❏ প্রশ্ন-১৪১: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام), ইসমাইল (عليه السلام) এর স্থলে যে দুম্বাটি জবাই করেছিলেন ওই দুম্বাটির গোশত কারা ভক্ষণ করেছিলো?
✍ উত্তর: হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) কর্তৃক জবাইকৃত পশুটির গোশতের ব্যাপারে আল্লামা শায়খ আহমদ সাভী (رحمه الله تعالي ) লিখেন, এই পশুটির গোশত ভক্ষণ করেছিলো জীব-জন্তু ও পক্ষীকুল। কারণ তা রান্না করা ছিলো কঠিন, বরং এক প্রকার অসম্ভবই ছিলো। কেননা জান্নাতী গোশতের ওপর আগুনের কোন ধরনের প্রভাব থাকেনা।
وبقىٰ قرناه معلقين على الكعبة الى ان احترق البيت فى زمن ابن الزبير وما بقىٰ من الكبش اكلته السباع والطيور لان النار لا تؤثر فيها وهو من الجنة .
‘ইবনে যুবায়ের (رحمه الله تعالي ) এর শাসনকালে বায়তুল্লাহ শরীফে অগ্নিকান্ড হওয়া পর্যন্ত সময়ে এই পশুর শিং দু’টি কা’বা শরীফের ওপর লটকানো অবস্থায় ছিলো এবং এর অবশিষ্টাংশটুকু জীব-জন্তু ও পক্ষীকুল ভক্ষণ করেছিলো। কারণ আগুন পশুটির ওপর কোন প্রভাব রাখতে পারে না। যেহেতু তা ছিলো জান্নাতী পশু।’
185. তাফসীরে সাভী, খন্ড নং-৪, পৃষ্ঠা নং-৩৪, ।
তাফসীরে জুমল এর ৩য় খন্ড ৫৪৯নং পৃষ্ঠায় সূরা আস্-সাফ্ফাত এর তাফসীরে রয়েছে যে,
وقد بقىٰ قرناهُ معلقين على الكعبة الى ان احترق البيت فى زمن ابن الزبير ومن المعلوم المقرر ان كل ماهو من الجنة لا نؤ ثر فيه النار فلم يطبخ لحم الكبش بل اكلته السباع والطيور.
‘ইবনে যুবায়ের (رحمه الله تعالي )এর শাসনকালে বায়তুল্লাহ শরীফে অগ্নিকান্ড ঘটা পর্যন্ত এই পশুটির শিং দু’টি কা’বা শরীফের ওপর লটকানো অবস্থায় ছিলো। এ কথাটি স্বীকৃত যে, এই পশুটি ছিলো জান্নাতী। আগুন যার ওপর কোন প্রভাব রাখেনা। দুম্বাটির গোশত রান্না করা হয়নি। বরং তা জীব-জন্তু ও পক্ষীকুল ভক্ষণ করেছিলো।’
185. বাদায়ে আল যাহুর, পৃষ্ঠা নং-৮০; সূরা আস্-সাফ্ফাত, হযরত ইসমাইল (আ) এর জবেহের কাহিনী।