৯ - بَابُ مَا جَاءَ فِي نَضْحِ الْفَرْجِ بِفَضْلِ الْوُضُوْءِ

৫৪ - أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مَنْصُوْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ ثَقِيْفٍ يُقَالُ: الْـحَكَمُ أَوِ ابْنُ الْـحَكَمِ، عَنْ أَبِيْهِ، قَالَ: تَوَضَّأَ النَّبِيُّ ، وَأَخَذَ حِفْنَةً مِنْ مَاءٍ، فَنَضَحَهُ فِيْ مَوَاضِعِ طَهُوْرِهِ.


বাব নং ২৪.৯ : উযূর উদ্বৃত্ত পানি লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে


৫৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মনসূর থেকে, তিনি মুজাহিদ থেকে, তিনি সকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি যাকে হাকাম অথবা ইবনে হাকাম নামে ডাকা হত তিনি তার পিতা হাকাম থেকে বর্ণনা করেন, একদা নবী করিম (ﷺ)  উযূ করেন এবং এক অঞ্জলি পানি নিয়ে স্বীয় লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দেন। (দারে কুতুনী, ১/১১১/১)

ব্যাখ্যা: এ হাদিসখানার উপর শিয়া, রাফেযী সম্প্রদায়সহ আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসূত অনেকেই সমালোচনা করেছেন। রাসূল (ﷺ)  এর বাণীর প্রকৃত মর্ম বুঝতে অক্ষম হয়ে পথভ্রষ্ট ও ইসলাম বিদ্বেষীগণ হাদীসের সমালোচনা করেছেন। অথচ রাসূল (ﷺ) ’র এই পবিত্র আমল এজন্য ছিল যে, মানুষ সাধারণত সন্দেহপ্রবণ হয়, এ সন্দেহের কারণে ইবাদতে ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাই লজ্জাস্থানে পানি ছিটানোর কারণ হল যদি কারও প্রস্রাবের ফোঁটা পড়ার সন্দেহ থাকে তা যেন এর দ্বারা দূরীভূত হয়ে যায়। যদি রাসূল (ﷺ) ’র উপর সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে এবং দ্বীনের প্রতি দরদ থাকে তাহলে কোন সমালোচনা না করে অবশ্যই এ হাদীসের উপর আমল করতে হবে। কেননা, এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত জিব্রাইল (عليه السلام) রাসূল (ﷺ) ’র উপর এনেছেন। রাসূল (ﷺ) ’র কোন কাজ হেকমত থেকে মুক্ত নয় তাঁর কোন বিশুদ্ধ হাদীসের মর্মার্থ যদি কারো বুঝে নাও আসে তবুও তা মোতাবেক আমল আবশ্যক। কেননা, রাসূল (ﷺ) ’র বিশুদ্ধ হাদীস যুক্তির ঊর্ধ্বে। এটাকে ওহীয়ে খফী হিসেবে বিশ্বাস করে আমল করতে হবে। এক্ষেত্রে এর মর্ম বুঝতে আমাদের সীমিত জ্ঞান অক্ষম বলে বিবেচিত হবে। আর রাসূল (ﷺ) ’র হাদীস মোতাবেক আমল করলে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণিত সন্দেহ দূরীভূত করে দেবেন। এ বিশ্বাস রাখাই হল অনুগত মু‘মিনের নিদর্শন। পক্ষান্তরে সমালোচনা ও বিরোধিতা করা কিংবা যুক্তি প্রমাণ খোঁজা কপট লোকের আলামত।

Top