمد بن أحمد ، قال : ثنا جعفر بن محمد بن نصير ، قال : ثنا أحمد بن محمد بن مسروق ، قال : ثنا محمد بن الحسين البرجلاني ، قال : سمعت الحسن بن الربيع ، قال : سمعت ابن المبارك ، بالمصيصة وذكر علي بن الفضيل ، فجعل يذكر مناقبه ، قال : فسأله رجل عن حديث ، فقال : دعنا فإن محمد بن النضر الحارثي كان يقول : عند ذكر الصالحين تنزل الرحمة</div><div style="text-align: justify;">-“নিশ্চয় মুহাম্মদ ইবনে নাদ্বর আল হারেছী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: নেক বান্দাহগণের আলোচনার সময় রহমত নাজিল হয়।” (শরহে উসুল এ’তেকাদ আহলু সুন্নাহ ওয়াল জামাত, রেওয়াত নং ২৩৭৩;) </div><div style="text-align: justify;">মুহাম্মদ ইবনে নাদ্বর আল হারেছী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ১৪১-১৫০ হি. সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন:- </div><div style="text-align: justify;">مِنْ أَوْلِيَاءِ اللَّهِ تَعَالَى إِنْ شَاءَ اللَّهُ، -“আল্লাহ চাহেতু তিনি আল্লাহর একজন ওলী।”(ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, ৩য় খন্ড, ৯৭৫ পৃ:;)  এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وقال الزمخشري في خطبه "رسالة في فضائل العشرة": ورد في صحيح الآثار المسندة عن العلماء الكبار أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: عند ذكر الصالحين تنزل الرحمة</div><div style="text-align: justify;">-“জামাখশারী তার খুতবে ‘রিছালায়ে ফি ফাদ্বাইলি আশারা’ গ্রন্থে বলেন: বড় বড় আলিম থেকে ছহীহ্ সূত্রে আছার বর্ণনা করেন যে, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: নেক বান্দাগণের আলোচনার সময় রহমত নাজিল হয়।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৬৫ পৃ:;)  এই হাদিস সম্পর্কে আরো উল্লেখ আছে:</div><div style="text-align: justify;">قَالَ ابْنُ الصَّلَاحِ فِي عُلُومِ الْحَدِيثِ رَوَيْنَا عَنْ أَبِي عُمَرَو إِسْمَاعِيلَ بْنِ نُجَيْدٍ أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا جَعْفَرٍ أَحْمَدَ ابْن حَمْدَانَ وَكَانَا عَبْدَيْنِ صَالِحَيْنِ فَقَالَ لَهُ بَأَيِّ نِيَّةٍ أَكْتُبُ الْحَدِيثَ قَالَ أَلَسْتُمْ تَرَوْنَ أَنَّ عِنْدَ ذِكْرِ الصَّالِحِينَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ فَقَالَ نَعَمْ قَالَ فَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأْسُ الصَّالِحِينَ</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লামা ইবনে ছিলাহ তাঁর উলুমুল হাদিসে বলেন: আমাদেরকে এই হাদিস বর্ণনা করেছেন হযরত আবু আমর ইসমাইল ইবনে মাজিদ। নিশ্চয় তিনি আবু জাফর ইবনে হামদান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কাছে সফর করেছিলেন, আর তাঁরা সকলেই ছিলেন নেক বান্দাহগণের অন্তর্ভূক্ত। তিনি ইবনে হামদান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন নিয়তে আপনি ইহা হাদিস লিখেন? তখন তিনি বললেন, আপনারা কি দেখেন না যে নেক বান্দাহগণের জিকিরের সময় রহমত নাজিল হয়? তিনি বললেন: হ্যাঁ। ফলে তিনি বললেন: আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) হলেন ছালেহীনগণের মূল বা শীর।”(ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ৬৫ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুয়া, হাদিস নং ৩০৬; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৭২০;)  </div><div style="text-align: justify;">ইমাম শামছুদ্দিন ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">أشار بذلك أن له أصلاً -“ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ঈশারা করলেন যে, ইহার ভিত্তি রয়েছে।” (তাখরিজু আহাদিছিল এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, ১৯২৯ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;) </div><div style="text-align: justify;">সুতরাং ইহা নির্ভরযোগ্য উলামাদের কাশ্ফের দ্বারা প্রমাণিত হাদিস এবং সনদের দ্বারা প্রমাণিত সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কউল। সর্বোপরি ইহাকে হাদিস বলে যুগে যুগে আলিমগণ সমর্থন করে বয়ান এসেছেন।</div><div style="text-align: justify;">-------------------------------</div>

নেক বান্দাগণের আলোচনা কালে রহমত নাজিল হয়

নেক বান্দাগণের আলোচনা কালে রহমত নাজিল হয় قوله صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذِكْرِ الصَّالِحِينَ تَنْزِلُ الرَّحْمَةُ -“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন...

