❏ প্রশ্ন-৪৩ঃ ‘আহমদ’ এটা কার নাম ? বর্ণনা কর।


✍ উত্তরঃ ‘আহমদ’ হুযূর মোস্তফা (ﷺ)-এর অন্যতম দ্বিতীয় নাম। যার অর্থ হচ্ছে, নির্বাচিত, মনোনীত ও প্রশংসনীয় গুণাবলী। হুযূর-এর পূর্ববর্তী নবীগণের ওপর অবতীর্ণ আসমানী কিতাবসমূহে হুযূর মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর নবুওয়াতে সুসংবাদ লিপিবদ্ধ ছিল এবং সেখানে তাঁর ‘আহমদ’ নামই এসেছিল। পার্থক্য শুধুমাত্র ভাষার। হুযূর মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ)   ছিলেন আরবী এবং তাঁর ভাষাও আরবী। তাই তাঁর নামও আরবী হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহ ছিল অনারবী ভাষায়। তাই উক্ত কিতাবসমূহে ‘আহমদ’-এর স্থলে قارقليط (কারে-কলীত্ব) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যা অর্থের দিক দিয়ে আহমদ শব্দের সমার্থক এবং একই ওযনের। কোরআন মজিদে উক্ত সুসংবাদের বর্ণনা এভাবে এসেছে।


وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ .

‘হে হাবীব আপনি স্মরণ করুন, যখন মরিয়ম পুত্র ঈসা (عليه السلام) বললেন, হে বনি ইসরাইল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে তাশরীফ আনবেন। তাঁর নাম আহমদ।’  

Top