❏ প্রশ্ন-৮৭ঃ এশার নামাযের সঠিক সময় দলিলসহ বর্ণনা কর। 

অর্থাৎ-এশার নামায শফক বা লালিমা অস্ত যাওয়া হতে ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে এশার নামায পড়া জায়েয। কিন্তু ‘মজমুয়ায়ে ফতোয়া’ (উদুর্, ২য় খন্ড এইচ এম সাঈদ করাচি থেকে প্রকাশিত) গ্রন্থে উল্লেখ আছে, এশার নামায অর্ধ রাতের পর পড়া মাকরূহে তাহ্রিমী এবং সকালে তা পুনরায় পড়ে নেয়া ওয়াজিব। মূলতঃ অর্ধ রাতের পর নামাযই হবে না, অথচ এটা নামাযেরই ওয়াক্ত দলিলসহ বর্ণনা কর।


✍ উত্তরঃ এশার নামায অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করে পড়ার ব্যাপারে ওলামাগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। 

কারো মতে, অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্ব করা মাকরূহে তাহরীমী। যে কোন নামায মাকরূহে তাহরীমীর সাথে আদায় করলে, তা পুনরাবৃত্তি করা ওয়াজিব। আবার কারো মতে, মাকরূহে তানযীহি। যার কারণ জামাতে লোকসংখ্যা কমে যায়। মাকরূহে তানযীহির পরিণতি হলো খেলাফে আওলা বা অনুত্তম। এ অভিমতটি গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত। 

অতএব অর্ধরাতের পরও এশার নামায আদায় করা জায়েয এবং পুনরায় পড়ে নেয়াও ওয়াজিব নয়, বরং উত্তমের বিপরীত।


ان الكراهة فى تاخير العشاء تنـزيهية وهو الاظهر . 


‘ফতাওয়ায়ে শামীতে উল্লেখ আছে- এশার নামায বেশী বিলম্ব করা অনুত্তম আর এটাই স্বতঃসিদ্ধ।’ 

119. রদ্দুল মুহতার, সালাত পর্ব, নামাযের আওকাত অধ্যায়, খন্ড-১ম, পৃষ্ঠা-২৬৯।


وفى الغياثية بعده الى نصف الليل مباح غير مكروه، قال الطحطاوى بعد نصف الليل الى طلوع الفجر مكروه ، اذا كان التاخير بغير عذر-


‘পক্ষান্তরে গিয়াছিয়া গ্রন্থে উল্লেখ আছে-এশার নামায অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত বিলম্ব করা অনায়াসে জায়েয। ইমাম তাহ্তাবী বলেন, কোন শরয়ী ওজর ছাড়া অর্ধ রাত্রের পর ফজর পর্যন্ত বিলম্ব করা মাকরূহ।’  

120. ফতওয়া তাতারখানিয়া, সালাত অধ্যায়, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৪০৬।

Top