ইসলামী বিশ্বকোষ

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন, তার অবস্থা ও কাহিনী বর্ণনা কর? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: আসফ বিন বরখিয়া হচ্ছে হযরত সুলায়মান ইবনে দাউদ (عليه السلام) এর প্রধানমন্ত্রীর নাম, যিনি ইসমে আযমের সুবাদে কাজ করতেন। তিনি ইসমে আযমের বরকতে ও সুবাদে মুহূর্তের মধ্যে অনেক দূরবর্তী এলাকা হতে রাণী বিলকিসের সিংহাসন হযরত সুলায়মান (عليه السلام) এর দরবারে হাজির করেছিলেন। বিলকিস হচ্ছে সাবা অঞ্চলের রাণীর নাম, যিনি হযরত সুলায়মান (عليه السلام) এর হাতে ইসলামে দীক্ষিত হয়ে তাঁর (عليه السلام) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার কাহিনীটি সূরা নমলে বর্ণিত রয়েছে। কোরআন মজিদের নিম্নোক্ত আয়াতে আসফ বিন বরখিয়ার এই কাহিনীটি উল্লেখ রয়েছে।   <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ الَّذِي عِنْدَهُ عِلْمٌ مِنَ الْكِتَابِ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ يَرْتَدَّ إِلَيْكَ طَرْفُكَ . <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘জনৈক ব্যক্তি যার নিকট কিতাবের জ্ঞান তথা ইসমে আযম জানা ছিলো সে বললো, হে বাদশা! আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি সিংহাসনটি আপনার দরবারে হাজির করছি।’ <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">217. সূরা নমল, আয়াত: ৪০  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মাসআলা: কেরামতে আউলিয়া অস্বীকারকারীদের উচিত এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং হঠকারিতা ও জিদ হতে ফিরে আসা।  وَاللهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়ত দান করেন।’  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৮: হযরত মুসা (عليه السلام) এর মাতার নাম কি ছিল? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত মুসা (عليه السلام)’র মাতার নাম ছিল ইউজানয, পিতার নাম ইমরান এবং বোনের নাম মারইয়াম। তবে মনে রাখতে হবে তিনি ওই মারইয়াম নন যিনি ছিলেন হযরত ঈসা (عليه السلام) এর মাতা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন হযরত মুসা (عليه السلام)’র বোনের হাজারো বছর পর। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">218. তফসীরে সাভী, ৩য় খন্ড।

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন, তার অবস্থা ও কাহিনী বর্ণনা কর? ✍ উত্তর: আসফ বিন বরখিয়া হচ্ছে হযরত সুলায়মান ইবনে দাউদ (عليه السلام) এর...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৩: شاه ‘শাহ’ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং তা কোথায় ব্যবহার করা হয়? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ‘শাহ’ শব্দটি ফার্সী ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে মূল, গোড়া, মালিক, মুনিব, বাদশাহ এবং তা ফকীরদের উপাধি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। বংশীয় মর্যাদার দিক দিয়ে সাইয়েদগণের জন্যও শব্দটির ব্যবহার সর্বজনবিদিত যেমন, শাহ ওয়ালি উল্লাহ, শাহ আব্দুল আজিজ। পাঞ্জাবে সাইয়েদগণের নামের অংশ হিসেবে শব্দটি ব্যবহার করা হয় যেমন, সাইয়েদ আকবর শাহ, সাইয়েদ ওয়ালি শাহ, সাইয়েদ আসগর শাহ। শাহ সাহেব বা শাহজী ইত্যাদি উঁচু স্তরের দরবেশগণের উপাধি।

