১৭- كِتَابُ الْبُيُوْعِ
১- بَابُ مَا جَاءَ فِيْمَنْ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ
٣٢٥- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـحَسَنِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، يَقُوْلُ عَلَى الْـمِنْبَرِ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ، يَقُوْلُ: ্রالْـحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْـحَرَامُ بَيِّنٌ، وَبَيْنَ ذَلِكَ مُشَبَّهَاتٌ، لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيْرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِيْنِهِ وَعِرْضِهِ.
১৭. ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়
বাব নং ১৬৬. ১. সন্দেহভাজন বস্তু থেকে বেঁচে থাকা
৩২৫.অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাসান থেকে, তিনি শা’বী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নু’মানকে মিম্বরের উপর এটা বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, হালালও স্পষ্ট হারামও স্পষ্ট। এ দু’টির মধ্যখানে অনেক সন্দেহজনক বস্তু রয়েছে, যেগুলোকে অনেক লোকই জানে না। সুতরাং যারা সন্দেহজনক বস্তু থেকে বেঁচে থাকে তারা তাদের দীন ও সম্মান রক্ষা করল।
(জামেউল উসুল, ১০/৫২২/৮১৩৩)
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদিস খানা সম্পূর্ণ দ্বীনে ইসলামের একটি সংক্ষিপ্তসার এবং তাকওয়ার একটি উচ্চতম মাপকাঠি প্রতিষ্ঠা করে। অর্থাৎ কোন বস্তু হালাল ও কোন বস্তু হারাম তা পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে ইসলামে উলেখ আছে। সন্দেহজনক হলো যা হালাল ও হারামের মধ্যবর্তী বস্তু যা অস্পষ্টতার কারণে হালালও হতে পারে আবার হারামও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী অধিক সাবধানতা ও তাকওয়া হচ্ছে মুসলমানের এরূপ সন্দেহজনক বস্তু থেকেও বেঁচে থাকা। যাতে পাপের সম্ভাবনা থেকেও বেঁচে থাকা যায়।