ইসলামী বিশ্বকোষ

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজিয়া (১ম খন্ড)

<ol style="text-align: left;"><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_9294.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : মুমিনের ঈমান কেমন হওয়া উচিত?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_2797.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_5942.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_635.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম কি মাখলুক নাকি মাখলুক না?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_7326.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় ...</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_9041.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_4730.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস ও তারিখ কোনটি?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_2513.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">‘সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি আপনার</a><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_2513.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;"> সন্তুষ্টি চাই,হে মুহাম্মদ'</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_2484.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6051.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়ের হুকুম কি এক?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_9937.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) কি হাজির নাজির?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_817.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর শানে গোস্তাখী করলে এর শাস্তি কি?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_9634.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবারের মতো নারায়ে রিসালাত জায়েজ কিনা?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_9223.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) নবীগণের নবী কিনা?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_5761.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">গুনাহে কবীরা কুফর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। একথা কি ঠিক?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_7011.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : হুযুর (ﷺ) এর পবিত্র রাওযার কাছে কিভাবে জিয়ারত করব?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6483.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) আমাদের দুরূদ সরাসরি শুনেন নাকি পৌঁছানো হয়?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6183.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর অসিলা দিয়ে দোয়া করা কি জায়েয?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_5370.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্ম কত তারিখ?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6591.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর নূর হওয়া ও মানুষ হওয়া সম্পর্কে হুকুম কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6011.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর মে‘রাজ করানোর উদ্দেশ্য কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_7755.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজিয়া (১ম খন্ড) [অসম্পূর্ণ]</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_8401.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : রাসূলগণের শানে গোস্তাখির হুকুম কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_6913.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী?</a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_5434.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; text-decoration-line: none;">❏ প্রশ্ন : দুনিয়ায় অবস্থানকারী বারযাখে অবস্থানকারীর সাথে কিভাবে মিলবে?</a></li></ol>

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজিয়া (১ম খন্ড)

❏ প্রশ্ন : মুমিনের ঈমান কেমন হওয়া উচিত? ❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী? ❏ প্রশ্ন : পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন? ❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : মুমিনের ঈমান কেমন হওয়া উচিত?

❏ প্রশ্ন : لا إله الا الله محمد رسول الله এটা জুমলা খবরিয়া ইসমিয়া বা দুটি ইসম দ্বারা গঠিত খবরবাচক বাক্য। আর জুমলা খবরিয়া ইসমিয়া হোক কিংবা ফে‘লিয়া হোক তার বক্তাকে সত্য বা মিথ্যা বলা যেতে পারে। لا إله الا الله محمد رسول الله এর ক্ষেত্রেও এই ধারণা হতে পারে। অমুসলিমরা বলতে পারে যে, لا إله الا الله محمد رسول الله এই বাক্যের মধ্যেও সত্য মিথ্যার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে মুমিনের ঈমান দৃঢ় ও অটল থাকলো না। সন্দেহযুক্ত হয়ে গেলো। খালেস ঈমান চলে গেলো। এর সমাধান কী? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : وبه المستعان وعليه التكلان প্রচুর মাখলুক যাদের সত্যতার উপর পুরা দুনিয়া একমত, তাদের গ্রহণের কারণে উল্লিখিত কালিমা দৃঢ় ও অটল হয়ে গেছে। তাছাড়া ব্যাপকভাবে গ্রহণের কারণে সংশয় ও সন্দেহ সব কিছু চলে গেছে। এখন এই বাক্য অকাট্য ও নিশ্চিতে পরিণত হয়েছে। এটাকে খবরিয়া বা খবরবাচক বলা বোকামী ও মূর্খতা বৈ কিছুই নয়। শক্তি থাকা বাস্তবায়নকে আবশ্যক করে না। মিথ্যা যেহেতু মূলেই খারাপ, তাই তা আল্লাহ তা‘আলা থেকে কখনো প্রকাশ পায়নি, পাবেও না। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলা থেকে মিথ্যা প্রকাশ পাওয়ার প্রবক্তা সে কাফের। আল্লাহ তা‘আলার কুদরত থেকে উদ্দেশ্য, আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা ও সন্তুষ্টিতে যা হয়। প্রকাশ পাওয়া বা ঘটা উদ্দেশ্য নয়। আল্লাহ তা‘আল থেকে যাই হবে তা সত্য, মিথ্যা নয়। السماء فوقنا والأرض تحتنا এটা খবরবাচক বাক্য। এর মধ্যে সত্যতা প্রকাশ্য, মিথ্যার লেশমাত্র নেই। মিথ্যার সম্ভাবনার কথা বললে সেটা বিজ্ঞানীদের কথা নয়, বরং মূর্খ নির্বোধের সন্দেহ মাত্র। তাই এটা জুমলা ইসমিয়া কতইয়াও খবরিয়া ইয়াকিনিয়া। সন্দেহযুক্ত বাক্য নয়। এর প্রবক্তা শত্রু-বন্ধু সকলে কাছে সত্যবাদী মুসলিম। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনেক আলেম আল্লাহ তা‘আলা থেকে মিথ্যা প্রকাশ পাওয়াকে মুমকিন বিযযাত বা মূলে সম্ভব এবং মুমতানা‘ বিলগায়র বা ভিন্ন কারণে না জায়েয বলেছেন। অথচ কদীম, চিরঞ্জীব ও অতুলনীয় সত্তার সাথে মিথ্যাকে মুমকিন বিযযাত মুমতানি‘ বিল গায়র হিসেবে সম্পৃক্ত করা দলীল ও যুক্তি উভয় দিক দিয়ে অসম্ভব। খারাপ মূলে খারাপ। পৃথিবীর সকল বৈশিষ্ট্য অস্থায়ী ও নি¤œমানের। অতএব এটা কদীম সত্তার সাথে এর সম্পৃক্ততা হারাম, কুফুরী ও ঈমানের বক্রতার পরিচয়। আল্লাহ তা‘আলা সত্তাগতভাবে সত্যবাদীই সত্যবাদী। এটা কদীম সত্তার গুন। আল্লাহর সত্তা ঊর্দ্ধজগতের সাথে সম্পৃক্ত। অস্থায়ী পৃথিবীর সাথে সম্পর্ক রাখেন না। এমনকি এই গুনের সাথে ফেরেশতা জগত ও আখেরাতের জগতের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। সেখানে ঊর্দ্ধ জগতের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখবে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতোয়া মাহমুদিয়াতে আছে, কিযব বিযযাত মুমতানা‘ বিল গায়র যেহেতু খারাপ, তাই আল্লাহ তা‘আলা থেকে কখনো প্রকাশ পায়নি পাবেও না। যে ব্যক্তি মিথ্যা প্রকাশ পাওয়ার প্রবক্তার সে কাফের। যেমন ফতোয়া রশিদিয়াতে আছে, কিন্তু প্রকাশ না হওয়া কুদরতকে না বলা আবশ্যক করে না। কুদরত না মানলে অক্ষমতাকে আবশ্যক করে। যা إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ এর বিপরীত। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসায় বলেন,   وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا এর দ্বারা বুঝা যায় সত্যের বিপরীতের উপর শক্তি অবশ্যই আছে। আর তা হলো, মিথ্যা। কারণ কুদরত না থাকলে তিনি সত্যের উপর বাধ্য হবেন। সুতরাং এমন জিনিসও কি প্রশংসার যোগ্য হতে পারে যার উপর বাধ্য এবং যার বিপরীতের শক্তি রাখে না? খারাপ কাজ খারাপ, তবে খারাপ কাজের উপর শক্তি রাখা খারাপ হয় না যে, তা দুই দিকের বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যিক দলিলের থেকে মুক্ত হবে। যদি দলিলের দ্বারা এক দিক নির্দিষ্ট হয়ে যায় যেমন, السماء فوقنا والأرض تحتنا তাহলে এই জুমলা খবরিয়া। কারণ দলিলের আলোকে একদিকের সত্যতা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। অপর দিকের সম্ভাবনা থাকেনি। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জুমলা খবরিয়ার ব্যাখ্যা মূলত ইনশা তথা সৃষ্টিশীল থেকে আলাদা করার জন্য। যে, তার মধ্যে সত্য মিথ্যার অবকাশ নেই। কারণ ওখানে তো কোনো বিবরণ হয়নি। এখানে বিবরণ আছে তাই উভয় দিকের সম্ভাবনা থাকে। যার বিবরণ তার পক্ষে হবে অথবা তার বিপক্ষে হবে। প্রথমটা সত্য, দ্বিতীয়টা মিথ্যা। দলিলের দ্বারা যেমন মিথ্যা নির্দিষ্ট হয়, তেমনি দলিলের দ্বারা সত্যতাও নির্দিষ্ট হয় এবং মিথ্যার সম্ভাবনা থাকে। তবে জুমলা খবরিয়া থেকে বেরিয়ে যায় না। কারণ খবরের ভিত্তি বিবরণের উপর। তাতে দুটি সম্ভাবনা থাকে। কোনো একটি দিক নির্দিষ্ট হয়ে গেলে বিবরণ বাতিল হয়ে যায় না। সুতরাং খবর বহাল থাকবে। (লিখেছে, বান্দা মাহমুদ গাঙ্গুহী) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহর কথায় কি মিথ্যার অবকাশ আছে? কখনো নয়। কারণ মিথ্যা দোষ ও ত্রুটি। আল্লাহ তা‘আলার সত্তা দোষ ও ত্রুটি থেকে পবিত্র। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনেকে বলে, মিথ্যা দোষ ও ত্রুটি তখন, যখন বাস্তবায়ন হয়। কুদরতের মধ্যে থাকা দোষ ও ত্রুটি নয়। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ এই আয়াত থেকে কুদরত হওয়া প্রমাণিত, একথা দলিল ও বিবেকের বিপরীত। এই আয়াতে যে, شَيْءٍ আছে তা মাকদুর এবং মাকদুর বস্তু মুমকিন, হাদেস বা অস্থায়ী হওয়ার কারণে চিরস্থায়ী সত্তার গুণ কিভাবে হতে পারে? তাফসীরে জালালাঈন ও জামাল ইত্যাদিতে شاءه  এর অধীনে উল্লেখ আছে, فالمراد لقوله شائه إن يشاء وذلك هو الممكن সুতরাং কুদরতের অধীনে যে মিথ্যা আছে তা মাকদুর হওয়ার কারণে চিরস্থায়ী সত্তার সাথে কখনো যুক্ত হতে পারে না। সম্ভাবনার পদ্ধতিতেও নয়, বাস্তবায়নের পদ্ধতিতেও নয়। মিথ্যা বাস্তবায়ন হওয়া সবার জন্য, কিন্তু তার জন্য সম্ভাবনার পদ্ধতিতে এই দোষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়াও দোষ। এটাই কারণ যে, তিনি নিজের ক্ষেত্রে (প্রশংসার স্থানে) أَصْدَقُ ব্যবহার করেছেন, যা ইসমে তাফযীল বা অগ্রাধিকার বিশেষণ। অথবা গুণবাচক শব্দ। যেমন أكبر শব্দ। وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا ‘কথার ক্ষেত্রে আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে আছে?’ যাতে আলেমরা জেনে নেয় যে, তার কথার মধ্যে মিথ্যার অন্তর্ভুক্তি সম্ভাবনার পদ্ধতিতেও নেই। أكبر শব্দটি অগ্রাধিকার বিশেষণ। মূলনীতি আছে, মুফায্যাল (যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলো) মুফায্যাল মিনহু (যার উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হলো)র অন্তর্ভুক্ত হয়। তাহলে অর্থ দাড়াবে, আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। এতে আরো বড় থাকাকে আবশ্যক করে। অথচ আল্লাহই বড়। সবার চেয়ে বড় বললে, শিরক করা হলো। আর আল্লাহই বড় এটা গুন। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথবা আল্লাহ তা‘আলা চিরস্থায়ী। চিরস্থায়ী হওয়াই সত্তাগত সত্যতা। যার মধ্যে সম্ভাবনা ইত্যাদির অন্তর্ভুক্তি নেই। যদি এই মিথ্যা ভিন্ন কারণে অসম্ভব হয় তাহলে ক্ষতি কী? কারণ বাস্তবায়ন না হওয়ার ক্ষেত্রে মোমতানা‘ বিযযাত যেটাকে সত্তাগত অসম্ভব বলে এবং মোমতানা‘ বিল গায়রকে ভিন্ন কারণে অসম্ভব বলে। আর দুটিই সমান। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই বর্ণনার দ্বারা ক্ষতি হলো, তিনি সম্ভাবনার পদ্ধতিতে এই দোষের সাথে অভিযুক্ত হবে। অর্থাৎ একথা বলা হবে যে, চিরস্থায়ী সত্তা আল্লাহ তা‘আলা মিথ্যা বলতে পারে। যদি বলবেন না। এমন বলা কি তার শানে মানায়? নাউযুবিল্লাহ। যুক্তির আলোকে যদি এমন অভিযোগ জায়েয হয়, তাহলে সকল দোষের সাথে এই ভাবে অভিযুক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ ঐ সত্তা খেতে পান করতে পারে। কিন্তু খাবেন না। মিলন করতে পারেন। কিন্তু করবেন না। অন্ধ বধীর হতে পারে। কিন্তু হবে না। নাউযুবিল্লাহ। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয়ত এটা কিভাবে জানা গেলো যে, মিথ্যা মাকদুর হওয়া সত্তে¡ও বাস্তবায়ন হবে না। কারণ অসম্ভব তো থাকলো না। এরপর বাস্তবায়ন না হওয়ার দিকটা প্রাধান্য দেওয়া হলে মাকদুরের মধ্যে থাকলো কিভাবে। দলিলের আলোকে অসম্ভব এই কথা থেকে হবে যে, যার মধ্যে মিথ্যা সম্ভব। এবার এটা কোন ধরণের অসম্ভব, যার দ্বারা মিথ্যা বাস্তবায়ন না হওয়া নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত। কেউ যদি বলে যে, ইচ্ছার গুণ এই মিথ্যার ক্ষেত্রে নেই যে, বাস্তবায়ন হবে। সুতরাং এর দ্বারা ভিন্ন কারণে অসম্ভব প্রমাণিত হয়ে গেলো। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভাই বন্ধুগণ, এই গুণের উপর অবগতির মাধ্যম একমাত্র কালাম। কারণ আল্লাহর ইচ্ছা উপলব্দি করার জন্য বিবেকের কোনো দখলই নেই। কালাম হলো সেটা যার মধ্যে মিথ্যা সম্ভব। সুতরাং নির্দি¦ধায় প্রমাণ হলো যে, চিরস্থায়ী সত্তার ক্ষেত্রে মিথ্যা দলিল ও যুক্তির আলোকে সত্তাগতভাবে অসম্ভব। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি কেউ বলে যে, কালামে নফসী বা আসল কালামের মধ্যে দলিল ও যুক্তির আলোকে কোনোভাবে মিথ্যা সম্ভব নয়। তবে কালামে লফযী বা শাব্দিক কালামের মধ্যে যদি মিথ্যা মেনে নেওয়া হয় তাহলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোনো ক্ষতি মনে হয় না। এমন আকীদা কি ঠিক? এটা একটা আশ্চর্য ধরণের প্রশ্ন। এই আকীদা এর চেয়ে আরো খারাপ। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বন্ধুরা শোনো, সত্য মিথ্যা কালামে নফসীরই গুণ হয়ে আসে। শুধু কালামে লফযীর নয়। কারণ কালাম শুধু শাব্দিক হলে, অর্থ কোনো জিনিস না হলে এটা অর্থহীন কালাম বলে। চিরস্থায়ী সত্তা আল্লাহর কালামকে কোনো ঈমানদার কোনো সময় অর্থহীন ধারণা করতে পারে? শাব্দিক কালামের মধ্যে যখন মিথ্যা মেনে নিলে, তাহলে আসল কালামের মধ্যে মিথ্যা আগে মেনে নিলে। নাউযুবিল্লাহ। অথবা আল্লাহর কালামকে অর্থহীন সাব্যস্ত করলে যা কুফর। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বন্ধুরা, মিথ্যা বলে সত্যে না থাকাকে। আর আল্লাহর ক্ষেত্রে না থাকার কোনোভাবেই পথ নেই। সম্ভাবনার পদ্ধতিতেও না, বাস্তবায়নের পদ্ধতিতেও না।

