❏ প্রশ্ন-১৪৭: বিয়েতে প্রস্তাবের উত্তরে ‘কবুল’ শব্দের পরিবর্তে আলহামদুলিল্লাহ বলা কেমন? এক পক্ষ হতে প্রস্তাব দেওয়ার পর দ্বিতীয় পক্ষ হতে ‘কবুল’ শব্দের পরিবর্তে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে নাকি হবে না? কতিপয় আলেম বলেন, আলহমাদুলিল্লাহ শব্দটি ‘তামলিকে আইন’ তথা হুবহু মালিকানাকে নির্দেশ করেনা, তাই বিয়ে শুদ্ধ হবে না। আবার কতিপয় আলেম বলেন, যেহেতু আমাদের এলাকার প্রথায় আলহামদুলিল্লাহ শব্দটি ‘কবুল’ শব্দটি বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, তাই এর দ্বারা বিয়ে শুদ্ধ হওয়া উচিত।
✍ উত্তর: বিয়ের নিয়তে ‘কবুল’ শব্দের পরিবর্তে আলহামদুলিল্লাহ বললে বিয়ে শুদ্ধ বা অনুষ্ঠিত হবে কিনা? ফতোয়ায়ে আলমগীরির ১ম খন্ডর ২৭২নং পৃষ্ঠায় রয়েছে যে,
امرأة قالت لرجل تزوجت نفسى منك فقال الرجلُ بخداوند كارى پذيرفتم يصح النكاح ولو لم يقل الرجل ذلك لكنه قال لها شاباش ان لم يقل بطريق الطنزِ يصح النكاح كذا فى الخلاصة .
কোন পুরুষকে লক্ষ্য করে একথা বললে আমি তোমাকে বিয়ে করলাম এবং পুরুষ লোকটি একথা বললে আল্লাহর ফজলে আমি কবুল করলাম, এক্ষেত্রে বিয়ে শুদ্ধ হবে। আর যদি পুরুষ লোকটি একথা না বলে, নারী লোকটিকে লক্ষ্য করে সাবাশ বলে এবং যদি তা ঠাট্টা হিসেবে না বলে, তাহলে এই বিয়ে শুদ্ধ হবে। অনুরূপ বর্ণনা ফতোয়া ‘খোলাসা’ গ্রন্থে পাওয়া যায়।
ইজাব ও কবুল শব্দদ্বয় ‘তামলিকে আইন’ তথা হুবহু মালিকানা বুঝানোর জন্য উদ্ভাবিত হওয়া আবশ্যক নয়। বরং কেবল ইজাব এরকম হওয়া যথেষ্ট। অন্যথায় কবুল বললেও কবুল গ্রহণযোগ্য না হওয়া উচিত। কারণ এতে এই সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক যে, কবুলের জন্য সুস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করতে হবে। কেননা ব্যাপারটি হচ্ছে বিয়ের। হতে পারে সে প্রয়োজনের সময় অস্বীকার করে বসবে যখন সে আটকে যাবে।