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

❏ প্রশ্ন-১৫৩: شاه ‘শাহ’ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং তা কোথায় ব্যবহার করা হয়? ✍ উত্তর: ‘শাহ’ শব্দটি ফার্সী ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে মূল, গোড়া,...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫২: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের কী কী নাম রেখেছিলেন?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫২: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের কী কী নাম রেখেছিলেন? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের নাম রেখেছিলেনঃ তাতিক, নুফাইল, তালিক, আছাখ, আসাখ, হালাক, তারহিব (রজব), কাসাজ, যাহের, নুত, হরফ ও লাফিস। তাতিক দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে মুহররম এবং নুফাইল দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সফর। অন্যান্য মাসসমূহ এর ওপর অনুমান করতে হবে। এরপর আরববাসীগণ নিজেদের মাসসমূহের জন্য ওই নাম নির্ধারণ করলেন যা বর্তমানে প্রসিদ্ধ অর্থাৎ মুহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউল উখরা, জুমাদাল উলা, জুমাদাল উখরা, রজব, শা’বান, রমযান, শাওয়াল, জিলক্বদ ও জিলহজ্ব। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহররম: মুহররম শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে নিষিদ্ধ। যেহেতু আইয়ামে জাহেলিয়াতে এই মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ও হারাম ছিল, তাই মাসটির নামকরণ করা হল মুহররম। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সফর: সফর শব্দটি ‘সিফির’ শব্দ হতে গঠিত। এর অর্থ হচ্ছে শূন্য। যেহেতু এই মাসটি আসে মুহররমের পর এবং হুযূর   এর আবির্ভাবের পূর্বে মুহররম মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল আর আরবের লোকেরা এ মাসে যুদ্ধ করার জন্য বের হতো এবং তাদের ঘর-বাড়ি খালি অবস্থায় রেখে যেতো, তাই এই মাসটির নামকরণ করা হলো সফর। কেউ কেউ বলেন, এ মাসটির নামকরণ করার সময়টি ছিল হেমন্তকাল। এই ঋতুতে গাছের পত্রপলব হলুদ বর্ণ ধারণ করে। তাই এ মাসটির নামকরণ করা হলো সফর। এমতাবস্থায় সফর শব্দটি গঠিত হবে সাফরুন শব্দ হতে। এর অর্থ হচ্ছে হলুদ বর্ণ। হানাজাতুত তারাব গ্রন্থ প্রণেতা লিখেন, সফর মাসে আরববাসীগণ নিজেদের ঘর বাড়িকে হলুদ বর্ণে বর্ণিল করতো। কেননা তারা এ মাস হতে যুদ্ধে যাবার ইচ্ছা পোষণ করতো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রবিউল আউয়াল: যেহেতু এ মাসটির নামকরণ করার সময়টি ছিল বসন্তকালের প্রারম্ভকাল, তাই মাসটিকে এ নামে নামকরণ করা হলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রবিউল আখর: ‘খা’ বর্ণে যবর বিশিষ্ট। মনে রেখো, সাধারণ জনগণ যেরূপ ‘রবিউস সানি’ ব্যবহার করে তা সঠিক নয়। কেননা অধিকাংশ আরববাসী ‘রবিউল আখর’ ব্যবহার করে। কারো কারো মতে, ‘ছানি (দ্বিতীয়)’ শব্দটির ব্যবহার ওই স্থানেই করা হয় যেখানে ‘ছালেছ’ (তৃতীয়) শব্দটি পরবর্তীতে থাকে। যেহেতু এ মাসটির নামকরণ করার সময়টি ছিল বসন্তকালের শেষ সময়, তাই এই মাসটির নামকরণ করা হলো রবিউল আখর। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জুমাদাল উলা: সাধারণ লোকের মুখে এ মাসটির নাম জুমাদাল আউয়াল বলে শুনা যায়। তা ভুল ও সঠিক নয়, কেননা জুমাদা শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ বাচক শব্দ, কারণ শব্দটির শেষে রয়েছে আলিফে মাকছুরা, তাই এর বিশেষণও আউয়াল শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ উলা ব্যবহার করতে হবে। যাতে বিশেষ্য ও বিশেষণের মধ্যে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ বিষয়ক বিধানের সমন্বয় সাধিত হয়। যেহেতু মাসটির নামকরণ করা হয় এমন মৌসুমের শুরুতে যখন পানি জমাটবদ্ধ হয়ে যেতো, তাই মাসটির নামকরণ করা হলো জুমাদাল উলা। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জুমাদাল উখরা: আরবগণ জুমাদাল উখরা বা জুমাদাল আখেরাহ ব্যবহার করে। আর জুমাদাস ছানি নামটি যেরূপ প্রসিদ্ধ আছে তা কিন্তু সঠিক নয়। যেহেতু এ মাসটির নামকরণ করা হয় এমন মৌসুমের বিদায়লগ্নে যখন পানি জমাটবদ্ধ হয়ে যেতো, তাই মাসটির নামকরণ করা হলো জুমাদাস ছানি। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রজব: ‘রা’ ও ‘জিম’ বর্ণে যবর বিশিষ্ট। এই শব্দটি ‘তারজিব’ শব্দ হতে গঠিত। যার অর্থ হচ্ছে সম্মান ও মহান। যেহেতু আরবের লোকেরা এ মাসটিকে ‘শাহার’ বলতো এবং সম্মান করতো, তাই এ নামে মাসটির নামকরণ করা হলো। হুযূর   বলেন, রজব হচ্ছে জান্নাতের একটি হ্রদ যার পানি মধুর চেয়ে সুমিষ্ট এবং বরফের চেয়ে সাদা। যে ব্যক্তি এ মাসে রোযা রাখবে কিয়ামতের দিন তাকে ওই হ্রদ হতে পানি পান করানো হবে।  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শা‘বান: যেহেতু এ মাসে অপার কল্যাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে এবং জগতের যাবতীয় নির্ধারিত বিষয়াবলী আলাদা হয়ে পড়ে, তাই এ নামে মাসটির নামকরণ করা হলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রমযান: তিনো বর্ণে যবর বিশিষ্ট শব্দটি ‘রামাদুন’ শব্দ হতে গঠিত। এর অর্থ জ্বালানো। এটি باب ضرب এর অন্তভুর্ক্ত। যেহেতু এ মাসটি পাপসমূহ পুড়িয়ে দেয়, তাই এ নামে মাসটির নামকরণ করা হলো কিংবা রমযান শব্দটি নামবাচক বিশেষ্য যা রামাদাউন শব্দ হতে গঠিত। রামাদাউন বলা হয় জ্বলন্ত ভূমিকে। এ মাসে প্রচন্ড গরম পড়ে। তাই এ নামে মাসটির নামকরণ করা হলো।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওলামায়ে কেরাম বলেন, মাহে রমাদানকে কেবল রমাদান বলা জায়েয নয়। কেননা হাদিস শরীফে রয়েছে যে, মাহে রামাযানকে কেবল রামাযান বলো না। কেননা এটা আল্লাহর নাম। বরং এভাবে বলো, শাহরু রামাযান অর্থাৎ আল্লাহর মাস। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাওয়াল: শাওয়াল শব্দটি ‘শাওলুন’ শব্দ হতে গঠিত, যার অর্থ স্থানান্তরিত হওয়া। যেহেতু এ মাসে আরবের লোকেরা ভ্রমণ ও শিকারে যেতো এবং ঘরবাড়ির বাইরে চলে যেতো, তাই এ নামে মাসটির নামকরণ করা হলো। কিংবা শব্দটি ‘শুলুন’ শব্দ হতে গঠিত যার অর্থ হচ্ছে উটের লেজ তোলা বা উঠানো। এটি باب نصر এর মাসদার। এ মাসে উটের যৌন চাহিদা বেড়ে যায়।  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জিলক্বদ: যেহেতু এ মাসটি পুরোপুরি একটি নিষিদ্ধ মাস, তাই আরবগণ এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে বিরত থাকে। এ কারণে এই নামে মাসটির নামকরণ করা হলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জিলহজ্ব: যেহেতু এ মাসে হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়, তাই মাসটির নামকরণ করা হলো জিলহজ্ব। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">212. ইসলামী মা’লুমাত, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ১২৪১, মৌলভী মাহবুব আলম।

