❏ প্রশ্ন-৭৫ঃ মহিলাদের স্বতন্ত্র ও এককভাবে জামাতে নামায পড়ার হুকুম কী?
✍ উত্তরঃ শুধুমাত্র মহিলাদের স্বতন্ত্র ও একক জামাত মাকরূহে তাহরীমী। ‘দুর্রুল মুখতার’-এর ৫৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে,
ويكره تحريما جماعة النساء .
অর্থাৎ- ‘মহিলাদের স্বতন্ত্র একক জামাত মাকরূহে তাহরিমী।’ ‘হিন্দিয়া’য় উল্লেখ আছে যে,
ويكره امامة المرأة للنساء فى الصلواة كلها من الفرائض والنوافل الا فى صلواة الجنازة، هكذا فى النهاية-
‘ফরয ও নফল সকল নামাযে মহিলাদের জন্য ইমামতি করা মাকরূহ। কিন্তু জানাযার নামায ছাড়া। হিন্দীয়া গ্রন্থেও অনুরূপ উল্লেখ আছে।’
এতদ্সত্ত্বেও যদি মহিলারা জামাতে নামায পড়তে চায়, তাহলে মহিলা ইমাম কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবে। পুরুষদের ন্যায় কাতারের সামনে একাকী দাঁড়াবে না। আর মহিলা ইমাম পুরুষ ইমামের ন্যায় কাতারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে গোনাহগার হবে।
হ্যাঁ! আল্লামা ‘আইনি, ইমাম ইবনে হুমাম এবং মওলানা আবদুল হাই লক্ষ্মৌভি (رحمه الله تعالي )-এর গবেষণা মতে মহিলাদের জামাত অনুত্তম। মহিলারা পুরুষদের জামাতে পর্দা ও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পেছনে এক পাশের্ব দাঁড়িয়ে যদি ইচ্ছে করে নামায পড়তে পারবে। আর জামাত ছাড়া তারা যদি একাকী নামায পড়ে, তা হবে তাদের জন্য উত্তম ও উৎকৃষ্ট।
فان فعلن وقعت الامام وسطهن و بقيامها وسطهن لا تزول الكراهة . وان تقدمت عليهن امامهن لم تفسد صلاتهن . هكذا فى الجوهرة النيرة . وصلاتهن فرادى افضل، هكذا فى الخلاصة .
‘যদি তারা জামাতে নামায পড়তে চায়, তাহলে ইমাম দাঁড়াবে কাতারের মাঝখানে এবং কাতারে দাঁড়ালেও মাকরূহ মুক্ত হবে না। আর ইমাম কাতারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেও নামায ফাসেদ হবে না, ‘জওহারাতুন্ নাইয়্যেবা’ গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ আছে। আর মহিলাদের নামায একাকী আদায় করা উত্তম, যা ‘খোলাসা’ গ্রন্থে লিখা আছে।’
103. খোলাসাহ, باب الامامة, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৮৫।