Read more »

আদম যখন মাটি পানি তখনো রাসূল ( ﷺ‎‎) নবী ছিলেন

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আদম যখন মাটি পানি তখনো রাসূল ( ﷺ‎‎) নবী ছিলেন</div><div style="text-align: justify;">قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: كَنْتُ نَبِيّاً وَآدَمُ بَيْنَ المَاءِ وَالطِّينِ</div><div style="text-align: justify;">-“রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (عليه السلام) মাটি ও পানিতে ছিল।”(ইমাম আইনী: শরহে আবী দাউদ, ৩য় খন্ড, ৩৬০ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৫৬ পৃ:; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৬৫ পৃ:; তাফছিরে কবীর, ৩২তম খন্ড, ৩১১ পৃ:; আল লুভাব ফি উলুমিল কিতাব, ৪র্থ খন্ড, ৩০২ পৃ:; তাফছিরে নিছাপুরী, ২য় খন্ড, ৬ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১০ম খন্ড, ৪৩৯ পৃ:; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, ৫ম খন্ড, ৫৩ পৃ:; মুবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী, ১০ম খন্ড, ৫৬ পৃ:; কাশেম নানুতবী: তাহজিরুন নাস, ১০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ الزَّرْكَشِيُّ لَا أَصْلَ لَهُ بِهَذَا اللَّفْظِ وَلَكِنَّ فِي التِّرْمِذِيِّ مَتَى كُنْتُ نَبِيًّا قَالَ وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ وَفِي صَحِيحِ ابْنِ حِبَّانَ وَالْحَاكِمِ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ إِنِّي عِنْدَ اللَّهِ لَمَكْتُوبٌ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينِهِ</div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম জারকাশী বলেছেন, এই শব্দে ইহার (সনদসহ) কোন ভিত্তি নেই; কিন্তু তিরমিজি শরীফে রয়েছে, আপনি কখন থেকে নবী ছিলেন? প্রিয় রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদমের দেহ ও রুহ মাঝামাঝি ছিল। ছহীহ্ ইবনু হাব্বান ও হাকেমের মধ্যে রয়েছে, আমি তখনও আল্লাহর কাছে শেষনবী ছিলাম, যখন আদম (عليه السلام) মাটির মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।” (ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুআ, হাদিস নং ৩৫২;) </div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর দৃষ্টিতে হাদিসটি সনদের দ্বারা প্রমাণিত নয় তবে ইহার অর্থটা অন্যান্য ছহীহ্ হাদিস থেকে প্রমাণিত রয়েছে। হাফিজুল হাদিস, ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قَالَ السُّيُوطِيُّ وَزَادَ الْعَوَامُ وَلَا آدَمَ وَلَا مَاءَ وَلَا طِينَ وَلَا أَصْلَ لَهُ أَيْضًا يَعْنِي بِحَسَبِ مَبْنَاهُ وَإِلَّا فَهُوَ صَحِيحٌ بِاعْتِبَارِ مَعْنَاهِ لِمَا تَقَدَّمَ وَلِحَدِيثِ كُنْتُ أَوَّلُ النَّبِيِّينَ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ رَوَاهُ ابْنُ أبي حَاتِم فِي تَفْسِيره وَأَبُو نُعَيْمٍ فِي الدَّلَائِلِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا ذَكَرَهُ السُّيُوطِيُّ وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ حَدِيثِ مَيْسَرَةَ الْفَخْرِ بِلَفْظِ</div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, সাধারণগণ অতিরিক্তি আরো বলে- তখন আদম (عليه السلام) ছিলনা, পানি ও মাটিও ছিলনা, সনদের ভিত্তিগতভাবে ইহার কোন ভিত্তি নেই; তবে পূর্বের হাদিস গুলো অনুসরণে ইহার অর্থ ছহীহ্ প্রমাণিত। হাদিসের মধ্যে রয়েছে- সুষ্টির মধ্যে আমিই প্রথম নবী কিন্তু প্রেরিত হয়েছি সবার শেষে। ইমাম আবু হাতি তাঁর তাফছিরে ও ইমাম আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর দালাইলের মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন, যেমনটা ইমাম ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন, হযরত মাইছারা ফিখরী (رضي الله عنه) এর হাদিস থেকে ইহার শাওয়াহিদ বা সাক্ষ্য রয়েছে।(ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুআ, হাদিস নং ৩৫২;) </div><div style="text-align: justify;">সুতরাং ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর দৃষ্টিতে হাদিসটির শাওয়াহিদ রয়েছে বিধায় ইহা রেওয়ায়েত বিল মাআনা হিসেবে হাদিস।