ষোড়শ অধ্যায়
মসজিদে প্রবেশ এবং বের হওয়া
১। তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া, যেমন রাসুল ﷺ বলেছেনঃ
‘যদি মানুষ জানত কি (পুরষ্কার) রয়েছে আযানে এবং প্রথম কাতারে এবং এটি (পুরষ্কার) অর্জনের আর কোন পথ না পেত লটারী করা ব্যতীত, তাহলে তার লটারী করত। ...যদি তারা জনত যোহরের সলাত তাড়াতাড়ি আদায় করার কি (পুরষ্কার) রয়েছে তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত।...যদি তারা জানত ঈশা এবং ফাজরের সলাত জামা’আতে আদায় করার ফাদীলাত, তাহলে তারা তা আদায় করতে আসত এমনকি যদি তাদেরকে হামাগুড়ি দিয়েও আসতে হয়।’
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ".
আবূ হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে বাছাই ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে ফায়সালা করত। যুহরের সালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ‘ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা হাজির হত।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬১৫ এবং মুসিলিম হা/৪৩৭)
২। মসজিদে যাওয়ার সময় দো’আ পড়া-
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي لِسَانِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي سَمْعِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي بَصَرِي نُورًا وَاجْعَلْ مِنْ خَلْفِي نُورًا وَمِنْ أَمَامِي نُورًا وَاجْعَلْ مِنْ فَوْقِي نُورًا وَمِنْ تَحْتِي نُورًا اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُورًا.
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমার ক্বলবে আপনি নূর দান করুন, আমার জিহবায় নূর দিন, আমার কানের মধ্যে নূর দিন, আমার চোখের মধ্যে নূর দিন, আমার পেছনে নূর দিন, আমার সামনে নূর দিন এবং আমার উপরে নূর দিন এবং আমার নীচে নূর দিন। হে আল্লাহ আমার উপর নূর বর্ষন করুন।’
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ لَيْلَةً وَالنَّبِيُّ ﷺ عِنْدَهَا فَتَحَدَّثَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ مَعَ أَهْلِه سَاعَةً ثُمَّ رَقَدَ فَلَمَّا كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاخِرُ أَوْ بَعْضُهُ قَعَدَ فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ فَقَرَأَ: ﴿إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّموتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَأَۤيَاتٍ لِّأُوْلِي الْأَلْبَابِ﴾ [آل عمران 3 : 190] حَتّى خَتَمَ السُّورَةَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الْقِرْبَةِ فَأَطْلَقَ شِنَاقَهَا ثُمَّ صَبَّ فِي الْجَفْنَةِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءًا حَسَنًا بَيْنَ الْوُضُوْءَيْنِ لَمْ يُكْثِرْ وَقَدْ أَبْلَغَ فَقَامَ فَصَلّى فَقُمْتُ وَتَوَضَّأْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِه فَأَخَذَ بِأُذُنِي فَأَدَارَنِي عَنْ يَمِيْنِه فَتَتَامَّتْ صَلَاتُه ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ اضْطَجَعَ فَنَامَ حَتّى نَفَخَ وَكَانَ إِذَا نَامَ نَفَخَ فَآذَنَه بِلَالٌ بِالصَّلَاةِ فَصَلّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ وَكَانَ فِي دُعَائِه: «اللّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا وَّفِي بَصَرِىْ نُورًا وَّفِي سَمْعِي نُورًا وَّعَنْ يَّمِينِىْ نُورًا وَّعَنْ يَّسَارِىْ نُورًا وَّفَوْقِي نُورًا وَّتَحْتِىْ نُوْرًا وَّأَمَامِىْ نُوْرًا وَّخَلْفِىْ نُورًا وَّاجْعَلْ لِّىْ نُورًا» وَزَادَ بَعْضُهُمْ: «وَفِي لِسَانِي نُورًا» وَذُكِرَ: «وَعَصَبِىْ وَلَحْمِىْ وَدَمِىْ وَشَعْرِىْ وَبَشَرِىْ). (مُتَّفق عَلَيْهِ).
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: «وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُورًا وَّأَعْظِمْ لِي نُورًا» وَفِي أُخْرى لِمُسْلِمٍ: «اللّهُمَّ أَعْطِنِىْ نُوْرًا.