❏ প্রশ্ন-১৫২: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের কী কী নাম রেখেছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫২: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের কী কী নাম রেখেছিলেন? ✍ উত্তর: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের নাম রেখেছিলেনঃ তাতিক, নুফাইল, তা...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৪: শাহাদাত কাকে বলে এবং শাহাদাতের সংখ্যা কত?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৪: শাহাদাত কাকে বলে, এর সংজ্ঞা কী এবং শাহাদাতের সংখ্যা কত? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: هو المستعان واليه المأب والتكلان . শাহাদাত শব্দের অর্থ হচ্ছে সাক্ষ্য। কোরআন মজিদে হুকুম দেওয়া হয়েছে যে, দু’জন পুরুষের সাক্ষ্যগ্রহণ করো। যদি দু’জন পুরুষ পাওয়া না যায়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোরআন মজিদে সত্য সাক্ষ্য গোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই হুকুম দেওয়া হয়েছে,  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَلَا تَكْتُمُوا الشَّهَادَةَ وَمَنْ يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُ آثِمٌ قَلْبُهُ  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাক্ষ্য গোপন করোনা। আর যে ব্যক্তি সাক্ষ্য গোপন করবে, তা হচ্ছে অন্তরের পাপ ও অপবিত্রতা। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">213. সূরা বাকারা, আয়াত: ২৮৩। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূরা নিসার ২০তম রুকুতে আদেশ দেওয়া হয়েছে, আল্লাহর ওয়াস্তে সাক্ষ্য দাও যদিও তা তোমার নিজের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে হয়ে থাকুক। সূরা ফুরকানে মিথ্যা সাক্ষ্যদান হতে নিষেধ করা হয়েছে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস শরীফে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সর্বোত্তম সাক্ষীর ব্যাপারে সংবাদ দেবোনা। সে হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে সাক্ষ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হওয়ার পূর্বে নিজের সাক্ষ্য প্রদান করে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহাদাত ফরয। তা প্রদান করা সাক্ষীদের জন্য আবশ্যক। তবে কিসাস (মৃত্যুদন্ড) ও হুদুদ (কুরআনে বর্ণিত শাস্তি) এর সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে তা প্রকাশ বা গোপন করার অধিকার সাক্ষীর নিকট রয়েছে। তবে চুরির ক্ষেত্রে সাক্ষ্য প্রদান করা ওয়াজিব। আর এতে একথা বলবে যে, সে মাল নিয়েছিল, একথা বলবেনা যে, সে মাল চুরি করেছিল। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে চারজন সাক্ষী প্রয়োজন। ব্যভিচারের বেলায় নারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যান্য হকের বেলায় দু’জন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দু’জন নারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য, হোক তা সম্পত্তির অধিকার কিংবা সম্পত্তি বর্হিভূত অন্যান্য অধিকার যেমন, বিয়ে, তালাক, ওসিয়ত, ওকালা (আমমোক্তার নামা), গোলাম আযাদ, সন্তান জন্মদান ও নারীর সতীত্ব। আর নারীদের যে সব দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে পুরুষকে অবহিত করা যায়না, তাতে কেবল একজন নারীর সাক্ষ্যই যথেষ্ট। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়ঃ <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১) অন্ধ।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(২) অধীন দাস।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৩) যে ব্যক্তি ইতিপূর্বে যিনার (ব্যভিচারের) মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছে, যদিও সে তাওবা করেছে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৪) পিতার সাক্ষ্য পুত্রের বেলায়। দাদা-নানার সাক্ষ্য নাতীর বেলায়। পুত্র ও নাতীর সাক্ষ্য পিতা-মাতা এবং দাদা-নানা প্রমূখের বেলায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একের সাক্ষ্য অপরের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। ভাইয়ের সাক্ষ্য ভাইয়ের বেলায় এবং ভাতিজার সাক্ষ্য চাচার বেলায় গ্রহণযোগ্য নয়।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৫) এক অংশীদারের সাক্ষ্য অপর অংশীদারের বেলায় বৈধ নয়।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৬) হিজড়া।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৭) বিলাপকারী নারী।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৮) গায়িকা নারী।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৯) সর্বদা মদ্যপানকারী ব্যক্তি।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১০) কবুতর, মোরগ ও ভেড়ার খেলবাজ।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১১) এরূপ কবীরা গুণাহকারী ব্যক্তি যার ওপর হদ (শাস্তি) আবশ্যক। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১২) গোসলখানায় নগ্ন হয়ে গমনকারী ব্যক্তি।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১৩) সুদখোর।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১৪) যে ব্যক্তি পাশা, দাবা ইত্যাদি খেলে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১৫) যে ব্যক্তি কোন মাকরূহ ও অপছন্দনীয় কাজ করে যেমন, রাস্তায় হাঁটার সময় কোন কিছু খায় কিংবা জনসাধারণের চলাচলের পথে পেশাব করার জন্য বসে যায়।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১৬) যে ব্যক্তি পূর্বসুরী বুযূর্গদের প্রকাশ্য গালমন্দ করে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়।  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">খতনা বিহীন ব্যক্তি, নপুংসক, জ্বীন হাজিরকারী ব্যক্তি ও অবৈধ সন্তানের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি বিচারকের রায় প্রদানের পূর্বে সাক্ষ্যদাতা নিজের সাক্ষ্য প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তার সাক্ষ্য রহিত হয়ে যাবে। আর যদি বিচারকের রায় প্রদানের পর সাক্ষী নিজের সাক্ষ্য প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে রায় বা সিদ্ধান্ত বাতিল হবেনা। যদি কারো সম্পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর সাক্ষ্যদাতা নিজের সাক্ষ্য প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে সে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিল ওই ব্যক্তির সম্পদের জন্য দায়ী হবে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহাদাত শব্দটি শহীদ হয়ে যাবার অর্থেও ব্যবহৃত হয়।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هذا ما ظهرلى والعلم عند الله العليم .