❏ প্রশ্ন : মুমিনের ঈমান কেমন হওয়া উচিত?

❏ প্রশ্ন : لا إله الا الله محمد رسول الله এটা জুমলা খবরিয়া ইসমিয়া বা দুটি ইসম দ্বারা গঠিত খবরবাচক বাক্য। আর জুমলা খবরিয়া ইসমিয়া হোক কিংবা ফে...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী?

<span style="background-color: black; color: yellow; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঈমান ও আকীদার বিবরণ <span style="background-color: transparent; color: blue; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব :  حامدا ومصليا ومسلماহাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> الْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى دِمَائِهِمْ و أَمْوَالِهِمْ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মুমিন ঐ ব্যক্তি, যার থেকে মানুষ জান, মাল ও ইজ্জত-সম্মানের ক্ষেত্রে নিরাপদ হয়ে যায়।’(এরা আমাদের জীবন কেড়ে নিতে পারে না, এটা মুসলমানদের উপর সুধারণা। এই মুসলমান আমাদের মাল নষ্ট করতে পারে না এবং ইজ্জত লুটে নিতে পারে না।) মানুষের এতটুকু আস্থা যখন সৃষ্টি হবে, তখন বুঝা যাবে, সে পরিপূর্ণ মুমিন। নতুবা নামধারী মুসলমান থেকে এসব আশা করা যায় না। বরং এমন মুসলমানের উপর আস্থা না থাকলে মনে করতে হবে, সে নামধারী মুনাফিক মুসলিম। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বরং ইদানিং মুসলমানদের মধ্যে মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাস ইত্যাদি মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। নামধারী মুসলমানদের একদল এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত। আল্লাহ তা‘আলা সকলকে হেফাযত করুন। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَمِنَهُ النَّاسُ বাক্যে النَّاسُ তথা মানুষ শব্দটি ব্যাপক। মুসলিম অমুসলিম সকলে এর অন্তর্ভুক্ত। সকলে আস্থাশীল হতে হবে যে, ভাই সে মুমিন। মারামারি করা বা ইজ্জত নষ্ট করা তার কাজ নয়। পুরা নিরাপদ থাকবে যে, এই লোক সৎ। তার থেকে কোনো প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা নেই।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(খুতুবাতে হাকীমুল ইসলাম : ৩/২৩৪) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">খালেস মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষ তো দূরের কথা পশু পাখি পর্যন্ত মুমিন থেকে নিরাপদ থাকবে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লিখিত হাদীস থেকে জানা যায়, কোনো সৃষ্টিকে কষ্ট দেওয়া মুমিনের নীতি থেকে অনেক দূরে। مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ ‘প্রকৃত মুমিন হলো, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মানুষ ও সৃষ্টি নিরাপদ থাকে।’ কোনো প্রকার কর্ম দ্বারা অন্যের কষ্ট ও বিরক্তি হবে না।

❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী?

ঈমান ও আকীদার বিবরণ ❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী? ✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلماহাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, الْمُؤْمِنُ مَنْ أَ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন?