</div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন:</div><div style="text-align: justify;">لكن قال العلقمي في شرح الجامع الصغير: حديث صحيح. </div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম আলকামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘শরহে জামেউছ ছাগীর’-এ বলেন: এই হাদিস ‘ছহীহ্’।” (ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১২১ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">نعم ثَبت عِنْد الْحَاكِم فِي مُسْتَدْركه وَصَححهُ، وَأبي نعيم فِي حلية الْأَوْلِيَاء، وَالْبُخَارِيُّ فِي تَارِيخِهِ وَأَحْمَدُ فِي مُسْنَدِهِ عَنْ مَيْسَرَةَ الضَّبِّيِّ. قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ {مَتَى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ، وَعِنْدَ الْبَيْهَقِيِّ وَأَحْمَدَ مِنْ حَدِيثِ الْعِرْبَاض ابْن سَارِيَةَ مَرْفُوعًا: إِنِّي عِنْدَ اللَّهِ لَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ، وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ وَعِنْدَ التِّرْمِذِيِّ عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ إِنَّهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُّوَةُ؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ.</div><div style="text-align: justify;">-“হ্যাঁ ইহা প্রমাণিত রয়েছে ইমাম হাকেম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর মুস্তাদরাক গ্রন্থের হাদিস থেকে তিনি ঐ হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন, ইমাম আবু নুয়াইম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর হিলিয়াতুল আউলিয়া গ্রন্থে, ইমাম বুখারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর তারিখে, ইমাম আহমদ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর মুসনাদে হযরত মাইছারা দ্বাবী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন, আদম যখন দেহ ও রুহে মাঝামাঝি ছিল। ইমাম বায়হাক্বী ও আহমের নিকট হযরত ইরবাদ্ব বিন ছারিয়া (رضي الله عنه) হতে মারফূ সূত্রে বর্ণিত আছে, আমি তখনও আল্লাহর কাছে শেষনবী ছিলাম, যখন আদম (عليه السلام) মাটির মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) নিকট হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, নিশ্চয় তারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কখন থেকে আপনার নবুয়াত আবশ্য হয়েছে? প্রিয় রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যখন আদমের দেহ ও রুহ মাঝামাঝি ছিল।”(আল্লামা লাখনভী: আছারুল মারফূআ, ১ম খন্ড, ৪৫ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">অন্যত্র উল্লেখ আছে: فالحديث له اصل ثابت بالالفاظ المذكورة  </div><div style="text-align: justify;">-“এই হাদিসের মূল অন্য অনেক হাদিসের লফজের দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে।”(আল মাসনু, ১৪৩ পৃ: হাশিয়া;)  </div><div style="text-align: justify;">এই হাদিসের ভাবার্থ সঠিক প্রমাণে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা যায়। যেমন ইমাম মুহাম্মদ ইবনু সা’দ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনা করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قَالَ: أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ عَاصِمٍ الْكِلَابِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو هِلَالٍ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم: مَتَى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: بَيْنَ الرُّوحِ وَالطِّينِ مِنْ آدَمَ</div><div style="text-align: justify;">-“মুতাররাফ ইবনু আব্দিল্লাহ শাজরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় একজন ব্যক্তি আল্লাহর রাসূ ( ﷺ‎‎) কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কখন থেকে নবী ছিলেন? প্রিয় রাসূল ( ﷺ‎‎) বললেন, আদমের রুহ ও মাটি যখন মাঝামাঝি ছিল।”(ইমাম ইবনু সা’দ: তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খন্ড, ১১৮ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২১১৫;)  সুতরাং শাওয়াহিদ থাকায় হাদিসখানা গ্রহণযোগ্য ও ফাজায়েলের ক্ষেত্রে বয়ানযোগ্য।</div><div style="text-align: justify;">---------------------------</div>

আদম যখন মাটি পানি তখনো রাসূল ( ﷺ‎‎) নবী ছিলেন

আদম যখন মাটি পানি তখনো রাসূল ( ﷺ‎‎) নবী ছিলেন قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: كَنْتُ نَبِيّاً وَآدَمُ بَيْنَ المَاءِ وَالطِّينِ -“রাসূলে পাক ( ﷺ‎...

