মাসেহের সময় সীমার বর্ণনা
بيان مدة المسح
قال العلماء ان المسح على الخف مقدر ام لا؟ فعندعا متهم مقدر فى حق المقيم بيوم وليلة – وفى حق المسافر بثلاثة ايام ولياليها – وقال مالك ؒغير مقدر- والصحيح قول العامة – لما روى فى الحديث المشهور عن النبى ﷺ انه قال يمسح المقيم يومًا وليلة والمسافر ثلاثة ايام ولياليها. قال العلماء من اى وقت يعتبر فى ابتداء مدة المسح – قال عامة العلماء يعتبر من وقت الحدث بعد اللبس – قيل . يعتبر من وقت اللبس وقيل . يعتبر من وقت المسح .
بيان ذلك ان من توضأ عند طلوع الفجر ولبس الخف وصلى الفجر فلما طلعت الشمس احدث- ثم لمازالت الشمس توضأ ومسح على الخفّ .
فعلى قول العامة يعتبر ابتداء المدة من وقت الحدث بعد اللبس – وهو وقت طلوع الشمس . فمتى جاء ذلك الوقت من اليوم الثانى فى حق المقيم – وفى حق المسافر من اليوم الرابع تمت المدة – فلا يمسح بعد ذلك ولكن ينزع الخفين ويغسل القدمين ثم يبتدئ المسح بعده .
وعلى قول من اعتبروقت اللبس لايمسح فى اليوم الثانى من وقت طلوع الفجرو على قول من اعتبروقت المسح لايمسح فى اليوم الثانى عن وقت زوال الشمس .
ওলামায়ে কেরাম বলেন, মৌজার ওপর মসেহ করার সময়সীমা নির্ধারিত কি না? এ ব্যাপারে মতানৈক্য বিদ্যমান। অধিকাংশদের মতে এর সময়সীমা নির্ধারিত-মুকিমের জন্য একদিন একরাত ও মুসাফিরের জন্য তিনদিন, তিনরাত।
ইমাম মালেক (رحمة الله) বলেন, নির্ধারিত নয়। অধিকাংশের মতই বিশুদ্ধ।
কেননা হাদীসে মশহুরে নবী করিম (ﷺ) বলেন, মুকিম একদিন একরাত ও মুসাফির তিনদিন তিনরাত মসেহ করবে। মসেহ করার সময় কখন থেকে আরম্ভ এ সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। অধিকাংশের মতে মৌজা পরিধানের পর হাদস (অপবিত্রতা যুক্ত হওয়ার সময় থেকে, কেউ বলেন, মৌজা পরিধানের সময় থেকে, কারো মতে মসেহ করার সময় থেকে। এর বর্ণনা- কোন ব্যক্তি ভোর রাতে অযু করে মৌজা পরিধান করেছেন এবং ফজরের নামায আদায় করেছেন। পরে সূর্য উদয়ের পর অযু ভঙ্গ হয়ে গেল এবং সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলার পর অযু করল ও মৌজার ওপর মসেহ করল; এখন উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে অধিকাংশের মত হল অযু ভঙ্গ হওয়ার সময় থেকে সময় আরম্ভ হবে, তা হচ্ছে সূর্যোদয়ের পর সুতরাং মুকিমের জন্য পরের দিন ও মুসাফিরের জন্যে চতুর্থ দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত নির্ধারিত সময়; সূর্যোদয় হলে সময় শেষ হয়ে যাবে। এরপর মসেহ করা বৈধ হবে না। এরপর মৌজা খুলে উভয় পা ধৌত করে মসেহ পুনরায় আরম্ভ করবে। যাদের মতে পরিধানের পর থেকে সময় আরম্ভ হবে তাদের মতে পরের দিন বা চতুর্থ দিন ভোর রাত থেকে মসেহ করতে পারবে না। যাদের মতে মসেহ করার সময় থেকে আরম্ভ ধরা হবে তাদের মতে দ্বিতীয় দিন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলার পর থেকে মসেহ করতে পারবে না।