নারী স্বাধীনতার কুফল


পশুর মত অবাধ যৌনাচার ও ব্যভিচার যে বেহায়াপনা ও নারী স্বাধীনতারই ফল এ বাস্তর সত্য কেউ অস্বাীকার করতে পারবে নাকি? এটা যে মানবতা বিধ্বংসী পশুসুলভ কারবার একথ স্বতঃসিদ্ধ। ব্যভিচারের কুফল স্বরূপ ব্যক্তি সমাজ দেশ ও জাতি সবার সর্বনাশ ও অপমৃত্যু ঘটে এটা ইতিহাস পরীক্ষিত সত্য। তাই সৃষ্টির আদিকাল থেকে দুনিয়ার কোন নবী-রাসূল, মহামনীষী জ্ঞানী-বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবী কেউ ব্যভিচারের অনুমতি দেননি। অনুমতি দিয়েছে শুধু তথাকথিত মানবতা ও সভ্যতার ধ্বজা ধারী বর্তমান পাশ্চাত্য সমাজ। কিন্তু এর মারাত্মক পরিণতির শিকার হয়ে এখন তাদের হুঁশ হয়েছে এবং আত্মরক্ষার পথ খুঁজছে। ততক্ষণে তাদের সমাজ এমন বেসামাল হয়ে পড়েছে যে আত্মরক্ষার কোন পথ না পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দুর্গতির অতল সাগরে নিমজ্জিত করতে চাচ্ছে। আমাদের সংসারে তারা আগুন জ্বালাতে চাচ্ছে।


আজ যারা পুরুষের অধিকারে অর্ধেক ভাগ বসাতে হর-হামেশা চিল্লা চিল্লি করছে তারা যে মহালম্পট ও ইতর প্রাণীর চেয়েও নিকৃষ্ট তা তাদের কথার মধ্যেই পাওয়া যায়। কেননা তারা কি জানে না নারী ও পুরুষের মধ্যে দৈহিক দিক দিয়ে মানসিক দিক দিয়ে গুণ ও বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে কত পার্থক্য বিদ্যমান? এসব পার্থক্য ঘুচানোতো কোনক্রমেই সম্ভব নয়। যদি সম্ভব না হয় তবে নারী পুরুষের অধিকার ও কর্তব্য সমান হবে কেমন করে, কোন যুক্তিতে? শরীর বিজ্ঞানীগণ বিশ্লেষণ করে নারী ও পুরুষের মধ্যে যেসব পার্থক্য দেখতে পেয়েছেন তা নিম্নরূপ:


১. নারীর শরীর অন্তধর্মী এবং পুরুষের শরীর ক্ষারধর্মী।


২. নারী শরীর চুম্বকধর্মী আর পুরুষের শরীর বিদ্যুৎধর্মী।


৩. নারীর শরীর স্থিতিশীল ও রক্ষণশীল আর পুরুষের শরীর অস্থিতিশীল অরক্ষণশীল।


৪. সাধারণত পুরুষের দৈহিক গড় ওজন ১৪০ পাউণ্ড এবং নারীর দৈহিক গড় ওজন ১২৮ পাউণ্ড।


৫. পুরুষের দেহের মাংসপেশী ৪১.৫% ভাগ আর নারীর মাংস পেশী ৩৫%।


৬. পুরুষের দেহের হাড়ের ওজন সাধারণত সাত সের আর নারীর দেহের হাড়ের ওজন সোয়া পাঁচ সের।


৭. পুরুষের দেহের শতকরা ১৮ ভাগ চর্বি, আর নারী দেহে ২৮% চর্বি।


৮. রক্তের লাল কণিকা নারীর চাইতে পুরুষের অনেক বেশি। পুরুষের এক কিউবিক মিলিমিটার রক্তে পঞ্চাশ লক্ষ রক্ত কণিকা থাকে আর নারীর থাকে ৪৫ লক্ষ। 


৯. পুরুষের মগজের ওজন গড়পাড়তা সারে ঊনচল্লিশ আউন্স, আর নারী মগজের ওজন ৪৪ আউন্স। পুরুষের মগজের সর্বনিম্ন ওজন ৩৪ আউন্স আর সর্বোচ্চ ৬৫ আউন্স আর নারী সর্বনিম্ন ৩১ আউন্স এবং সর্বোচ্চ ৫৪ আউন্স, (প্রতি আউন্স আড়াই তোলা সমান)। উল্লেখ্য যে, মগজের ওজনের উপর নির্ভর করে বুদ্ধিমত্তার তারতম্য।


১০. নারীর পঞ্চেন্দ্রীয় পুরুষের পঞ্চেন্দ্রীয়ের তুলনায় অনেক দুর্বল।


১১. নারীর মগজের বক্রতা ও প্যাঁচ পুরুষের তুলনায় অনেক কম। মগজের স্নায়ুমণিতেও বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান।


১২. নারীর হৃদপিণ্ড পুরুষের হৃদপিণ্ড থেকে ওজনে ৬০ গ্রাম কম।


১৩. নারীর স্পন্দন পুরুষের চেয়ে মিনিটে ৫ বার বেশি।


১৪. শ্বাস প্রশ্বাসে পুরুষ ঘণ্টায় ১১ ড্রাম কার্বন জ্বালাতে পারে আর নারী পারে মাত্র ৬ ড্রাম। এখান থেকে বুঝায় যায় নারীর দেহে অক্সিজেনের ভাগ কম।


