তাফসীরকারক ও মুহাদ্দিছগণের অভিমত
❏ প্রখ্যাত হাদীছ গ্রন্থ ‘দারমী’র الاقتداء بالعلماء (আল ইকতিদাউ বিল উলামা) অধ্যায়ে আছেঃ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ: {أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ} [النساء: ৫৯] قَالَ: " أُولُو الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ،
-‘‘আমাদেরকে ইয়া’লা বলেছেন। তিনি বলেন, আমাকে আবদুল মালিক (رحمة الله) বলেছেন, আবদুল মালিক তাবেয়ী আতা (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূল (ﷺ) ও তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ দাতা আছেন, তাদের আনুগত্য কর।’
❏ ‘আতা’ r বলেছেন এখানে জ্ঞানী ও ফিকহবিদগণকে আদেশ প্রদানের অধিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।’’
{দারেমীঃ আস-সুনানঃ ইকতিদাউল উলামাঃ ১/৮৩ হাদীসঃ ২১৯}
❏ তাফসীরে খাযিনে,
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
-‘‘যদি তোমরা না জান, জ্ঞানীদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা করো।’’
{সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ৪৩}
❏ আয়াতটির ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছেঃ
فَاسْئَلُوا الْمُؤْمِنِيْنَ الْعَلَمِيْنَ مِنْ اَهْلِ الْقُرْاَنِ
-‘‘তোমরা ঐ সকল মুমিনদের নিকট থেকে জিজ্ঞাসা কর, যারা কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী।’’
(ইমাম খাযিনঃ তাফসীরে খাযিনঃ ৩/৭৮পৃঃ}
❏ তাফসীরে দুররে মানসুরে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখা হয়েছে,
اَخْرَجَ اِبْنُ مَرْدَوَيْهِ عَنْ اَنَسٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ يَقُوْلُ اِنَّ الرَّجُلَ يُصَلِّىْ وَيَصُوْمُ وَيَخِجُّ وَيَغْزُوْ وَاِنَّهُ لَمُنَا فِقٌُ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ بِمَاذَا دَخَلَ عَلَيْهِ النِّفَاقُ قاَلَ لِطَعْنِهِ عَلَى اِمَا مِهِ وَاِمَامُهُ مَنْ قَالَ قاَلَ اللهُ فِى كِتَابِهِ فَاْسْئَلَوْا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَاتَعْلَمُوْنَ.
-‘‘ইবনে মারদাওয়াই হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেছেন, আমি হুযুর (ﷺ) কে বলতে শুনিছি যে, কতেক লোক নামায পড়ে, রোযা রাখে, হজ্ব ও জিহাদ করে; অথচ তারা মুনাফিক গণ্য হয়। আরয করা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ), কি কারণে তাদের মধ্যে নিফাক (মুনাফিকী) এসে গেল? প্রত্যুত্তরে নবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমালেন, নিজ ইমামের বিরূপ সমালোচনা করার কারণে। ইমাম কে? এ কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ইরশাদ ফরমান, আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন,
فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
আয়াতে উল্লেখিত আহলে যিক্রকে ইমাম বলা হয়।’’
{ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তীঃ তাফসীরে দুররে মানসূরঃ ৫/১৩৩ পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।}
❏ তাফসীরে সাবীতে ‘সুরা কাহাফের’
{সূরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ২৪, পারাঃ ১৫}
وَاذْكُرْ رَبَّكَ إِذَا نَسِيتَ
আয়াত এর ব্যাখ্যায় লিপিবদ্ধ আছে,
وَلاَ يَجُوْزُ تَقْلِيْدُ مَاعَدَا الَمَذَاهِبِ اَلاَرْبَعَةِ وَلَوْوَافَقَ قَوْلَ الصَّحَابَةِ والَحَدِيْثِ الصَّحِيْحِ وَاْلاَيَةِ فَالْخَاِرجْ عَنِ اْلمَذَاهِبِ الْاَ رْبَعَةِ ضَالُّ مُضِلُّ وَرُبَمَا اَدَّاهُ ذَالِكَ اِلَىَ الْكُفْرِ لِاَنَّ اْلاَ خْذَ بِظَوَاهِرِ الْكِتَاِب َوالسُّنَّةِ مِنْ اُصُوْلِ الْكُفْرِ ط
-‘‘চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাবের তাকলীদ বা অনুসরণ জায়েয নয় যদিও সে মাযহাব সাহাবীদের উক্তি, সহীহ হাদীছ ও কুরআনের আয়াতের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হয়। যে এ চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী নয়, সে পথভ্রষ্ট এবং পথভ্রষ্টকারী। কেননা হাদীছ ও কুরআনের কেবল বাহ্যিক অর্থ গ্রহণই হলো কুফরীর মূল।’’
{ইমাম সাভীঃ তাফসীরে সাভীঃ ৪/১৫ পৃ.}
━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।