নবীজির দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তিঃ 


হুজুরে পাক (ﷺ) এর দৃষ্টিশক্তি এতো প্রখর ছিলো যে, সুরাইয়া নক্ষত্ররাজীর অভ্যন্তরে এগারটি নক্ষত্র তিনি পরিস্কার দেখতে পেতেন। নবীজির নজর মুবারক সামনে পেছনে সমানভাবে কার্যকর ছিলো। হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, হুজুর আকরাম (ﷺ) দিনের বেলায় যে রকম দেখতে পেতেন ঠিক তেমনি দেখতে পেতেন রাতের অন্ধকারে। (বুখারী শরীফ, বায়হাকী শরীফ, কিতাবুশ শিফা)


বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণনা এসেছে যে, “তিনি অনেক সময় মুকতাদীগণকে লক্ষ করে বলতেন, তোমরা রুকু সেজদায় আমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ো না। আমি তোমাদেরকে সম্মুখ পশ্চাৎ উভয় দিক দিয়েই দেখতে পাই, কাজেই তোমাদের রুকু সেজদা আমার কাছে গোপন নয়।” কেউ কেউ এরকম বলেন যে, নবীজি (ﷺ) এর দুই স্কন্ধের মধ্যে সূচাগ্রের ন্যায় সুক্ষ্ম দুটি চোখ ছিলো যার মাধ্যমে তিনি পেছনেও দেখতে পেতেন। 


নবীপাকের দৃষ্টিশক্তির মতো শ্রবণশক্তিও ছিলো অত্যন্ত প্রখর যা আল্লাহ পাক শুধুমাত্র তাঁর প্রিয় হাবীবকেই দান করেছেন। এক হাদীসে বর্ণনা এসেছে, নবীজি বলেন- “আমি ঐ সমস্ত জিনিস দেখতে পাই, যা তোমরা দেখতে পাওনা। আর আমি ঐ সমস্ত জিনিস শুনতে পাই যা তোমরা পাওনা। আমি আকাশের আতইয়াতও (উর্ধজগতের এক বিশেষ প্রকারের ধ্বনি) শুনতে পাচ্ছি। সুবহানাল্লাহিল আযিম। আমাদের মধ্যে কে আছে এমন যে আমরা নবীজিকে আমাদের মতো সাধারণ বলি।

Top