আশুরার রোজার তাৎপর্য ও ফযিলত

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhA60e13k4fsZDzULdiw9IpGGhpSU_ZggylgqK4R0E_xmXl2JmEF36I-ZB5fy7Mlh4YEiWODp3HOyfpPEH3uzog2WL8RekQ6_X8hCQpM75a-S4CC_iNVtJGBE_TwUbyqVhf7FJWvSLwdb9C/s1600/FB_IMG_1629390499187.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1000" data-original-width="1000" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhA60e13k4fsZDzULdiw9IpGGhpSU_ZggylgqK4R0E_xmXl2JmEF36I-ZB5fy7Mlh4YEiWODp3HOyfpPEH3uzog2WL8RekQ6_X8hCQpM75a-S4CC_iNVtJGBE_TwUbyqVhf7FJWvSLwdb9C/s1600-rw/FB_IMG_1629390499187.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আশুরার দিনের রোজা আবশ্যক না হলেও এটি অনেক ফযিলতপূর্ণ, এমনকি সাহাবায়ে কেরাম উনাদের ছোট বাচ্চাদেরকেও এই রোজা রাখাতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যে বছর মু‘আবিয়া (রঃ) হজ্জ করেন সে বছর ‘আশুরার দিনে (মসজিদে নববীর) মিম্বরে হুমাইদ রঃ তাঁকে বলতে শুনেছেন যে, হে মদীনা বাসিগণ! তোমাদের ‘আলিমগণ কোথায়? আমি রসূলুল্লাহ্ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, আজকে ‘আশুরার দিন, আল্লাহ তা‘আলা এর রোজা তোমাদের উপর ফরজ করেননি বটে, তবে আমি (আজ) রোজা পালন করছি। যার ইচ্ছা সে সওম পালন করুক, যার ইচ্ছা সে পালন না করুক। (সহীহ বুখারী ২০০৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে আশুরার দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, “তা বিগত এক বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়।” (সহীহ মুসলিম ১১৬২, মুসনাদে আহমাদ ২২০২৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রুবায়্যি‘ বিনতু মু‘আব্বিয রঃ বলেন, ‘আশুরার সকালে রসূলুল্লাহ্ ﷺ আনসারদের সকল পল্লীতে এ নির্দেশ দিলেনঃ যে ব্যক্তি রোজা পালন করেনি সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যার রোজা অবস্থায় সকাল হয়েছে, সে যেন রোজা পূর্ণ করে। তিনি (রুবায়্যি রঃ) বলেন, পরবর্তীতে আমরা ঐ দিন রোজা পালন করতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা পালন করাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ঐ খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহীহ বুখারী ১৯৬০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সূনান আত তিরমিজির ৭৫৫ নং হাদিসে মুবারকায় রয়েছে, ইবনু আব্বাস (রঃ) বলেন, তোমরা নয় ও দশ (এই দুই দিন) রোযা পালন কর এবং (এই ক্ষেত্রে) ইয়াহুদীদের বিপরীত কর (অথবা দশ ও এগার)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আশুরার রোজার তাৎপর্যঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী ﷺ মদিনায় এসে দেখতে পেলেন ইয়াহূদীরা ‘আশুরা দিবসে রোজা পালন করে। তাদেরকে রোজা পালনের কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এদিনই আল্লাহ্ তাআ'লা মূসা (আলায়হিস সালাম) ও বনী ইসরাঈলকে ফিরাউনের উপর বিজয় দিয়েছিলেন। তাই আমরা ঐ দিনের সম্মানে রোজা পালন করি। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, তোমাদের চেয়ে আমরা মূসা (আলায়হিস সালাম)-এঁর বেশি নিকটবর্তী/ হকদার। এরপর তিনি রোজা পালনের নির্দেশ দিলেন। (সহীহ বুখারী ৩৯৪৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তারা বলল, এটি (আশুরা) একটি মহান দিবস। এ এমন দিন যে দিনে আল্লাহ্ মূসা (আঃ)-কে নাজাত দিয়েছেন এবং ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে ডুবিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর মূসা (আঃ) শুকরিয়া হিসেবে এদিন রোজা পালন করেছেন। তখন নবী ﷺ বললেন, তাদের তুলনায় আমি হলাম মূসা (আঃ)-এঁর অধিক নিকটবর্তী। কাজেই তিনি নিজেও এদিন রোজা পালন করেছেন এবং এদিন রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী ৩৩৯৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ মূসা রঃ বলেন, ইয়াহুদী সম্প্রদায় আশুরা দিবসের সম্মান প্রদর্শন করত এবং তারা এ দিনকে ঈদ বলে গণ্য করত। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, তোমরাও এ দিনে রোজা পালন কর। (সহীহ মুসলিম ২৫৫০)</div>

আশুরার রোজার তাৎপর্য ও ফযিলত

আশুরার দিনের রোজা আবশ্যক না হলেও এটি অনেক ফযিলতপূর্ণ, এমনকি সাহাবায়ে কেরাম উনাদের ছোট বাচ্চাদেরকেও এই রোজা রাখাতেন। যে বছর মু‘আবিয়া (রঃ) হজ্...

Read more »

কোরবানী প্রসঙ্গে কিছু হাদিস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">(১) হজরত আবু হুরায়রা رضي الله عنه হতে বর্ণিত। হুজুর ﷺ বলেছেন - সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করবেনা  সে যেন   আমার ঈদগাহের নিকটে না আসে। (ইবনে মাজাহ শরীফ)<br /><br />(২)  হজরত   আয়েশা  رضي  الله   عنها  হতে  বর্ণিত।  হুজুর ﷺ    বলেছেন     -    আল্লাহর    নিকট      আদম     সন্তানের সবচেয়ে   প্রিয়   আমল    হলো  কুরবানীর  দিনে  কুরবানী করা। (তিরমিজী ও ইবনে মাজাহ শরীফ)<br /><br />(৩)   হজরত  ইমাম    হাসান   رضي   الله  عنه  হতে   বর্ণিত। হুজুর  ﷺ  বলেছেন  -  যে  ব্যক্তি  সওয়াবের  উদ্দেশ্যে  আনন্দ   সহকারে    কুরবানী  করেছে  সে  জাহান্নাম  হতে নিষ্কৃতি পেয়েছে। (তিবরানী শরীফ)<br /><br />(৪)  হজরত     ইবনু   আব্বাস  رضي  الله  عنه  হতে  বর্ণিত।  হুজুর ﷺ   বলেছেন  - সবচেয়ে উত্তম পয়সা হলো  তা যা  ঈদের  দিন  কুরবানীতে  খরচ  করা  হয়।  (তিবরানী  শরীফ)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjUWKH-E37Jh0dHamjBmlPU6vuhmWWsGh82p7uXwHwOzplygqX_1ST8MkbBSKCc4t5ND4XpkwrageGzNRmvP0D-uSFmJSfBEkhFO0Hxzt2bNMkMoTMi45vR5h-oBYiHihVtX2TXi8yn0UEF/s1600/cow.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="291" data-original-width="500" height="186" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjUWKH-E37Jh0dHamjBmlPU6vuhmWWsGh82p7uXwHwOzplygqX_1ST8MkbBSKCc4t5ND4XpkwrageGzNRmvP0D-uSFmJSfBEkhFO0Hxzt2bNMkMoTMi45vR5h-oBYiHihVtX2TXi8yn0UEF/s320-rw/cow.jpg" width="320" /></a></div><br />(৫)   হজরত  উম্মে  সালামা     رضي  الله  عنها  হতে  বর্ণিত। হুজুর    ﷺ    বলেছেন   -   যে    ব্যক্তি    জিলহাজের    চাঁদ দেখেছে  এবং  কুরবানী  করার  ইচ্ছা  করেছে,  সে  যেন  কুরবানী করার পূর্বে চুল ও নখ না কাটে। (তিরমিজী ও নাসায়ী শরীফ)<br /><br />(৬)  হজরত  আব্দুল্লাহ  বিন  মাসাউদ  رضي  الله  عنه  হতে  বর্ণিত। হুজুর ﷺ বলেছেন  -  গরু  ও   উট সাত জনের পক্ষ হতে কুরবানী করা জায়েজ। (তিবরানী শরীফ)<br /><br />(৭)  হজরতে  ইবনু  আব্বাস   رضي  الله  عنه  হতে   বর্ণিত। হুজুর  ﷺ  বলেছেন  -  কান কাটা  ও  শিং  ভাঙা  পশুর  কুরবানী করা যাবে না। (ইবনে মাজাহ শরীফ) </div>

