❏ প্রশ্ন-৪৭ঃ রাসূল (ﷺ)-এর পবিত্র জানাযায় কোন ইমাম ছিলেন কি না?


✍ উত্তরঃ هو المستعان সরকারে দু’আলম (ﷺ)-এর পবিত্র জানাযায় কোন নির্দিষ্ট ইমাম ছিলেন না। তাবকাতে ইবনে সা’দ গ্রন্থে হযরত আমিরুল মু’মিনীন মাওলা আলী শের-ই খোদা (رضى الله تعالي عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে,


قال لما وضع رسول الله صلى الله عليه وسلم على السرير قال لايقوم عليه احد هوامامكم حيا وميتًا، فكان يدخل الناس رسلا رسلًا، فيصلون عليه صفًا صفًا ليس لهم امام الخ . 


‘হুযূর মোস্তফা (ﷺ)  কে গোসল শরীফ দেয়ার পর খাটের ওপর শোয়াইয়ে রাখা হলো। হযরত মাওলা আলী (رضى الله تعالي عنه) বলেন, জানাযায়ে আক্বদাসের কোন ইমাম ছিলেন না।  

65. সীরাতুল মোস্তফা (ﷺ), খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩১০।


সৈয়্যদুনা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه) ও হযরত ওমর ফারূক (رضى الله تعالي عنه) সালাম আরয করেছেন। এটাই মূলতঃ স্পষ্ট, যা ইবনে সা’দ (رضى الله تعالي عنه)-এর হাদীস এবং ইমাম বায়হাকী (رحمه الله تعالي ) হযরত মুহাম্মদ ইবরাহীম তাইমী মাদানী (رضى الله تعالي عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন,


لمّا كفن رسول الله صلى الله عليه وسلم وضع على سريره دخل ابوبكر وعمر، فقال السلام عليك ايها النبى ورحمة الله وبركاته ومعهما نفر من المهاجرين والانصار . 


‘যখন হুজুর আক্বদাস (ﷺ)কে গোসল ও কাফন মুবারক পরিয়ে পবিত্র খাটে রাখলেন, তখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه) ও হযরত ওমর ফারূক (رضى الله تعالي عنه) হাযির হয়ে সালাম পেশ করে বলেন, হে আল্লাহ'র নবী (ﷺ)! আপনার ওপর শান্তি এবং আল্লাহ'র দয়া মেহেরবানী বর্ষিত হোক। তাঁদের সঙ্গে মুহাজির ও আনসারগণের একটি দলও ছিলেন। হযরত জিবরাইল (عليه السلام) ও মিকাইল (عليه السلام) সালাত ও সালাম পেশ করেছেন।

বায্যার, হাকেম, ইবনে সা’দ, বায়হাকী এবং তাবরানীসহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কিরাম হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضى الله تعالي عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,


فان اوّل من يصلى علّى جبرائيل ثم ميكائيل ثم اسرافيل ثم ملك الموت مع جنوده . 


‘সর্বপ্রথম আমার ওপর সালাত ও সালাম পেশ করবেন হযরত জিবরাইল (عليه السلام), অতঃপর মিকাইল (عليه السلام), অতঃপর ইসরাফিল (عليه السلام), অতঃপর মালাকুল মাউত (عليه السلام) তাঁদের সকল সৈন্যবাহিনী সঙ্গে নিয়ে। 


ثم دخلوا علّى فوجًا بعد فوجٍ فصلوا علّى وسلموا تسليمًا .


অতঃপর দলে দলে অন্যান্যরা প্রবেশ করবেন এবং সালাত ও সালাম পেশ করবেন।

উক্ত হাদীস শরীফ দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, হুযূর   স্বয়ং নিজের পবিত্র জানাযার নামায সম্পর্কে এ রকম শিক্ষা দিয়েছেন যে, লোকজন দলে দলে উপস্থিত হয়ে সালাত ও সালাম পেশ করবেন।

হুযূর (ﷺ)-এর ওপর সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, একেক জামাত গিয়ে সালাত ও সালাম পেশ করতেছিলেন। হুযূর(ﷺ)-এর জানাযা প্রচলিত নিয়মে না পড়াও তাঁর অন্যতম বিশেষত্ব ও বৈশিষ্ট্য। হ্যাঁ! লোকজন এসে শুধুমাত্র দু‘আ (সালাতু সালাম পাঠ) করে করে চলে যাচ্ছিলেন। 

66. ফতাওয়া রেজভীয়া, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪০ঃ৪১; সীরাতুল মোস্তফা (ﷺ), খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৩১৩।

Top