❏ প্রশ্ন-১৩৯: বলা হয়ে থাকে যে, প্রাচ্য অঞ্চলের লোকেরা শেষ যামানায় হযরত সাইয়েদুনা ইমাম মাহদীর (عليه السلام) সাম্রাজ্যকে সুসংহত ও সুদৃঢ় করবে। একথা কি কোনো দলিল দ্বারা প্রমাণিত নাকি কেবল জনশ্রুতি?


✍ উত্তর: হ্যাঁ, ইবনে মাজাহ শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ বিন হারেস বিন জুমআ হতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ   বলেনঃ


يَخْرُجُ نَاسٌ مِنْ الْمَشْرِقِ فَيُوَطِّئُونَ لِلْمَهْدِيِّ .


‘প্রাচ্য দেশ হতে কিছু লোক বের হবে এবং তারা (ইমাম) মাহদীর (عليه السلام) সাম্রাজ্যকে সুসংহত ও সুদৃঢ় করবে অর্থাৎ তাকে সাহায্য করবে।’


বুঝা গেলো যে, ইমাম মাহদী (عليه السلام)’র বড় সাহায্যকারী হবে প্রাচ্য অঞ্চলের লোকেরা। মদীনা মুনাওয়ারা হতে এসব দেশ পূর্ব দিকে অবস্থিত যেমন- ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি। সম্ভবতঃ ওই সব দেশের সঠিক আক্বীদা-বিশ্বাসের মুসলমানগণ তার সাথে যোগ দিবে। হযরত ইমাম মাহদীর (عليه السلام) আহবানে তার সাথে যোগ দেওয়া এবং তার সাহায্যকারী হওয়া বড়ই ভাগ্যের ব্যাপার। প্রাচ্যের এই ফরমানটি ব্যাপক এবং এতে কোন অঞ্চল বা এলাকা নির্দিষ্ট নয়। হযরতের সাহায্যকারী হওয়া কোন নগন্য ব্যাপার নয়।

কতিপয় মুহাদ্দেসীনে কেরাম বলেন, খৃস্টানদের শৌর্য-বীর্য ও সাম্রাজ্য কিয়ামতাবধি অটুট থাকবে অর্থাৎ ইমাম মাহদীর (عليه السلام) সময়কাল পর্যন্ত। একটি হাদিসে একথা পাওয়া যায় যে, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ খৃস্টান না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না।

বুঝা গেলো যে, ইমাম মাহদীর (عليه السلام) আগমনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত খৃস্টানদের শৌর্য-বীর্য ও সাম্রাজ্য অটুট থাকবে। অধিকাংশ লোক খৃস্টানদের সাথে মেলবন্ধন বজায় রাখবে। খৃস্টানদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অধিক হবে। তাদের একটি পক্ষ ইহুদীদের সাহায্য করবে এবং অন্য পক্ষ মুসলমানদের সাথে নাম সর্বস্ব মৈত্রী স্থাপন করবে। এ কারণে হযরত ইমাম মাহদীর (عليه السلام) আগমনকালীন সময় পর্যন্ত তাদের শৌর্য-বীর্য বাড়তে থাকবে। মদীনা শরীফ হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত অঞ্চলের লোকেরা তার সাহায্যকারী হবে। ইমাম মাহদীর (عليه السلام) আর্বিভাবের পর তাদের (খৃস্টানদের) শৌর্য-বীর্য খতম হয়ে যাবে। যদিও হাদিসটি দূর্বল, তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কিছুটা শক্তিশালী বলে মনে হয়।

কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সমধিক জ্ঞাত।


Top