❏ প্রশ্ন-১৩১ঃ সূরা ইয়াসিন এর তেলাওয়াত কখন ও কিভাবে করতে হয় এবং এর উপকার কী- দলিলসহ বর্ণনা কর ?
✍ উত্তরঃ শায়খ ইবনে হাইয়ান (رحمه الله تعالي ) ‘কিতাবুস্ সাওয়াব’-এ স্বীয় সনদে একটি রেওয়ায়ত এনেছেন,
حدثنا ابن ابى عاصم قال حدثنا عمر بن حفص الوصائى قال حدثنا سعيد بن موسى قال حدثنا رباح بن زيد عن معمر عن الزهرى عن انس رضى الله تعالٰى عنه قال قال رسول الله صلّى الله عليه وسلّم انى فرضت على امّتى قرأة يٰس كل ليلة فمن دوام على قرأتها كل ليلة ثم مات، مات شهيدًا .
অর্থাৎ উপরোক্ত সনদে বর্ণনা করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রতি রাতে সূরা ইয়াসিন এর পাঠ স্বীয় উম্মত এর ওপর ফরয করেছি। যে ব্যক্তি সর্বদা প্রতি রাতে নিয়মিত এই সূরাটি পাঠ করবে, অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করলে শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করবে অর্থাৎ তার শহীদী মৃত্যু নসীব হবে।’
যে সব বিষয় ও জিনিসের মধ্যে উম্মতে মুহাম্মদীর কপালে কল্যাণ রয়েছে তা ফরয করে দেওয়ার অধিকার রাসূলুল্লাহ'র (ﷺ) নিকট রয়েছে। এই রেওয়ায়তটিতে, انى فرضتُ على امّتى “আমি স্বীয় উম্মতের ওপর ফরয করেছি” বাক্যটি দ্বারা এ বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এটি আল্লাহ'র হুকুম এবং একই সঙ্গে নফলের ওপর নিয়মানুবর্তিতার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়ে গেলো। فمن دوام على قرأتها “যে ব্যক্তি নিয়মিত এই সূরাটি পাঠ করবে” হাদিসের অংশটি হতে শায়খুল মাশায়েখ ইবনে হিব্বান এই হাদিসটি হযরত আনাস (رضى الله تعالي عنه) হতে স্বীয় সনদে রেওয়ায়ত করেন।
177. সীরাতে মুস্তাফা, জানে রহমত, ইখতিয়ারাতে মুস্তাফা, খন্ড নং-৪, পৃষ্ঠা নং-২০৯, ।
নোটঃ ফরয দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমলী (কর্মগত) ফরয, বিশ্বাসগত ফরয নয়। কারণ তা পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে শাস্তির কোন প্রসঙ্গ আসেনি।