নারীদের সাক্ষ্য কেন পুরুষের অর্ধেক?
আল্লাহ পাক নারীদের সাক্ষ্যদানের বিষয়ে তাদের একটা দুর্বলতার কথা বলেছেন যে তারা বিস্মৃতিপ্রবণ। ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা পুরুষের বেলায়ও তো ঘটতে পারে। একথা স্বীকার করতেই হবে কোন ঘটনার বিচার সংক্রান্ত বিষয়েই কেবল সাক্ষ্যের প্রয়োজন হয়। সাক্ষ্যদানের যথার্থতার উপরই নির্ভর করে বিচার কতটুকু সুষ্ঠু হবে। আর এই সাক্ষ্যদান একজনকে অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও তাকে খালাস করে দিতে পারে আবার নিরপরাধীকে আমৃত্যু হাজতবাস করাতে পারে। ব্যাপারটা একদিকে জটিল অন্যদিকে সময়ক্ষেপনও বটে। আর আইন আদালতের বাজারী পরিবেশে একজন পুরুষ যতখানি দৃঢ়তার সাথে দিনের পর দিন বছরের পর বছর হাজিরা দেয়ার সক্ষমতা রাখে নারীর পক্ষে তা মোটেও সম্ভব নয়।
এখানে কোনভাবেই নারীকে হেয় করা হয়নি বরং তার প্রতি এহসানই করা হয়েছে। নারীরা বিদ্যা ও প্রজ্ঞায় পুরুষের চেয়ে কম, আজকাল এমন কথা বেওকুফরাই বলতে পারে। কারণ মাশাআল্লাহ তারা চিকিৎসা বিদ্যা কি বিজ্ঞান শিক্ষা কি নভোচারী কি বৈমানিক সব ক্ষেত্রেই পুরুষের সমান দক্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। বরং যখন এসএসসি ও এইচএসসি রেজাল্ট বের হয় তখন এ প্লাস পাশের সংখ্যায় ছাত্রীরা ছাত্রদের থেকে এগিয়ে থাকে। এই দক্ষতা ও এই জ্ঞান মেয়েদেরকে আল্লাহই দিয়েছেন। কুরআনের এই আয়াত আমাদের বলে দিচ্ছে যে চলমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন মুসলিম নারীর পক্ষে যোগ্য ও যথার্থ সাক্ষদান সম্ভব নয়। বিশেষ করে আর্থিক ও অপরাধমূলক বিষয়ে। তবে এখানে কোথাও বলা হয়নি একজন নারীর সাক্ষ্য অকার্যকর বা বাতিল। বলা হয়েছে অন্যজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেবে যদি পূর্বজন ভুলে যায় তবে দ্বিতীয়জন হবেন সাহায্যকারী ও সহগামী।