ইবনু ‘আব্বাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একবার আমি আমার খালা উম্মুল মু’মিনীন মায়মূনাহ رضي الله عنه-এর বাড়ীতে রাত কাটালাম। রাসুলুল্লাহ ﷺ সে রাত্রে তাঁর বাড়ীতে ছিলেন। ‘ইশার পর কিছু সময় তিনি তাঁর স্ত্রী মায়মূনার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তারপর শুয়ে পড়েন। রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে অথবা রাতের কিছু সময় অবশিষ্ট থাকতে তিনি সজাগ হলেন। আকাশের দিকে লক্ষ করে এ আয়াত পাঠ করলেন : [আরবি] অর্থাৎ “আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করা, রাত ও দিনের ভিন্নতার (কখনো অন্ধকার কখনো আলোকিত, কখনো গরম কখনো শীত, কখনো বড়ো কখনো ছোট) মাঝে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্যে আল্লাহ ﷻ'র নিদর্শন”-(সূরাহ আল-ইমরান ৩ : ১৯০) তিনি সূরাটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন। তারপর উঠে তিনি পাত্রের কাছে গেলেন। এর বাঁধন খুললেন। পাত্রে পানি ঢাললেন। তারপর দু’ উযূর মাঝে মধ্যম ধরনের ভাল উযূ করলেন। হাদীস বর্ণনাকারী বলেন, (মধ্যম ধরনের উযূর অর্থ) খুব অল্প পানি খরচ করলেন। তবে শরীরে দরকারী পানি পৌঁছিয়েছেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করতে লাগলেন। (এসব দেখে) আমি নিজেও উঠলাম। অতঃপর উযূ করে তাঁর বাম পাশে দাঁড়িয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ ﷺ আমার কান ধরে তাঁর বাম পাশ থেকে ঘুরিয়ে এনে আমাকে তাঁর ডান পাশে দাঁড় করালেন। তার তের রাক্’আত সলাত আদায় করা শেষ হলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। শুয়ে পড়লে তিনি নাক ডাকতেন। তাই তাঁর নাক ডাকা শুরু হলো। ইতোমধ্যে বেলাল এসে সলাত প্রস্তুতির ঘোষণা দিলেন। তিনি সলাত আদায় করালেন। কোন উযূ করলেন না। তার দু’আর মাঝে ছিল, “আল্ল-হুম্মাজ্’আল ফী ক্বলবী নূরাওঁ ওয়াফী বাসারী নূরাওঁ ওয়াফী সাম্’ঈ নূরাওঁ ওয়া’আই ইয়ামীনী নূরাওঁ ওয়া’আই ইয়াসা-রী নূরাওঁ ওয়া ফাওক্বী নূরাওঁ ওয়া তাহতী নূরাওঁ ওয়া আমা-মী নূরাওঁ ওয়া খলফী নূরাওঁ ওয়াজ্’আল্ লী নূরা-” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমার হৃদয়ে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে, আমার বামে, আমার উপরে, আমার নিচে, আমার সম্মুখে, আমার পেছনে নূর দিয়ে ভরে দাও। আমার জন্যে কেবল নূরই নূর সৃষ্টি করে দাও।) কোন কোন বর্ণনাকারী এ শব্দগুলোও নকল করেছেন, “ওয়াফী লিসা-নী নূরা-” (অর্থাৎ- আমার জিহবায় নূর পয়দা করে দাও)। (অন্য বর্ণনায় এ শব্দগুলোও) উল্লেখ করেছেন, “ওয়া ‘আসাবী ওয়া লাহমী ওয়াদামী ওয়া শা’রী ওয়া বাশারী” (অর্থাৎ- আমার শিরা উপশিরায়, আমার গোশতে, আমার রক্তে, আমার পশমে, আমার চামড়ায় নূর তৈরী করে দাও)। (বুখারী, মুসলিম)
বুখারী ও মুসলিমেরই আর এক বিবরণে এ শব্দগুলোও আছে, “ওয়াজ্’আল ফী নাফ্সী নূরাওঁ ওয়া আ’যিম লী নূরা-” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমার মনের মধ্যে নূর সৃষ্টি করে দাও এবং আমার মাঝে নূর বাড়িয়ে দাও)। মুসলিমের এক বিবরণে আছে, “আল্ল-হুম্মা আ’ত্বিনী নূরা-” (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নূর দান করো)।
(সহীহ : বুখারী ৬৩১৬, মুসলিম ৭৬৩, মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১১৯৫)
৩। সাকিনাহ এবং ওয়াকার সহ হেঁটে যাওয়া ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ الْإِقَامَةَ فَامْشُوا إِلَى الصَّلاَةِ وَعَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ وَالْوَقَارِ وَلاَ تُسْرِعُوا فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا.
আবূ হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
নবী ﷺ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমরা ইক্বামাত শুনতে পাবে, তখন সালাতের দিকে চলে আসবে, তোমাদের উচিত স্থিরতা ও গাম্ভীর্য অবলম্বন করা। তাড়াহুড়া করবে না। ইমামের সাথে যতটুকু পাও তা আদায় করবে, আর যা ছুটে যায় তা পূর্ণ করবে।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩৬, ৯০৮; মুসলিম ৫/২৯, হাঃ ৬০৪, আহমাদ ২২৭১২) (ই.ফা. ৬০৮)
[সাকিনাহ হচ্ছে ধীরে সুস্থে যাওয়া এবং তাড়াহুরা বর্জন করা। ওয়াকার হচ্ছে দৃষ্টিকে নামিয়ে রাখা এবং কন্ঠকে নীচু রাখা এবং এদিক সেদিক অধিক তাকানো বর্জন করা।]
৪। মসজিদে হেটে যাওয়া, যাতে গুনাহ সমূহ ঝরে পড়ে এবং জান্নাতে মর্যাদা বাড়তে থাকে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، أَنَّ أَبَا عُثْمَانَ، حَدَّثَهُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ يُصَلِّي الْقِبْلَةَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَبْعَدَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ وَكَانَ لاَ تُخْطِئُهُ صَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقُلْتُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الرَّمْضَاءِ وَالظُّلْمَةِ . فَقَالَ مَا أُحِبُّ أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ فَنُمِيَ الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهِ ذَلِكَ فَقَالَ أَرَدْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ يُكْتَبَ لِي إِقْبَالِي إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِلَى أَهْلِي إِذَا رَجَعْتُ . فَقَالَ " أَعْطَاكَ اللَّهُ ذَلِكَ كُلَّهُ أَنْطَاكَ اللَّهُ جَلَّ وَعَزَّ مَا احْتَسَبْتَ كُلَّهُ أَجْمَعَ " .