❏ প্রশ্ন : আপনার উল্লিখিত আলোচনা থেকে জানা গেলো, মিথ্যা সত্তাগতভাবে অসম্ভব। তাহলে এরপরও পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : যেই মিথ্যা সত্তাগতভাবে অসম্ভব তার তো অস্থিত্বই নেই। নতুবা সত্তাগতভাবে অসম্ভব হলো কিভাবে? আর সেটা চিরস্থায়ী সত্তার মিথ্যা। আর যে মিথ্যার অস্থিত্ব আছে, সেটা অন্যের দ্বারা অস্থিত্ববানের জন্য সম্ভব। সঅস্থিত্বে অস্থিত্ববান এবং খালেকের জন্য নয়। এরপর এর দ্বারা এটা প্রমাণ হলো যে, নবীগণের সা. ক্ষেত্রে মিথ্যা সম্ভব। কারণ তারাও মোমকেনাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। অথচ তাদের থেকে মিথ্যা অসম্ভব। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর জবাব হলো, ভাইসব, এসব কিছু ভিন্ন কারণে অসম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ সত্তাগতভাবে সম্ভব হয়ে বাস্তবায়ন অসম্ভব। এই মিথ্যার বাস্তবায়ন অসম্ভবের পিছনে আল্লাহর কালাম কারণ। যার মধ্যে মিথ্যা সত্তাগত অসম্ভব। নতুবা যদি মুমকিন বা সম্ভব হয়, তাহলে আরেক মুমকিনকে মুমতানা‘ বা অনম্ভব কিভাবে বানাবে। এ কারণে নবীগণকে সিদ্দীক গুণে ভূষিত করছেন। যা আসদাক বা অধিক সত্যবাদীর চেয়ে কম স্তরের। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,  وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا ‘তুমি কিতাবের মধ্যে ইবরাহীমের কথা স্মরণ করো। নিশ্চয় সে সত্য নবী ছিলো।’ وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِسْمَاعِيلَ إِنَّهُ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَبِيًّا ‘তুমি কিতাবের মধ্যে ইসমাঈলকে স্মরণ করো। নিশ্চয় সে প্রতিশ্রæতিতে সত্য ও রাসূল নবী ছিলো।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত আলোচনার দ্বারা জানা গেলো, এই কালামের কারণে যার মধ্যে মিথ্যার অবকাশ সম্ভাবনা হিসেবেও নেই, ঐ মিথ্যার বাস্তবায়ন এবং প্রকাশ মুমতানা‘ বিল গায়র বা ভিন্ন কারণে অসম্ভব হয়ে গেলো। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখন বোঝা গেলো, মিথ্যা তিন প্রকার।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১। যে মিথ্যা কুদরতের অধীনে নেই। এটা চিরস্থায়ী সত্তার মিথ্যা এবং সত্তাগতভাবে অসম্ভব।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২। যে মিথ্যা কুদরতের আওতাধীন। তবে তার সাথে ইচ্ছা সম্পৃক্ত নয় যে, তার বাস্থবায়ন হবে। এটা নবীগণ ও ফেরেশতাগণের মিথ্যা। যাদের শান হলো মা‘সুম বা নিস্পাপ। তাদের এই নিস্পাপত্ব ঐ কালামের কারণে হয়েছে, যার মধ্যে মিথ্যা সত্তাগত অসম্ভব। তাই এই মিথ্যা অন্যের কারণে অসম্ভব হলো।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩। ঐ মিথ্যা যা কুদরতের আওতাধীন হওয়ার পাশাপাশি ইচ্ছা সংগঠনেরও আওতাধীন। এটা নবীগণ ও ফেরেশতা ছাড়া অন্যদের মিথ্যা। এই মিথ্যা বাস্তবায়ন সম্ভব। এ কারণে পৃথিবীতে এর অস্থিত্ব আছে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বুঝো, মুর্খদের অন্তর্ভুক্ত হও না।

❏ প্রশ্ন : পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন?

❏ প্রশ্ন : আপনার উল্লিখিত আলোচনা থেকে জানা গেলো, মিথ্যা সত্তাগতভাবে অসম্ভব। তাহলে এরপরও পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন? ✍ জবাব : যেই মিথ্যা সত...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম কি মাখলুক নাকি মাখলুক নয়?

<span style="background-color: transparent; color: blue; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : ঈমান কতভাবে আসতে পারে? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : ঈমান তিনভাবে আসতে পারে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১। ঈমানী বিষয় শুনে মান্য করা।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২। দেখে মান্য করা।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩। তার মধ্যে প্রবেশ করে মান্য করা। ❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম মাখলুক, নাকি মাখলুক নয়? যৌথ, নাকি একক? যারা বলে ঈমান মাখলুক তাদের পিছনে নামায পড়া জায়েয আছে কি না? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : وبه نستعين وهو المستعان ঈমানকে মাখলুক বলার প্রবক্তা কাফের। এভাবে কুরআনকে মাখলুক বলার প্রবক্তাও কাফের। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতোয়া তাতার খানিয়াতে আছে,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من قال بخلق الإيمان فهو كافر وكذا من قال بخلق القران فهو كافر<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যে ব্যক্তি বলবে ঈমান মাখলুক, সে কাফের। এভাবে যে বলবে কোরআন মাখলুক সে কাফের।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) থেকে বর্ণিত আছে,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إن الإيمان غير مخلوق، اى توفيق الله و هدايته، فالله تعالى بجميع افعاله غير مخلوق<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ঈমান মাখলুক নয়। অর্থাৎ আল্লাহর তাওফীক ও হেদায়াত। আল্লাহ তা‘আলা সকল কর্মসহ গায়রে মাখলুক।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঈমানের তাওফীক আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর এটা মাখলুক নয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হবে সেটা মাখলুক হবে না। আর যা বান্দার পক্ষ থেকে হবে সেটা মাখলুক।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأما التصديق والإقرار من العبد، فالعبد بجميع أفعاله مخلوق<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আর বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তিবান্দার পক্ষ থেকে। বান্দা তার সকল কর্মসহ মাখলুক।’ শুধু ঈমান একক, যৌথ নয়। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম যাহেদী (رحمة الله) বলেন,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إن أردت بالإيمان التصديق والإقرار فهذا فعل العبد العبد بجميع أفعاله مخلوق .<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ঈমানের দ্বারা যদি বিশ্বাস ও স¦ীকারোক্তি উদ্দেশ্য নাও, তাহলে এটা বান্দার কর্ম। বান্দা তার সকল কর্মসহ মাখলুক।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি যা বান্দার কাজ তার মাখলুক। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে যে তাওফীক ও হেদায়াত আসে তা মাখলুক নয়।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وإن أردت توفيق الله وهدايته على اتيان الإيمان بالله تعالى فالله بجميع أفعاله غير مخلوق<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার জন্য আল্লাহর তাওফীক ও হেদায়াত উদ্দেশ্য নাও, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল কর্মসহ গায়রে মাখলুক।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৩৭১, কতরুল গইস ফি মাসায়িলি ফকীহ আবিল লাইস সমরকন্দি) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত শায়খ আবু সাহল বলেন, অনেক পূর্ববর্তী ইমামগণ বলেছেন,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إن من قال القران مخلوق فهو كافر ومن قال الإيمان مخلوق فهو كافر<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যে বলেছে, কোরআন মাখলুক সে কাফের। যে বলেছে, ঈমান মাখলুক সেও কাফের।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত শায়খ আবু বকর বিন হামেদ, শায়খুল ইমাম আবু হাফস ও শায়খুল ইসলাম আবু ইসহাক আযযরীর, শায়খুল ইমাম আবু বকর ইসমাঈল থেকে বর্ণিত।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> الإيمان غير مخلوق ومن قال بخلقه فهو كافر ‘<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"ঈমান মাখলুক নয়। যে মাখলুক বলবে সে কাফের।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোরআন মাজীদ গায়রে মাখলুক। অর্থাৎ আসল কালাম গায়রে মাখলুক ও কদীম। যা আল্লাহ তা‘আলার থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। ছাপা, শব্দ ও আওয়াজ নয়। এসব কিছু বান্দার পক্ষ থেকে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ মুহাম্মাদ বিন ফযল বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানকে মাখলুক বলবে তার পিছনে নামায জায়েয নেই। من يقول بخلق الإيمان فقال لا تصلوا خلفه<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যে ব্যক্তি বলবে ঈমান মাখলুক তার পিছনে নামায পড়ো না।’

❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম কি মাখলুক নাকি মাখলুক নয়?

❏ প্রশ্ন : ঈমান কতভাবে আসতে পারে? ✍ জবাব : ঈমান তিনভাবে আসতে পারে। ১। ঈমানী বিষয় শুনে মান্য করা। ২। দেখে মান্য করা। ৩। তার মধ্যে প্রবেশ করে ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় সে অক্ষম সাব্যস্ত হবে কি না?

