❏ প্রশ্ন-৬০ঃ লবনের ওপর তায়াম্মুমের শরয়ী বিধান কি? একজন ব্যক্তি লবনের দোকানে কাজ করে এবং সেখানে যদি তার তায়াম্মুমের প্রয়োজন হয় এবং আশ-পাশে কোন মাটিও না থাকে, তাহলে এই মুহূর্তে উক্ত ব্যক্তি কি লবণের ওপর তায়াম্মুম করলে তা বৈধ হবে? 


✍ উত্তরঃ হযরত আল্লামা ইবরাহীম হালবী হানাফী (رحمه الله تعالي ) কবীরী গ্রন্থের তায়াম্মুম অধ্যায়ে বলেন, 


ولو تيمم بالملح نظر إن كان مائيا أي كان ماء فجمد ، لا يجوز  لأنه ليس من أجزاء الأرض وإن كان جبليا أى معدنيا وهو ما استحال ملحا من أجزاء الأرض يجوز به التيمم لأنه جنس الأرض 


‘আর যদি লবনের ওপর তায়াম্মুম করতে হয়- তাহলে তৎপূর্বে দেখতে হবে যে, লবন কি লোনা পানি থেকে উৎপন্ন (অর্থাৎ সমুদ্রের লবন) তাহলে এতে তায়াম্মুম জায়েয নেই। যেহেতু এটা মাটির অংশ নহে। আর যদি খনিজ লবন হয় তাহলে এতে তায়াম্মুম জায়েয। যেহেতু এটা মাটির অংশ, পানি জাতীয় নয়।

ফতোয়া কাজীখান-এ উল্লেখ আছে, 


اختلفوا في الجبلى والصحيح هو الجواز . 


‘ওলামাদের মধ্যে খনিজ লবনের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মতে, জায়েয।’ 

89. বাহরুর রায়েক, তায়াম্মুম অধ্যায়; কাজীখান, অনুচ্ছেদঃ যা দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয।


বিশুদ্ধ মত হলো, পাহাড়ী লবন যেহেতু মাটির অংশবিশেষ, তাই তা দ্বারা তায়াম্মুম করা শরয়ীভাবে বৈধ। আর আমাদের দেশে যে লবনগুলো সমুদ্র-পানি থেকে তৈরি হয়, তা দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয নয়। 


هذا ما ظهرلى والعلم عندالله تعالىٰ ورسوله الكريم .


‘এটাই আমার বুঝে এসেছে। বাকি প্রকৃত জ্ঞান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট।’


Top