১৫. দৈহিক শক্তিতে নারী পুরুষের চাইতে অনেক কম। পুরুষের চামড়ার দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার আর নারীর চামড়ার দৈঘ্য ১.৬ মিটার। এছাড়া পুরুষ হয় বলবীর্যবান, শক্তিশালী আর নারী হয় কোমল ও লাজুক। পুরুষরা সাহসী আর নারীরা ভীরু। পুরুষ চিন্তাশীল ভাবুক আর নারী স্বভাবধর্মী পরশ্রীকাতর। পুরুষের চিন্তাধারা জাগ্রত ও বিপ্লবী, নারীর চিন্তাধারা সুপ্ত ও সাম্য। পুরুষ আলোড়নকারী। নারী প্রেরণা দানকারী। 


এ সমস্ত তথ্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নারী পুরুষের মত শক্তিশালী নয়। সূ²দর্শী নয়, চিন্তাশীল নয়, বিপ্লবী নয়। আবিষ্কারক নয়, ধৈর্য্যশীল নয়। জ্ঞান-বুদ্ধি ও সৃজনশীলতায় নারী পুরুষ হতে অনেক গুণ কম। তাদের মস্তিষ্কের গঠন প্রণালী সরল সহজ। পুরুষের মস্তিষ্কের ন্যায় সু² ও জটিল নয়। এজন্য কোন নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করার পরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে জগৎকে মুগ্ধ করতে পারেনি। নতুন থিওরী দিয়ে সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি। সুশাসক হয়ে প্রজাসাধারণের সন্তুষ্টি বিধান করতে পারেনি। এ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত বৈজ্ঞানিক ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে নারীর কি কোন অবদান আছে? নারী কোন দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে সমুদ্রগর্ভে, পর্বত শিখরে অথবা মহাশূন্যে বিচরণ করতে পারেনি। করলেও কদাচিত। নারী কোন যুগে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারক, ধর্মযাজক ধর্মনেতা বা পয়গাম্বর হয়েও আসেনি। মোট কথা, প্রকৃতগতভাবে নারীর মধ্যে যেসব দুর্বলতা বিদ্যমান নারী ও পুরুষের মধ্যে যেসব পার্থক্য বিদ্যমান তা কোন বৈজ্ঞানিক কৌশল অবলম্বন করেও ঘুচানো সম্ভব নয়। প্রকৃতির নিয়মকে লংঘন করা যাবে না। নারীর মুখে যেমন গোঁফ গজানো যায় না, তেমনি পুরুষের বুকেও স্তন স্থাপন করা যায় না। নারীকে দুধ ডিম কলা ইত্যাদি বলকারক খাদ্য খাইয়েও বৈজ্ঞানিক-আবিষ্কারক বানানো যায় না। তেমনি কোন যন্ত্র প্রয়োগ করেও পুরুষের পেটে সন্তানের ব্যবস্থা করা যায় না।


পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে নারীকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কই ক’জন নারী নব আবিষ্কারের দ্বারা জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে? কোন নারী সমুদ্রের তলদেশ থেকে মণিমুক্তা আহরণ করে এনেছে? কোন নারী নাবিক হয়ে দেশ-দেশান্তর পাড়ি জমিয়েছে? কে কবে হিমালয় শৃঙ্গে অভিযান করেছে? গভীর অরণ্যে প্রবেশ করে কে কবে বাঘ সিংহ হাতী গন্ডার শিকার করেছে? যারা একটা বিড়াল মারার ক্ষমতা রাখে না তাদের আবার স্বাধীনতা? যতসব অসাধ্য দুঃসাধ্য কঠিন ঝুকিপূর্ণ কাজ তা সব পুরুষ করেছে, করছে।


আর অধিকারের বেলায় সমান, হায়রে অধিকার কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। নারী ও পুরুষের মধ্যে এতসব পার্থক্য থাকা সত্তে¡ও সমান অধিকারের দাবী তোলা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। নারীর জন্য যা কল্যাণজনক ও উপযোগী তা আল্লাহ পাক তাকে দিয়েছেন। নারীর প্রতি কোন অত্যাচার অবিচার করা হয়নি। নবী করিম  -এর মাধ্যমে যা দেবার তা একটুও কম দেয়া হয়নি। আজ তো নারীকে দাসী বানানো হয় না কন্যা সন্তানকে আর গলা টিপে হত্যা করা হয় না। মৃত স্বামীর সাথে তো সহমরণে যেতে হয় না। বনবাস দিয়ে তো আর হিংস্র প্রাণীর মুখে তুলে দেয়া হয় না। শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয় না। তবু যদি নারী পুরুষের সমান অধিকার চায় বা দেয়া হয় তাহলে ধ্বংস তো অনিবার্য। নারী যদি বাজারের পণ্য হতে চায় তাহলে সেটা হবে তাদেরই দুর্ভাগ্য।

Top