কোরবানীর জন্তুর বয়স
মাসআলাঃ পাঁচ বছরের উট, দুই বছরের গাভী, ষাড়, মহিষ, এক বছরের ভেড়া, ছাগলের কোরবানী জায়েয আছে। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বার কোরবানীও জায়েয আছে। এ শর্তের ভিত্তিতে যে, শারীরিকভাবে এমন রিষ্ট-পুষ্ট হয় যে, যদি এক বছরের জন্তুদের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে পার্থক্য করা যাবেনা।
হযরত সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন- হুজুর (ﷺ) শিং বিশিষ্ট কাল, সাদা রঙের দুইটি ভেড়া কোরবানী করেছেন। ১৫০
➥১৫০. সহীহ মুসলিম, ২য় খণ্ড।
হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ কুদরী (رضي الله عنه) বলেছেন- রাসূল (ﷺ) শিং বিশিষ্ট রিষ্টপুষ্ট (শক্তিশালী) ভেড়া কোরবানীর মধ্যে যবেহ করেছেন। ১৫১
➥১৫১. তিরমিযী, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৭।
মাসআলাঃ যে জন্তুকে খাসী করে দেয়া হয়েছে উহা দিয়েও কোরবানী করা জায়েয আছে। আর খাসী ঐ জন্তুকে বলা হয় যার উভয় অন্ডকোষ বের করে দেয়া হয়েছে। উহার দলীল এ যে, হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বা হযরত সায়্যিদিনা আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) কোরবানী করার জন্য এমন ভেড়া সংগ্রহ করতেন যা খুব মোটা-তাজা হত, যার অন্ডকোষ বের করে দেয়া হয়েছে। আর উহা কাল সাদা রঙের শিং বিশিষ্ট হত, তৎমধ্য থেকে একটি ভেড়া নিজ উম্মতের পক্ষ থেকে যারা আল্লাহ্ তায়ালার একত্ববাদ ও রাসূল (ﷺ) এর রিসালত এর সাক্ষ্য দেয়। আর দ্বিতীয় ভেড়াটি মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে করতেন। ১৫২
➥১৫২. সুনানে বায়হাক্বী, ৯ম খণ্ড, ২৭৩ পৃষ্ঠা; ফিকহে হানাফী, ৩য় খণ্ড, ১৯৩ পৃষ্ঠা।
মাসআলাঃ যে পাগল জন্তু ঘাস খায় উহার কোরবানীও জায়েয, কেননা উহা মকসদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়। আর যদি ঘাস না খায় তাহলে জায়েয হবেনা। খুজলী জন্তু যদি মোটা-তাজা হয় তাহলে উহার কোরবানী জায়েয আছে। আর যদি ক্ষীণ ও দূর্বল হয় তাহলে নাজায়েয। যে জন্তুর দাত না থাকে উহার কোরবানীও জায়েয আছে।
হযরত ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি উহার মধ্যে বেশী ও কম ধর্তব্য করেছেন, অতএব, যদি এ পরিমাণ দাত অবশিষ্ট থাকে যা দ্বারা ঘাস খাওয়া উক্ত প্রাণীর জন্য সম্ভব হয় তাহলে জায়েয আছে। ছোট কান বিশিষ্ট জন্তুর কোরবানী জায়েয আছে। উহার দলীল হল- ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর বর্ণনায় রয়েছে যে, ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) ছোট কান বিশিষ্ট জন্তুর কোরবানীতে কোন অসুবিধা মনে করতেন না। ১৫৩
➥১৫৩. সুনানে বায়হাক্বী, ৯ম খণ্ড, ২৭৫ পৃষ্ঠা।