❏ প্রশ্ন-১৩৫ঃ ইসলামে শিরকের অবস্থান কী? উম্মতে মুহাম্মদীয়া হতে শির্ক প্রতীয়মান হতে পারে কি?
✍ উত্তরঃ শিরক আল্লাহর পবিত্র সত্তার সাথে একটি মহা অন্যায় ও অপরাধ কর্ম। إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ আল্লাহ্ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মাধ্যমে শিরক নির্মুল করেছেন। ماحى الشرك والكفر তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلَاتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ إِنِّي فَرَطُكُمْ وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ إِنِّي وَاللهِ لَأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِي الْآنَ وَإِنِّي قَدْ أُعْطِيتُ خَزَائِنَ مَفَاتِيحِ الْأَرْضِ وَإِنِّي وَاللهِ مَا أَخَافُ بَعْدِي أَنْ تُشْرِكُوا وَلَكِنْ أَخَافُ أَنْ تَنَافَسُوا .
‘হযরত উকবা বিন আমের (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বাইরে গেলেন এবং উহুদের (যুদ্ধের) শহীদগণের জন্য এভাবে নামায পড়লেন যেভাবে জানাযার নামায পড়া হয়। এরপর মিম্বরে সমাসীন হয়ে বললেন, আমি তোমাদের অগ্রপথিক অর্থাৎ আগে গিয়ে ব্যবস্থাপনাকারী এবং আমি তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্যদাতা। নিশ্চয় আমি এখন হাউযে কাওসার দেখতে পাচ্ছি এবং আমাকে দুনিয়ার (সম্পদরাজির) ভান্ডারসমূহের চাবি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ'র কসম! আমার নিকট এরূপ কোন ভয় নেই যে, তোমরা শিরক করবে। তবে আমার ভয় হচ্ছে তোমরা দুনিয়াকে ভালবাসতে থাকবে।’ দুনিয়ার মোহে বিমোহিত হবে।
180. বুখারী শরীফ, কিতাবু বদ’উল খলক, কিতাবুল মানকিব, খন্ড-১, হাদীস নং-৩৩৬৭।