❏ প্রশ্ন-২ঃ  রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ওপর ঈমান আনার মর্মার্থ ও উদ্দেশ্য কি? বিস্তারিতভাবে বর্ণনা কর? 


✍ উত্তরঃ 

صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلٰى اٰلِكَ وَاَصْحَابِكَ اَجْمَعِيْنَ وَبَارَكَ وَسَلَّمَ

হযরত মুহাম্মদ  কে সকল প্রকার পূর্ণাঙ্গ গুণাবলীতে সমগ্র বিশ্ব জগত থেকে একক, স্বতন্ত্র ও অতুলনীয় মনে করা- ফরয এবং নিশ্চিতরূপে ঈমানের অংশ। যা পরিপূর্ণ নাজাত ও আমলসমূহ কবুল হওয়ার মূলভিত্তি। পবিত্র কুরআনে মূলতঃ তাকেই বলা হয়েছে ঈমান। আর ঈমান একথা বলে যে, তিনিই   আমার প্রাণ। রিসালতের শান ও মর্যাদা সম্পর্কে এটাই হচ্ছে সারকথা।


তাওহীদ দু’প্রকারঃ

প্রথমতঃ তাওহীদে ইলাহি, তা হচ্ছে- আল্লাহ্ তা‘আলা এক, অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই। না সত্তাগত ভাবে, না গুণাবলীতে এবং না হুকুমে, না আহকামে- তাঁর কোন শরীক নেই, অংশদারিত্বও নেই।


দ্বিতীয়তঃ তাওহীদে রাসূল, হুযূর মুহাম্মদুর  রাসূলুল্লাহ্  (ﷺ) তাঁর সকল পরিপূর্ণ গুণাবলীতে ও সুমহান মর্যাদায় উপমাবিহীন ও অতুলনীয় এবং তাঁর তুলনা করাও অসম্ভব। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁকে অতুলনীয় ও বে-নযীর রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন। এমন প্রাণাধিক প্রিয় রাসূলকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন গুণাবলি, সুমহান সৌন্দর্য এবং অতুলনীয় ও প্রশংসনীয় চরিত্র দান করেছেন- যা অন্য কাউকে শরীক করেন নি এবং অন্য কাউকে এ মর্যাদাও দান করেন নি।

আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর প্রত্যেক গুণাবলীর বিকাশস্থল এবং স্বীয় সত্তা ও সকল গুণাবলীর সুমহান আয়না ও প্রতিচ্ছবি হিসেবে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ (ﷺ)কে। তাঁর গুণাবলীতে অদ্বিতীয় ও একক হিসেবে বানিয়েছেন এবং সুমহান গুণাবলীতেও তুলনাবিহীন ও বে-মেছাল গুণের অধিকারী করে শরীকমুক্ত ও পবিত্র করেছেন। হযরত ইমাম শরফুদ্দীন বুসিরী (رحمه الله تعالي ) স্বীয় ‘কাসীদা-ই বুরদা শরীফে’ কতই না সুন্দর বলেছেন,

مُـنَزَّهٌ عَنْ شَرِيْكٍ فِىْ مُحَاسِـنِـهٖ

فَجَـوْهَرُ الْحُسْنِ فِـيْهِ غَيْرُ مُنْـقَسِمٖ .


‘হুযূর আক্বদাস (ﷺ) -এর স্বীয় গুণাবলী ও সৌন্দর্য অন্য কারো অংশীদারিত্ব থেকে পুতঃপবিত্র। মোস্তফা (ﷺ)-এর মাঝে যে অতুলনীয় সৌন্দর্য রয়েছে তা অবিভক্ত ও অবিচ্ছেদ্য।’


Top