✧ জা 'আল হক' নামকরণের তাৎপর্য
এ কিতাব সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
এ কিতাবে নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়েছেঃ
❏ আপন বক্তব্যের সুস্পষ্ট বিশেষণ;
❏ বক্তব্যের সমর্থনে কুরআন-হাদীছ,
❏ বুযুর্গানেদ্বীন, হাদীছ বিশারদ ও তাফসীরকারীদের উক্তি থেকে প্রমাণাদি উপস্থাপিত করেন;
❏ বিরুদ্ধমতালম্বীদের কিতাবসমূহ থেকে বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণাদি উপস্থাপন;
❏ কুরআন-হাদীছ ও ফিক্হ-শাস্ত্রবিদদের উক্তি হতে বিরুদ্ধাচারণ কারীদের উত্থাপিত আপত্তিসমূহের আলোচনা;
❏ কুরআন-হাদীছ ও উলামায়ে কেরামের উক্তির আলোকে আপত্তিসমূহের জবাব দান;
❏ নিজ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি প্রদান;
❏ বিরোধিতাকারীদের যুক্তির নিরিখে উত্থাপিত আপত্তিসমূহ;
❏ সে সমস্ত আপত্তির যুক্তিসংগত উত্তর।
এ কিতাবে আরও একটি বিষয়ের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। যে কোন উদ্ধৃতি উল্লেখ করার সময় যতটুকু সম্ভব সংশিষ্ট গ্রন্থের অধ্যায় ও পরিচ্ছেদের উল্লেখ করা হয়েছে (বর্তমানে এখন তাখরীজও দেয়া হল ,শহিদুল্লাহ বাহাদুর)। পৃষ্ঠার পরিবর্তন হতে পারে, তাই পৃষ্ঠার উল্লেখ করা হয়নি। আর তাফসীর থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় পারা, সুরা ও আয়াতের উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঠকবর্গ যদি একটু মনোযোগ সহকারে কিতাবটি অধ্যয়ন করেন, তবে ইন্শাআল্লাহ তা’আলা তাদের নিকট এ গ্রন্থটি জ্ঞানের সাগর বলে মনে হবে এবং এ থেকে অনেক মূল্যবান মণিমুক্তা আহরণ করতে পারবেন। অত্র গ্রন্থকে কঠিন শব্দ প্রয়োগ ও বিরক্তিকর, অযৌক্তিক বর্ণনা থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে। আশা করি, বিজ্ঞ সুধী সমাজ সত্যকে গ্রহণ ও ভ্রান্তকে পরিহার করতে পারবেন। এতেই দ্বীন দুনিয়া উভয়ের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
وَمَا تَوْفِيْقِىْ اِلَّا بِااللهِ عَلَيْهِ تَوَكَلْتُ وَاِلَيْهِ اَنِيْبُ.
অর্থাৎ- আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ছাড়া আমার কিছু সাধ্য নেই, তাঁর উপরই আমি নির্ভর করছি ও তাঁর দিকেই মনোনিবেশ করছি।
হযরত কিবলায়ে আলম, আমীরে মিল্লাত, শায়খুল মাশায়িখ, কুতুবে যামান আলেমে রব্বানী, পীর, সৈয়দ জমায়াত আলী শাহ সাহেব, মুহাদ্দিছ আলীপুরী (দামত বরকাতুহুমুল কুদসিয়াহ) এ কিতাবের নাম জা’আল হক ওয়া যাহাকাল বাতিল’ রাখার প্রস্তাব দেন। আমি অতি গর্ব ভরে এ নামেই কিতাবের নামকরণ করেছি। আশা করি, আল্লাহ পাক এ নামের সার্থকতা বজায় রেখে, স্বীয় অনুগ্রহে একে আমার গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করবেন ও ঈমান সহকারে জীবনাবসান করাবেন। আমীন!
পেশ কালাম
যেহেতু এ কিতাবে প্রত্যেক মাস্আলার ক্ষেত্রে কুরআনের আয়াত সমূহ পেশ করা হবে এবং সাথে সাথে উক্ত আয়াত সমূহের তাফসীরও বর্ণনা করা হবে, সেহেতু কুরআনের তাফসীর সম্পর্কে নিম্নলিখিত কথাগুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা একান্ত দরকারঃ