❏ প্রশ্ন-১০৭ঃ জানাযার নামায পড়ানোর সবচেয়ে অধিক হকদার কে?  পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ন্যায় জানাযার নামায পড়ানোর ক্ষেত্রেও উপযুক্ততা বিবেচনা করা হবে? না এর জন্য কোন আলাদা হুকুম রয়েছে?


✍ উত্তরঃ   وبـالله الـتـوفـيـق 

জানাযার নামায পড়ানোর জন্য সবচেয়ে অধিক হকদার হলেন রাষ্ট্রপ্রধান বা বাদশাহ। তবে ইমামতির যোগ্যতার শর্ত সাপেক্ষে। রাষ্ট্রপ্রধানের অবর্তমানে এলাকার কাজী কিংবা মুফতি পড়াবেন। অন্যথায় মহল্লা মসজিদের ইমাম জানাযার নামায পড়াবেন। তা-ও নাহলে আত্মীয়-স্বজনের মধ্য থেকে কোন নিকটাত্মীয় জানাযার নামায পড়ানোর হকদার।

ফতোয়া হিন্দীয়াতে আছে,


اوّل الناس بالصلوٰة عليه السلطان ان حضر فان لم يحضر فالقاضى ثم امام الحى ثم الولى . 


‘জানাযা নামাযের ইমামতির জন্য উত্তম ব্যক্তি হচ্ছেন রাষ্ট্রপ্রধান, যদি তিনি উপস্থিত থাকেন (ইমামতির যোগ্যতা সাপেক্ষে), তাঁর অবর্তমানে স্থানীয় কাজী তথা মুফতি পড়াবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মহল্লা মসজিদের ইমাম পড়াবেন, অন্যথায় মৃতের ওলি পড়াবেন।’ 

146. ফতওয়া হিন্দীয়া, খন্ড-১, পরিচ্ছেদ-৫, মৃতব্যক্তির উপর জানাযার নামায পড়ার বর্ণনা, পৃষ্ঠা-১৬৩।


বাদায়েউস্ সানায়ে গ্রন্থে উল্লেখ আছে,


قال علاء الدين الكاسانى وروى الحسن عن ابى حنيفة ان الامام الاعظم قالঃ السلطان احق بالصلوٰة عليه ان حضر فان لم يحضر فامير المصر، وان لم يحضر فامام الحى، فان لم يحضر فالاقرب من ذوى قرابته . وهذا هو حاصل المذهب عندنا، ومثله فى كبيرى. 


‘আল্লামা আলাউদ্দিন কাসানী বলেন, ইমাম হাসান, ইমাম আযম আবু হানিফা (رحمه الله تعالي ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জানাযার নামাযে রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকলে তিনিই ইমামতি করবেন। তাঁর অবর্তমানে ঐ শহরের আমীর পড়াবেন। তিনি না থাকলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম পড়াবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মৃতের নিকটত্মীয় যোগ্য ব্যক্তি পড়াবেন। এটাই আমাদের মাযহাবের মূল রায়।’ 

147. বাদায়েউস্ সানায়ে, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩১৭; আল-কবিরী, জানাযা অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৫৮৪।


Top