<span style="background-color: transparent; color: blue; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় সে অক্ষম সাব্যস্ত হবে কি না? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হলে তাকে অক্ষম মনে করা পূর্ণ বোকামী ও হতবুদ্ধিতা। কারণ সত্তাগত অসম্ভব মাকদুর হওয়ার যোগ্যতা না রাখার কারণে কুদরত এর সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রই নয়। তাই কোনো ত্রুটি বা ক্ষতি সম্পৃক্ত হবে না। এ কারণে এটাও বলা উচিত নয় যে, তিনি শক্তি রাখেন না। এটা আদবের পরিপন্থি এবং ঐ জিনিসের অস্বীকার যা তার কাছে আছে। বরং এ কথা বলা উচিত যে, সত্তাগত অসম্ভব কুদরতের অধীনে নয়। যাতে অসম্ভব বস্তু হওয়া বাতেল হয়ে যায়। কুদরতের মধ্যে যেন ত্রুটি না আসে। (এই ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, শায়খে মুহাক্কিক সায়্যিদ শাহ আহমদ সাঈদ কাযেমী তার বয়ানে এবং আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ রোকনুদ্দীন সাহেব নকশবন্দী মাসউদী তার কিতাব আল আকায়েদে লিখেছেন।) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">টিকা : আল্লাহ তা‘আলা কাদেরে মতলক বা সর্বশক্তিমান। অনাদী, অনন্ত, চিরস্থায়ী, কখনো ধ্বংস নেই। সত্যতা তার সাথে সত্তাগতভাবে যুক্ত। কখনো ছিন্ন হয় না। মিথ্যা সত্তাগত খারাপ। খারাপই খারাপ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, الكذب أم الذنوب ‘মিথ্যা সকল গুনাহের মূল।’ আরো বলেন, الكذب أكبر الكبائر ‘মিথ্যা বড় কবীরা গুনাহ।’ আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। সব কিছুর উপর শক্তি রাখেন। খারাপ জিনিস তখন খারাপ, যখন অস্থিত্ব লাভ করে। কোনো খারাপ কাজ মানুষের মনে আসে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না, তাহলে এটা খারাপ নয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, الكذب يهلك والصدك ينجي ‘মিথ্যা ধ্বংস করে। সত্য মুক্তি দেয়।’ খারাপের সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করার দিক দিয়ে খারাপ নয়। গ্রহণকারীর হিসেবে খারাপ। সকল জিনিস সৃষ্টির সময় তা ভালো থাকে। যখন অস্থিত্ব লাভ করে, তখন যেটা খারাপ সেটা খারাপ, আর যেটা ভালো সেটা ভালো হয়। নতুবা ভালোর সৃষ্টিকর্তা ও খারাপের সৃষ্টিকর্তা দুইজন হওয়া আবশ্যক হবে। যা হিন্দুদের আকীদা। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ কর্মীর কারণে ভালো খারাপ হয়। যেমন, তরবারী বানানো খারাপ নয়। তবে এটা ব্যবহার করা হিসেবে ভালো খারাপ হয়। ঐ তরবারী দ্বারা যদি উপকারী জিনিস অর্জন করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভালো হবে। আর এর দ্বারা অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে এটা খারাপ। ব্যবহারকারী এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, والله خلق لكم ما في الأرض جميعا ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য জমিনের সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।’ সৃষ্টির সময় সব জিনিস ভালো। কর্মের কারণে ভালো খারাপ হবে। এটা কর্মীর কারণে। নতুবা প্রশ্ন আসবে যে, কুফর ও হারাম কাজের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা‘আলা, তাহলে আযাব ও কাফের বলার হুকুম কিভাবে? কেউ তো জাহান্নামে যাবে না? এটা কোনো জিনিস বাস্তবায়ন ও প্রকাশের হিসেবে। আল্লাহ তা‘আলা সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও শক্তিমান, এর অর্থ হলো, আল্লাহ তা‘আলা উপস্থিত ও অনুপস্থিত সকল জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। তিনি প্রত্যেক বস্তুর উদ্দেশ্য ও চাওয়ার উপর সার্বিক দিক থেকে শক্তিমান। আল্লাহ তা‘আলার কোনো গুণ সম্ভাব্য পর্যায়ের নেই। প্রত্যেক জিনিস বাস্তবায়ন ও প্রকাশের হিসেবে হারাম ও হালাল হয়। সৃষ্টিগত দিক দিয়ে নয়। সম্ভাব্য পদ্ধতিতে কোনো খারাপ জিনিস মেনে নিবে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলার সুবহান গুণের সাথে গুণান্বিত থাকবে না। এই গুণ ঘোষণা দিচ্ছে আল্লাহ তা‘আলা বাস্তব ও সম্ভাব্য সকল দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র। সম্ভাবনা সত্তার সাথে সম্পৃক্ত ও যুক্ত হওয়া এটা সোবহান গুণের বিপরীত। আল্লাহ সকল উপস্থিত অনুপস্থিতের উপর শক্তিমান। সম্ভাব্য খারাপের উপর নয়। কর্মীর কর্ম হিসেবে আমল খারাপ হয়। যেমন আগে আলোচনা করা হয়েছে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিছু জিনিস উপাদান হিসেবে পবিত্র ও হালাল। কিন্তু বাস্তবায়ন ও প্রকাশের পরে কিছু হালাল ও কিছু হারাম এবং কিছু ব্যবহারযোগ্য ও কিছু ব্যবহার অযোগ্য হয়। এই সব কিছু প্রকাশের পরে হয়। কিন্তু মূল উপাদান হিসেবে হালাল ও ব্যবহারযোগ্য থাকে। প্রকাশের পরে পার্থক্য হয়ে গেছে। এটাকে হিসেবি পার্থক্য বলে। বাস্তব সত্য চিরস্থায়ী সত্তার গুণ। রূপক সত্য অস্থায়ী ও মাখলুকের সম্ভাব্য গুণ। মিথ্যা সত্তাগত খারাপ। একারণে মিথ্যা সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ ও সকক গুনাহের মূল সাব্যস্ত হয়েছে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার ক্ষেত্রে সত্তাগত অসম্ভব। তাই অন্য কারণে অসম্ভব বলে সত্তাগত অসম্ভবকে না মানা, সত্তাগত অসম্ভবকে নাকচ করার শামিল। যার থেকে সম্ভাব্য মিথ্যার পদ্ধতি বের হয়েছে। এরা নামধারী মুসলমান হয়ে সম্ভাব্য মিথ্যা পবিত্র সত্তার জন্য জায়েয মনে করেছে। এই পদ্ধতির ভিত্তির উপর ইসলাম অস্বীকারকারী বাস্তব মিথ্যার স্বীকার হয়ে যাবে। যার ফলাফল প্রকাশ্য যে, কদীম কুরআনকে মিথ্যা প্রমাণ করার দুসাহস দেখাবে। নাউযুবিল্লাহ। এটা আল্লাহ তা‘আলার উপর বড় একটি দোষ চাপানো। যেই ইসলামের বিধিবিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণকৃত তার ঠিক থাকবে না। নাউযুবিল্লাহ। আমি পূর্বে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সত্যতা আল্লাহ তা‘আলার একটি গুণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا আল্লাহই সত্য ও সঠিক। আর মাখলুকের জন্য সত্যতার গুণ আল্লাহ তা‘আলার তাজাল্লি ও দানের কারণে। আর তা অস্থায়ী।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা‘আলার কানুন চালু আছে যে, কাদের ও মাকদুরের মাঝে উপযুক্ত শর্ত আবশ্যক। সুতরাং কাদের ও মাকদুরের মাঝে শর্ত হলো বিদ্যমান থাকা, আর সেটা স্পষ্ট। কিন্তু কাদের ও সম্ভবের মাঝে কোন আল্লাহর বিধান উপযুক্ত শর্ত আছে? আর তা কী? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি কোনো উপযুক্ত শর্ত না থাকে, তাহলে অর্থহীন ও অনর্থক হবে। আর একটি অর্থহীন ও অনর্থক জিনিস আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করা কোন ধরণের একাত্ববাদ? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বুঝো, ভয় করো, ধ্বংসদের অন্তর্ভুক্ত হও না।

❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় সে অক্ষম সাব্যস্ত হবে কি না?

❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় সে অক্ষম সাব্যস্ত হবে কি না? ✍ জবাব : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হলে তাকে অক্ষম মনে ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে?

<span style="background-color: black; color: yellow; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুস্তফা (ﷺ) এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের বিবরণ <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাতটি স্থান আছে। (১) তারকা (২) হযরত আদম আ.র পিঠ, (৩) পিতা আব্দুল্লাহর পিঠ, (৪) মা আমেনার পেট, (৫) সর্বোচ্চ জান্নাত, (৬) সাগরের ফল, (৭) প্রত্যেক মুসলমানের অন্তর।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রেমাষ্পদ থাকে প্রত্যেক প্রেমিকের অন্তরে। (হুজ্জাতুল ইসলাম : ৮) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্মার্তব্য, মাজলিসে মুহাম্মাদী (ﷺ) এর দ্বারা নয়টি স্তর অর্জন হয়। (১) আযল, (২) আবদ, (৩) দুনিয়া। এরপর দুনিয়াতে চারটি স্তর অর্জন হবে। (১) মদীনার হেরেমে পবিত্র রওযার মজলিসে। (২) কা‘বার হেরেমে। আর দুটি স্তর আসমানের উপর। আরশের মজলিসের উপস্থিতির ক্ষেত্রে পরপূর্ণ হলো ঐ ব্যক্তি যে, মুহাম্মাদী সংশ্রবের সঙ্গি। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আরেকটি গভীর সাগরে। যাকে তাওহীদের সাগর বলে। যা খোদাই নূরে পরিপূর্ণ। আরেকটি মাজলিসে মুহাম্মাদী (ﷺ) লা মাকানে (স্থান বিহীন) আছে। যার দৃষ্টান্ত পেশ করা যাবে না। এটা لا إله الا الله محمد رسول الله এর অযিফা আদায়ের দ্বারা অর্জন হয়। এর মধ্যে বান্দা এমন বিলীন হয়ে যায়, কেমন যেন মৃত। সারকথা উল্লিখিত স্তর একের পর এক মাজলিসে মুহাম্মাদী অর্জন হয়। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হারামে মদীনা, পবিত্র হারামে কা‘বা বা আরাফার পাহাড়, যা লাব্বাইক কবুল হওয়ার স্থান। আরশের উপর আরেকটি। অর্থাৎ যা দুই কামানের দুরত্ব। জান্নাত, যেখানে পবিত্র হাতে হাউযে কাওসার পান করতে থাকবে। সব্বোর্চ স্তর হলো, আল্লাহর দীদারের নূরের মধ্যে ডুব দেওয়া। যে নিজে নিজে বিলীন হয়ে যাবে। পরিপূর্ণ মুরশিদের মাধ্যমে মাজলিসে মুহাম্মাদী অর্জন হয়। তাদের অন্তর মোস্তফা (ﷺ) এর স্থান। (শামসুল আরেফীন : ৫৪)

❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে?

মুস্তফা (ﷺ) এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের বিবরণ ❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে? ✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস ও তারিখ কোনটি?

<span style="background-color: transparent; color: red; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস কোনটি? এবং কোন তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : ইতিহাস বিশেষাজ্ঞদের ঐক্যমত্য সিদ্ধান্ত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্র জন্ম হস্তি বাহিনীর ঘটনার ২৪ বছর পর রবিউল আওয়াল মাসের সোমবার হয়েছে। তবে তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে চার পাঁচটি উক্তি রয়েছে। তার মধ্যে চারটি ঐতিহাসিক উক্তি। আরেকটি মাহমুদ পাশা মিসরীর হিসাবী উক্তি। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ঐতিহাসিক চারটি উক্তি প্রসিদ্ধ। (১) রবিউল আওয়াল মাসের দুই তারিখ, (২) আট তারিখ, (৩) দশম তারিখ, (৪) বারো তারিখ। হাফেয মোগরতায়ী (رحمة الله) দুই তারিখকে প্রধান্য দিয়েছেন। অন্য উক্তিগুলিকে প্রত্যাখ্যাত বলেছেন। তবে প্রসিদ্ধ উক্তি বারো রবিউল আওয়াল। এটাকে কামেল ফিত তারিখ, ইবনে আসীর গ্রহণ করেছেন।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال ابن إسحاق ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الإثنين لاثني عشرة ليلة مضت من ربيع الأول<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ইবনে ইসহাক বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ শেষ রাতে জন্ম গ্রহণ করেন।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তারিখে কামেল : ১/৪৫৮) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা মুফতী শফী‘ (رحمة الله) বলেন, রবিউল আউয়াল মাসের  বারো তারিখ সোমবার দুনিয়ার বয়সে একটি চমৎকার দিন। (আওজাযুস সিয়ার) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি টিকাতে বলেন, রাসূল (ﷺ) এর বরকতময় জন্ম বারো তারিখ হওয়ার বিষয়টির উপর ইবনুল জায্যার ঐক্যমত্য উদ্ধৃত করেছেন। মাহমুদ পাশা মিসরী যে, হিসাবের মাধ্যমে নয় তারিখকে গ্রহণ করেছেন, এটা জামহুরের বিরুদ্ধে সনদবিহীন উক্তি। ইখতিলাফী বিষয়ে এমন হিসাবের উপর নির্ভর করা যায় না যে, তার উপর ভিত্তি করে জামহুরের বিরোধিতা করা হবে। (আওজাযুস সিয়ার টিকাসহ : ১১)

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস ও তারিখ কোনটি?