উবাই ইবনু কা'ব رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমার জানামতে মাদীনাহর সলাত আদায়কারীদের মধ্যে এক ব্যক্তির বাসস্থান মসজিদ থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত ছিল। এ সত্ত্বেও তিনি সর্বদা পায়ে হেঁটে জামা'আতে উপস্থিত হতেন। আমি তাকে বললাম, আপনি একটি গাধা খরিদ করে নিলে গরম ও অন্ধকারে তাতে সওয়ার হয়ে আসতে পারতেন। তিনি বললেন, আমার ঘর মসজিদের নিকটবর্তী হোক, তা আমি অপছন্দ করি। একথা রাসুলুল্লাহ ﷺ পর্যন্ত পৌছলে তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ ﷻ'র রাসুল! আমি মসজিদে আসা ও মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার বিনিময়ে সাওয়াব লাভের প্রত্যাশা করি (তাই এরূপ বলেছি)। তিনি বললেনঃ তুমি যা পাওয়ার আশা করেছ, আল্লাহ তোমাকে তাই দিয়েছেন। তুমি যে সাওয়াবের প্রত্যাশা করেছ তা পূর্ণরূপেই তোমার জন্য মঞ্জুর করেছেন।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৫৭, মুসলিম)
৫। মসজিদে প্রবেশের সময়ে দো’আ পাঠঃ
بسم الله الصلاة و السلام على رسول الله اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ.
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আসসালাতু ওয়াস সালামু আ'লা রাসুলিল্লাহি আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন।’
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغَيْلَانِيُّ بَصْرِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ وَأَبَا أُسَيْدٍ يَقُولَانِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ "
আবদুল মালিক ইব্ন সাঈদ رحمة الله عليه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন : আমি আবূ হুমায়দ এবং আবূ উসায়দকে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে : (আরবী) আর যখন বের হয় তখন যেন বলে : (আরবী)।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭২৯)
৬। ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
(মুসতাদারক আল হাকিম হা/৮২২)
৭ । প্রবেশ করে (বসার আগে) তাহিয়্যাত আল মসজিদ সলাহ আদায় করা।
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، سَمِعَ أَبَا قَتَادَةَ بْنَ رِبْعِيٍّ الأَنْصَارِيّ َ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلاَ يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ ".
আবূ কাতাদা ইবনু রিব’আ আনসারী رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নবী ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক’আত সালাত (তাহিয়্যাতুল–মসজিদ ) আদায় করার পূর্বে বসবে না।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১৬৩, ৪৪৪) (ই.ফা. ১০৯৪)
ইমাম শাফেয়ী বলেন,‘নিষিদ্ধ সময়েও তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ বৈধ।’
৮। প্রথম কাতারের দিকে অগ্রগামী হওয়া, যেমন রাসুল সলল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘যদি মানুষ জানত কি (পুরষ্কার) রয়েছে আযানে এবং প্রথম কাতারে এবং এটি (পুরষ্কার) অর্জনের আর কোন পথ না পেত লটারী করা ব্যতীত, তাহলে তার লটারী করত ...’
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ".
আবূ হুরায়রা رضي الله عنه থেকে বর্ণিতঃ:
আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে বাছাই ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে ফায়সালা করত। যুহরের সালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ‘ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা হাজির হত।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬১৫)
৯। মসজিদ থেকে বের হবার সময় দো’আ পাঠঃ
بسم الله الصلاة و السلام على رسول الله اللَّهُمَّ أِنِّيْ اَسْاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ.
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আসসালাতু ওয়াস সালামু আ'লা রাসুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমি আপনার ফাদল (পুরষ্কার) চাই।’
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغَيْلَانِيُّ بَصْرِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ وَأَبَا أُسَيْدٍ يَقُولَانِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ "
আবদুল মালিক ইব্ন সাঈদ رحمة الله عليه থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন : আমি আবূ হুমায়দ এবং আবূ উসায়দকে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে : (আরবী) আর যখন বের হয় তখন যেন বলে : (আরবী)।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭২৯)
১০। বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
(মুসতাদারক আল হাকিম হা/৮২২)।