❏ প্রশ্ন-১৫৪: শাহাদাত কাকে বলে এবং শাহাদাতের সংখ্যা কত?

❏ প্রশ্ন-১৫৪: শাহাদাত কাকে বলে, এর সংজ্ঞা কী এবং শাহাদাতের সংখ্যা কত? ✍ উত্তর: هو المستعان واليه المأب والتكلان . শাহাদাত শব্দের অর্থ হচ্ছে ...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৫: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম কি ছিল?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৫: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম কি ছিল? তারুখ তাঁর পিতার নাম এবং আযর তাঁর চাচা,একথা বলা সঠিক কিনা? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম তারুখ এবং আযর তার উপাধি কিংবা এর বিপরীত। আর একথা বলা যে, আযর ছিল তাঁর চাচা আর তারুখ তাঁর পিতা, কারণ কোন নবীর পিতা মুশরিক ছিলনা। এটা কেবল কৃত্রিম ও বানোয়াট কথা। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূরা মারইয়ামের তৃতীয় রুকুতে আযরের উল্লেখ ইবরাহিম (عليه السلام) এর প্রশ্নোত্তরের ভিতরে এসেছে যার অনুবাদ হচ্ছে: যখন তিনি অর্থাৎ ইবরাহিম (عليه السلام) নিজের পিতা অর্থাৎ আযরকে বললেন, হে পিতা! আপনি কেন এই মূর্তিগুলোর পূজা-অর্চনা করছেন যেগুলো না কোন কিছু শুনে আর না দেখে আর যেগুলো না আপনার কোন উপকারে আসতে পারে। হে পিতা! আমি আল্লাহর পক্ষ হতে এরূপ জ্ঞান অর্জন করেছি যে জ্ঞান আপনার নিকট নেই। তাই আপনি আমাকে অনুসরণ করুন। আমি আপনাকে দ্বীনের সহজ-সরল পথ দেখাবো। হে পিতা! শয়তানের কথায় পড়ে মূর্তিগুলোকে পূজা-অর্চনা করবেন না। কেননা শয়তান আল্লাহর বিদ্রোহী। হে পিতা! আমি এ বিষয়ে ভয় করছি যে, কখনো যেন এরূপ না হয় যে, আচমকা আল্লাহর পক্ষ হতে কোন আযাব আপনার ওপর এসে পড়ে এবং আপনার পরিণাম শয়তানের সঙ্গে জাহান্নামে হয়। হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতা বললেন, ইবরাহিম! তুমি কি আমার মাবুদদের নিকট হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছো?<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তুমি যদি এরূপ কথাবার্তা হতে ফিরে না এসো, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে পাথর মেরে শেষ করে দিবো। আর যদি তুমি কল্যাণ চাও, তাহলে আমার সম্মুখ হতে দূর হও। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ إِنَّنِي بَرَاءٌ مِمَّا تَعْبُدُونَ . <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর একদা ইবরাহিম নিজ পিতা ও স্বজাতির লোকদেরকে বললো, তোমরা যে সব মূর্তির পূজা-অর্চনা করো এগুলোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">214. সূরা যুহরফ, আয়াত: ২৬