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস কোনটি? এবং কোন তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন? ✍ জবাব : ইতিহাস বিশেষাজ্ঞদের ঐক্যমত্য সিদ্ধান্ত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

‘সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই, হে মুহাম্মাদ।’

<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : এদেশে একটি বর্ণনা হাদীসে কুদসী হিসেবে প্রসিদ্ধ আছে। অনেক আলেমকে দেখা খেছে খুতবার মধ্যে পাঠ করে। শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (رحمة الله) লিখিত কিতাব তাকমীলুল ঈমান কিতাবেও উল্লেখ আছে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كلهم يطلبون رضائي وأنا أطلب رضاك يا محمد<span style="background-color: transparent; color: red; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই, হে মুহাম্মাদ।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما এর শুদ্ধতাও সনদ সম্পর্কে আমার জানা নেই। এর অর্থ ولسوف يعطيك ربك فترضى ‘অতিসত্ত্বর আপনার বর আপনাকে দান করবেন। ফলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।’ এই আয়াতের অর্থ উদ্দেশ্য হলে ঠিক আছে। (ফতোয়া রশিদিয়া, পূর্ণ : ৩৭৪) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদীসটি শায়খ আল্লামা আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (رحمة الله) উদ্ধৃত করেছন। যার অর্থ হলো, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে মুহাম্মাদ, সকলে আমার সন্তুষ্টির প্রত্যাশী। আর আমি তোমার সন্তুষ্টির প্রত্যাশী। (তাকমীলুল ঈমান : ৩২)  <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আব্দুর রহমান সফুরী আল্লামা ইবনুল জাওযী (رحمة الله) থেকে উদ্ধৃত করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাছে অহী পাঠিয়েছেন যে, হে মুহাম্মাদ, সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই। (নুযহাতুল মাজালিস : ২/১৩) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আহলে হাদীসের নেতা মৌলবী সানাউল্লাহ আমার তাসরীর উস্তাদ মৌলবী মাহমুদ হাসানের উস্তাদ মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহীর ফতোয়ার প্রশ্ন ও জবাব দ্রষ্টাব্য। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (رحمة الله)ও উল্লিখিত বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। এরপর লিখেছেন, <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أنه تعالى يفعل كل ما يرضاه الرسول <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আল্লাহ তা‘আলা সেটাই করেন, যা তার রাসূল চায়।’ (তাফসীরে কাবীর : ৪/১০৬) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত খাজা মা‘সুম কাইয়ুমী বিন ইমামে রব্বানী মুজাদ্দিদে আলফে সানী (رحمة الله) লিখেছেন, হাদীসে কুদসীতে আছে, <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> أنا أطلب رضاك يا محمد صلى الله عليه وسلم  <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(হে মুহাম্মাদ, আমি তোমার সন্তুষ্টি চাচ্ছি।)<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাকতুবাতে খাজা কাইয়ূমী : ৩৭) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম নাসাফী (رحمة الله) হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, হযরত মূসা আ. কালীমুল্লাহ ও হাবীবুল্লাহর মাঝে পার্থক্য জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> الكليم يعمل برضاءمولاه والحبيب يعمل المولى برضاه‘<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কালীম নিজ মাওলার সন্তুষ্টি মোতাবেক আমল করে। আর আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাবীবের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করে।’ (নুযহাতুল মাজালিস : ২/১৩৫) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) খলীল ও হাবীবের মাঝে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন, খলীরেল কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়। আল্লাহর কাছ তার হাবীবের সন্তুষ্টির জন্য হয়। والحبيب يكون فعل الله برضاه (‘হাবীব হলো তিনি, আল্লাহর কাজ যার সন্তুষ্টিতে মোতাবেক হয়।’) (মেরকাত : ৫/৩৬৯) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এমনকি আল্লাহ তা‘আলা তার হাবীবের সন্তুষ্ট এতই চান যে, অনেক সময় আল্লাহ তা‘আলা তার হাবীবের সাথে পরামর্শ করেন।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إني أنا النبي استشار ربي في أمتي ماذا أفعل بهم<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আমার রব আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন, আমি তাদের সাথে কি আচরণ করবো।’ (হযরত হুসাইফা রাযি. থেকে বর্ণিত, ইমাম আহমদ বিন আসাকের) <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাদ্দিসীন ও মুফাসসিরীনের এই স্পষ্ট ব্যাখ্যার পর কেউ যদি মুহাম্মাদী স্তর এবং মুস্তফাবী সন্তুষ্টির মর্যাদা না বুঝবে তাহলে সে জানে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার কামও এমন যে, যার মন মতো হবে না সে জাল বলবে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুবহানাল্লাহ, শানে মুহাম্মাদী, মাকামে আহমদী ও মুস্তফাবী সন্তুষ্টির কি কথা। কিন্তু যেই বেদীন ও বেআদব মানুষের ভ্রান্ত আকীদা হবে যে, নবী (ﷺ) আমদের মানুষ। বড় ভাইয়ের মতো সম্মান করতে হবে। রাসূলের চাওয়ার দ্বারা কিছুই হয় না। তার মনের ইচ্ছা চলে না ইত্যাদি। এই সব কিছু ভ্রান্ত আকীদা। এমন মানুষ শানে মুহাম্মাদী কি বুঝবে। নাউযুবিল্লাহ।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাসিক রেযায়ে মোস্তফা, গুজরা নেওয়ালা, পাকিস্তান, জামাদাল ঊলা : ১৪১০ হিজরী পৃ. ৬)

‘সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই, হে মুহাম্মাদ।’

❏ প্রশ্ন : এদেশে একটি বর্ণনা হাদীসে কুদসী হিসেবে প্রসিদ্ধ আছে। অনেক আলেমকে দেখা খেছে খুতবার মধ্যে পাঠ করে। শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী?

<span style="background-color: transparent; color: red; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : عليه التكلان وهو المستعان  আল্লাহ তা‘আলা إنما أنا بشر (আমি হলাম মানুষ) বলার হেকমত হলো, যেহেতু আমি মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর হেকমতে মানুষের আকৃতিতে দুনিয়াতে এসেছি। যাতে মানুষ আমার অনুসরণ করে। তাই আমি দুই পক্ষের বর্ণনা ও দাবীর প্রমাণের উপর যে সমাধান সত্য মনে তা করবো। আমার বাতেনী ইলমের আলোকে সমাধান করি না। কারণ আমার উম্মাতের বিচারকগণের বাতেনী থাকবেও না এবং শরয়ী ইরমের উপর বাতেনী ইলম দলিলও হবে না। তাই তারা বাহ্যিক প্রমাণের উপর সমাধান করবে। আর উভয় পক্ষ এই সমাধান মানতে বাধ্য। এখন আমি যদি বাতেনী ইলম অনুযায়ী বাহ্যিক বিবরণ ও প্রমাণের বিপরীত সমাধান করি তাহলে হতে পারে, আল্লাহকে ভয় করে না এমন বিচারকদের জন্য জুলুম নির্যাতন এবং হকের বিরুদ্ধে সমাধান করার জন্য এটা একটা বাহানা হয়ে যাবে। একারণে আমি মানুষ হিসেবে বাহ্যিক প্রমাণ ও বিবরণের উপর সমাধান দিয়ে থাকি। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) বলেন, কাজীর বিচার শুধু বাহ্যিকভাবে বাস্তবায়ন হয়। অভ্যন্তরে বাস্তবায়ন হয় না। হযরত উম্মে সালমা রাযি. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, একবার রাসূল (ﷺ) তার কামরার সামনে ঝগড়া শুনতে পেলেন। তিনি ঝগড়াকারীদের কাছে গেলেন। আর বলেন, আমি মানুষ। আমার কাছে ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে অনেকে বেশি বাগ্মি হয়। (অর্থাৎ মনের কথা সুন্দর করে উপযুক্ত শব্দ দিয়ে মুগ্ধকর ভঙ্গিতে দলিল উপস্থাপন করতে পারে। তার কথা শুনে সত্য মনে হয়।) আমি মনে করি সে সত্য বলছে। তখন তার পক্ষে সমাধান দিয়ে দেই। যার জন্য কোনো মুসলমানের হকের ফয়সালা করবো এটা আগুনের টুকরা। মনে চাইলে নিতে পারে। মনে না চাইলে ছেড়ে দিতে পারে। (বুখারী) অথচ আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)কে খায়রে কাসীর অর্থাৎ গায়বী জ্ঞান দান করেছেন। এমন মানুষ হিসেবে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)কে সর্তকও করেছেনأن جاءه الأعمى এই আয়াতে। এই জাতীয় সতর্ক কুরআনে আরো উল্লেখ আছে। এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন আলোচনা করেছেন। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ড. ইমাদ আশশারবিনী খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন,<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> إن عتاب الأنبياء عليهم السلام الواردة في القران الكريم هو في الظاهر عتاب وفي الحقيقة كرامة وقربة لله عز وجل وتنبيه لغيرهم ممن ليس في درجتهم من البشر<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘নবীগণ সম্পর্কে কোরআনের মধ্যে যে নিন্দা এসেছে তা প্রকাশ্য দৃষ্টিতে নিন্দা। আর বাস্তবে তা সম্মান, আল্লাহর নৈকট্য এবং অন্যদের জন্য সতর্কতা, যারা তাদের স্তরে নয়।’ <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الكوثر هو الخير الذي أعطاه الله إياه ‘আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ﷺ)কে প্রচুর কল্যাণ দান করেছেন। অর্থাৎ সকল কল্যাণ আল্লাহ তা‘আলা আপন হাবীবকে দান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,ويعلم الحكمة হিকমতের মুআল্লিম রাসূল (ﷺ)। যিনি হেকমতের ঝর্না। যাকে হেকমত দান করা হয় তাকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়। অন্য জায়গায় বলেন, ومن يؤتى الحكمة فقد اوتي خيرا كثيرا ‘আর যাকে হেকমত দান করা হয়েছে, তাকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে।’ রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়রে কাসীরের বাহক ও মালিক। কুরআনের আরেক জায়গায় বর্ণিত আছে, لو كنت أعلم الغيب لاستكثرت من الخير ‘আমি যদি গায়েব জানতাম তাহলে খায়রে কাসীর জমা করে ফেলতাম।’ জানা গেলো, গায়েব না থাকলে খায়রে কাসীরও নেই। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই আয়াত দ্বারা গায়েব ও খায়রে কাসীর প্রমাণ ও স্পষ্ট হয়। কারণ এটা শর্ত প্রকাশক বাক্য। এখানে لو শর্তের শব্দ এসেছে। বাক্যের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় উভয়টি হাঁ বাচক। সুতরাং ফলাফল না বাচক হবে। শর্ত প্রকাশক বাক্যে দ্বিতীয় বাক্য না করা হলে প্রথম বাক্যও না হয়ে যায়। আরেক জায়গায় এসেছে, لا يظهر على غيبه أحدا الا من ارتضى من رسله ‘আল্লাহর গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না তবে তার রাসূলদের মধ্যে তাকে জানান।’ আল্লাহ তা‘আলা রাসূলকে গায়েবের বিষয় জানান। সরাসরি গায়েবের বিষয় জানেন আল্লাহ তা‘আলা। নবীগণ আল্লাহ তা‘আলা জানানোর দ্বারা গায়েব জানেন।

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী?

