মোস্তফা (ﷺ) এর ফযিলত ও বৈশিষ্ট্যাবলীর বর্ণনা-
❏ প্রশ্ন-১১ঃ মোস্তফা (ﷺ) এর ইচ্ছানুযায়ী তিন ওয়াক্ত নামায না পড়ার অনুমতি সাপেক্ষে ইসলাম কবুল করা কিভাবে হলো? আলোচনা কর।
✍ উত্তরঃ মুসনদে ইমাম আহমদে সকল বর্ণনাকারী সেক্বাহ ও গ্রহণযোগ্য এবং বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত আছে যে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْهُمْ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ عَلَى أَنَّهُ لَا يُصَلِّي إِلَّا صَلَاتَيْنِ فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ .
এক ব্যক্তি মোস্তফা (ﷺ) এর দরবারে এসে এই শর্তে ইসলাম কবুল করল যে, সে কেবল দুই ওয়াক্ত নামাযই পড়বে। হুযূর সৈয়্যদে ‘আলম (ﷺ) তার এই আবেদন গ্রহণ করলেন। 6. মুসনদে ইমাম আহমদ।
অথচ উম্মতে মুহাম্মদী এর ফযিলত ও বিশেষত্ব সমূহের অন্যতম হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামায। পাঁচ ওয়াক্ত নামায এই উম্মতের জন্য নির্দিষ্ট, যা অন্য কোন উম্মতের জন্য ছিল না।
এই দুই ওয়াক্ত নামাযের অনুমতি প্রদান করা হুযূর মোস্তফা (ﷺ) এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব। হুযূর দুই ওয়াক্ত নামায পড়ার শর্তে ইসলাম গ্রহণ করার আবেদন মঞ্জুর করেন। এটা ছিল উক্ত ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ও সীমাবদ্ধ, অন্য কারো জন্য নয়। এমনি তো সামগ্রিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের মাধ্যমে ইসলাম কবুল হয়।