কোরবানী প্রসঙ্গে কিছু হাদিস

(১) হজরত আবু হুরায়রা رضي الله عنه হতে বর্ণিত। হুজুর ﷺ বলেছেন - সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করবেনা  সে যেন   আমার ঈদগাহের নিকটে ...

Read more »

জিকরুল্লাহ ও জিকরে রাসূল (দুরূদ)

<ul style="text-align: left;"><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_668.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">শানে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা ও শানে মুস্তফা (ﷺ)</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_291.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">৪০ টি আয়াতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_426.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">আল-কুরআন থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র শান</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_350.html" style="box-sizing: inherit; color: #292929; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; outline-width: 0px; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">তোমাদের মধ্যে কে আছো আমার মতো?</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_322.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">প্রিয় নবী (ﷺ) এর শারীরিক গঠন</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_976.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজির দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_762.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজির পবিত্র মুখমন্ডল মুবারক</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_758.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">মহরে নবুওয়াত</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_263.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">ছায়াবিহীন দেহ মুবারক</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_800.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজির হাত মুবারক</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_140.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজির পবিত্র পস্রাব, পায়খানা ও রক্ত মুবারক</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_892.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">পবিত্র ঘাম মুবারক</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_120.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজির দৈহিক শক্তি</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_644.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">রাসুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখার আমল</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_187.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবীজী (ﷺ) আমাদের আমল দেখতে পান</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_774.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">হুযূর পাক [ﷺ] দূরবর্তী ও নিকটবর্তী সব জায়গা থেকে শুনেন</span></a></li></ul>

জিকরুল্লাহ ও জিকরে রাসূল (দুরূদ)

শানে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা ও শানে মুস্তফা (ﷺ) ৪০ টি আয়াতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি আল-কুরআন থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র শান তোমাদ...

Read more »

কিতাবঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ

<ul style="text-align: left;"><li>কিতাবঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ</li><li>কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী</li><li><span style="font-size: medium;"><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_149.html" style="background-color: #fafafa; box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;">অধ্যায়ঃ কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব)</a></span></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_119.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_228.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় না</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_410.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_259.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ ক্বোরআন ও সুন্নাহ্'কে আঁকড়ে ধরা, বিদআত পরিচিতি</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_182.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ সালাত-রুকূ</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_340.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_531.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ রোযা</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_947.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">কোমরে হাত রাখা দোযখীদের আলামত</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_767.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">'তাক্বদীর'-এর অর্থ ও প্রকারভেদ এবং কিছু 'তাক্বদী...</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_622.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">তাক্বদীরের উপর ঈমান আনা</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_938.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইমান</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_958.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">নবী করিম [ﷺ]-এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠের ফযীলত</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_105.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">জুমু'আর ফযীলতসমূহ</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_593.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">জুমু'আর দিনে দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_462.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">জুমু'আর দিনে কোন মুহূর্তে দো'আ কবুল হয়?</span></a></li><li><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2023/09/blog-post_350.html" style="box-sizing: inherit; color: #01b8c0; font-family: SolaimanLipi, sans-serif; text-decoration-line: none; text-indent: -15px;"><span style="font-size: medium;">তোমাদের মধ্যে কে আছো আমার মতো?</span></a></li></ul>

কিতাবঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ

কিতাবঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী অধ্যায়ঃ কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব) অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুন...

Read more »

অধ্যায়ঃ কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব)