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী? ✍ জবাব : عليه التكلان وهو المستعان আল্লাহ তা‘আলা إنما أنا بشر (আমি হলাম মানুষ) বলার হেকমত হলো...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

❏ প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়ের হুকুম কি এক?

❏ প্রশ্ন : অনেকে বলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকালের পর যখন যেখানে ইচ্ছা চলে যাওয়া, চাই কোনো মাহফিলে হোক, কিংবা কোনো দোকানে হোক, অথবা তার কোনো খাটি আশেককে দীদারের দ্বারা ভূষিত করতে ইচ্ছুক, চাই সে প্রথিবীর পূর্ব প্রান্তে হোক বা পশ্চিম প্রান্তে হোক, এমন কখনোই পারে না। মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়ের হুকুম কি এক? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিছু বেআদব তো এমনও বলে যা অশোভনীয় শব্দ ও ভঙ্গি যে, মাজলিসে রাসূল (ﷺ) কোথায় আছে? চেয়ার, চৌকি, নীচে উপরে এদিক সেদিক তালাশ করে। (নাউযুবিল্লাহ) এমন ঠাট্টা বিদ্রুপ রাসূল (ﷺ) এর শানে করাটা কেমন? কোনো আহলে ঈমান মুসমান আলেম বলেত পারে? গোমরাহরা ছাড়া কেউ কখনো বলতে পারে না। এমন মানুষের শেষ পরিণাম খারাপ হওয়ার খুবই আশঙ্কা?<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : وبه نستعين حامدا ومصليا ومسلما বন্ধুরা শোনো, রাসূল (ﷺ) এর দুনিয়াবী জীবন অহী ও তাবলীগের সময় ছিলো। যা সৃষ্টির জগতের সাথে সম্পৃক্ত। যা স্থান ও কালের সাথে, প্রয়োজন ও শরীরের সাথে সম্পৃক্ত। মৃত্যুর পরে আল্লাহর সামনে হাজেরীর সময়। যা আল্লাহর দীদারের মধ্যে ডুবে আছে। যার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা নেই। যা নির্দেশ জগতের সাথে সম্পৃক্ত। যার মধ্যে সময়, স্থান ও দিক ইত্যাদি কোনো জিনিসের বন্ধন নেই। তিন যুগের সাথে সম্পর্ক রাখে না। বরং এখন নুরানী সুক্ষ্ম শরীরের সাথে সম্পৃক্ত। যা ঘনত্ব থেকে পবিত্র। যখন সেখানে মানবিক চিন্তা ধারণার দখল নেই, মানুষের বিবেক বুদ্ধিও সেখানে আল্লাহর শক্তিদান ছাড়া সেখানে পৌছতে পারে না। বরং তার মধ্যে আপত্তি করা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। মুমিন মুসলিম হওয়ার জন্য অদৃশ্যের উপর ঈমান প্রথম শর্ত। অতএব সুক্ষ্ম জগতের দৃষ্টান্ত ঘনত্বপূর্ণ জগতে তালাশ করা এবং সৃষ্টির জগতকে নির্দেশের জগতের উপর কিয়াস করা বোকামী ও মূর্খতা। রাসূল (ﷺ) বরং সকল নবীগণ মৃত্যুর পরে নির্দেশের জগতের সাথে সম্পর্ক রাখে। যা অনেক হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত। এক মুহূর্তে সারা পৃথিবী ভ্রমণ করা প্রমান্য বিষয়। যেমন, ফেরেশতারা নির্দেশের জগতে সম্পর্ক তারা এক মুহূর্তে সারা পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারে। এমনি সকল নবীগণ ভ্রমণ করা নিশ্চিত বিষয় । وللأخرة خير لك من الأولى (আপনার জন্য দুনিয়া থেকে আখেরাত উত্তম)এই আয়াত থেকেও কিছুটা ইঙ্গিত মিলে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিপূর্ণ বুযুর্গদের ঘটনাবলী দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত। বোখারী ও মুসলিমের হাদীসে বর্ণিত আছে। রাসূল (ﷺ) বলেন, من رأني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي  ‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখেছে, সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখবে। শয়তান আমার সাদৃশ্য অবলম্বন করতে পারে না।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওলামায়ে কেরামের মাঝে এই হাদীসের মধ্যে মতানক্য আছে। কেউ বলে, কেয়ামতের দিন দেখবে। এই ব্যাখ্যার উপর আপত্তি রয়েছে। কারণ সকল মুমিনই কেয়ামতের দিন রাসূল (ﷺ) এর দীদার লাভ করবে। এরপর فسيراني في اليقظة (অতি সত্ত্বর আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখবে।) এর উদ্দেশ্য কী?<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেউ কেউ বলে, এই হাদীস নববী যুগের সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ যে নববী যুগে না দেখে ঈমান এনেছে এবং রাসূল (ﷺ)কে স্বপ্নে দেখেছে, সে সোহবাতের দৌলত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যেও আপত্তি রয়েছে। কারণ হাদীসের শব্দ নববী যুগ বুঝাতে হবে। অথচ নববী যুগ খাস করা ঠিক নয়। রাসূলের ইন্তেকালের পর তার দীদার অসম্ভব মনে করার কোনো কারণ নেই।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর অনেকে বলে, এই বিধান তার জন্য বিশেষভাবে, যে রাসূল (ﷺ)কে দেখার যোগ্যতা রাখে। তারা হলেন, অলিগণ। এই বিশেষত্বেও হাদীসের উদ্দেশ্যের বিপরীত।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সবচেয়ে উত্তম ও উপযুক্ত ব্যাখ্যা হলো, এই হাদীসটি তার ব্যাপকতার উপর স্থির রাখবে। তখন উদ্দেশ্য হবে, যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ)কে স্বপ্নে দেখবে, সে জাগ্রত অবস্থায়ও দেখবে। সর্ব সাধারণ মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর শয্যায় দেখবে। যতক্ষণ পর্যন্ত জগত সাজানো সৌন্দর্য দ্বারা ভূষিত না হবে, রূহ শরীর থেকে বের হবে না। এটা রাসূল (ﷺ) এর ওয়াদা পূর্ণ হওয়ার জন্য। আর বিশেষ ব্যক্তিরা কম বেশি সারা জীবন সুন্তরের অনুসরণ অনুপাতে দেখবে। কিছু বিশ্লেষকরা বলেছে, হাদীসের চাহিদা হলো, জাগ্রত অবস্থায় দেখবে বাহ্যিক চোখ দিয়ে নয়। অলিগণ জাগ্রত অবস্থায় অন্তর দৃষ্টি দিয়ে দেখেন। অনেক সময় অন্তর দৃষ্টি এতই প্রখর হয় যে, বাহ্যিক দৃষ্টি লুকিয়ে যায়। মনে হয় যেন, বাহ্যিক চোখ দিয়েই দেখছে। যে ব্যক্তি এই দৌলত অর্জন করতে পারছে, সে বড় ভাগ্যবান। যে এমন দৌলত থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে পোড়াকপাল। এই মাসআলা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা ঈমানের চাহিদা নয়। বরং ঈমানের বক্রতা। কারণ এমন দৌলত থেকে বঞ্চিত থাকলে ঠাট্টা নয়, বরং লজ্জিত ও আফসোস করা উচিত। এটা একটা নাজুক মাসআলা। যা ঈমানের মাপকাঠি নষ্ট করে ফেলে। এমন সুক্ষ্ম মাসআলা নিয়ে ঠাট্টা করা ঈমানের শান নয়। বুঝে না আসলে চুপ থাকা উচিত।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা সুয়ূতী (رحمة الله) বর্ণনা করেন। হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে স্বপ্নে দেখেন। এরপর জাগ্রত অবস্থায় হযরত মায়মুনা রাযি.র মাধ্যমে দেখেন।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অহী ও তাবলীগের যুগে মানবিক আকৃতিতে থাকাটা আবশ্যক ছিলো। মৃত্যুর পরে যখন অহী ও তাবলীগের যুগ শেষ হয়ে গেলো, তখন মানবিক আকৃতিও শেষ হয়ে গেছে। এখন যে, মানবিক আকৃতির সাথে আছেন, তা খুবই সুক্ষ্ম ও নুরানী। যা মানবিক প্রয়োজন থেকে একেবারে পবিত্র।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বনি আদমকে এজন্য মানুষ বলা হয়, বাহ্যিক চামড়ার কারণে তাকে প্রকাশ করা হয়।  سموا بذلك لبدو بشرتهم التي هي ظاهر الجلد(جوهرة)<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তাদের এই নামকরণ করা হয়েছে তাদের চামড়ার কারণে, যা চামড়ার উপরিভাগ।’ (জাওহারাহ)<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এভাবে সম্মানিত ফেরেশতা যারা সুক্ষ্ম জগতের সৃষ্টি। যাদের বৈশিষ্ট্য হলো, বিভিন্ন আকৃতিতে যেখানে চায় যখন চায় আল্লাহর নির্দেশে ভ্রমণ করে। মুসলিম বিন এমরান বিন হাসীন থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ফেরেশতা আমার কাছে সালাম দিতো এবং সাক্ষাৎ করতো।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখন প্রশ্ন হলো, রাসূল (ﷺ) যিনি শরীর ও রূহ দ্বারা গঠিত, তাকে কি দেখা যেতে পারে? নাকি রূপক আকৃতি? এর জবাবে অধিকাংশ জ্ঞানীরা যেমন ইমাম গযালী (رحمة الله) প্রমুখ বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে রূপক আকৃতিতে দেখে। এভাবে যারা আল্লাহ তা‘আলাকে স্বপ্নে দেখে তাও এমনি।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবু বকর ইবনে আরবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে পরিচিত বৈশিষ্ট্যে দেখা সরাসরি দেখা। আর অপরিচিত বৈশিষ্ট্যে দেখা রূপক আকৃতিতে দেখা।