❏ প্রশ্ন-১৪৫: নকশবন্দিয়া খান্দানে খতমে খাজেগান সর্বদা দৈনিক পড়া হয়। কোন কোন সময় সহিংসতা, অস্থিরতা ও যুদ্ধ-বিগ্রহকালে ফজরের নামাযে ইমাম সাহেব মসজিদে কুনুতে নাযেলাও পড়েন এবং ফজরের নামাযের পর মুক্তাদিদের নিয়ে খতমও পড়েন। এই ইমাম সাহেব কোন সিলসিলার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। যদি কেউ এই মর্মে প্রশ্ন করে যে, তার এই কাজটা শরীয়ত পরিপন্থী। কারণ যে কাজ কোরআন, হাদিস ও ফিকাহে নেই তা শরীয়ত বিরোধী।
✍ উত্তর: খতমে খাজেগান হচ্ছে উপরোক্ত দরূদ ও ওজিফার সমন্বয়। এতে শরীয়ত বিরোধী কোন শব্দ অন্তভুর্ক্ত নেই। সুতরাং তা পড়লে কোন অসুবিধা নেই। তবে তা কোন শরয়ী হুকুমের ফাত্ওয়া দেওয়া যাবেনা। বর্জনকারীকে ভর্ৎসনাও করা যাবে না।
কোন ব্যক্তি খুশিতে শরীক হলে ঠিক আছে। আর শরীক না হলে তার ওপর কোন অপবাদ দেওয়া যাবে না। কোন বিষয় বিদআত ও নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক হচ্ছে ওই বিষয়টা শরয়ী দিক দিয়ে প্রমাণিত হবেনা এবং তা যদি দ্বীনের হুকুম বা বিধান বানিয়ে নেওয়া হয় এবং তা বর্জনকারীকে নিন্দিত বলে সাব্যস্ত করা হয়।
205. মুফতী আব্দুস সাত্তার দেওবন্দী, নায়েবে মুফতী : খায়রুল মাদারিস, মুলতান, পাকিস্তান, খায়রুল ফাতাওয়া, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৩৩৯
❏ প্রশ্ন-১৪৬: কোন নামাযের পর খতমে খাজেগানের পাঠকে নিয়মিত অযিফা বানিয়ে নেওয়া কেমন?
✍ উত্তর: হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (رحمه الله تعالي ) রচিত ‘যিয়াউল কুলূব’ গ্রন্থে চিশতীয়া ও কাদেরীয়া তরিকার খতমে খাজেগান বিদ্যমান রয়েছে। হযরত শায়খুল হাদিস ও তার কতিপয় খলিফার নিকট রমযানুল মুবারকের ইতিকাফের সময় জোহরের নামাযের পর চিশতীয়া তরিকার খতমে খাজেগান পাঠ করা হয়। খায়রুল মাদারিস মুলতানে দৈনিক আছরের নামাযের পর তা পাঠের অভ্যাস রয়েছে। দীর্ঘ দিন হতে একটি মসজিদে খতমে খাজেগানের পাঠভ্যাস ছিল। কিছু কিছু লোক যারা নিজেদেরকে ওলামায়ে দেওবন্দ বলে দাবী করে তারা একথা বলে এই খতম শরীফ বন্ধ করে দিলো যে, এটা বিদআত। উল্লেখিত মসজিদের অনুরূপ যেখানে এটার পাঠভ্যাস নিয়মিত হয়েছে সেখানে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ এটা বিদআত।