Read more »

নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে</div><div style="text-align: justify;">وفي رواية فعلمت علم الأولين والآخرين</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেন: আওয়াল থেকে আখের পর্যন্ত সকল এলেম আমি জেনে গেছি।” (আল্লামা ঈসমাইল হাক্বী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খন্ড, ৫০০ পৃ:; তাফছিরে ইবনে রজব হাম্বলী, ২য় খন্ড, ৫৫৫ পৃ:; সিরাতে হালভিয়া, ১ম খন্ড, ৩৭১ পৃ:; খুলাছাতুল আছার, ৩য় খন্ড, ২১৭ পৃ:; কাশেম নানুতবী: তাহজিরুন নাছ;)</div><div style="text-align: justify;">ইমাম কুরতবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেন: </div><div style="text-align: justify;">كَمَا أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلِمَ عِلْمَ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ -“যেমনিভাবে আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) আওয়াল ও আখেরের ইলিম অর্জন করেছেন।”(তাফছিরে কুরতুবী, ১৩তম খন্ড, ৩৫২ পৃ:;)  ইমাম মহিউদ্দিন তাবারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৬৯৪ হিজরী,</div><div style="text-align: justify;">وَكَانَ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خَاتم النَّبِيين وَسيد الْمُرْسلين وَأَتَاهُ الله علم الْأَوَّلين والآخرين</div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) ছিলেন শেষ নবী, সকল রাসূলগণের সর্দার। আল্লাহ পাক তাঁকে আওয়াল ও আখেরের ইলিম দান করেছেন।”(সিরাতে সায়্যেদুল বাশার, ১ম খন্ড, ১০৫ পৃ:;)  এ বিষয়ে একটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَبُو خَلِيفَةَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: مَنْ أَرَادَ الْعِلْمَ فَلْيُثَوِّرِ الْقُرْآنَ، فَإِنَّ فِيهِ عَلْمَ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ</div><div style="text-align: justify;">-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন, আল্লাহ যাকে ইলিম দেওয়ার ইচ্ছা করেন তাকে কোরআনের বাহক বানিয়ে দেন, কারণ কোরআনের মধ্যে আওয়াল ও আখেরের ইলিম রয়েছে।”(ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীরে, হাদিস নং ৮৬৬৬; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ১৮০৮; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩০০১৮; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১১৬৬৭;)  </div><div style="text-align: justify;">এই হাদিস সম্পকের্ত ইমাম হায়ছামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div style="text-align: justify;">رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ بِأَسَانِيدَ، وَرِجَالُ أَحَدِهَا رِجَالُ الصَّحِيحِ. -“ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) একাধিক সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন, এর একটি সনদের রাবীগণ বিশুদ্ধ।”(ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১১৬৬৭;)  এ ব্যাপারে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়, </div><div style="text-align: justify;">عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال: جَمَعَ الله في هذا الكتاب عِلْمَ الأوَّلين والآخرين، وعلم ما كان، وعلم ما يكون، </div><div style="text-align: justify;">-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, মহান আল্লাহ পাক এই কোরআনের আওয়াল ও আখেরের ইলিম একত্রিত করেছেন। ঐ ইলিম যা ইতিপূর্বে হয়েছে এবং যা পরবর্তীতে হবে।”(জামেউল উছুল, ৮ম খন্ড, ৪৬৪ পৃ: হাদিস নং ৬২৩৩; রজিন;)  </div><div style="text-align: justify;">অতএব, পবিত্র কোরআনের সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল ইলিম বিদ্যমান, আর সেই কোরআনের ধারক ও বাহক হলেন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা ( ﷺ‎‎)। স্বয়ং আল্লাহ পাক প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর কোরআনের ইলিম সম্পর্কে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">الرَّحْمَنُ عَلَّمَ الْقُرْآنَ -“দয়াময় আল্লাহ যিনি আপনাকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আর রহমান, ১-২ নং আয়াত)</div><div style="text-align: justify;">সুতরাং আওয়াল ও আখেরের ইলিম সমৃদ্ধ পবিত্র কোরআন প্রিয় নবীজি জানতেন তাই তিনি ইলমুল আওয়াল ওয়াল আখেরের অধিকারী ছিলেন। ইমাম আবু ফাতাহ শাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৯০ হিজরী আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">وَأَخْبَرَنِي أَبُو الْحَسَنِ السُّلَمِيُّ أنبا أَبُو الْقَاسِمِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ الإِمَامُ، ثنا أبو مُحَمَّدٍ الْوَرْدُ ثنا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ يَقُولُ: كُنْتُ حَاجًّا فِي بَعْضِ السِّنِينَ فَأَتَيْتُ مَسْجِدَ رَسُولِ اللِّه صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.. فَلَمَّا نَظَرَ إِلَى قَبْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: السَّلامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي لَقَدْ بَعَثَكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ كِتَابًا مُسْتَقِيمًا أَعْلَمَكَ فِيهِ عِلْمَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ</div><div style="text-align: justify;">-“ইবনে আবী মারইয়াম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, যখন কোন বছরে আমাদের কোন হাজত দেখা দিত ফলে আমরা আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) এর মসজিদে আসতাম। যখন আল্লাহর নবী ( ﷺ‎‎) এর রওজা মোবারক নজরে পড়ত তখন বলতাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কদমে আমার পিতা-মাতা কুরবানী হোক। অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে সু-সংবাদ দাতা ও ভীতিপ্রদর্শন কারী রূপে প্রেরণ করেছেন। আপনার উপর আল্লাহ পাক সঠিক পথের দিশা হিসেবে কোরআন নাজিল করেছেন। আর আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন ইহাতে আওয়াল ও আখেরের ইলিম।”(আবু ফাতাহ মাকদেছী: আল আমালী, ১ম খন্ড, ৫ পৃ:;)  </div><div style="text-align: justify;">এই রেওয়ায়েত দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) আওয়াল ও আখেরের ইলিম জানতেন আর স্বয়ং আল্লাহ পাক তাকে সেই ইলিম দান করেছেন। যেমন পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন: وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ -“হাবীব আমি আপনার যা কিছু অজানা ছিল সব কিছু জানিয়ে দিয়েছি।” (সূরা নিসা: ১১৩ নং আয়াত)</div><div style="text-align: justify;">--------------------------------</div>

নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে

নবীজিকে আওয়াল আখেরের ইলিম দেওয়া হয়েছে وفي رواية فعلمت علم الأولين والآخرين -“আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেন: আওয়াল থেকে আখের পর্যন্ত সকল এলেম আমি...

Read more »

প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর নূর প্রথম সৃষ্টি

<div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর নূর প্রথম সৃষ্টি</div><div style="text-align: justify;">قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أول مَا خلق الله نوري</div><div style="text-align: justify;">-“নবী করিম ( ﷺ‎‎) বলেন: আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন।”(আল্লামা মাহমুদ আলুছি বাগদাদী: তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ৮ম খন্ড ৪২৪ পৃ:; ১ম খন্ড, ৯০ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ১ম খন্ড ৩১১ পৃ:; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বূখারী, ১৫তম খন্ড, ১০৯ পৃ: ১৯১৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ২৭০ পৃ:; আল্লামা ইমাম ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৪২৯ পৃ:; মুফ্তী শফী: তাফছিরে মাআরেফুল কোরআন, সূরা আনআমের শেষের দিকে; শায়েখ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দেস দেহলভী: মাদারেজুন্নবুয়ত, ১ম খন্ড, ৭ পৃ:; তাফছিরে নিছাফুরী,وَجِئْنا بِكَ عَلى هؤُلاءِ شَهِيداً এই আয়াতের তাফছিরে; গাউছে পাক: ছিররুল আছরার, ৪৮ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">হিজরী ১০ম শতকের মুজাদ্দেদ, ভারত উপ-মহাদেশে যিনি সর্বপ্রথম জাহাজ দিয়ে হাদিসের কিতাব এনেছেন তিনি হলেন “মারকাজুল আসানিদ আল্লামা শায়েখ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দেছ দেহলভী (رضي الله عنه)” এই হাদিসকে (হাদিসটির মাআনাকে ছহীহ্ বলেছেন।)  বিশুদ্ধ বলে অভিমত পেশ করেছেন। যেমন,</div><div style="text-align: justify;">بدانك اول مخلوقات وواسطہ صدور كا ئنات وواسطہ خلق عالم وادم عليه السلام نور محمد صلى الله عليہ وسلم ست چنانچہ حديث در در صحيح دار دشده كہ اول ما خلق الله نورى وسائر مكونات علوى وسفلى ازاں  نور وازاں جوهر پاك پيدا شده-</div><div style="text-align: justify;">-“জেনে রেখ, সর্বপ্রথম সৃষ্টি এবং সকল মাখলুকাত তথা আদম সৃষ্টিরও একমাত্র মাধ্যম নূরে মুহাম্মদী ( ﷺ‎‎)। কেননা ”ছহীহ্” হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- اول ما خلق الله نورى ‘আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন’ এবং উর্ধ্ব ও নিম্ন জগতের সবই তাঁরই নূরে পাক ও মৌলিক সত্ত্বা থেকেই সৃষ্ট।”(শায়েখ আব্দুল হক্ব: মাদারেজুন নবুয়াত, ১ম খন্ড, ৭ পৃ:; ভাবার্থকে ছহীহ্ বলেছেন।) </div><div style="text-align: justify;">হযরত জাবের (رضي الله عنه) বর্ণিত নূরের হাদিসের ‘রেওয়ায়েত বিল মাআনা’ হিসেবে আইম্মায়ে কেরাম ইহাকে এভাবে বর্ণনা করেছেন। যেমন হাফিজ ইবনে হাজার হায়তামী মক্বী, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী, ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম যুরকানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) প্রমূখ লিখেছেন,</div><div style="text-align: justify;">قال عليه الصلاة والسلام: أول ما خلق الله نوري এভাবেই বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য আমার লিখিত ‘নূরে মুজাচ্ছাম’ কিতাবটি অধ্যয়ন করা অনুরুধ রইল। </div><div style="text-align: justify;">রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) নূর সর্বপ্রথম সৃষ্টির বিষয়টি হাফিজুল হাদিস, ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তিনার কিতাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وقال زين العرب في شرح المصابيح: يعارض هذا الحديث ما روى: إنَّ أوَّل ما خلق الله العقل، إنَّ أوَّل ما خلق الله نوري، إنَّ أول ما خلق الله الروح، إنَّ أول ما خلق الله العرش.