❏ প্রশ্ন-২৮ঃ হুযূর মোস্তফা (ﷺ) -এর মি‘রাজ কখন সংঘটিত হয়?
✍ উত্তরঃ নবুওয়াতের একাদশ বৎসর ২৭শে রজব মি‘রাজ শরীফ সংঘটিত হয়। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه) সর্বপ্রথম মি‘রাজ শরীফের ঘটনা সত্যায়ন করেন এবং ‘সিদ্দীক’ উপাধি লাভ করেন।
❏ প্রশ্ন-২৯ঃ হুযূর মোস্তফা (ﷺ) -এর হিজরতের বর্ণনা কর।
✍ উত্তরঃ যখন মক্কার কুরাইশ কাফিররা মুসলমানদের ওপর সীমাহীন ও অবর্ণনীয় নির্যাতন যুলুম করতে থাকে, তখন হুযূর আকরাম (ﷺ) সাহাবা-ই কিরামদেরকে হিজরত করার অনুমতি প্রদান করেন। অধিকাংশ মুসলমান আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। তাঁদের মধ্যে হুযূর (ﷺ)-এর চাচাতো ভাই হযরত সৈয়্যদুনা জাফর তাইয়্যার ইবনে আবি তালিব (رضى الله تعالي عنه), তাঁর জামাতা হযরত ওসমান ইবনে আফ্ফান (رضى الله تعالي عنه) এবং তাঁর শাহজাদী হযরত রুকাইয়া (رضى الله تعالي عنها)ও ছিলেন।
আর কাফিরদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও জোরজুলুম যখন সীমাহীন আরো বেড়ে গেল। তখন তিনি সাহাবা-ই কিরামদেরকে মদিনা মুনাওয়ারা হিজরত করার অনুমতি প্রদান করেন। একে একে সবাই হিজরত করে সেই ইবরাহীমী সুন্নাতকে আলোকিত করেন।
শুধুমাত্র স্বয়ং হুযূর মোস্তফা (ﷺ) রহমতে ‘আলম , হযরত সৈয়্যদুনা আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه) ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং হযরত সৈয়্যদুনা আলী মরতুজা (رضى الله تعالي عنه) মক্কায় থেকে যান। একদা অভিশপ্ত আবু জাহল হুযূর কে হত্যা করার পরামর্শ করল। (নাউযুবিল্লাহ) হুযূর (ﷺ) যখন এই সংবাদ পেলেন, তখন তাড়াতাড়ি হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه)-এর নিকট গিয়ে তাকে বলেন, আবু জাহল আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে আমি আজ রাতই হিজরত করার ইচ্ছে পোষণ করছি, তুমিও আমার সঙ্গে চলো। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضى الله تعالي عنه) আরয করলেন, আমি এ উদ্দেশ্যে দু’টি উট আগে থেকেই ক্রয় করে রেখেছি। হুযূর (ﷺ) একটি উটের মূল্য সিদ্দীকে আকবরকে দিলেন, যদিও তিনি তা গ্রহণে অনেক ওযর-আপত্তি করেছেন। তিনদিন পর্যন্ত তারা ছাওর গুহার আত্মগোপনে অবস্থান করেন। অতঃপর সেখানে থেকে মদিনা শরীফের দিকে রওয়ানা হন।