❏ প্রশ্ন-২৭ঃ ওহি নাযিল কখন থেকে আরম্ভ হয়?
✍ উত্তরঃ যখন হুযূর (ﷺ)-এর পবিত্র বয়স ৪০ বছরে উপনীত হয় এবং রিসালতকাল নিকটবর্তী হয়। তখন তিনি যে গাছ-পালা ও পাথরের পার্শ্ব দিয়ে যেতেন, সেগুলো তাঁকে সম্বোধন করে বলতো, اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ (আস্-সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ) হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনাকে সালাম। তারা তাঁকে সিজদা করতো এবং তিনি যা যা স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবে সত্য প্রমাণিত হত।
পরিশেষে তাঁর বয়স যখন ৪০ বছর সাত মাস হয়, তখন তিনি হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত সৈয়্যদুনা জিবরাইল (عليه السلام) ওহী নিয়ে আসেন। সূরা ‘আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত,
اِقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ . خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ . اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ . الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ . عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ.
পর্যন্ত আয়াতগুলো পড়ান এবং সত্য রিসালত ও পরিপূর্ণ নবুওয়াত দ্বারা তাঁকে অনুকম্পা করা হয়। অধিকাংশ অস্বীকারকারী যখন তাঁকে দেখত তৎক্ষণাৎ নির্দ্বিধায় বলে উঠতো لَيْسَ هَذا وَجْهُ الْكَاذِبِيْنَ ‘এটা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়।’ তাৎক্ষণিক মু‘জিযা তালাশ না করে তারা ঈমান নিয়ে আসতেন। পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضى الله تعالي عنه), মহিলাদের মধ্যে হযরত খাদিজাতুল কুবরা (رضى الله تعالي عنها) এবং বালকদের মধ্যে হযরত আলী শের-ই খোদা (رضى الله تعالي عنه) ঈমান গ্রহণ করেন।
তাঁদের পর হযরত ওসমান (رضى الله تعالي عنه), হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (رضى الله تعالي عنه), হযরত সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (رضى الله تعالي عنه), হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (رضى الله تعالي عنه), হযরত তালহা ইবনে ওবাইদুল্লাহ (رضى الله تعالي عنه) এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضى الله تعالي عنه) ঈমান গ্রহণ করেন।
হুযূর সৈয়্যদুল আন্বিয়া (ﷺ) ইসলামের দাওয়াত অব্যাহত ভাবে অত্যন্ত গোপনে দিতে থাকেন। সুতরাং তিন বছরে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জনে উপনীত হয়। অতঃপর হযরত ওমর (رضى الله تعالي عنه) ইসলাম গ্রহণ করেন, ফলে ইসলাম ধর্ম অনেক শক্তিশালী হয় এবং মুসলমানের সংখ্যাও চলিশে উপনীত হয়। কিন্তু কাফিররা মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করতেই থাকে।