❏ প্রশ্ন-৯৬ঃ মুসাফির ভুলক্রমে দু’রাকাতের পরিবর্তে চার রাকাতের নিয়ত করলে, এ ক্ষেত্রে তার করণীয় কি? সে নিয়ত অনুযায়ী চার রাকাত আদায় করবে, না দু’রাকাত?


✍ উত্তরঃ একথা স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, নামাযের নিয়ত করার সময় নামায এবং ওয়াক্ত নির্ধারণ করা আবশ্যক। রাকাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা জরুরী নয়। এটা প্রসঙ্গত এমনিতেই এসে যাবে।

যেহেতু মুসাফিরের ওপর মাত্র দু’রাকাত ফরয, তাই নামাযের নিয়তও মুসাফির হিসেবে হবে। যদিও ভুলবশতঃ মুখে রাকাতের সংখ্যা বেশি উচ্চারিত হয়, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং ঐ ব্যক্তি কসর নামায আদায় করবে। ফতোয়া শামীতে আছে,


لابد من التعين عند النية دون التعين عدد ركعاته لحصولها ضمنا فلا يضر الخطأ فى عددها-  


‘মুসাফির ভুলক্রমে দুই রাকআতের স্থলে চার রাকআত এর নিয়ত করলেও দুই রাকআতই পড়বে। এখানে সংখ্যার কোন গুরুত্ব হবে না।’ 

134. দুররুল মুখতার সহ রদ্দুল মুহতার, বাবু শুরুতত্ সালাত, খন্ড-১, পৃষ্ঠা- ৪১৮-৪২০; ফাতওয়া হিন্দিয়া, চতুর্থ অধ্যায়- নিয়ত প্রসঙ্গে, খন্ড-১, পৃষ্ঠা- ১৬৬।


❏ প্রশ্ন-৯৭ঃ মুসাফির ইচ্ছাকৃতভাবে পুরা চার রাকাত পড়লে তার নামাযের হুকুম কী?


✍ উত্তরঃ هو المتسعان সফরে নামায কসর করা আইনসিদ্ধ এবং আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কার ও অশেষ রহমত। এতে নিজের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত কিছু করা, আল্লাহ্ তা‘আলার ইহসান ও দয়া অগ্রাহ্য করার শামিল। সুতরাং এটা  গোনাহ ও না-ফরমানী। অতএব যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে সফরে পুরা নামায আদায় করবে সে গোনাহগার হবে এবং তার ওপর তাওবা ওয়াজিব হবে। 

135. হেদায়া, কিতাবুল মুসাফির, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৪৬।


ان صلى اربعًا و قعد فى الثانية قدر التشهد اجزئه الاوليان عن الفرض والآخريان له نافلة اعتبارًا بالفجر، ويصير مسيئا لتاخير السلام . 



‘মুসাফির যদি চার রাকআত পড়ে ফেলে এবং দ্বিতীয় রাকআতে তাশাহুদ পরিমাণ বসে, তাহলে ঐ প্রথম দু’রাকআত ফরয হিসেবে আদায় হয়ে যাবে। আর পরবর্তী দু’রাকআত নফল হবে ফজরের নামাযের মত। দুই রাকআতের স্থলে চার রাকআত পড়তে গিয়ে সালামে বিলম্ব হওয়ায় গোনাহগার হবে।’ 

136. দুর্রুল মুখতার, কিতাবুল মুসাফির, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১২৮।


❏ প্রশ্ন-৯৮ঃ দু’জন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দুই শহরে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বাস করে, একজন অপরজনের নিকট গেলে তারা উভয়ই কী নামায কসর পড়বে?


✍ উত্তরঃ শরীয়তের বিধান মতে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আলাদা আলাদা বাসস্থান গ্রহণযোগ্য হবে। যখন তাদের উভয়ের মূল বাসস্থান পৃথক পৃথক, তাই উভয়ই একজন অন্যজনের নিকট গেলে মুকীম হবে না, বরং মুসাফির হিসেবে কসর আদায় করবে। 

137. দুর্রুল মুখতার, বাবু সালাতিল মুসাফির, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১৩২।


Top