❏ প্রশ্ন-১৫৫: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম কি ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৫৫: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম কি ছিল? তারুখ তাঁর পিতার নাম এবং আযর তাঁর চাচা,একথা বলা সঠিক কিনা? ✍ উত্তর: হযরত ইবরাহ...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৬: পুরো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৬: হযরত আনাস (رضى الله تعالي عنه) কর্তৃক বর্ণিত পুরো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা কারা ছিলেন? আছিয়া কে ছিলেন? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর:  وهو المستعانআছিয়া হচ্ছেন খোদা দাবীকারী মিসরের প্রসিদ্ধ কাফির ফিরাউনের স্ত্রীর নাম। যিনি ছিলেন খুবই পুতঃপবিত্র, আল্লাহর ইবাদতগুজার এবং হযরত মুসা (عليه السلام)’র শরীয়তের অনুসারী। তিনি হচ্ছেন ওই সব নারীদের অন্যতম যাদের প্রশংসা অসংখ্য হাদিসে এসেছে। তারা হচ্ছেন: <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১) হযরত মারইয়াম (عليه السلام)।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(২) হযরত খাদিজা (رضى الله تعالي عنه)।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৩) হযরত ফাতেমা (رضى الله تعالي عنه)।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৪) হযরত আছিয়া (عليه السلام)। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আনাস বিন মালেক (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ   বলেন, তোমাদের জন্য সমগ্র দুনিয়ার নারীদের মধ্যে কেবল এই চারজনের মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যথেষ্ট: মারইয়াম বিনতে ইমরান, খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ এবং ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া।"<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">215. মিশকাত শরীফ। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোরআন মজিদের সূরা মারইয়ামের ৪র্থ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَضَرَبَ اللهُ مَثَلًا لِلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ. <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মুসলমানদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আল্লাহ ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়ার উদাহরণ দিচ্ছেন যে, তার স্ত্রী দু‘আ করলো, হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য বেহেশতে আপনার নিকট একটি ঘর তৈরী করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কর্মকান্ড হতে মুক্তি দিন। আর আমাকে যালিমদের নিকট হতে নিষ্কৃতি দিন।’ <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">216. সূরা আত্তাহরীম, আয়াত: ১১

❏ প্রশ্ন-১৫৬: পুরো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা?

❏ প্রশ্ন-১৫৬: হযরত আনাস (رضى الله تعالي عنه) কর্তৃক বর্ণিত পুরো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা কারা ছিলেন? আছিয়া কে ছিলেন? ✍ উত্তর: وهو ال...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

❏ প্রশ্ন-১৫৯: হযরত শুয়াইব (عليه السلام)কোন জাতির রাসূল?

<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৫৯: হযরত শুয়াইব (عليه السلام)কে কোন্ জাতির নিকট রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছিল? <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: জেনে রাখা উচিত যে, হযরত শুয়াইব (عليه السلام) মাদইয়ান ও আইকা নামক দু’টি জাতির নিকট রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। এতদুভয় জাতি তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলো এবং তাঁর প্রতি অবাধ্যতা প্রদর্শন করতঃ তাঁর সাথে বেয়াদবী ও অসদাচরণ করেছিলো। ফলে আল্লাহর আযাবে তারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আসহাবে মাদইয়ানের ওপর এই আযাবটি আসলো যে,  فاخذتهم الصيحة.  অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল (عليه السلام) এর চিৎকারের ভয়ংকর আওয়াজে জমিন প্রকম্পিত হয়ে ওঠলো এবং মানুষের অন্তর ভয়ে পথহারা হয়ে গেলো এবং সকলে উপুড় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর আসহাবে আইকাকে  عذاب يوم الظلمة .অন্ধকার দিনের আযাব দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হলো, যার বর্ণনা তাফসীরে সাভীর ৩য় খন্ডর ১৫০নং পৃষ্ঠায় রয়েছে।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তারা অবাধ্যতা প্রদর্শন করতঃ রাসূলকে বললো, যদি তুমি সত্য নবী হও, তাহলে আসমান হতে কোন অগ্নি টুকরো এসে যদি আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতো!<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এরপর মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর ওই ক্রোধপূর্ণ আযাব ওই জাতির ওপর এসে পড়লো যার বর্ণনা হাদিসে এসেছে যে, ওই সব লোকদের ওপর জাহান্নামের একটি দরজা খুলে দেওয়া হলো। যার কারণে পুরো লোকালয়ে তীব্র গরম ও লু হাওয়ার উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়লো এবং বস্তিবাসীদের দম বন্ধ হবার উপক্রম হলো। লোকেরা নিজেদের ঘরের অভ্যন্তরে বসবাস করতে লাগলো এবং নিজেদের ওপর পানি ছিটাতে লাগলো। তবে পানি ও ছায়ার মধ্যে তারা প্রশান্তি পেলো না। গরমের উষ্ণতায় তারা পুড়ে যাচ্ছিলো। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলা একটি মেঘ খন্ড পাঠালেন যেটি তাঁবুর ন্যায় পুরো লোকালয়ে ছেয়ে গেলো। এই মেঘ খন্ডর ভিতর ছিলো হিমশীতল প্রশান্তিদায়ক বাতাস। এটা দেখে সকলে ঘর হতে বের হয়ে মেঘ খন্ডর তাঁবুর নীচে জমায়েত হলো। যখন সকল লোক মেঘের নীচে এসে পড়লো, তখন ভূমিকম্প হলো এবং আসমান হতে আগুন বর্ষিত হলো, যাতে সকলে পঙ্গপালের ন্যায় লাফিয়ে লাফিয়ে জ্বলে-পুড়ে গেলো।<span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তারা নিজেদের অবাধ্যতা প্রদর্শন করে বলেছিলো যে, হে শুয়াইব! তুমি সত্য নবী হলে দেখাও আসমানের কোন অগ্নি টুকরো এসে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিক। সুতরাং ওই আযাবটি উক্তরূপে এই অবাধ্য জাতির ওপর এসে পড়লো এবং সকলে জ্বলে-পুড়ে ছাইয়ের স্তূপ বনে গেলো। <span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">219. তাফসীরে সাভী, পৃষ্ঠা নং-১৫০, খন্ড নং-৩, গারায়িবুল কোরআন, পৃষ্ঠা নং-১২৪।

❏ প্রশ্ন-১৫৯: হযরত শুয়াইব (عليه السلام)কোন জাতির রাসূল?

❏ প্রশ্ন-১৫৯: হযরত শুয়াইব (عليه السلام)কে কোন্ জাতির নিকট রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছিল? ✍ উত্তর: জেনে রাখা উচিত যে, হযরত শুয়াইব (عليه السل...

অক্টোবর ১৩, ২০২৩

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

❏ প্রশ্ন-১৫২: আরববাসীগণ নিজেদের চান্দ্র মাসের কী কী নাম রেখেছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫৩: ‘শাহ’ শব্দটি কোথায় ব্যবহার করা হয়?

❏ প্রশ্ন-১৫৪: শাহাদাত কাকে বলে এবং শাহাদাতের সংখ্যা কত?

❏ প্রশ্ন-১৫৫: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) এর পিতার নাম কি ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৫৬: পুরো দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ চারজন নারী কারা?

❏ প্রশ্ন-১৫৭: আসফ বিন বরখিয়া কে ছিলেন?

❏ প্রশ্ন-১৫৯: হযরত শুয়াইব (عليه السلام)কোন জাতির রাসূল?

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার