আকলী বা জ্ঞান ও যুক্তি ভিত্তিক প্রমাণঃ


 এ পৃথিবীতে কোন লোক অপরের অনুসরণ ছাড়া কোন কাজই করতে পারে না। প্রত্যেক পেশা ও বিদ্যার নির্ধারিত রীতিনীতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ লোকদের নির্দেশ পালন করতেই হয়। ধর্মীয় বিষয়সমূহ পার্থিব কর্মকান্ডের তুলনায় অনেক জটিল ও সমস্যাসঙ্কুল। অতএব, এতেও অভিজ্ঞ ধর্মীয় মনীষীদের অনুসরণ করতে হবে বৈকি। ইলমে হাদীছের মধ্যেও তাকলীদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যেমন, বলা হয় অমুক হাদীছটি যঈফ (দুর্বল), কেননা ইমাম বুখারী (رحمة الله) বা অমুক মুহাদ্দিছ অমুক বর্ণনাকারীকে য’ঈফ (দুর্বল) বলেছেন। এখানে তাঁর অভিমতটা গ্রহণ করাটাই হলো তাকলীদ। কুরআনের কিরা’তের ব্যাপারেও ক্বারীদের তাকলীদ করা হয়। যেমন, বলা হয়ে থাকে, অমুক ক্বারী অমুক আয়াতটাকে এভাবে পড়েছেন। কুরআনের স্বরচিহ্ন, اِعْرَاب আয়াত ايات ইত্যাদির ব্যাপারেও তাকলীদ করা হয়। যখন জামাআতে নামায আদায় করা হয়, তখন সমস্ত মুক্তাদী ইমামেরই তাকলীদ করেন। ইসলামী রাজ্যে সমস্ত মুসলমান একজন বাদশাহের তাকলীদ করে থাকেন। রেলগাড়ীর সমস্ত যাত্রী এক ইঞ্জিনেরই তাকলীদ করেন। মোট কথা, মানুষ প্রত্যেকটি কাজেই অপরের অনুসারী বা মুকালি­দ।

স্মর্তব্য যে, উল্লেখিত সব ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের তাকলীদের বিষয়টি পরিস্ফুট হয়েছে। নামাযের মধ্যে ইমাম একজন ছাড়া দু’জন হয় না, ইসলামী রাজ্যের বাদশাহ দু’জন হয় না। সুতরাং শরীয়তের ইমামও এজন ছাড়া দুইজন কি করে সম্ভব?


❏ মিশকাত শরীফে ‘কিতাবুল জিহাদ’ এর ‘আদাবুস সফর’ অধ্যায়ে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছেঃ


إِذَا كَانَ ثَلَاثَةٌ فِي سَفَرٍ فَلْيُؤَمِّرُوا أحدهم


-‘‘যখন তিনজন লোক ভ্রমণে বের হয়, একজনকে আমীর বা নেতা মনোনীত করা বাঞ্ছনীয়।’’

{ক)খতিব তিরমিযীঃ মেশকাতঃ ৩/২৩৯, হাদিস-৩৯১১

খ)আবু দাউদঃ আস-সুনানঃ ৩/৩৬ পৃ., হাদিস-২৬০৯

গ)আব্দুর রাজ্জাকঃ আল মুসান্নাফঃ ২/৩৯০ পৃ., হাদিস-৩৮১২,৯২৫৫}




━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah 
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।
Top