তাকওয়া ও পরহেযগারী


মক্কী ইবনে ইব্রাহীম (رحمة الله) বলেন, “আমি কূফাবাসীদের মজলিসে বসেছি, তাদের মধ্যে ইমাম আ‘যমের চেয়ে অধিক পরহেযগার কাউকে দেখিনি।” 

 ➥ ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله), আল খায়রাতুল হিসান, উর্দু, পৃষ্ঠাঃ  ৯৭, আরবী, পৃষ্ঠাঃ  ৯৮


হাসান সালেহ (رحمة الله) বলেন, ইমাম সাহেব একজন বড় পরহেযগার ব্যক্তি ছিলেন, হারাম বস্তু থেকে বেঁচে থাকতেন। এমনকি কেবল সন্দেহের কারণে তিনি অনেক হালাল বস্তুও পরিত্যাগ করতেন। আমি কোন ফকীহকে তাঁর চেয়ে বেশী স্বীয় প্রাণ ও ইলম রক্ষা করতে দেখিনি এবং মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই পরহেযগারী ও অত্যন্ত সতর্কতার সহিত জীবন যাপন করেছেন।  

 ➥    ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله), আল খায়রাতুল হিসান, উর্দু, পৃষ্ঠাঃ  ৯৭, আরবী, পৃষ্ঠাঃ  ৯৮

 

হাসান ইবনে যিয়াদ (رحمة الله) বলেন, খোদার শপথ! ইমাম সাহেব কোনদিন কোন খলীফার উপঢৌকন গ্রহণ করেননি। তিনি একদা তাঁর ব্যবসায়িক শরীকদারের নিকট ব্যবসার কিছু কাপড় পাঠিয়েছিলেন। এতে একটি কাপড়ে ক্রটি ছিল। তিনি শরীকদারকে বলেছিলেন, এই কাপড় বিক্রির সময় ত্রুটির কথা বলে বিক্রি করবে। কিন্তু শরীকদার তা বিক্রি করে দিলেন কিন্তু ভুলে ত্রুটির কথা উল্লেখ করেননি এবং ঐ ত্রুটিযুক্ত কাপড় কার কাছে বিক্রি করেছে তাও সঠিকভাবে মনে ছিলনা। যখন ইমাম সাহেব এ ব্যাপারে অবহিত হলেন, তখন তিনি সন্দেহের কারণে ঐ দিনের বিক্রিত সমস্ত মূল্য সাদকা করে দিলেন, যা তৎকালীন ত্রিশ হাজার দিরহাম ছিল এবং ঐ শরীকদার থেকে পৃথক হয়ে গেলেন।  

➥   ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله), আল খায়রাতুল হিসান, উর্দু, পৃষ্ঠাঃ  ৯৮, আরবী, পৃষ্ঠাঃ  ৯৮

 

ইমাম আবুল কাসেম কুশাইরী শাফেঈ (رحمة الله) তাঁর বিখ্যাত ‘রিসালায়’ বলেন, ইমাম সাহেব নিজের কর্জদারের বৃক্ষের ছায়ায় বসা থেকেও বেঁচে থাকতেন এবং বলতেন যে, কর্জ থেকে উপকৃত হওয়াটাও এক প্রকারের সূদ। এ ব্যাপারে ইয়াযিদ ইবনে হারূন (رحمة الله) বলেন, আমি ইমাম সাহেব থেকে বেশী পরহেযগার কাউকে দেখিনি। আমি একদা তাঁকে এক ব্যক্তির ঘরের দরজার সামনে প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললাম হুজুর! এই ঘরের ছায়ায় তাশরীফ নিলে ভাল হতো। তিনি বললেন, এই ঘরের মালিকের উপর আমার পাওনা কর্জ রয়েছে। আমি চাইনা যে, এর ঘরের ছায়ায় বসে এর থেকে উপকৃত হই। ইয়াযিদ বলেন-এর চেয়ে বড় পরহেযগারী আর কী হতে পারে?  

➥   ইবনে হাজার মক্কী (رحمة الله), আল খায়রাতুল হিসান, উর্দু, পৃষ্ঠাঃ  ১০০, আরবী, পৃষ্ঠাঃ  ১০০

Top