</div><div style="text-align: justify;">ويجابُ بأنَّ الأولوية من الأمور الإضافية، فيؤوَّل أنَّ كل واحد مما ذكر خلق قبل ما هو من جنسه: فالقلم خلق قبل الأشجار. ونوره عليه الصلاة والسلام قبل الأنوار،</div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম জায়নুল আরব তাঁর ‘শারহু মাসাবিহ’ গ্রন্থে বলেছেন, এই হাদিস উল্লেখ করা হয় যা বর্ণিত হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বপ্রথম আকল সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম আল্লাহ আমার নূর সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বপ্রথম রুহ সৃষ্টি করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বপ্রথম আরশ সৃষ্টি করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">এই সর্বপ্রথম হওয়ার বিষয়ে জবাব হচ্ছে, প্রত্যেক প্রথমটি তার জিনসের মধ্যে প্রথম বুঝাবে। ফলে কলম সকল গাছের পূর্বে সৃষ্টি বুঝাবে, আর নবী করিম ( ﷺ‎‎) এর নূর মুবারক সকল নূরের পূর্বে সৃষ্টি।” (ইমাম ছিয়তী: কুউতুল মুগতাজী আলা জামেইত তিরমিজি, ১ম খন্ড, ৫১৬ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">এখানে ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) মাআনান إنَّ أوَّل ما خلق الله نوري কে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">হিজরী ১১শ শতাব্দির মুজাদ্দেদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ১০১৪ হিজরী} বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وَأَمَّا نُورُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فَهُوَ فِي غَايَةٍ مِنَ الظُّهُورِ شَرْقًا وغَرْبًا وَأَوَّلُ مَا خَلَقَ اللَّهُ نُورَهُ وَسَمَّاهُ فِي كِتَابِهِ نُورًا</div><div style="text-align: justify;">-“সৃষ্টির সর্বত্র প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর নূরানী সত্বাই সর্বাধিক পরিচিত ও প্রকাশিত। আল্লাহ তা’আলা তাঁর নূরানী সত্বাকে সর্বাগ্রে সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে নূর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।”(ইমাম মোল্লা আলী: মাওজুয়াতুল কবীর, ৮৬ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">বিশ্বখ্যাত মুফাচ্ছিরআল্লামা মাহমুদ আলুছী বাগদাদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতের তাফছিরে উল্লেখ করেন,</div><div style="text-align: justify;">ولذا كان نوره صلّى الله عليه وسلّم أول المخلوقات، ففي الخبر أول ما خلق الله تعالى نور نبيك يا جابر</div><div style="text-align: justify;">-“আর এ কারণেই তাঁর নূরানী সত্বা সমস্থ মাখলুকাতের পূর্বে সৃষ্টি এবং এ কথাই হাদিস শরীফে আছে: হে জাবের! আল্লাহ তা’আলা সর্বপ্রথম তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।”(তাফছিরে রুহুল মাআনী, ৯ম খন্ড, ১০০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">আল্লামা ইবনুল হাজ্জ আল মালেকী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ৭৩৭ হিজরী} তিনি বলেন,</div><div style="text-align: justify;">فِيهِ أَيْضًا أَنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ نُورُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَقْبَلَ ذَلِكَ النُّورُ يَتَرَدَّدُ وَيَسْجُدُ بَيْنَ يَدَيْ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ </div><div style="text-align: justify;">-“তার মধ্যে