❏ প্রশ্ন-১৩৭ঃ ফিতনার সময় ঈমান, আক্বীদা ও আধ্যাত্মিক বা আত্মিক আমলসমূহ হিফাযতের জন্য ফিত্না-ফাসাদ হতে দূরে পালানোর ধরনটা কি রকম?
✍ উত্তরঃ ফিতনা হতে দূরে পালানোও দ্বীনের অন্তভুর্ক্ত বিষয় এবং এটা নবীগণের (عليه السلام) সুন্নত, যদিও তা এক বিঘত পরিমাণ হয়। ঈমান, আক্বীদা ও বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ যেখানে বিরাজমান হিজরত করে ওই ভাল পরিবেশে যাওয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ’র সুন্নত। যেখানে অনুকূল পরিবেশ, কোরআন-সুন্নাহ ও বুযূর্গানে দ্বীনের রীতি-নীতির পরিবেশ এবং বিশেষতঃ বিশুদ্ধ ও সঠিক ঈমান ও আক্বীদার অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান, সেখানে হিজরত করতে হবে। নষ্ট ও বাতিল আক্বীদা হতে দূরে পালিয়ে থাকা জরুরী ও ওয়াজিব। আল্লাহ্ পাক সকলকে হেফাজত করুক। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ
يُوشِكُ أَنْ يَكُونَ خَيْرَ مَالِ الْمُسْلِمِ غَنَمٌ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ وَمَوَاقِعَ الْقَطْرِ يَفِرُّ بِدِينِهِ مِنْ الْفِتَنِ.
‘অতি শীঘ্রই মুসলমানদের সর্বোত্তম সম্পদ হবে ওই বকরীগুলো যেগুলো নিয়ে তারা পাহাড়ের চূড়ায় বা উপত্যকায় জীবন কাটাবে, যাতে তারা স্বীয় বিশুদ্ধ দ্বীনকে ওই যামানার ফিতনাসমূহ হতে সংরক্ষিত রাখতে পারে।’
181. বুখারী শরীফ, ১ম খন্ড।
দ্বীনের সার্বিক ও সামগ্রিক উপকার ও সুবিধার প্রেক্ষাপটে সমাজবদ্ধ জীবন ইসলামে অধিক প্রিয় এবং নবীগণের (عليه السلام) কর্মপদ্ধতিও এটা যে, সমাজে অবস্থান করে নিজের ও সমাজের পরিশুদ্ধি ও সংশোধনের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।