❏ প্রশ্ন-৪ঃ ‘ইরাদা-ই ইলাহি’ বা ‘আল্লাহর ইচ্ছা’ কাকে বলে? এর মর্মার্থ কী? বর্ণনা কর।
✍ উত্তরঃ قصد (কসদ) ও مرضى (মরযী) উভয়টি সমার্থক শব্দ। অর্থঃ ইচ্ছে করা, মর্জি বা আত্মার চাহিদা। আত্মা নিজ উদ্দেশ্য ও পছন্দনীয় দিক থেকে ফিরে গিয়ে আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুম পালনে লিপ্ত হওয়া।
আল্লাহ্ তা‘আলার ইচ্ছা নশ্বর নয়, অবিনশ্বর ও শাশ্বত। তাঁর ইচ্ছাশক্তি প্রত্যেক বিদ্যমান বস্তুর সাথে সম্পর্কিত- তা মূল সত্তাগত হোক কিংবা অস্থায়ী, গুণগত ভাল হোক কিংবা মন্দ; কুফরী হোক কিংবা ইসলামী, আনুগত্য হোক কিংবা অবাধ্য। যাই হোক আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন বস্তু অস্তিত্ব লাভ করতে পারে না। তাই তাঁর সৃষ্টি বা আবিষ্কার শক্তি প্রত্যেক সম্ভবপর বিষয় অনুপাতে সময়ের বিবর্তনের দরুন মতভিন্নতা ও আলাদা হয় না। ইরাদা বা ইচ্ছা বলা হয় প্রত্যেক অস্তিত্বশীল বস্তুর জন্য সুনির্দিষ্ট করে একটি নির্দিষ্ট সময়, নির্ধারিত সংখ্যা বা পরিমাণ এবং অবস্থা ইত্যাদির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আল্লাহ'র ইচ্ছা অবশ্যই পূর্ণ হয়ে যায়। যেমন আল্লাহ'র বাণী,
فَعَّالٌ لِمَا يُرِيْدُ
অর্থাৎ- ‘নিশ্চয়ই তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন’।
2. সূরা বুরূজ, আয়াতঃ ১৬
❏ প্রশ্ন-৫ঃ لَا اِلٰه اِلّا هُو‘’ বাক্যে هو‘ সর্বনামের মর্মার্থ ও উদ্দেশ্য কী? বর্ণনা কর।
✍ উত্তরঃ هو‘ সর্বনামটি (একবচনে নাম পুরুষ, পুংলিঙ্গ) واحد مذكر غائب এর সীগাহ বা পদ। অর্থ- তিনি, বা সে। বর্ণিত আয়াতটি সূরা আলে-ইমরানের প্রথম নির্দেশনা। অর্থাৎ- তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী।
সুফিয়ায়ে কিরামগণের মতে, هو সর্বনামটি মহান আল্লাহ তা‘আলার নির্দিষ্ট নাম, সর্বনাম নহে। তাই অধিকাংশ বুযূর্গানে দ্বীনের যিকর-আয্কারে ও অযিফাতে নামটি সম্বোধন করা হয়। কারো মতে, هو‘ সর্বনামটি মহান আল্লাহর (اسم اعظم) ইসমে আযম। অর্থাৎ- এই ضمير غائب বা সর্বনামের مرجع বা প্রত্যাবর্তনস্থল হলো ‘আল্লাহ’।