দোয়া করার বর্ণনা
মাসআলাঃ দোয়া করা মানুষের জন্য আল্লাহর দরবারে অন্যতম একটি ফরিয়াদ ও আবেদন।
মাসআলাঃ ইবাদতের ন্যায় আল্লাহর দরবারে দোয়া করা ও মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস ও চাহিদা।
মাসআলাঃ যখন মানুষ কোন মুসিবত ও বিপদগ্রস্থের সম্মুখিন হন তখন সে শুয়ে, বসে কিংবা দাঁড়িয়ে সর্ববস্থায় নিজ প্রভূকে ডেকে থাকে। আল্লাহ্পাক রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন শরীফে এরশাদ করেছেন-
وَإِذَا مَسَّ الْإِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْبِهِ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَائِمًا .
অর্থ: আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়, শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। ২৪৮
➥২৪৮. সূরা ইউনুস, আয়াত-১২।
মাসআলাঃ হযরত ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) স্বীয় কিতাব ‘আওজন্দী’ গ্রন্থে বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ)’র শাহজাদা হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) ইন্তিকাল করেন, তাঁর (عليه السلام) ইন্তিকালের তিন দিন পর হযরত আবু যর (رضي الله عنه) শুকনো খেজুর, উটের দুধ, যাউয়ের রুটি নিয়ে আসেন এবং হুযূর (ﷺ)’র সামনে রাখেন। তখন হুযূর (ﷺ) উক্ত খাবারের উপর একবার সূরা ফাতিহা ও তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করেন এবং দরুদ শরীফ পাঠ করে দু‘আর জন্য হাত উঠান। হযরত আবু যর (رضي الله عنه)কে বন্টন করার নির্দেশ দেন এবং বলেন, এগুলোর সাওয়াব আমার সন্তান ইব্রাহীম (عليه السلام) পাবেন। ২৪৯
➥২৪৯. আনোয়ারুর রহমান, পৃষ্ঠা-৩৬০, মেহ্কুল আকায়িদ, পৃষ্ঠা-১১৮
আল্লামা কুসতলানী ‘মাওয়াহিবুল লাদুনীয়া’তে বলেছেন যে, ইমাম বোখারী স্বীয় ‘তারীখে’ বলেছেন যে, ‘যে কেহ খাবার সামনে রেখে بسم الله الخ শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে, এতে আল্লাহর রহমত ও শিফা বা আরোগ্য লাভ করবে এবং খাবারে অনিষ্টকারী যা কিছু থাকে তা থেকে রক্ষা পাবে’। ২৫০
➥২৫০. মাওয়াহিবুল লাদুনীয়া, পৃষ্ঠা-১১৯
মাসআলাঃ আল্লাহর দরবারে দোয়া করার সময় প্রথমে নিজের জন্য ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারা আরম্ভ করবে অতঃপর অপরাপরের নাম নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
মাসআলাঃ ঈমানদার মুসলমান নর-নারীর জন্য ক্ষমা চাওয়া বিশেষতঃ শোহাদায়ে কেরাম, ছিদ্দিকীন ও ছালেহীনদের উচ্চ মর্তবা কামনা করা আবশ্যক।
মাসআলাঃ কবর জিয়ারত করা এবং মৃত তথা কবরবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয। ২৫১
➥২৫১. তাফসীরে ফুয়ুজুর রহমান, পারা-২৬, পৃষ্ঠা-১৫৩।