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাফেয সুয়ূতী (رحمة الله) এটাকে পছন্দনীয় বলেছেন। তিনি একথাও বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পবিত্র ব্যক্তিত্ব শরীর আত্মাসহ দেখা অসম্ভব নয়। কারণ নবীগণ জীবিত। ইন্তেকালের পর তাদের পবিত্র রূহ তাদের মোবারক শরীর সমাহিত হওয়ার পর আবার তাদের শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নুরানী জগতে সুক্ষ্ম বস্তুর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর তো يذهبون حيث يشاءون (তারা যেখানে যায় সেখানে যায়) এর পর্যায়ে চলে যায়। অর্থাৎ তাদের ইন্তেকালের পর তাদের সুক্ষ্ম শরীরে চলে যায়। শারিরিক এই স্থানান্তরের কারণে তাদের উপর মৃত্যু শব্দ ব্যবহার করা হয়। সাধারণ মানুষের বাহ্যিক চোখের সামনে পর্দা থাকার কারণও এটা। হাফেয আবু মানসুর বাগদাদী বলেন, ধর্মতত্ত্ববিদগণ বলেন, নবীগণ জীবিত, নিজ উম্মাতের নেক আমলের কথা শুনে খুশি হন। উম্মাতের দুরূদ শরীফ তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। নবীগণের মৃত্যু নেই। তবে মানুষের চোখের আড়ালে চলে যান। তারা ফেরেশতাদের মতো বিদ্যমান আছে। তাদেরকে দেখা যায় না। যেমন ফেরেশতাদেরকে দেখা যায় না। তবে বিদ্যমান আছে। তবে আল্লাহর দয়ায় যার নসীব হয়, তার কথা ভিন্ন। ذلك فضل الله يؤتيه من يشاء ‘সেটা আল্লাহর দান, যাতে চান তাকে দেন।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই উক্তির পক্ষে আবু লায়লা বায়হাকী কর্তৃক উদ্ধৃত, হযরত আনাস রাযি. কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সহায়ক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, إن الأنبياء لا يتركون في قبورهم بعد أربعين ليلة ولكنهم يصلون بين يدي الله تعالى حتى تنفخ في الصور  ‘নবীগণকে চল্লিশ দিন পরে কবরে রাখা হয় না। তবে তারা আল্লাহর তা‘আলার সামনে কেয়ামত পর্যন্ত নামায আদায় করবে।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এভাবে ইবনে হিব্বান তারীখের কিতাবে, তবরানী কাবীর কিতাবে, আবু নোআইম হিলিয়া কিতাবে, আবুল হাসান রা‘ওয়ানী কোনো কিতাবে বর্ণনা করেন। إن الله لا يترك نبيا في قبره أكثر من نصف يوم ‘আল্লাহ তা‘আলা কোনো নবীকে তার কবরে অর্ধ দিনের চেয়ে বেশি রাখেন না।’ এরপর তাফরীহুল আযকিয়ার প্রণেতা বলেন, মানসুর বাগদাদী বলেছেন, এই সকল হাদীস ও উক্তির সমষ্টি থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জীবিত। যখন চান কোথাও চলে যান। ভ্রমণ করেন। যা ইচ্ছা করেন।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা সুয়ূতী (رحمة الله) অধিকাংশ অলীগণ থেকে রাসূল (ﷺ)কে দেখার কথা নকল করেন। অন্যান্য নবী ও ফেরেশতাদের জাগ্রত অবস্থায় দেখার কথাও বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইয়াফিয়ী লিখেছেন, এক বার মিসরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। আবু আব্দুল্লাহ কোরাশী দো‘আ করতে চাইলেন। কিন্তু তাকে নিষেধ করা হলো। তখন তিনি সিরিয়ার দিকে চলে যান। হযরত ইবরাহীম আ.র সাথে সাক্ষাৎ হলো। তখন দুর্ভিক্ষ দূর হওয়ার দো‘আ চাইলেন। তিনি দো‘আ করলেন, দুর্ভিক্ষ দূর হয়ে গেলো। ইমাম ইয়াফিয়ী (رحمة الله) আরো বলেন, হযরত আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমি যোহরের আগে মুহাম্মাদ (ﷺ)কে দেখেছি। তিনি আমার মুখে থুথু দিয়েছেন। এরপর হযরত আলী রাযি.কে দেখেছি। তিনি ছয় বার আমার মুখে থুথু দেন। খলীফা ইবনে মুসা থেকে বর্ণিত আছে, তিনি অধিকাংশ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে স্বপ্নে ও জাগ্রত অবস্থায় দেখতেন। এক রাতে তিনি সতের বার দেখেন। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত শায়েখ আবুল আব্বাস মুসা থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, এক মুহূর্তের জন্য যদি রাসূল (ﷺ)কে আমার সামনে থেকে অদৃশ্য দেখতাম, তাহলে নিজেকে মুসলমানদের অন্তর্ভ্ক্তু মনে করতাম না।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই জাতীয় অনেক বর্ণনা ইমাম মাযুরী তাওসীকু আরিইয়িল ঈমান কিতাবে, আব্দুল্লাহ বিন আবি জামরা বাহজাতুন নুফুস কিতাবে, শায়খ সফি উদ্দিন আবু মানসুর তার কিতাবে বর্ণনা করেন। আবু আব্দুল্লাহ বলেন, এটা অস্বীকারকারী অলিদের কারামাতকে অস্বীকারকারী। অলিদের কারামাত অস্বীকারকারীদের সাথে কোনো কথা নেই। যে ব্যক্তি কারামাতে বিশ্বাসী তার উচিত, এটা বিশ্বাষ করা যে, كرامات الأولياء حق ‘অলিদের কারামাত সত্য।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই একটি সন্দেহ ও প্রশ্ন আছে যে, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা জান যায়, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন থেকে এমন দেখা প্রমাণিত নেই। এমনি অনেক বিষয় সাহাবা তাবেয়ী যারা হাদীস ও সুন্নাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী স্বর্ণ যুগের পবিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন তাদের যুগে পাওয়া যায় না। পরবর্তী যুগে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও তা রাসূলের ভালোবাসার প্রমাণ বা নববী সুন্নাতের মোকাদ্দামা অথবা ভালো কাজ হোক। কেন নতুন আবিস্কার ও বিদআতের কারণে গোমরাহী ও না জায়েয হবে? যেমন মীলাদে মোস্তফা, কিয়ামে তা‘যীম, মীলাদ, ফাতেহা, মাসজিদের মধ্যে সাজ সজ্জা, বিছানা, মিনার ও মেহরব ইত্যাদি ইত্যাদি।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বন্ধুরা, বিদআত ও না জায়েয উচ্চরণ করা যতই সহজ, সেভাবে বাস্তব বিদআত যা আল্লাহ ও রাসূলের কাছে খারাপ তা প্রমাণ করা বড়ই কঠিন। যেখানে সেখানে না জায়েয ও বিদআত শব্দ ব্যবহার করা না আলেমের শান নয়। এটা একটা অনেক বড় সুক্ষ্ম মাসআলা। দীনি ইলমে পূর্ণ গভীরতা ছাড়া এই মাসআলার সমাধান দেওয়া অনেক কঠিন। যেই বিষয় কোরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস এই চার দলিলের বিপরীত হবে তা বিদআত ও না জায়েয। সব জিনিস নয়। জাওহারা কিতাবে আছে, إن كل ما وافق الكتاب أو السنة أو الإجماع أو القياس فهو سنة ‘যে সব জিনিস কোরআন বা হাদীস বা ইজমা বা কিয়াসের সাথে মিল হবে তা সুন্নাত।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং নিজের মনের ইচ্ছা মতো শরয়ী কোনো বিষয়কে বিদআত ও না জায়েয বলা বড় দুঃসাহস ও বানোয়াট।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের শরীয়াতের মধ্যে নতুন কিছু আবিস্কার করবে, কমিয়ে হোক কিংবা বাড়িয়ে হোক যেমন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায বাদ দিয়ে দশ ওয়াক্ত বলা। বা দুই তিন ওয়াক্ত বলা। অথবা ত্রিশ রোযার জায়গায় বিশটা বা চল্লিশটি বলা। এমন নির্ধারিত শরয়ী বিষয়ে বেশি কম করা প্রত্যাখ্যাত ও বাতিল। দীনি কাজের মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য কোনো উপায় উপকরণ নয়। নতুবা বর্তমান যুগের অধিকাংশ জিনিস বেদআত ও না জায়েয হয়ে যাবে। যেমন, মাসজিদ, মাদরাসা ও অধিকাংশ ইবাদাতের বিষয়ও বিদআত হয়ে যাবে। অথচ নতুন আবিস্কৃত বিষয়কে কেউ বেদআত বলেনি। في أمرنا এর মধ্যে শব্দটি ব্যাপক রাখা হয়েছে। দুনিয়া ও দীনি কোনো কিছুর কথা নেই। লেনদেন বা ইবাদাত কোনোটাই নির্দিষ্ট করা হয়নি।অতএব এর ব্যাপকতার উপর ভিত্তি করে দীনি, দুনিয়াবী, লেনদেন ও ইবাদাত সবই এর অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। দীনি বিষয় ও দুনিয়াবী বিষয় আলাদা করা এবং লেনদেনকে ইবাদাত থেকে আলাদা করা খ্রিস্টানদের ধর্ম। মুহাম্মাদী শরীআতে দীনি ও দুনিয়াবী উভয় বিষয়ের হুকুম সেটাই যেটা রাসূল (ﷺ) চালু করেছেন। মুসলমান একথা বলা যে, দুনিয়াবী বিষয়ে নতুন আবিস্কার জায়েয ও মোবাহ, দীনি বিষয়ে না জায়েয, অর্থাৎ নতুন আবিস্কারকে দীনি বিষয়ের সাথে বিশেষায়িত করা জায়েয নেই। বরং এটা খ্রিস্ট দর্শন। তারা গীর্যা ও রাজনীতি আলাদা করে ফেলেছে। আমাদের শরীয়াতে রাজনীতি, ইবাদাত ও রাষ্ট্র পরিচালনা সব কিছুই দীন। সুতরাং দীনি ও দুনিয়াবী বিষয়কে আলাদা করা আমাদের ধর্মে নেই। সুতরাং ফি আমরিনা বলতে দীনি দুনিয়াবী সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত। মুসলমানদের মধ্যে যারা খ্রিস্টানদের সমমতের তারা এই পার্থক্য মানে। হাঁ, যারা দুনিয়ার স্বাদ, লেনদেন, দুনিয়ার উপকরণ ও দুনিয়া অর্জন সব কিছু ছেড়ে দিয়েছে তাদের বিষয়টি ভিন্ন। তারা দীনের গন্ডি থেকে বেরিয়ে বিলীনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা ভিন্ন বিষয়।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিদআত ও সুন্নাতের আরো বিশ্লেষণ ও পরিচিতি এবং من أحدث في أمرنا..  