আছে, আল্লামা খতিব আবী রবিঈ এর ‘সিফাউছ ছিকাম’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলা যা সৃষ্টি করেছেন তা হল মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) এর নূর। অত:পর ঐ নূর ভূ-কম্পিত হচ্ছিল এবং আল্লাহ তা’আলার নিকট সেজদা করছিল।” (ইবনুল হাজ্জ: আল মাদ্খাল, ২য় খন্ড, ৩২ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;">বিশ্ব বিখ্যাত মুফাচ্ছির আল্লামা ইসমাঈল হাক্বী হানাফী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) {ওফাত ১১২৭ হিজরী} তদীয় কিতাবে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">وسمى الرسول نورا لان أول شىء أظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلى الله عليه وسلم كما قال أول ما خلق الله نورى </div><div style="text-align: justify;">-“আল্লাহ তা’আলা হযরত রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) এর নাম মোবারক রেখেছেন ‘নূর’। কেননা আল্লাহ তা’আলা তার কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা হল মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎) এর নূর। যেমন রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক আমার নূর সৃষ্টি করেছেন।”(তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩৭০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">হাজার বছরের মুজাদ্দেদ হযরত শায়েখ আহমদ ছেরহেন্দী মুজাদ্দেদ আল্ফেছানী (رضي الله عنه) তদীয় মাকতুবাতে বলেন: </div><div style="text-align: justify;">    -“হাকিকতে মুহাম্মদী বিকাশের দিক দিয়ে সর্বপ্রথম এবং সকল হাকিকতের হাকিকত। সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম (عليه السلام) ও ফেরেস্থাগণ হুজুর ( ﷺ‎‎) এর হাকিকতের নির্যাস। তাই রাসূলে খোদা ( ﷺ‎‎) বলেছেন, সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলা যা সৃষ্টি করেছেন তা হল আমার নূর। আরো বলেছেন যে, আমি আল্লাহর নূর হতে এবং সকল ইমানদারগণ আমার নূর হতে।”(মাকতুবাতে ইমামে রব্বানী, ৩য় খন্ড, ২৩১ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">দেখুন! হাজার বছরের মুজাদ্দেদ শায়েখ আহমদ ছেরহেন্দী মুজাদ্দেদ আল্ফেছানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর দৃষ্টিতেও রাসূলে করিম ( ﷺ‎‎) এর নূরে মুহাম্মদীকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">দেওবন্দের বিখ্যাত আলিম, মাওলানা রশিদ আহমদ গাংগুহী ছাহেব তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন, একজন প্রশ্ন করেন-</div><div style="text-align: justify;">سوال: اول ما خلق الله نورى اور لولاك لما خلقت الافلاك يہ دونوں حديثيں صحيح حديثيں ہیں يا وضعى ؟ كو وضعى بلاتا ہے-</div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন: সর্বপ্রথম আল্লাহ তা‘য়ালা যা সৃষ্টি করেছেন, তা হল আমার নূর এবং আপনাকে সৃষ্টি না করলে আসমানসমূহ এবং যমীন কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। এ মর্মে বর্ণিত হাদিসগুলো বিশুদ্ধ, নাকি জাল? যায়েদ নামক ব্যক্তি এগুলো কে জাল বলছে। এ প্রশ্নের উত্তরে গাঙ্গুহী সাহেব বলেন, </div><div style="text-align: justify;">جواب: يہ حديثيں كتب صحاح ميں موجود نہيں ہيں – مگر شيخ عبد الحق رحمة الله نے اول ما خلق الله نورى كو نقل كيا ہے اور بتايا ہے كہ اس كى كچہ اصل ہے فقط و الله تعالى اعلم -</div><div style="text-align: justify;">-“এ হাদিসগুলো ছিহাহ কিতাবে (ছয়টি বিশুদ্ধ কিতাব) এর মধ্যে নেই। কিন্তু, শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) “সর্বপ্রথম রাসূল ( ﷺ‎‎) এর নূর মোবারক সৃষ্টি করা হয়েছে” উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করে বলেছেন যে, এ হাদিসটির ভিত্তি আছে।”(ফাত্ওয়ায়ে রশিদিয়া, ১ম খন্ড, ২৭৮ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">ভারতবর্ষের প্রখ্যাত দেওবন্দী আলিম ও অসংখ্য দেওবন্দী আলিমদের উস্তাদ আল্লামা হুছাইন আহমদ মাদানী ছাহেব বলেন,     </div><div style="text-align: justify;">غرضيكہ حقيقت محمد صلى الله عليہ وسلم التحية واسطہ جملہ كمالات عالم عالميان ہے يہ هی معنى لولاك لما خلقت الافلاك اور اول ما خلق الله نورى اور انا نبى الانبياء كے ہیں -</div><div style="text-align: justify;">-“মোট কথা হলো সমস্ত কায়েনাত বা আলম হাকীকতে মুহাম্মদী তথা নূরে মুহাম্মদী থেকে সৃষ্ট। যেমন হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, যদি আপনি না হতেন তবে আমি সকল আসমান যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। রাসূল ( ﷺ‎‎) এর বাণী: মহান আল্লাহ তা‘য়ালা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন এবং আরও বলেন, আমি নবীদেরও নবী।” (আস সিহাবুছ ছাকীব, ৫০ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">মাওলানা আব্দুল হাই লাখনভী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div style="text-align: justify;">أول ما خلق الله نوري وهو حديث لم يثبت بهذا المبنى وإن ورد غيره موافقا له في المعنى</div><div style="text-align: justify;">-“সর্বপ্রথম আল্লাহ আমার নূর সৃষ্টি করেছেন, ইহা ভিত্তিগতভাবে প্রমাণিত নয়। যদিও ইহাকে অন্যান্য ইমামগণ হাদিসের মুয়াফিক বা অনুগামী বিধায় মাআনান তথা অর্থগতভাবে উল্লেখ করেছেন।” (লাখনভী: আছারুছ ছুনান, ১ম খন্ড, ৪৩ পৃ:;)</div><div style="text-align: justify;">এজন্যে ইমাম আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div style="text-align: justify;">وقيل الأولية في كل شئ بالإضافة إلى جنسه، أي أول ما خلق الله من الأنوار نوري</div><div style="text-align: justify;">-“বলা হয়, প্রত্যেকটির প্রথম হওয়াটি স্বীয় জিনসের ইজাফী বা সম্বন্ধীয় অর্থাৎ সকল নূরের মধ্যে আমার নূর সর্বপ্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে।” (ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ৮২৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;) </div><div style="text-align: justify;">অতএব, ইহা রেওয়ায়েত বিল মাআনা হিসেবে হাদিস, যা সকল আইম্মায়ে কেরাম এভাবেই বয়ান করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), আল্লামা আজলুনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন</div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ السَّخَاوِيُّ هُوَ عِنْدَ الدَّيْلَمِيِّ بِلَا إِسْنَادٍ عَنْ عَبْدِ بْنِ جَرَادٍ مَرْفُوعًا أَنَا مِنَ اللَّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ مِنِّي </div><div style="text-align: justify;">-“ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: এই হাদিস ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে সনদবিহীন এভাবে উল্লেখ করেছেন: ‘আমি আল্লাহ (নূর) হতে আর সকল কিছু আমার (নূর) হতে।” (ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ১৮৬ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ৭২ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৯৮ পৃ:;) </div><div style="text-align: justify;">------------------------------</div>

প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর নূর প্রথম সৃষ্টি

প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর নূর প্রথম সৃষ্টি قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أول مَا خلق الله نوري -“নবী করিম ( ﷺ‎‎) বলেন:...

Read more »