১০- بَابُ مَا جَاءَ فِي الْاِشْتِرَاطِ مِنَ الْـمُشْتَرِيْ
٣٣٨- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ ، قَالَ: مَنْ بَاعَ نَخْلًا مُؤَبَّرًا، أَوْ عَبْدًا لَهُ مَالٌ، فَالثَّمَرَةُ وَالْـمَالُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْـمُشْتَرِيْ. وَفِيْ رِوَايَةٍ: مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ، فَالْـمَالُ لِلْبَائِعِ، إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْـمُبْتَاعُ، وَمَنْ بَاعَ نَخْلًا مُوَبَّرًا، فَثَمَرَتُهُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْـمُبْتَاعُ.
বাব নং ১৭৫. ১০. ক্রেতার পক্ষ থেকে শর্ত আরোপের বর্ণনা
৩৩৮. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আবু যুবাইর থেকে, তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে তিনি নবী করমি (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তা’বীর কৃত (প্রজননকৃত) খেজুরবৃক্ষ কিংবা সম্পদশালী গোলাম বিক্রি করে তবে ফল এবং সম্পদ বিক্রেতার জন্য সাব্যস্ত হবে। তবে ক্রেতা যদি শর্ত করে থাকে, (তবে ভিন্নকথা)
অন্য বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি এমন গোলাম বিক্রি করে যার সম্পদ আছে, তবে ঐ সম্পদ বিক্রেতার হবে। কিন্তু ক্রেতা যদি কোন শর্তারোপ করে থাকে।
যে ব্যক্তি প্রজননকৃত খেজুরবৃক্ষ বিক্রি করে তাহলে এর ফলের মালিক হবে বিক্রেতা, তবে ক্রেতা যদি কোন শর্তারোপ করে থাকে।
(মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বা, ৭/১১৩/২২৯৬৭)
ব্যাখ্যা: মুয়াব্বার বলা হয়- প্রজননকৃত বৃক্ষকে আরবের লোকেরা মনে করত যে, খেজুর গাছের মধ্যে স্ত্রীলিঙ্গ ও পুংলিঙ্গ আছে। তারা স্ত্রীলিঙ্গ গাছকে ছিড়ে এর ভিতর পুংলিঙ্গ গাছের গাবা লাগিয়ে দেয়। ফলে গাছে ফলন বেশী হয়। এই পদ্ধতিকে আরবীতে তা’বীর বলা হয়।