গোস্তখানে রাসূলকে বর্জন করাঃ-
উম্মুল মু’মিনিন সায়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, হযরত হাস্সান (رضي الله عنه) কে রাসূলে কারিম (ﷺ) এ কথা বলতে আমি শুনেছি-
إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ لَا يَزَالُ يُؤَيِّدُكَ، مَا نَافَحْتَ عَنِ اللهِ وَرَسُولِهِ
-‘যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে তুমি কুরাইশদের জবাব দিতে থাকবে, জিবরাঈল (عليه السلام) ততক্ষণ তোমাকে সাহায্য করতে থাকবেন।’
هَجَاهُمْ حَسَّانُ فَشَفٰى وَاشْتَفٰى
হযরত হাস্সান (رضي الله عنه) কুরাইশদেরকে হেয় করার মাধ্যমে মুসলমানদেরকে সুফা দেন, মানে মুসলমানদের অন্তরে আনন্দ আর কুরাইশদের অন্তরে যাতনা দিতে লাগলেন। ৩০৭
{৩০৭. সহীহ মুসলিম শরীফ, ৪/১৯৩৫পৃ. হা/২৪৯০, হযরত হাসান (রা.)-এর ফযিলত অধ্যায়, বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ১০/৪০৩ পৃ. হা/২১১০৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৭১৪৭, তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ৪/৩৮ পৃ. হা/৩৫৮২, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৩৫১ পৃ. হা/৪৭৯১}
আক্বিদা
গোস্তাখানে রাসূলদের সাথে মোকাবিলা করা এবং তাদেরকে বর্জন করার দ্বারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ) খুশি হন। এমন লোকদের জিবরাঈল (عليه السلام)-এর সাহায্য নাসিব হয়। গোস্তাখানে রাসূলদের বর্জন করলে মুসলমানগণ খুশি হন, আর ইসলামের শত্রæরা নারাজ হয় এবং তাদের রাগ আসে।