❏ প্রশ্ন-১৪০: ইবলিশ শয়তান কি বিতাড়িত হওয়ার পূর্বে ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলো?
✍ উত্তর: তাফসীরে ইবনে কাসিরে নানা ধরনের বক্তব্য উল্লেখ রয়েছে যা দ্বারা একথাটি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে,
شيطان قبل المسخ من اشراف الملائكة وخازن الجنةو سلطان السماء الدنيا والارض.
‘শয়তান বিতাড়িত হওয়ার পূর্বে ছিলো ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, জান্নাতের কোষাধ্যক্ষ এবং পৃথিবীর সন্নিকটস্থ আকাশ ও পৃথিবীর সম্রাট। আর ইলমে ইজতিহাদে সে ছিলো ফেরেশতাদের চেয়ে এগিয়ে।’
ইবনে আব্বাস (رضى الله تعالي عنه) বলেন,
قال ابن عباس رضى الله عنه كان ابليس من اشرف الملائكة واكرمهم قبيلة، وكان خازنا على الجنان وكان له سلطان السماء الدنيا وكان له سلطان الارض.
‘ইবলিশ ছিলো ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, গোত্রীয় দিক দিয়ে তাদের চেয়ে সম্মানিত, জান্নাতসমূহের কোষাধ্যক্ষ। তার অধীনে ছিলো পৃথিবী ও আকাশের রাজত্ব।’
184. আহকামুল মারজান, পৃষ্ঠা নং-১৫৫, হায়াতুল হাইওয়ান দামিরী, খন্ড নং-১, পৃষ্ঠা নং-২৯৮; তাফসীরে ইবনে কাসির, পৃষ্ঠা নং-৭৫, ফেরেশতাগণ কর্তৃক আদমকে সিজদা সম্পর্কীত অধ্যায়।
كان من اشدهم اى اشد الملائكة اجتهادًا واكثرهم علما، كان اشرف الملائكة من ذوالاجنحة الاربعة كان من اشراف الملائكة واكرمهم قبيلة وكان خازنا على الجنان . كان له سلطان السماء الدنيا وكان له سلطان الارض . وكان يسوس ما بين السماء والارض فعصى فمسخه اللهُ شيطانا رجيما كان ابليس رئيس الملائكة السماء الدنيا.
‘সে ইজতিহাদের দিক দিয়ে ফেরেশতাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলো এবং জ্ঞানের দিক দিয়ে ছিলো তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানের অধিকারী। সে ফেরেশতাদের মধ্যে মর্যাদাশীল চার ফেরেশতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলো এবং গোত্রীয় দিক দিয়ে তাদের চেয়ে সম্মানিত। সে ছিলো জান্নাতসমূহের কোষাধ্যক্ষ। তার হাতে ছিলো পৃথিবীর সন্নিকটস্থ আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব। আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী অবস্থিত সকল কিছুর ওপর চলত তার শাসন ক্ষমতা। অতঃপর সে আল্লাহর অবাধ্যাচরণ করলো। এরপর আল্লাহ্ শয়তানকে অভিশপ্ত অবস্থায় বিতাড়িত করলেন। ইবলিশ ছিলো পৃথিবীর সন্নিকটস্থ আসমানের ফেরেশতাদের সরদার।’