❏ প্রশ্ন-১৪৩: الاستمناء باليد তথা হাত দ্বারা বীর্যপাত করা অর্থাৎ হাত দ্বারা বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করা, শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এর বিধান কী?


✍ উত্তর: কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ওলামায়ে কেরাম এর বক্তব্য মতে হস্তমৈথুন প্রবলতর ওজর ব্যতীত হারাম ও না-জায়েয। হস্তমৈথুনকারী ব্যক্তি শাস্তির যোগ্য। যখন কোন ফেতনায় পড়ার আশংকা থাকে, তখন এমতাবস্থায় ‘দু’টি বিপদ থেকে সহজটি বেছে নেওয়া’ নীতির আলোকে অনুমতি থাকতে পারে।

‘রুদ্দুল মুখতার’ গ্রন্থের হুদুদ অধ্যায়ের শাস্তি সম্পর্কীত পরিচ্ছেদে রয়েছে যে, الاستمناء حرام وفيه التعزيرُ বীর্যপাত করা (বাইরে ফেলে দেয়া) হারাম এবং তাতে শাস্তি আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।  التعزير لا يسقط بالتوبة كالحد-‘হদ (কোরআন বর্ণিত শাস্তির) এর মত তাওবার মাধ্যমে তাযির (শাস্তি) রহিত হয়ে যায় না।’ 

198. দুররুল মুখতার, শাস্তি অধ্যায়।


اى بالكف اذا كان لاستجلاب الشهوة اما اذا غلبته الشهوة وليس له زوجة ولا امة ففعل ذلك لتسكينها فالرجاء انه لاوبال عليه . وكذا اختلف فى استمناء الرجل بيده ويسمى الخضخضة وجلد عميرهة . فجمهور الائمة على تحريمه وهو عندهم داخل فيما وراء ذلك، قال ابن الهمام يحرم فان غلبه الشهوة ففعل ارادة تسكينها به، فالرجاء لايعاقب .


‘হস্তমৈথুন যখন প্রবল যৌন উত্তেজনার কারণে করা হয় এবং হস্তমৈথুনকারী ব্যক্তির স্ত্রী বা দাসী না থাকলে সে প্রশান্তি লাভের জন্য এরূপ করে থাকলে আশা করি তার ওপর কোন শাস্তি প্রয়োগ করা হবেনা।’ 

199. ফতওয়া শামী, হুদুদ অধ্যায়, শাস্তি সম্পর্কীত পরিচ্ছেদ; তাফসীরে রুহুল মা‘আনী,200. সূরা আল-মুমিনুন, পৃষ্ঠা নং-১০, খন্ড নং-১৮; অনুরূপ তাফসীরে মাযহারী,200. সূরা আল-মুমিনুন।


অনুরূপ পুরুষের হস্তমৈথুনের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। একে ‘খাদ্খাদাহ’ বা নাড়ানো বলা হয়। এর কারণে ওমর (رضى الله تعالي عنه) বেত্রাঘাত করেছেন। জমহুর এর মতে হস্তমৈথুন হারাম এবং তা অন্যান্য হারামের মত হারামের অন্তভুর্ক্ত। ইবনুল হুমাম বলেন, হস্তমৈথুন হারাম। যদি প্রবল যৌন উত্তেজনায় প্রশান্তি লাভের আশায় তা করা হয়, তাহলে আশা করি সে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে না।

Top