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-5d20db63-7fff-4f60-ec49-a56db2bf9fbd"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিতাবুন্ নিকাহ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং- (২৯৪১)]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>○ অধ্যায়ঃ [কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব)]</b></span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবূ হুরাইরা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলাল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"চার(০৪) কারণে নারীকে বিবাহ করা যায়: তার ধনসম্পদের কারণে, বংশের কারণে, সৌন্দর্যের কারণে এবং দ্বীনের কারণে। তোমরা দ্বীনদার (ধর্মভীরু) নারীকে (বিবাহের জন্য) পছন্দ করো। (টীকাঃ ১) তোমার দু'হাত ধূলিময় হোক।" (টীকাঃ ২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সহীহ বোখারী, সহীহ মুসলিম]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখাঃ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                       </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. (তোমরা দ্বীনদার (ধর্মভীরু) নারীকে (বিবাহের জন্য) পছন্দ করো।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ সাধারণত মানুষ নারীর সম্পদ, সৌন্দর্য এবং বংশের দিকই (বিবাহের বেলায়) বিবেচনা করে, এসব বিষয় দেখেই বিবাহ করে; কিন্তু তোমরা নারীর ভদ্রতা ও দ্বীনদারী অন্য সব বিষয়ের পূর্বে দেখো। কারণ সম্পদ ও সৌন্দর্য অস্থায়ী জিনিস; দ্বীন হচ্ছে স্থায়ী সম্পদ। তাছাড়া ধর্মভীরু মাতা ধর্মভীরু সন্তানের জন্ম দেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ডক্টর ইকবাল অতি সুন্দর বলেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"বে-আদব মাতা আদব সম্পন্ন সন্তান জন্ম দিতে পারে না,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্বর্ণের খনি কখনও ইস্পাতের খনি হতে পারে না।"</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মা যদি ফাতেমা যাহরা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻋﻨﻬﺎ]'র মতো হন, তাহলে সন্তানও হযরত হাসান ও হযরত হোসাইন [ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ]'র মতো হবেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ডক্টর আল্লামা ইকবাল বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"(ওহে নারী) হযরত ফাতিমা বতূল [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻋﻨﻬﺎ]'র মতো খোদাভীরু মহিলা হয়ে যাও, এ যুগ হতে গোপন থাকো, যাতে তোমার কোলে ইমাম হাসান কিংবা ইমাম হোসাইনের মতো সন্তান ধারণ করতে পারো।"</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. (তোমার দু'হাত ধূলিময় হোক।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ২।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ যদি তুমি আমার এ নির্দেশ অনুসারে আমল না করো, তবে পেরেশান হয়ে যাবে। নবী করিম [ﷺ] ঘোষণা করেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"যে ব্যক্তি নারীর সম্পদ দেখে তাকে বিবাহ করবে সে গরীব থাকবে, যে ব্যক্তি শুধু বংশ দেখে বিবাহ করবে সে অপমানিত হবে এবং যে ব্যক্তি দ্বীন দেখে বিবাহ করবে তাকে বরকত দেওয়া হবে।" (মিরক্বাত)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সম্পদ এক ঝটিকায় এবং সৌন্দর্য এক অসুখের কারণে লোপ পেয়ে যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ৫ম খন্ড, পৃ.৪, হাদীস নং-২৯৪১ এর টীকাঃ ৮ ও ৯ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়- ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং-২৯৯৬]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ [</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিবাহের ওলী (অভিভাবক) এবং কনের নিকট থেকে অনুমতি লওয়ার বিবরণ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবূ সা'ঈদ ও ইবনে আব্বাস [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ] হতে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"যার সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেনো তার উত্তম নাম রাখে(টীকাঃ ১¤) এবং তাকে উত্তম শিক্ষা দান করে।(টীকাঃ ২¤) অতঃপর যখন সে (সন্তান) বয়োঃপ্রাপ্ত হয় তখন তাকে বিবাহ করিয়ে দেবে।(টীকাঃ ৩¤) যদি সন্তান বয়োঃপ্রাপ্ত হয় এবং তাকে বিবাহ না করায় অতঃপর সে যদি কোন গুনাহ করে বসে, তাহলে তার গুনাহ তার পিতার উপর বর্তাবে।"(টীকাঃ ৪¤)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদিসটি বায়হাক্বী তাঁর 'শো'আবুল ঈমান-এ বর্ণনা করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখাঃ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                       </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. (যার সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেনো তার উত্তম নাম রাখে)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ (১¤)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেননা, উত্তম নামের প্রভাব নামধারীর উপর পড়ে। উত্তম নাম হচ্ছে তা-ই, যা অর্থহীন হবে না; যেমন- 'বুধুয়া', 'তাল্ওয়া' ইত্যাদি এবং গর্ব-অহংকারও পাওয়া যাবেনা; যেমন- 'বাদশাহ', 'শাহানশাহ্' ইত্যাদি; আর খারাপ অর্থও থাকবে না; যেমন- 'আ-সী' (পাপী) ইত্যাদি। উত্তম হলো এটাই যে, সম্মাণিত নবীগণ অথবা হুযূর [ﷺ]-এর মর্যাদাবান সাহাবীগণ অথবা পবিত্র আহলে রায়ত-এর নামানুসারে নাম রাখবে। যেমন- ইব্রাহীম, ইসমা'ঈল, ওসমান, আলী, হাসান ও হোসাইন ইত্যাদি। আর যে ব্যক্তি ছেলের নাম 'মুহাম্মদ' রাখবে, তাকে ইনশা-আল্লাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং দুনিয়ায়ও সেটার বরকতসমূহ দেখবে। আজকাল বহু বাজে নাম রাখা হচ্ছে। যেমন- নাসীম, আখতার, রায়জানাহ্, গুলফাম ইত্যাদি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. (এবং তাকে উত্তম শিক্ষা দান করে।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ (২¤)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রয়োজন মতো 'ইলমে দ্বীন' (ধর্মীয় জ্ঞান) অবশ্যই শেখাবে। দুনিয়াবী জ্ঞান ও পেশা শিক্ষাও এ পরিমাণ দান করবে, যাতে সন্তান কারো মুখাপেক্ষী না হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. (অতঃপর যখন সে (সন্তান) বয়োঃপ্রাপ্ত হয় তখন তাকে বিবাহ করিয়ে দেবে।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ (৩¤)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ থেকে বুঝা গেলো যে, উত্তম এটাই যে, বিবাহ বালেগ হলেই করাবে; যদিও না-বালেগ সন্তানের বিবাহও শুদ্ধ হয়। বালেগ সন্তানের অভ্যাস ইত্যাদি বুঝা যায়, কিন্তু না-বালেগ সম্পর্কে বলা যায় না, সে কোন অভ্যাসের এবং কোন শ্রেণীর হবে। (আশি'আহ্)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. (যদি সন্তান বয়োঃপ্রাপ্ত হয় এবং তাকে বিবাহ না করায় অতঃপর সে যদি কোন গুনাহ করে বসে, তাহলে তার গুনাহ তার পিতার উপর বর্তাবে।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ (৪¤)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা ওই অবস্থায় যে, সন্তান যদি দরিদ্র হয়, নিজে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না, আর পিতা ধনী হয়, সন্তানের বিবাহ করাতে পারে। কিন্তু যদি অবহেলাবশত কিংবা ধনীর সন্ধানে রয়ে সে বিবাহ না করায়, তখন সন্তানের গুনাহ্'র পরিণাম ওই বেপরোয়া পিতার উপরও বর্তাবে। (মিরক্বাত) কেননা, পিতার অবহেলাই তার গুনাহ্'র কারণ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্মর্তব্য যে, এখানে ﺍﻧﻤﺎ সৃষ্টিগত অভ্যাসজনিত গুনাহের মধ্যে নির্দিষ্টকরণের জন্য; ﻛﺴﺒﻰ (তার উপার্জিত) গুনাহের মধ্যে নির্দিষ্টকরণের জন্য নয়। অর্থাৎ গুনাহ্'র কারণ হওয়ার অশুভ পরিণতিই শুধু পিতার উপর বর্তাবে, যদিও অর্জিত গুনাহ্'র অশুভ পরিণতি স্বয়ং সন্তানের উপরও বর্তাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ হাদীস শরীফ হতে ওই সব লোকের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ যারা শুধু ধনীর খোঁজে সন্তানকে অনেকদিন যাবৎ বিবাহ করায় না। এ থেকেও জঘন্য হলো এটাই যে, নিজের কুমারী যুবতী মেয়েকে স্কুল-কলেজে একাকী পাঠিয়ে দেয়। যার মন্দ পরিণতি বর্তমানে চোখের সামনে বিদ্যমান।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।।।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ৫ম খন্ড, পৃ.৪১, হাদীস নং-২৯৯৬ এর টীকাঃ ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়- ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।]</span></p>

অধ্যায়ঃ কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব)

কিতাবুন্ নিকাহ ❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং- (২৯৪১)] ○ অধ্যায়ঃ [কিতাবুন্ নিকাহ (বিবাহ পর্ব)] হযরত আবূ হুরাইরা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলে...

Read more »

অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-f818951c-7fff-d2a5-455b-e72fdee2958c"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ ‘মুনাফিক-ই আমলী'র চিহ্নসমূহঃ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৫০)】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻭﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ‏[ﷺ ‏] ﺍﺭﺑﻊ ﻣﻦ ﻛﻦ ﻓﻴﻪ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﺎﻓﻘﺎ ﺧﺎﻟﺼﺎ ﻭﻣﻦ ﻛﺎﻧﺖ ﻓﻴﻪ ﺧﺼﻠﺔ ﻣﻨﻬﻦ ﻛﺎﻧﺖ ﻓﻴﻪ ﺧﺼﻠﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻔﺎﻕ ﺣﺘﯽ ﻳﺪﻋﻬﺎ ﺇﺫﺍ ﺍﺅﺗﻤﻦ ﺧﺎﻥ ﻭﺍﺫﺍ ﺣﺪﺙ ﻛﺬﺏ ﻭﺇﺫﺍ ﻋﺎﻫﺪ ﻏﺪﺭ ﻭﺍﺫﺍ ﺧﺎﺻﻢ ﻓﺠﺮ . : ‏( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❝যার মধ্যে চারটি দূষণীয় স্বভাব থাকে (টীকাঃ ১) সে খাঁটি মুনাফিক,(টীকাঃ ২) এবং যার মধ্যে এর থেকে একটি দোষ থাকবে, তার মধ্যে মুনাফিক্বী’র একটি দোষ থাকবে। যতক্ষণ সে তা বর্জন না করে- যখন তার নিকট আমানত রাখা হবে তখন খিয়ানত করবে, যখন কথা বলবে তখন মিথ্যা বলবে, যখন ওয়াদা করবে তখন তা ভঙ্গ করবে এবং যখন ঝগড়া করবে তখন গালি দেবে।❞(টীকাঃ ৩)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【বােখারী, মুসলিম】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                   </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১. এ হাদীস শরীফ পূর্ববর্তী হাদীসের বিরােধী নয়। একটি জিনিসের অনেকগুলো আলামত হয়ে থাকে। কখনও সবগুলাে বর্ণনা করে দেওয়া হয়, কখনাে কম-বেশি বর্ণনা করা হয়। ওই তিনটিও মুনাফিকীর আলামত ছিল, এ চারটিও মুনাফিকীর আলামত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ২. ‘মুনাফিক-ই আমলী' অর্থাৎ মুনাফিকদের ন্যায় কর্মকাণ্ড সম্পাদনকারী। যেমন- মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﺃَﻗِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ “নামায কায়েম করো এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়াে না" (৩০:৩১) অথবা হুযুর [ﷺ] এরশাদ ফরমাচ্ছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﻣﻌﺘﻤﺪﺍ ﻓﻘﺪ ﻛﻔﺮ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামায বর্জন করেছে, সে কাফির হয়ে গেছে।" অর্থাৎ 'বেনামাযী হওয়া' কাফিরসুলভ কাজ অর্থাৎ কাফিরদের কাজ।*</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">* আল্লামা ইব্রাহীম হালাভী ‘সগীরী' নামক কিতাবে আলােচ্য হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা এভাবে দিয়েছেন: ﺗﺮﻙ বা বর্জন করা মানে নামায ফরয হওয়াকে অস্বীকার করা বা এটাকে ফরয মনে না করা। অতএব, নামায না পড়াকে যদি জঘন্য পাপ মনে করে আল্লাহর কাছে বা মানুষের কাছে লজ্জাবােধ করে, কিংবা এমনটিকে গুনাহ বলে মেনে নেয়, তবে সে কাফির নয়, বরং ফাসিক্ব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৩. এ থেকে ওই সকল লােকের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত, যাদের দৃষ্টিতে গালিগালাজ করা ইবাদত, বরং ঈমানের মূল। ইসলামে শয়তান, ফিরআউন ও হামানকে বিনা প্রয়ােজনে গালি দেওয়াও মন্দ কাজ। কেননা, এতে স্বীয় মুখই অপবিত্র হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">f/Ishq-E-Mustafa ﷺ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ৭০, হাদীস নং-৫০ এবং টীকাঃ ২৬, ২৭ এবং ২৮ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলা (সোলহে কুল্লী) ও তাক্বিয়্যাহ্বাজি মুনাফিক্বের আলামতঃ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ [হাদীস নং- (৫১)]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻭﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻣﺜﻞ ﺍﻟﻤﻨﺎﻓﻖ ﻛﺎﻟﺸﺎﺓ ﺍﻟﻌﺂﺋﺮﺓ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻐﻨﻤﻴﻦ ﺗﻌﻴﺮ ﺍﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﻣﺮﺓ ﻭ ﺍﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﻣﺮﺓ . : ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইবনে ওমর [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❝মুনাফিক্বের উপমা ছাগীর ন্যায়, যা দু’টি (পাঁঠা) ছাগলের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে, (টীকাঃ ১ দ্রব্যষ্ট) কখনও এ ছাগলের কাছে পৌঁছে, কখনাে অপর ছাগলের কাছে যায়।❞</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【মুসলিম】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                   </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১. দুটিকে রাজী করার এবং দু’টি থেকেই স্বাদ ও উপকার লাভ করার জন্য; যা দ্বারা তার বাচ্চা প্রজণনের ইচ্ছা বুঝা যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুর্তব্য যে, কাফির ও মু'মিন সকলকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় থাকা মারাত্মক ব্যাধি। যা করলে তার নিজের কোন দ্বীন থাকে না। এ জন্য এখানে এরূপ মন্দ জিনিসের সাথে উপমা দেওয়া হয়েছে। যাতে অন্তরে এর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই নিফাক্ব রােগে বর্তমানে অনেক বহুরূপী মসলমানও আক্রান্ত। কিছু কিছু জ্ঞানপাপীর দৃষ্টিতে, কৌশল অবলম্বন করে কাফির ও মু'মিন সকলকে সন্তুষ্ট করা এবং সকলের কাছ থেকে উপকৃত হওয়া ইবাদত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ, আমাদেরকে এরূপ শয়তানী ইবাদত থেকে রক্ষা করুন!</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">f/Ishq-E-Mustafa ﷺ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ৭০, হাদীস নং-৫১ এর টীকাঃ ২৯ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ আক্বীদাগত মুনাফিক্বের চিহ্নসমূহঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"># ব্যাখ্যাসহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৪৯)】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﺍﻳﺔ ﺍﻟﻤﻨﺎﻓﻖ ﺛﻠﺚ . ﺯﺍﺩ ﻣﺴﻠﻢ ﻭﺇﻥ ﺻﺎﻡ ﻭﺻﻠﻰ ﻭﺯﻋﻢ ﺃﻧﻪ ﻣﺴﻠﻢ ﺛﻢ ﺍﺗﻔﻘﺎ ﺇﺫﺍ ﺣﺪﺙ ﻛﺬﺏ ﻭﺇﺫﺍ ﻭﻋﺪ ﺃﺧﻠﻒ ﻭﺍﺫﺍ ﺍﺅﺗﻤﻦ ﺧﺎﻥ .]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবু হােরায়রা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেন- "মুনাফিক্বের আলামত তিনটি। (টীকাঃ ১)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম মুসলিম [ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ] এ হাদীসকে বর্ধিত আকারে বর্ণনা করেছেন- “যদিও রােযা রাখে, নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতঃপর মুসলিম ও বােখারী ঐকমত্যের ভিত্তিতে বর্ণনা করেছেন- “যখন কথা বলে (তখন) মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।” (টীকাঃ ২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                   </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. 【মুনাফিক্বের আলামত তিনটি।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১ ‘মুনাফিক্ব’ মানে ই'তিক্বাদী (বিশ্বাসগত) মুনাফিক্ব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ অন্তরের দিক দিয়ে কাফির এবং মুখে মুসলমান। এ দোষগুলাে তাদের আলামত; কিন্তু আলামতের সাথে আলামতধারী থাকা জরুরি নয়। কাকের চিহ্ন ‘কালাে হওয়া’; কিন্তু প্রতিটি কালাে জিনিস কাক নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ এ আলামতগুলাে মুনাফিক্ব'র। সুতরাং যাদের মধ্যে এ আলামতগুলাে পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে মুনাফিক্ব বলা যাবে না। মৌলিক ঈমান তার মধ্যে থাকলে এ সব আলামতরূপী দোষগুলাের কারণে গুনাহ্গার হবে মাত্র। সুতরাং বাতিল আক্বীদাসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে এসব আলামতের সমন্বয় ঘটলে সে-ই প্রকৃত মুনাফিক্ব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. 【যখন কথা বলে (তখন) মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ২. অর্থাৎ এগুলাে মুনাফিক্বদের কাজ। মুসলমানকে এগুলাে থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এটা নয় যে, এ অপরাধগুলাে স্বয়ং নিফাক্ব। হযরত ইয়ূসুফ [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ]'র ভাইয়েরা এ তিন অপরাধই করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা মুনাফিক্ব সাব্যস্ত হননি কাফিরও নন। সুতরাং হাদীসের উপর কোন আপত্তি নেই।।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">f/Ishq-E-Mustafa ﷺ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ৬৯, হাদীস নং-৪৯ এবং টীকাঃ ২৪ এবং ২৫ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।</span></p>

অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ

অধ্যায়ঃ কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ □ ‘মুনাফিক-ই আমলী'র চিহ্নসমূহঃ   ❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৫০)】 ○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসম...

Read more »

কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় নাঃ

<br id="docs-internal-guid-ea88d418-7fff-fec3-a89b-5ff0bd4d59ff"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় নাঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"># ব্যাখ্যাসহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【হাদীস নং- (৫৩)】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻭﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﺛﻠﺚ ﻣﻦ ﺃﺻﻞ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺍﻟﻜﻒ ﻋﻤﻦ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻻﺗﻜﻔﺮﻩ ﺑﺰﻧﺐ ﻭﻻﺗﺨﺮﺟﻪ ﻣﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺑﻌﻤﻞ ﻭ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻣﺎﺽ ﻣﺬ ﺑﻌﺜﻨﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﺍﺧﺮ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻣﺔ ﺍﻟﺪﺟﺎﻝ ﻻ ﻳﺒﻄﻠﻪ ﺟﻮﺭ ﺟﺎﺋﺮ ﻭﻻ ﻋﺪﻝ ﻋﺎﺩﻝ ﻭﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺑﺎﻷﻗﺪﺍﺭ : ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺅﺩ )]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫৩ || হযরত আনাস [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"তিনটি জিনিস ঈমানের ভিত্তি (টীকাঃ ১)- যে লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলে তার থেকে (মুখকে) সংযত রাখা,(টীকাঃ ২) অর্থাৎ নিছক গুনাহর কারণে তাকে কাফির বলাে না (টীকাঃ ৩) এবং না তাকে শুধু কোন আমলের কারণে ইসলামের বাইরে মনে করাে।(টীকাঃ ৪) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ জারি রয়েছে, যখন থেকে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন (টীকাঃ ৫) ওই সময় পর্যন্ত যে, এ উম্মতের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সাথে জিহাদ করবে।(টীকাঃ ৬) জিহাদকে যালিমের যুলম ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির ন্যায়পরায়ণতা বাতিল করতে পারবে না। (টীকাঃ ৭) আর তাক্বদীরসমূহের উপর ঈমান রাখা।" (টীকাঃ ৮)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【আবূ দাঊদ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                   </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. 【তিনটি জিনিস ঈমানের ভিত্তি】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১. অর্থাৎ যার উপর ঈমানের ভবন প্রতিষ্ঠিত, যেগুলাে ব্যতীত মানুষ মুমিন হতে পারে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. 【যে লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলে তার থেকে (মুখকে) সংযত রাখা】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ২. তাকে কাফির বলে আখ্যায়িত করবে না। 'কালেমা পড়া' মানে সমস্ত ইসলামী আক্বাইদ মেনে নেওয়া। যা আমি বহুবার উল্লেখ করেছি। ইমাম আবু হানীফা [ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ] বলেছেন, “আমরা আহলে ক্বেবলাকে কাফির বলি না।” এ কথার উদ্দেশ্যও এটা। কারাে থেকে কুফরী শব্দ পাওয়া গেলে, কেউ দ্বীনের অপরিহার্য বিষয়াদি, যেগুলাে খবর-ই মুতাওয়াতির কিংবা ইজমা দ্বারা প্রমাণিত, অস্বীকার করলে, মুখে বা কাজে তা করা প্রমাণিত হলে সে আহলে ক্বেবলা থাকে না; বরং কাফির বা মুরতাদ্দ হয়ে যায়। যেমন- ক্বোরআন মজীদকে মাখলূক্ব (সৃষ্ট) বলে মু'তাযিলা সম্প্রদায়, খতমে নুবূয়তকে অস্বীকার করে ক্বাদিয়ানী ও তাদের সহযােগী দেওবন্দীরা এবং যারা হুযূর [ﷺ] সহ সমস্ত নবীর দোআ নিশ্চিত কবুল হওয়াকে অস্বীকার করে অথবা কথায় ও কাজে তার পরিচয় দেয় তারা সবাই আহলে ক্বেবলা বহির্ভূত। [শরহে ফিক্বহে আকবর, উসূলে বয়দভী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শুধু কালেমা পাঠ ও কাবা ঘরের দিকে মুখ ফেরানাে ঈমানের জন্য যথেষ্ট নয়। মুনাফিক্বরা এ দু’টি কাজ করতাে, কিন্তু তারপরও কাফির ছিলাে। হুযুর [ﷺ] এরশাদ করেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩টি ফের্কা হবে। একটি ব্যতীত সবাই জাহান্নামী।” খারেজীদের সম্পর্কে বলেছেন যে, "তারা অত্যন্ত নামাযী এবং ক্বোরআন পাঠকারী হবে, কিন্তু দ্বীন থেকে এমনভাবে দূরে থাকবে, যেমনিভাবে নিক্ষিপ্ত তীরফলক ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।" এ ব্যাখ্যার সমর্থন পরবর্তী বিষয়বস্তু থেকেও পাওয়া যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. 【অর্থাৎ নিছক গুনাহর কারণে তাকে কাফির বলাে না】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৩. এতে খারেজীদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা কবীরা গুনাহকে কুফর এবং গুনাহগারকে কাফির বলে থাকে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বাক্যটি পূর্ববর্তী বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা। অর্থাৎ গুনাহ্ হচ্ছে অপকর্ম করা, কুফর নয়। স্মর্তব্য যে, কোন কোন গুনাহ্ কুফরের আলামত। এ জন্য ফোক্বাহা-ই কেরাম ওইসব কর্মকাণ্ডকে কুফর বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন- পৈতা বাঁধা, মুর্তিকে সাজদা করা, ক্বোরআন করীমকে ময়লায় নিক্ষেপ করা, হুযূরের কোন জিনিসের প্রতি বিদ্রুপ করা, বেআদবী করে হুযূরের পবিত্র কণ্ঠস্বরের উপর নিজের কণ্ঠস্বর উঁচু করা, মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﻟَﺎ ﺗَﻌْﺘَﺬِﺭُﻭﺍ ﻗَﺪْ ﻛَﻔَﺮْﺗُﻢ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻜُﻢْ] (তােমরা মিথ্যা অজুহাত রচনা করােনা, তােমরা মুসলমান হয়ে কাফির হয়ে গেছাে।) [৯:৬৬, তরজমা: কানযুল ঈমান] আরাে এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺭَﺑِّﻚَ ﻟَﺎ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ...] (সুতরাং [হে মাহবূব!] আপনার রবের শপথ। তারা মুসলমান হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত পরস্পরের ঝগড়া-বিবাদের ক্ষেত্রে আপনাকে বিচারক মানবে না।...আল-আয়াত। [৪:৬৫] আরাে এরশাদ ফরমাচ্ছেন- [ﺃَﻥ ﺗَﺤْﺒَﻂَ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ] (অর্থাৎ যেন কখনাে তােমাদের আমলগুলাে নিস্ফল না হয়ে যায়...।) [৪৯:২, তরজমান: কানযুল ঈমান]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ সকল গুনাহ এ কারণে কুফর, এগুলো তাদের অন্তরস্থ কুফরের আলামত। সুতরাং আলােচ্য হাদীস শরীফ ও ক্বোরআন মজীদ পরস্পর বিরােধী নয়।।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. 【এবং না তাকে শুধু কোন আমলের কারণে ইসলামের বাইরে মনে করাে।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৪, এতে মু'তাযিলাদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা বলে থাকে যে, কবীরা গুনাহকারী মু'মিনও নয়, কাফিরও নয়; বরং মধ্যখানে আলাদা একটা স্তরে- ‘ফাসিক্ব’; অথচ কুফর ও ইসলামের মধ্যখানে কোন স্তর নেই। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের আক্বীদা হলাে, ‘ফাসিক্ব’ হলো দুর্বল মু'মিন, কাফির নয়। সুতরাং ‘ফাসিক্ব’ পৃথক কোন স্তর নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. 【আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ জারি রয়েছে, যখন থেকে আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৫. মদীনা ত্বাইয়্যেবাহ’র দিকে। কেননা, হিজরতের পূর্বে জিহাদ ফরয ছিলাে না।।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. 【ওই সময় পর্যন্ত যে, এ উম্মতের সর্বশেষ দল দাজ্জালের সাথে জিহাদ করবে।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৬. অর্থাৎ হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] ও ইমাম মাহদী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] মুসলমানদের সাথে নিয়ে দাজ্জাল ও তার দলের বিরুদ্ধে তলােয়ার দ্বারা জিহাদ করবেন। কেননা, হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] হুযূর [ﷺ]’র উম্মত হবেন। যেহেতু দাজ্জালের পরে সমগ্র দুনিয়া মুসলমান হয়ে যাবে; কোন কাফির থাকবে না এবং হযরত ঈসা [ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ] ও ইমাম মাহদী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ]’র ওফাতের কিছু সময় পর দুনিয়ায় কুফরই থাকবে। কোন মু’মিন থাকবে না, সেহেতু এ জিহাদই সর্বশেষ জিহাদ হবে। এরপরে কোন জিহাদ হবে না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্মর্তব্য যে, যদিওবা পূর্ববর্তী কোন কোন শরীয়তেও জিহাদ ছিলাে, কিন্তু ইসলামী জিহাদ ও এর নীতিমালা হুযূর [ﷺ] থেকে আরম্ভ হয়ে দাজ্জালের হত্যা পর্যন্ত থাকবে। সুতরাং আলােচ্য হাদীসের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. 【জিহাদকে যালিমের যুলম ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির ন্যায়পরায়ণতা বাতিল করতে পারবে না।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৭. অর্থাৎ প্রত্যেক ইনসাফকারী ও যালিম বাদশাহ'র সাথে মিলে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাে। এ'তে ইঙ্গিতে দু’টি মাসআলা বলা হয়েছে:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এক. জিহাদের জন্য ইসলামী বাদশাহ অথবা আমীরুল মুসলিমীনের উপস্থিতি বা নির্দেশ জিহাদ ওয়াজিব হবার জন্য পূর্বশর্ত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুই. ফাসিক বা পাপিষ্ট বাদশাহ’র অধীনে বা আহ্বানে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা আবশ্যক।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাহাবা-ই কেরাম হাজ্জাজ ইবনে ইয়ূসুফের মত ফাসিক্ব শাসকের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এতে ক্বাদিয়ানীদের খণ্ডন করা হয়েছে, যারা বলে থাকে যে, মির্যা ক্বাদিয়ানী জিহাদ রহিত করে দিয়েছে। জিহাদ নামাযের মত সুস্পষ্ট-সুদৃঢ় দলীল দ্বারা প্রমাণিত ও রহিত হবার অনুপযােগী ইবাদত। জিহাদ ব্যতীত কোন জাতি জীবিত থাকতে পারে না। মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ﻭَﻟَﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘِﺼَﺎﺹِ ﺣَﻴَﺎﺓٌ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“এবং ক্বিসাসের মধ্যে তােমাদের জীবন নিহিত রয়েছে।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[২:১৭৯, তরজমা: কানযুল ঈমান]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮. 【আর তাক্বদীরসমূহের উপর ঈমান রাখা।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ৮. তাক্বদীরের পূর্ণ আলােচনা আমার কিতাব ‘তাফসীর-ই না'ঈমী’র তৃতীয় পারায় দেখুন। এখানে শুধু এতটুকু বুঝে নিন যে, যা কিছু হচ্ছে, সবই আল্লাহর ইলম ও তাঁর ইচ্ছায় হচ্ছে। আমরা আমাদের আমলগুলাের অর্জনকারী মাত্র; খালিক্ব বা স্রষ্টা নই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং আমরা অর্জনের ক্ষেত্রে ইখতিয়ারপ্রাপ্ত এবং ‘খলক্ব’ বা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অক্ষম। আমরা না ‘ক্বাদির-ই মুত্বলাক্ব বা নিঃশর্তভাবে সক্ষমও নই, আবার ‘মাজবূর-ই মাহাদ্ব’ বা (নিছক পাথরের মত) অক্ষমও নই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যা সম্বলিত টীকা পেতে সার্চ করুনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">f/Ishq-E-Mustafa ﷺ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. (৭৩-৭৪), হাদীস নং-৫৩ এবং টীকাঃ (৪৩-৫০) দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ 'নিফাক্ব' খতম হয়ে গেছে। এখন হয়তো ইসলাম, নতুবা কুফরঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                       </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ দরসে হাদীসঃ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【হাদীস নং- (৫৬)】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【 ﻭﻋﻦ ﺣﺬﻳﻔﺔ ﻗﺎﻝ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻨﻔﺎﻕ ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻋﻬﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﷺ ﻓﺎﻣﺎ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻓﺎﻧﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻟﻜﻔﺮ ﻭﺍﻹﻳﻤﺎﻥ - ‏( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ )】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত হুযায়্ফা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ (টীকাঃ ১)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❝নিফাক্ব (কপটতা) হুযূর [ﷺ]’র যামানায় ছিলাে, কিন্তু বর্তমানে হয়তাে কুফর নতুবা ঈমান -এ দু'টিই রয়েছে।❞ (টীকাঃ ২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【বােখারী শরীফ】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">□ উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখায় বলা হয়েছেঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                   </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. 【হযরত হুযায়্ফা [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত,】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ১. তাঁর পবিত্র নাম হুযায়ফা। উপনাম আবূ আবদুল্লাহ্ ‘আবাসী। তাঁর পিতা হাসীল। তাঁর পিতার উপাধী ‘ইয়ামান।' তিনি হুযূর [ﷺ]’র গােপন রহস্যাদির ধারক ছিলেন। হিজরি ২৫ সনে হযরত ওসমান গনী [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ]'র শাহাদাতের চল্লিশ দিন পর মাদা-ইনে তিনি ইন্তিকাল করেন। সেখানেই তাঁর মাযার শরীফ অবস্থিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. 【নিফাক্ব (কপটতা) হুযূর [ﷺ]’র যামানায় ছিলাে, কিন্তু বর্তমানে হয়তাে কুফর নতুবা ঈমান -এ দু'টিই রয়েছে।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◇ টীকাঃ ২. অর্থাৎ হুযূর [ﷺ]’র যামানায় সাময়িক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুনাফিক্বদেরকে হত্যা করা হয়নি। যদিও তাদের কাছ থেকে কুফরির আলামতসমূহ প্রকাশ পেয়েছিল, যাতে কাফিররা আমাদের গৃহযুদ্ধ থেকে সুযােগ নিতে না পারে। ওই যামানায় তিন প্রকারের মানুষ গণ্য হতো। কাফির, মু'মিন ও মুনাফিক্ব। হুযূর [ﷺ]’র পরে ‘নিফাক্ব’ বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। হয়তাে কুফর নতুবা ইসলাম। যদি কারাে কাছ থেকে কুফরের আলামত দেখা যায়, তাকে হত্যা করা যাবে, অপ্রকাশ্য কাফিরকেও। কেননা, সে মুরতাদ্দ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[লুম'আত ও মিরক্বাত ইত্যাদি।]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【সূত্রঃ মিরআতুল মানাজীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, কৃত- মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ূনী, বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা আব্দুল মান্নান, ১ম খন্ড, পৃ. ৭৬, হাদীস নং-৫৬ এবং টীকাঃ ৬৩ এবং ৬৪ দ্রব্যষ্ট, প্রকাশনায়ঃ ইমাম আহমদ রেযা রিসার্চ একাডেমী, চট্টগ্রাম।]</span></p>

কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় নাঃ

□ কবীরা গুনাহের কারণে মানুষ কাফির হয় নাঃ # ব্যাখ্যাসহ ❏ দরসে হাদীসঃ 【হাদীস নং- (৫৩)】 ○ অধ্যায়ঃ 【কবীরা গুনাহসমূহ ও মুনাফিক্বীর আলামতসমূহ】 [ﻭﻋ...

Read more »

অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-4c313c14-7fff-4111-810c-4b1c975768a4"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলিম-ই দ্বীন কে ফিক্বহ্ কি (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসঃ ১৯০)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">'আল্লাহ্ দান করেন, হুযূর বন্টন করেন'- এর ব্যাখ্যাঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ক্বাদেরী, হানাফী, শাফে'ঈ-এর মধ্যে পার্থক্যঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ﻭَﻋَﻦْ ﻣُﻌَﺎﻭﻳَﺔ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ‏[ﷺ]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত মু'আবিয়া [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসূলুল্লাহ [ﷺ] এরশাদ করেছেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ﻣَﻦْ ﻳُﺮِﺩِ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ ﺧَﻴْﺮَ ﺍﻳْﻔَﻘﻬﻪُ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻳْﻦ ﻭَﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻧَﺎ ﻗَﺎﺳِﻢ ﻭَﺍﻟﻠﻪ ﻳُﻌﻄﻰ .</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❝আল্লাহ্ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের ফক্বীহ্ বানিয়ে দেন। আমি বন্টনকারী, আল্লাহ দান করেন।❞</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">( ﻣُﺘﻔَﻖ ﻋَﻠَﻴْﻪِ )</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">【 বােখারী, মুসলিম 】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় 'মির'আত শরহে মিশকাত'-এ উল্লেখ হয়েছেঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">____________________________________</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. 【হযরত মু'আবিয়া [ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ]】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">টীকা- ১. ৭ . তাঁর নাম শরীফ- মু'আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব ইবনে উমাইয়া ইবনে আবদুস শামস ইবনে আবদে মানাফ। তাঁর বংশধারা পঞ্চম পুরুষে, অর্থাৎ আবদে মানাফে গিয়ে হুযূরের বংশধারার সাথে মিলে যায়। তাঁর মাতা হিনদ বিনতে ‘উতবা ইবনে রবী'আহ্ ইবনে আবদে শামস ইবনে আবদে মানাফ। তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির বছর ইসলাম গ্রহণ করেন; কিন্তু মক্কা বিজয়ের দিনই ইসলাম প্রকাশ করেন। তিনি হুযুরের শ্যালক। ওহী লিখক। ফারূক্ব-ই আ’যম’র যুগে সিরিয়ার শাসক হয়েছিলেন । চল্লিশ বছর সেখানকারই শাসক ছিলেন। ইমাম হাসান ইবনে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা তাঁর অনুকুলে খিলাফতের পদ ছেড়ে দিয়ে সন্ধি করেছিলেন। তিনি ৭৮ বছর বয়সে ৬০ হিজরীতে ৪ রজব (মুখের) অর্ধাঙ্গ রােগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তিকাল করেন। তাঁর কাছে হুযুরের বরকতময় লুঙ্গী, চাদর শরীফ, কামীজ মুবারক এবং কিছু চুল ও নখ মুবারক ছিলো। তিনি ওসীয়ত করেছিলেন, "আমাকে এ পােষাক শরীফে কাফন দেবে এবং আমার মুখ ও নাকে হুযুরের নখ ও চুল মুবারক রেখে দেবে।" তাঁর পূর্ণাঙ্গ আদর্শ জীবনী আমার কিতাব ‘আমীরে মু'আবিয়া’তে দেখুন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. 【আল্লাহ্ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের ফক্বীহ্ বানিয়ে দেন।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">টীকা- ২. অর্থাৎ যাকে দ্বীনী ইলম, দ্বীনী বােধশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা দান করেন, স্মর্তব্য যে, 'ফিক্বহ্-ই যাহেরী' হচ্ছে ‘'শরীয়ত এবং ‘ফিক্বহ্-ই বাত্বেনী’ হচ্ছে তরীক্বত ও হাক্বীক্বত।★</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">★{শরীয়তের বাহ্যিক বিধিবিধান, ঈমান-আমল ইত্যাদি বুঝার নাম 'যাহেরী ফিক্বহ্'। আর ইলমে বাত্বিন বা ত্বরীক্বত সম্পৃক্ত বিষয়াদিসহ শরীয়ত বুঝা হলাে 'ফিক্বহে্ বাতেনী'।}</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলােচ্য হাদীসে উভয় ধরনের ফিক্হ অন্তর্ভুক্ত। এই হাদীস থেকে দু'টি মাসআলা প্রতীয়মান হয়:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এক. কোরআন ও হাদীসের তরজমা ও শব্দাবলী মুখস্থ করা ‘ইলমে দ্বীন’ নয়; বরং সেগুলাে বুঝাই হচ্ছে 'ইলমে দ্বীন'। এটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ (যােগ্যতা অর্জনের) কারণেই ফক্বীহ্গণের অনুসরণ (তাক্বলীদ) করা হয়। এর ভিত্তিতে সমস্ত তাফসীর ও হাদীস বিশারদগণ মুজতাহিদ ইমামগণের মুকাল্লিদ (অনুসারী) হয়েছেন। হাদীস সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞানের উপর অহংবােধ করেন নি। ★★</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">★★{ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযীসহ সিহাহ'র ইমামগণ যেখানে কোন না কোন ইমামের তাক্বলীদ করেছেন, সেখানে ক্বোরআন-হাদীস সম্পর্কে সামান্য লেখাপড়া করে তাক্বলীদ (মুজতাহিদ-ইমামের অনুসরণ) করা (মাযহাবের অনুসরণ করা) কে উপেক্ষা করে আহলে ক্বোরআন বা ‘আহলে হাদীস’ হবার ইসলামী শরীয়তে কোন সুযােগ নেই। শাহ ওলী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভীও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।}</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেনঃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ﻳُﺆْﺗِﻲ ﺍﻟْﺤِﻜْﻤَﺔَ ﻣَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺆْﺕَ ﺍﻟْﺤِﻜْﻤَﺔَ ﻓَﻘَﺪْ ﺃُﻭﺗِﻲَ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(এবং যাকে 'হিকমত' (প্রজ্ঞা) দান করা হয়, নিশ্চয় তাকে বহু কল্যাণ দেওয়া হয়। ২:২৬৯) এখানে ‘হিকমত’ অর্থ 'ফিক্বহ্'। কোরআন ও হাদীসের অনুবাদ তাে আবূ জাহলও জানতো।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুই. কোরআন ও হাদীসের নিছক জ্ঞানার্জন পরিপূর্ণতার জন্য যথেষ্ট নয়; বরং সেগুলাের মর্মার্থ বুঝার মধ্যেই রয়েছে পরিপূর্ণতা। 'আলিম-ই দ্বীন' হচ্ছেন ওই ব্যক্তি, যাঁর মুখে আল্লাহ-রসূলের বাণী থাকে এবং অন্তরে থাকে সেগুলাের ফয়য ও বরকত। ফয়য ও বরকত অর্জনে ব্যর্থ হলে বাণীগুলাে থেকে উপকৃত হতে পারবে না। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযােজন ব্যতীত বিদ্যুৎশক্তি কার্যকর হয় না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. 【আমি বন্টনকারী, আল্লাহ দান করেন।】</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">টীকা- ৩. এ থেকে বুঝা গেলাে যে, দ্বীন ও দুনিয়ার সমস্ত ইলম, ঈমান, সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি দেন আল্লাহ্, বন্টন করেন হুযূর। যে যা পেয়েছে হুযুরের পবিত্র হাতেই পেয়েছে। কেননা, এখানে না আল্লাহর দানের শর্তারােপ করা হয়েছে, না হুযূরের বন্টনের ক্ষেত্রে। সুতরাং এ ধারণা সঠিক নয় যে, তিনি শুধু ইলম বন্টন করেন। নতুবা তখন এটা অনিবার্য হয়ে যাবে যে, আল্লাহও শুধু ইলম দান করেন। স্মর্তব্য যে, হুযুরের দান সমান্তরাল; কিন্তু গ্রহণকারীদের লওয়ার মধ্যে ব্যবধান আছে। বৈদ্যুতিক শক্তি (পাওয়ার) সমান্তরালভাবে আসে; কিন্তু বিভিন্ন পাওয়ারের বাল্ব সেগুলাের শক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। তারপর বাল্বের কাঁচের রঙ যেমন হয়, বিদ্যুতের আলাের রঙও তেমন হয়। হানাফী, শাফে'ঈ, অনুরূপ ক্বাদেরী, চিশতী হচ্ছে বিভিন্ন রঙের; কিন্তু প্রত্যেকটিতে পাওয়ার একই ধরনের। একই সমুদ্র হতে সমস্ত নদ-নদীর সৃষ্টি; কিন্তু রাস্তার ভিন্নতার কারণে ওইগুলাের নাম ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। অনুরূপ, ক্বাদেরী, চিশতী ইত্যাদি ওই সব বৃক্ষের নাম, যেগুলাে থেকে এ ফয়য ও বরকত আসে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মির'আত শরহে মিশকাত; খন্ড: ০১/১৯৪পৃ. হাদীসঃ ১৯০, অধ্যায়ঃ ইলম পর্ব, টীকা-(৭-৯)]</span></p>

অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম

অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম আলিম-ই দ্বীন কে ফিক্বহ্ কি ( হাদীসঃ ১৯০) 'আল্লাহ্ দান করেন, হুযূর বন্টন করেন'- এর ব্যাখ্যাঃ ক্বাদেরী, হানাফী, শা...

Read more »