এই হাদীসের পূর্ণ ব্যাখ্যা অধমের লেখা কিতাব তা‘রীফুল বিদআতে উল্লেখ আছে। সেখানে দেখে নিবে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লিখিত সন্দেহ ও প্রশ্নের জবাব হলো, সাহাবা ও তাবেয়ীদের যুগ রাসূল (ﷺ) এর যুগের কাছে হওয়ার কারণে অলৌকিক ঘটনার প্রকাশ খুব কম ছিলো। সম্মানের বিভিন্ন উপায় উপকরণের প্রকাশ কম ছিলো। রাসূলের যুগের কাছে হওয়ার বরকতে সকলের অন্তরে মর্যাদা ও আগ্রহ বেশি ছিলো। নববী যুগ থেকে যখন মানুষ দূরে যেতে থাকে মানুষের অন্তর থেকে দীনের মর্যাদা, নবীর সম্মান ও ইবাদাতের আগ্রহ অনেক কমে যেতে থাকে। এ কারণে পরবর্তী ওলামায়ে কেরাম দীনের প্রতি আগ্রহ, তাওহীদ, রেসালাত ও শরীয়াতের শান বুঝানোর জন্য বিভিন্ন উপকরণ নতুন নতুন আবিস্কার করেছেন। এই দৌলত ও নেআমত পরবর্তী ওলামা ও অলিদের ভাগ্যে লেখে দিয়েছেন। কে এটার অস্বীকার করতে পারে। যখন এর উপর প্রচুর সাক্ষ্য ও মুতাওয়াতির ঘটনা অস্বীকারের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। وللأخرة خير لك من الأولى এই আয়াত এর সমর্থক।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম গযালী (رحمة الله) বলেন, অন্তর সম্পন্ন ব্যক্তিরা ফেরেশতা ও নবীগণের রূহ দেখেন। তাদের আওয়াজ শুনেন। ফায়েদা উপভোগ করেন। শায়খ জালালুদ্দীন সুয়ূতী (رحمة الله) সত্তর বারেরও বেশি এই দৌলত অর্জন করেছেন। শেষ কথা হলো, এই নেআমত অর্জনের পরিপূর্ণতা যদিও ঘুমের মধ্যে ছিলো, কিন্তু জাগ্রত অবস্থায় দেখার পথে কোনো বাধা নেই। কারণ জাগ্রত অবস্থায় ফেরেশতাদেরকে দেখা সর্ব সম্মতক্রমে জায়েয এবং বাস্তব। এরপর নবীগণকে দেখার মধ্যে কোন বাধা রয়েছে? রাসূল (ﷺ)কে স্বপ্ন বা জাগ্রত অবস্থায় দেখা এক ও অভিন্ন বিষয়। যেমন জিবরাঈল আ.কে কখনো আসল আকৃতিতে, কখনো দাহিয়া কালবীল আকৃতিতে দেখা গিয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয় আকৃতিতে জিবরাঈলকেই দেখা যেত। এ কথার দ্বারা এই সন্দেহও দূর হয়ে গেলো, সারা পৃথবীতে হাজার হাজার মানুষ কিভাবে দেখে। কারণ এক সময়ে রাসূল (ﷺ) এর রূপক আকৃতি হাজার আয়নায় দেখিয়ে দেওয়া জায়েয ও সম্ভব।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কাযী আয়ায (رحمة الله) বলেন, যে ব্যক্তি রাসূল্লাহ (ﷺ)কে এই আকৃতি ও গুণের সাথে দেখেছে, সে সত্যই দেখেছে। ইমাম নভভী (رحمة الله) বলেন, উভয় রকম দেখা বাস্তবতা। কারণ তার উপযুক্ত পদও এটাই।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূল (ﷺ) দুনিয়াতে নবুয়াতের পদের দায়িত্বে ছিলেন। একারণে মানব পোশাকে আবৃত ছিলেন। এক দিকে নবুয়াতের পদের দায়িত্ব, অপর দিকে খোদাই বেলায়েতের মধ্যে লিপ্ত। যখন নবুয়াতের দায়িত্ব থেকে ফারেগ হয়েছেন, সর্বদার জন্য খোদাই বেলায়েতের মধ্যে লিপ্ত আছেন। মানব জামা খুলে ফেলা হয়েছে।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কাযী আবু বিন আওল বলেন, রাসূল (ﷺ)কে এই গুণে দেখা নবীর বাস্তবতা। নতুবা রূপক দেখা।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাদের আকীদা হলো, রাসূল (ﷺ) সশরীরে পবিত্র রওজায় অবস্থান করছেন। সকল প্রথিবী তার সামনে উপস্থিত। যা তিনি দেখছেন। তিনি যখন যেখানে ইচ্ছা চলে যান। যদি এক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে চান তাও সম্ভব। এটাই হাজির নাজিরের অর্থ। এটা নয় যে, তিনি বিশেষ শরীরে সর্ব জায়গা সর্বদা উপস্থিত। যেভাবে অনেকে আহলে সুন্নাতের উপর আপত্তি করে। এই উপর ভিত্তি করে বাজে ও অনর্থক আপত্তির দ্বারা শুরু করে দেয়।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাজির নাজির প্রমাণ করার জন্য তার জীবন ও জীবনের আনুসাঙ্গিক বিষয় কার্য ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হওয়া এবং একি সময়ে একাধিক জায়গায় উপস্থিত হওয়ার প্রমাণ জরুরী।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মাওলানা কাসেম নানুতুবী (رحمة الله) লাতায়েফে কাসেমিয়াতে বলেন, সকল নবীগণ বিশেষভাবে রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে মৃত্যুর বিশ্বাস জরুরী। তবে এই পদ্ধতিতে মৃত্যু ও জীবিত থাকার একত্র হওয়া এভাবে হবে, যেমন নৌকা নড়লে বসা ব্যক্তিও নড়ে। এখানে যেমন থেমে থাকা আসল এবং নড়া প্রাসঙ্গিক। তেমনি ওখানেও জীবিত আসল ও মৃত্যু প্রাসঙ্গিক। অন্য জায়গায় বলেন, অন্তরের আকীদা থেকে জানিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কোনো দলিল বা দৃষ্টান্তের দিকে ইঙ্গিতও হয়ে যাবে। নবীগণকে তাদের দুনিয়াবী শরীরের সম্পর্কের দিক থেকে বেশি বুঝি।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্যত্র বলেন, নবীগণের মৃত্যু ও সাধারণের মৃত্যুর মাঝে এভাবে পার্থক্য হবে, বাতি স্বর্ণের পাত্রে ঢেকে যাওয়া এবং মাটি হয়ে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই কথার দ্বারা জানা যায়, কাসেম নানুতুবীর মতে রাসূল (ﷺ) এর সাথে মৃত্যু যুক্ত হওয়া রূপক অর্থে। বাস্তবে নয়। যেভাবে নৌকায় বসা ব্যক্তির সাথে নড়া যুক্ত হওয়া রূপক, বাস্তবে নয়। এভাবে নবীগণের সাথে জীবনের বাতি সর্বদা আলোকিত থাকে। কখনো নিভে না। সাধারণের মৃত্যুতো এমনি যে, তাদের মৃত্যুতে জীবনের বাতি নিভে যায়। নবীগণের জীবনের বাতি আগের চেয়ে বেড়ে যায়।<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যখন একথা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, নবী (ﷺ) দুনিয়াবী হায়াতের সাথে জীবিত এবং দুনিয়াবী জীবনে তার দৃষ্টির পরিধি এতই বেশি যে, সারা পৃথিবীকে হাতের তালুর মতো দেখো। হাদীসে এসেছে, رفعت لي الدنيا فإنا انظر فيها كما انظر إلى كفي هذه ‘সারা পৃথিবী আমার সামনে পেশ করা হয়েছে। তা আমি হাতের তালুর মতো দেখি।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ❏ প্রশ্ন : উল্লিখিত মর্যাদা দুনিয়াতে অর্জিত ছিলো, মৃত্যুর পরে নয়? <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ জবাব : حامدا ومصليا ومسلما উপরোক্ত হাদীসেفإنا انظر বাক্যটি মোবতাদা খবর মিলে ইসমিয়া বাক্য হয়েছে। খবরের انظر শব্দটি ফে‘লে মুজারে‘। আর যেই জুমলায়ে ইসমিয়ার খবর ফে‘লে মুজারে হবে সেটা নতুন স্থয়ীত্বের ফায়েদা দিবে। অতএব মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়টি সমান। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি মেনে নেওয়া হয় যে, দুনিয়াতে রাসূল (ﷺ) এর প্রখর দৃষ্টি অর্জন ছিলো। আখেরাতে এই নেআমত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাহলে তার আখেরাত দুনিয়া থেকে ভালো থাকবে না। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وللأخرة خير لك من الأولى ‘আপনার আখেরাত দুনিয়া থেকে ভালো।’<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যখন একথা প্রমাণ হলো যে, কবরে দুনিয়াবী হায়াত, তাহলে দুনিয়াবী হায়াতের আনুসাঙ্গিক বিষয় প্রমাণিত হবে। إذا ثبت الشئ ثبت بلوازمه ‘বস্তু তার প্রসঙ্গিক বিষয় নিয়েই প্রমাণিত হয়।’ দৃষ্টির প্রশস্ততা যেহেতু দুনিয়াতে প্রমাণিত, তাই কবরেও প্রমাণিত হবে। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মাওলানা কাসেম নানুতুবী (رحمة الله) লতায়েফে কাসেমিয়াতে বলেন, মৃত্যুর সময় নবীগণের হায়াত আরো কঠিন হয়ে যায়। কারণ, হায়াত যখন মূল, তাহলে এই অবস্থায় কখনো কবরে থাকেন, কখনো মি‘রাজের কারণে আসমানে চলে যান। <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: inherit; font-size: 13pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই সকল দলিলের আলোকে প্রমাণিত হয়ে গেলো, রাসূল (ﷺ) কবরে বসে সব কিছু দেখছেন। যখন যেখানে চান চলে যান। একই সময় একাধিক জায়গায় চলে যেতে চাইলে তাও সম্ভব।

❏ প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়ের হুকুম কি এক?

❏ প্রশ্ন : অনেকে বলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকালের পর যখন যেখানে ইচ্ছা চলে যাওয়া, চাই কোনো মাহফিলে হোক, কিংবা কোনো দোকানে হোক, অথবা তার কোনো খ...

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজিয়া (১ম খন্ড)

❏ প্রশ্ন : মুমিনের ঈমান কেমন হওয়া উচিত?

❏ প্রশ্ন : মুমিন কে? তার পরিচয় কী?

❏ প্রশ্ন : পথিবীতে মিথ্যার অস্থিত্ব কেন?

❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম কি মাখলুক নাকি মাখলুক নয়?

❏ প্রশ্ন : সত্তাগত অসম্ভবের উপর শক্তিমান না হওয়ায় সে অক্ষম সাব্যস্ত হবে কি না?

❏ প্রশ্ন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কতগুলি স্থান আছে?

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর জন্মের মাস ও তারিখ কোনটি?

‘সকলে আমার সন্তুষ্টি চায়। আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই, হে মুহাম্মাদ।’

❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ)কে কুরআনে বাশার হেকমত কী?

❏ প্রশ্ন : মৃত্যুর আগে ও পরে উভয়ের হুকুম কি এক?

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার