বিষয় নং-০৪: আমার সাহাবীদের মতভেদ রহমত স্বরূপ:
“হাদীসের নামে জালিয়াতি” গ্রন্থের ৪১৪ পৃষ্ঠায় ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এ হাদিস প্রসঙ্গে লিখেছেন-‘‘মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করেছেন যে, এ বাক্যটি হাদীস হিসেবে সমাজে বহুমুখে প্রচারিত হলেও কোনো হাদীসের গ্রন্থে এ হাদিসটি সনদসহ পাওয়া যায় না। কোনো সহীহ, যয়ীফ বা জাল সনদেও এ কথাটি বর্ণিত হয় নি।’’
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! তিনি হাদিস গবেষক সেজে কত বড় মিথ্যাবাদী ধোঁকাবাজ তা নিম্নের আলোচনা পড়লেই বুঝতে পারবেন। এবার আমরা দেখবো আসলেই কি তার সনদ আছে কিনা।
ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) ‘আল-মাদখাল’ গ্রন্থে উক্ত হাদিসটি সনদ সহ বর্ণনা করেন এভাবে-
الْبَيْهَقِيُّ فِي الْمَدْخَلِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ ابن أَبِي كَرِيمَةَ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنِ الضَّحَّاكِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ؓ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّه ﷺ : مَهْمَا أُوتِيتُمْ مِنْ كِتَابِ اللَّه فَالْعَمَلُ بِهِ لا عُذْرَ لأَحَدٍ فِي تَرْكِهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي كِتَابِ اللَّه فَسُنَّةٌ مِنِّي مَاضِيَةٌ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ سُنَّةً مِنِّي فَمَا قَالَ أَصْحَابِي، إِنَّ أَصْحَابِي بِمَنْزِلَةِ النُّجُومِ فِي السَّمَاءِ، فَأَيُّمَا أَخَذْتُمْ بِهِ اهْتَدَيْتُمْ، وَاخْتِلافُ أَصْحَابِي لَكُمْ رَحْمَةٌ
-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহর কিতাবুল্লাহ হতে যা পেয়েছ তার উপর আমল কর, আর তাতে কোন ওজর বা আপত্তি করা যাবে না। আর যদি কিতাবুল্লায় না পাওয়া যায়, তাহলে সুন্নাহ বা হাদিসকে আকড়ে ধর বা আমল কর। আর যদি আমার হাদিসে না পাওয়া যায় তাহলে আমার সাহাবার কথার উপর আমল কর। কেননা আমার সাহাবাগণ নক্ষত্র তুল্য। আর তাদের যাকেই অনুসরণ কর হেদায়াত বা সুপথ পাবে। আর আমার সাহাবাগণের মতবিরোধও তোমাদের জন্য রহমত স্বরূপ।’’ ২৩
২৩. ইমাম সুয়ূতি, জামেউস সগীর : ১/২৮ পৃ., হা/২৮৮, ইমাম মানাবী : ফয়জুল কাদীর : ১/২০৯ পৃ., হা/২৮৮, ইমাম আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/২৪৭ : হা/১৫৩, ইমাম দায়লামী : আল-ফিরদাউস : ৪/ ১৬০ পৃ. হা/৬৪৯৭, ইমাম বায়হাকী : আল মাদখাল : ৩১৯ পৃ., ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ৪৬ পৃ. হা/৩৯, আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১/১৩৬ পৃ., হা/২৮৬৮৬, আলবানী : সিলসিলাতুল আহাদিসিদ দ্বঈফাহ : হা/৫৭
অতএব প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, উক্ত হাদিসটি সনদসহ বর্ণিত হয়েছে। উক্ত সনদে জুয়াইবার রাবী হিসেবে দুর্বল, আবার অনেকে তাকে সিকাহও বলেছেন।
●ইমাম মিয্যী (رحمة الله) তাঁর জীবনীতে লিখেন-
روى له ابن ماجه في السنن حديثا وفي التفسير حديثا.
-‘‘ইমাম ইবনে মাযাহ (رحمة الله) তাঁর ‘সুনান’ এবং তাফসির গ্রন্থে তাঁর হাদিস সংকলন করেছেন।’’ (ইমাম মিয্যী, তাহযিবুল কামাল, ৫/১৭১ পৃ. ক্রমিক.৯৮৫)
●গ্রন্থে অপরদিকে ইমাম যারকশি (رحمة الله) ও ইমাম মাকদাসী (رحمة الله) হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর সূত্রে অপর আরেকটি দুর্বল সনদ বর্ণনা করেছেন।২৪
২৪.
ক. ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ৪৬ পৃ. : হা/৩৯
খ. আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/২৪৭ পৃ. : হা/১৫৩
●শুধু তাই নয়, ইমাম সুয়ূতি, ইমাম সাখাভী ও আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী, ইমাম বায়হাকীর রেসালায়ে আশ-আরিয়্যার উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত হাদিসটির অংশ বিশেষ اخْتِلافُ أَصْحَابِي لَكُمْ رَحْمَةٌ বর্ণনা করেছেন। ২৫
২৫. ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ৪৬ পৃ. হা/১৫৩, আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ১/২৪৭ পৃ. হা/১৫৩, মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল, হা/২৮৬৮৬, ইমাম হাতেম : আত-তাফসীর : ২/১৩৮ পৃ., তিনি বলেন, উক্ত সনদটি দুর্বল, ইমাম ইরাকী, তাখরীজে ইহইয়াউল উলূম : ১/২৫ পৃ., তিনি বলেন, উক্ত সনদটি দুর্বল, ইবনে আসাকির : তারীখে দামেস্ক, ২/৩১৫ পৃ., ইমাম আসেম : আস-সুনান : হা/১৪২, খতিবে বাগদাদ : কেফায়াতে উলুমুল হা/৪৮ পৃ.
সুতরাং বিভিন্ন সূত্রে হাদিসটি বর্ণিত হওয়ায় নিঃসন্দেহে “হাসানের” মর্যাদা রাখে।
পর্যালোচনা:
আল্লামা ইবনু আব্দিল বার (رحمة الله) ‘জামিউল বয়ানিল ইলমি ওয়াফাদ্বলিহি’ নামক কিতাবে লিখেছেন,
عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: لَقَدْ نَفَعَ اللهُ تَعَالَى بِاخْتِلَافِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَعْمَالِهِمْ، لَا يَعْمَلُ الْعَالِمُ بِعَمَلِ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَّا رَأَى أَنَّهُ فِي سَعَةٍ
-“মুজতাহিদ তাবেয়ী ইমাম কাসেম বিন মুহাম্মাদ বিন আবি বকর (رحمة الله)-এর উক্তি বর্ণিত আছে, তিনি বলেন আমলের ক্ষেত্রে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণের মধ্যে যে মতানৈক্য রয়েছে, আল্লাহ তা’য়ালা তার মাঝে মানুষের উপকার নিহিত রেখেছেন। সাহাবীদের কোনো একজনের আমল অনুযায়ী কেউ যদি আমল করে, তবে সে ব্যাপক প্রশস্ততা দেখতে পাবে।” ২৬
২৬. জামেউল বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাজলিহী লি ইবনে আব্দিল বার, ২/৯০০পৃ. হা. ১৬৮৬, দারু ইবনে যওজী, মক্কাতুল মুর্কারামা, সৌদিআরব, প্রথম প্রকাশ.১৪১৪হি., ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ৭০পৃ. হাদিসঃ ৩৯, ইরাকী, তাখরিজে ইহইয়াউল উলূম, ১/১০৭পৃ.
তাঁর থেকে অন্য বর্ণনায় রয়েছে-
عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَا أُحِبُّ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَخْتَلِفُوا؛ لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ قَوْلًا وَاحِدًا كَانَ النَّاسُ فِي ضِيقٍ وَإِنَّهُمْ أَئِمَّةٌ يُقْتَدَى بِهِمْ وَلَوْ أَخَذَ رَجُلٌ بِقَوْلِ أَحَدِهِمْ كَانَ فِي سَعَةٍ-
-‘‘ইসলামের ৫ম খলিফা, মুজতাহিদ তাবেয়ী হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয (رحمة الله) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম মতপার্থক্য না করুক, এটি আমি পছন্দ করি না। কেননা যদি একটি মত থাকতো, তবে মানুষ সংকীর্ণতায় নিপতিত হতো। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ হলেন, হেদায়াতপ্রাপ্ত ইমাম; যাঁরা আমাদের অনুসরণীয়। কেউ যদি তাদের কোনো একজনের কোনো বক্তব্যের ওপর আমল করে, তবে সে ব্যাপক প্রশস্ততার মাঝে থাকবে।’২৭
২৭. জামেউল বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাজলিহী লি ইবনে আব্দিল বার, ২/৯০১পৃ. হা. ১৬৮৯, দারু ইবনে জাওযী, মক্কাতুল মুর্কারামা, সৌদিআরব, প্রথম প্রকাশ.১৪১৪হি., ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ৭০পৃ. হাদিসঃ ৩৯, সুয়ূতী, আদ্দুররুল মুনতাসিরাহ, ১/৪৪পৃ. হাদিসঃ ৬, ইরাকী, তাখরিজে ইহইয়াউল উলূম, ১/১০৭পৃ.
অন্য বর্ণনায় ইমাম সাখাবী ও আল্লামা আজলূনী এবং ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) রেওয়ায়েতটি এভাবে বর্ণনা করেছেন-
عن أفلح بن حميد عن القاسم بن محمد قال: اختلاف أصحاب محمد صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رحمة لعباد الله
-‘‘বুখারী মুসলিমের রাবী হযরত আফলাহ ইবনে হুমায়দ (رحمة الله) তিনি মুজতাহিদ তাবেয়ী কাসেম বিন মুহাম্মদ (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাহাবীদের মতপার্থক্য রহমত স্বরূপ।’’ ২৮
২৮. ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ৭০পৃ. হাদিসঃ ৩৯, ইরাকী, তাখরিজে ইহইয়াউল উলূম, ১/১০৭পৃ.
حديث الليث بن سعد عن يحيى بن سعيد قال: أهل العلم أهل توسعة. وما برح المفتون يختلفون فيحل هذا ويحرم هذا فلا يعيب هذا على هذا إذا علم هذا،
-‘‘বিখ্যাত মুজতাহিদ ফকিহ হযরত লাইস বিন সা‘দ (رحمة الله) তিনি হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (رحمة الله) বর্ণনা করেন তিনি বলেন, “উলামায়ে কেরামের মাঝে মতপার্থক্য প্রশস্ততার কারণ। যুগে যুগে মুফতীগণ (দলিলের ভিত্তিতে) মতানৈক্য করেছেন। সুতরাং কারও নিকট একটি বিষয় জায়েয, অপরের নিকট তা হারাম; অথচ তারা একে অপরকে এ কারণে দোষারোপ করেন না।” ২৯
২৯. ইমাম সাখাবী, মাকাসিদুল হাসানা, ৭০পৃ. হা/৩৯, আজলূনী, কাশফুল খাফা ১/৭৩ পৃ. হা. ১৫৩, সুয়ূতী, আদ্দুররুল মুনতাসিরাহ, ১/৪৪ পৃ. হা/৬, ইরাকী, তাখরিজে ইহইয়াউল উলূম, ১/১০৭ পৃ.
وقال ابن عابدين (قَوْلُهُ: بِأَنَّ الِاخْتِلَافَ) أَيْ بَيْنَ الْمُجْتَهِدِينَ فِي الْفُرُوعِ لَا مُطْلَقِ الِاخْتِلَافِ.- (قَوْلُهُ: مِنْ آثَارِ الرَّحْمَةِ) فَإِنَّ اخْتِلَافَ أَئِمَّةِ الْهُدَى تَوْسِعَةٌ لِلنَّاسِ كَمَا فِي أَوَّلِ التَّتَارْخَانِيَّة، ....قال فَمَهْمَا كَانَ الِاخْتِلَافُ أَكْثَرَ كَانَتْ الرَّحْمَةُ أَوْفَرَ
-‘‘ইমাম ইবনু আবিদীন (رحمة الله) বলেছেন, শাখাগত মাস‘আলার ক্ষেত্রে দুজন মুজতাহিদের মধ্যকার মতপার্থক্য রহমতস্বরূপ। অন্যান্য বিষয়ের মতানৈক্য এর ব্যতিক্রম। কেননা শাখাগত মাস‘আলায় মতানৈক্য হওয়াটা মূলত মানুষের জন্য প্রশস্ততার দ্বার উন্মোচন। তিনি (আল্লামা হাসকাফী ) আরও বলেন, সুতরাং মাস‘আলা-মাসায়েলে মতপার্থক্য যত বেশি হবে, রহমতের ধারা তত ব্যাপক হবে।” (ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, রাদ্দুল মুহতার ১/৬৮ পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।)
যুগশ্রেষ্ঠ আলেম, হাফেযে হাদিস, আল্লামা জালালুদ্দিন আব্দুর রাহমান আস-সূয়ূতী (رحمة الله) বলেছেন-
اعلم أن اختلاف المذاهب فى الملة نعمة كبيرة وفضيلة عظيمة وله سر لطيف أدركه العالمون وعمى عنه الجاهلون حتى سمعت بعض الجهال يقول : النبى صلى الله عليه وسلم جاء بشرع واحد فمن أين مذاهب أربعة!
-“জেনে রাখ, মুসলিম উম্মাহের মাঝে বিভিন্ন মাযহাব থাকা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত এবং এর তাৎপর্য ও মর্যাদাও ব্যাপক। বিভিন্ন মাযহাব সৃষ্টির মাঝে সূক্ষ্ম রহস্য নিহিত আছে, যা আলেমগণ অনুধাবন করে থাকেন এবং অজ্ঞ লোকেরা এ ব্যাপারে অন্ধ থেকে যায়। এমনকি আমরা কোনো কোনো মূর্খ লোকের মুখে শুনে থাকি, হুজুর (ﷺ) এক শরীয়ত নিয়ে এসেছেন। সুতরাং চার মাযহাব কোত্থেকে উদয় হলো?” (জাযিলুল মাওয়াহিব ফি ইখতিলাফিল মাযাহিব, পৃষ্ঠা-২৫)
তিনি আরও বলেন,
وقد وقع الاختلاف فى الفروع بين الصحابة (رضى الله عنهم و ارضاهم) وهم خير الأمة فما خاصم أحد منهم أحد أحدأ ولانسب أحد أحدأ الى خطأ ولا قصور-
-“সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه)-এর মাঝে শাখাগত মাস‘আলা-মাসায়েলের ব্যাপারে মতভেদ হয়েছে; অথচ তারা উম্মতের মাঝে শ্রেষ্ঠ মানব। তারা একে অপরের সাথে এ বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হতেন না এবং কেউ কারও প্রতি শত্রুতা পোষণ করতেন না এবং এক সাহাবী আরেক সাহাবীকে ভ্রান্ত কিংবা ত্রুটিযুক্ত মনে করতেন না।” (প্রাগুক্ত)
এ আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, মাস‘আলা-মাসায়েলের ক্ষেত্রে যে মতানৈক্য রয়েছে, সেটি উম্মতে মুসলিমার জন্য রহমতস্বরূপ। অথচ আমাদের আহলে হাদিস এবং ডা. জাকির নায়েক দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে মতানৈক্য এবং শাখাগত বিষয়ে মতানৈক্যকে একই পাল্লায় মেপেছেন এবং উভয়টিকে হারাম মনে করেছেন। ফলশ্রুতিতে তারা মাযহাবী মতানৈক্যকেও হারাম মতানৈক্যের অন্তর্ভুক্ত মনে করেছেন, যা একটি চরম ভ্রান্তি। ইসলামী শরিয়তে হালালকে কোন বিধান কে হারাম বলা কুফুরী; কিন্তু আহলে হাদিসগণ এবং ডা. জাকির নায়েক এখন শরিয়তের কষ্টি পাথরে কী হবেন?
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এ বাতিল দলের দালালী করতে চাচ্ছেন সুকৌশলে। মহান রব যেন আমাদেরকে এ সমস্ত ধোঁকাবাজদের খপ্পর থেকে আমাদের ঈমানকে হিফাযত করেন, আমিন।